আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৭৬
৪৪. সালাফ বা ঋণে যাহা অবৈধ
রেওয়ারত ৯২. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাঁহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, এক ব্যক্তি অপর একজনের নিকট কিছু খাদ্যদ্রব্য ধার দিয়াছিল এই শর্তে যে, অন্য শহরে সে উহা পরিশোধ করিবে। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিলেন, ঐ স্থানে বহন করিবার খরচ কে বহন করিবে? তাই উহা অপছন্দ করিলেন।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ السَّلَفِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ فِي رَجُلٍ أَسْلَفَ رَجُلًا طَعَامًا عَلَى أَنْ يُعْطِيَهُ إِيَّاهُ فِي بَلَدٍ آخَرَ فَكَرِهَ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَقَالَ فَأَيْنَ الْحَمْلُ يَعْنِي حُمْلَانَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩৭৭
৪৪. সালাফ বা ঋণে যাহা অবৈধ
রেওয়ায়ত ৯৩. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তিনি জানিতে পারিয়াছেন যে, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর নিকট আসিয়া বলেন, হে আবু আব্দির রহমান। আমি এক ব্যক্তিকে কিছু ধার দিয়াছিলাম এবং উহা হইতে উৎকৃষ্ট বস্তু দেওয়ার শর্ত করিয়াছিলাম। আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিলেন উহা সুদ হইবে। ঐ ব্যক্তি বলিলেন, তবে আমাকে এখন কি করিতে বলেন। তিনি বলিলেন, ঋণ তিন প্রকারের হইয়া থাকে। এক প্রকারের ঋণ যাহাতে আল্লাহর সস্তুষ্টি উদ্দেশ্য হয়। উহাতে আল্লাহর সন্তুষ্টিই অর্জিত হইয়া থাকে। আর এক প্রকারের ঋণ যাহাতে গ্রহীতা ব্যক্তির সস্তুষ্টির উদ্ধেশ্য হইয়া থাকে উহাতে ঐ ব্যক্তির সন্ধুষ্টি লাভ হইয়া থাকে। আর এক প্রকার ঋণ যাহাতে হালালের বিনিময়ে হারাম (সুদ) গ্রহণ উদ্দেশ্য হইয়া থাকে। সে ব্যক্তি বলিল তবে আমাকে এখন কি করিতে বলেন? তিনি বলিলেন, আমার মতে তুমি তোমার সুদের দলীল ছিড়িয়া ফেল, যদি তুমি যাহা ঋণ দিয়াছিলে তোমাকে ঐ পরিমাণ দিয়া দেয় তবে উহা লইবে, তোমার সওয়াব হইবে। আর যদি সে খুশী হইয়া তুমি যাহা দিয়াছ উহা হইতে উৎকৃষ্ট বস্তু দেয় তবে উহার শোকর করবে। আর তুমি তাহাকে যে সময় দিয়াছ উহার সওয়াব পাইবে।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ السَّلَفِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا أَتَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّي أَسْلَفْتُ رَجُلًا سَلَفًا وَاشْتَرَطْتُ عَلَيْهِ أَفْضَلَ مِمَّا أَسْلَفْتُهُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَذَلِكَ الرِّبَا قَالَ فَكَيْفَ تَأْمُرُنِي يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ السَّلَفُ عَلَى ثَلَاثَةِ وُجُوهٍ سَلَفٌ تُسْلِفُهُ تُرِيدُ بِهِ وَجْهَ اللَّهِ فَلَكَ وَجْهُ اللَّهِ وَسَلَفٌ تُسْلِفُهُ تُرِيدُ بِهِ وَجْهَ صَاحِبِكَ فَلَكَ وَجْهُ صَاحِبِكَ وَسَلَفٌ تُسْلِفُهُ لِتَأْخُذَ خَبِيثًا بِطَيِّبٍ فَذَلِكَ الرِّبَا قَالَ فَكَيْفَ تَأْمُرُنِي يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ أَرَى أَنْ تَشُقَّ الصَّحِيفَةَ فَإِنْ أَعْطَاكَ مِثْلَ الَّذِي أَسْلَفْتَهُ قَبِلْتَهُ وَإِنْ أَعْطَاكَ دُونَ الَّذِي أَسْلَفْتَهُ فَأَخَذْتَهُ أُجِرْتَ وَإِنْ أَعْطَاكَ أَفْضَلَ مِمَّا أَسْلَفْتَهُ طَيِّبَةً بِهِ نَفْسُهُ فَذَلِكَ شُكْرٌ شَكَرَهُ لَكَ وَلَكَ أَجْرُ مَا أَنْظَرْتَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩৭৮
৪৪. সালাফ বা ঋণে যাহা অবৈধ
রেওয়ায়ত ৯৪. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যদি কেহ কাহাকেও কোন ঋণ দেয় তবে যেন উহা আদায় করার শর্ত ছাড়া অন্য কোন শর্ত না করে।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ السَّلَفِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ مَنْ أَسْلَفَ سَلَفًا فَلَا يَشْتَرِطْ إِلَّا قَضَاءَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩৭৯
৪৪. সালাফ বা ঋণে যাহা অবৈধ
রেওয়ায়ত ৯৫. মালিক (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলিতেন, যদি কেহ কাহাকেও ঋণ দেয় তবে উহা হইতে উৎকৃষ্ট বস্তু বা অতিরিক্ত কিছুর শর্ত করিবে না যদিও একমুষ্টি ঘাস হয়। কেননা উহা সুদ।
মালিক (রাহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের নিকট সর্বসম্মত মত এই যে, যদি কেহ কোন পশু ধার নেয় তাহাতে কোন অসুবিধা নাই, তবে তাহাকে ঐরপ পশুই পরিশোধ করিতে হইবে। তবে ক্রীতদাসীদের ব্যাপারে ইহা প্রযোজ্য হইবে না, কারণ ইহাতে যাহা নিষিদ্ধ তাহা হালাল করার আশঙ্কা রহিয়াছে। ইহার ব্যাখ্যা এই, এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে ক্রীতদাসী ধার দিল, সে উহার সহিত সহবাস করিল, অতঃপর মালিকের নিকট উহাকে ফেরত দিল, ইহা বৈধ নহে। আহলে ইলম (উলামা) এইরূপ করিতে বরাবর নিষেধ করিতেন এবং কাহাকেও ইহার অনুমতি দিতেম না।
মালিক (রাহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের নিকট সর্বসম্মত মত এই যে, যদি কেহ কোন পশু ধার নেয় তাহাতে কোন অসুবিধা নাই, তবে তাহাকে ঐরপ পশুই পরিশোধ করিতে হইবে। তবে ক্রীতদাসীদের ব্যাপারে ইহা প্রযোজ্য হইবে না, কারণ ইহাতে যাহা নিষিদ্ধ তাহা হালাল করার আশঙ্কা রহিয়াছে। ইহার ব্যাখ্যা এই, এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে ক্রীতদাসী ধার দিল, সে উহার সহিত সহবাস করিল, অতঃপর মালিকের নিকট উহাকে ফেরত দিল, ইহা বৈধ নহে। আহলে ইলম (উলামা) এইরূপ করিতে বরাবর নিষেধ করিতেন এবং কাহাকেও ইহার অনুমতি দিতেম না।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ السَّلَفِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يَقُولُ مَنْ أَسْلَفَ سَلَفًا فَلَا يَشْتَرِطْ أَفْضَلَ مِنْهُ وَإِنْ كَانَتْ قَبْضَةً مِنْ عَلَفٍ فَهُوَ رِبًا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ اسْتَسْلَفَ شَيْئًا مِنْ الْحَيَوَانِ بِصِفَةٍ وَتَحْلِيَةٍ مَعْلُومَةٍ فَإِنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ وَعَلَيْهِ أَنْ يَرُدَّ مِثْلَهُ إِلَّا مَا كَانَ مِنْ الْوَلَائِدِ فَإِنَّهُ يُخَافُ فِي ذَلِكَ الذَّرِيعَةُ إِلَى إِحْلَالِ مَا لَا يَحِلُّ فَلَا يَصْلُحُ وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يَسْتَسْلِفَ الرَّجُلُ الْجَارِيَةَ فَيُصِيبُهَا مَا بَدَا لَهُ ثُمَّ يَرُدُّهَا إِلَى صَاحِبِهَا بِعَيْنِهَا فَذَلِكَ لَا يَصْلُحُ وَلَا يَحِلُّ وَلَمْ يَزَلْ أَهْلُ الْعِلْمِ يَنْهَوْنَ عَنْهُ وَلَا يُرَخِّصُونَ فِيهِ لِأَحَدٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: