আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৭২
৪২. ঋণ গ্রহীতার দরিদ্র হওয়া
রেওয়ায়ত ৮৮. আবু বকর ইবনে আব্দির রহমান ইবনে হারিস ইবনে হিশাম (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি (কাহারো নিকট) কোন পণ্য বিক্রয় করিয়াছে। অতঃপর তাহার নিকট হইতে যে ক্রয় করিয়াছে সে দরিদ্র হইয়া গিয়াছে। আর বিক্রেতা ক্রেতার নিকট হইতে পণ্যের মূল্যের কিছুই আয়ত্তে আনে নাই। সে ব্যক্তি (বিক্রেতা) পণ্যদ্রব্য ক্রেতার নিকট যদি হুবহু পায় তবে সে-ই উহার হকদার হইবে অধিক। আর যদি ক্রেতার মৃত্যু হয় তবে পণ্যের মালিক উক্ত পণ্যে অপর ঋণদাতাদের সমান (শরীক) হইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي إِفْلَاسِ الْغَرِيمِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا رَجُلٍ بَاعَ مَتَاعًا فَأَفْلَسَ الَّذِي ابْتَاعَهُ مِنْهُ وَلَمْ يَقْبِضْ الَّذِي بَاعَهُ مِنْ ثَمَنِهِ شَيْئًا فَوَجَدَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ وَإِنْ مَاتَ الَّذِي ابْتَاعَهُ فَصَاحِبُ الْمَتَاعِ فِيهِ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩৭৩
৪২. ঋণ গ্রহীতার দরিদ্র হওয়া
রেওয়ায়ত ৮৯. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি দরিদ্র হইয়াছে এবং কোন ব্যক্তি তাহার মাল হুবহু তাহার নিকট পায় তবে সে অন্যের তুলনায় সেই মালের অধিক হকদার হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির নিকট কোন পণ্য বা খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করিয়াছে। অতঃপর ক্রেতা দরিদ্র হইয়া গিয়াছে, তবে বিক্রেতা তাহার পণ্যের হুবহু কিছু পাইলে সে এই পণ্য গ্রহণ করিবে। যদি ক্রেতা উহার কিছু অংশ বিক্রয় করিয়া থাকে এবং উহাকে পৃথক করিয়া দিয়া থাকে তবে পণ্যের মালিক অন্যান্য ঋণদাতা বা মহাজনদের অপেক্ষা এই পণ্যের অধিক হকদার হইবে। ক্রেতা কর্তৃক উহ্য হইতে কিছু অংশ পৃথক করার কারণে তাহার পণ্যের যাহা হুবহু সে পাইয়াছে তাহা আয়ত্তে আনিতে কোন বাধা হইবে না। আর যদি বিক্রেতা পণ্যের মূল্যের কিছু তলব করিয়াছে অতঃপর বিক্রেতা পণ্যের যে মূল্য গ্রহণ করিয়াছে উহা ফেরত দিতে এবং যে পণ্য পাওয়া গিয়াছে উহা আয়ত্তে আনিতে পছন্দ করে এবং যাহা আদায় হয় নাই তাহাতে অন্যান্য মহাজনের সমান হইয়া যায় তবে ইহা জায়েয আছে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি কিছু পণ্য খরিদ করিল উহা পশম হউক বা অন্য কোন ব্যবসায়ের মাল বা এক টুকরা জমি। অতঃপর যে খরিদ করিয়াছে সে উহাতে নূতন কোন কাজ করিল, যেমন জমিতে ঘর বানাইল বা পশম দ্বারা কাপড় তৈয়ার করিল। অতঃপর যে খরিদ করিয়াছিল সে গরীব হইয়া গেল, জমিওয়ালা তাহাকে বলিল, আমি ঐ জমি এবং উহাতে যাহা নির্মাণ করা হইয়াছে তাহা সমস্তই লইয়া লইব, তবে ইহা তাহার জন্য বৈধ হইবে না বরং ঐ জমি এবং জমিতে যে ঘর ক্রেতা তৈয়ার করিয়াছিল উহার মূল্য নির্ণয় করিতে হইবে। অতঃপর দেখিতে হইবে ঐ জমির মূল্য কত পড়ে এবং ঘরের মূল্য কত হয়। অতঃপর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে উহাতে অংশীদার হইবে। জমির মালিকের জন্য হইবে তাহার জমির অংশ অনুযায়ী এবং ঋণগ্রস্তুদিগের জন্য হইবে নির্মিত গৃহাদির অংশ পরিমাণ।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই যে, যেমন ঐ জমি ও ঘরের একত্রে মূল্য হইবে এক হাজার পাঁচ শত দিরহাম। এমতাবস্থায় জমির মূল্য হইবে পাঁচ শত দিরহাম এবং ঘরের মূল্য হইবে এক হাজার দিরহাম। জমির মালিকের জন্য হইবে এক-তৃতীয়াংশ এবং ঋণগ্রস্তদিগের জন্য হইবে দুই-তৃতীয়াংশ।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এইরূপেই পশম ইত্যাদির মূল্য ধরিত হইবে যদি খরিদ্দার ঋণগ্রস্ত হইয়া পড়ে আর মূল্য আদায় করিতে অপারক হয়।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আর ঐ সমস্ত ব্যবসায়ের মাল যাহাতে খরিদ্দার কোন কাজ করে নাই বরং এমনি ঐ মালের যোগ্যতা তথা গুণাগুণ বৃদ্ধি পাইয়াছে আর উহার মূল্য বৃদ্ধি পাইয়াছে। এখন ঐ মালওয়ালা উহা পাইতে ইচ্ছা করিতেছে। কিন্তু খাতক উহা রাখিতে চাহিতেছে। এমতাবস্থায় ঋণদাতাদের ইচ্ছানুযায়ী তাহারা মালওয়ালাকে উহার মূল্যও দিয়া দিতে পারে, যে দামে উহা বিক্রয় হইয়াছিল। উহা হইতে কমাইতে পরিবে না বা তাহাকে তাহার মালও দিয়া দিতে পারে। আর যদি ঐ মালের মূল্য কমিয়া গিয়া থাকে তবে যে বিক্রয় করিয়াছে সে যদি ইচ্ছা করে তবে তাহার মাল লইয়া লইতে পারে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি কোন দাসী বা কোন পশু খরিদ করিল এবং উহা তাহার নিকট বাচ্চা দিল অতঃপর ক্রেতা গরীব হইয়া গেল, ঐ দাসী বা পশু যে বাচ্চা প্রসব করিয়াছে উহা বিক্রেতার হইবে। যদি খাতকের উহ্য রাখিবার ইচ্ছা হয়, তবে তাহার পূর্ণ প্রাপ্য দিয়া উহা রাখিতে পারে।
بَاب مَا جَاءَ فِي إِفْلَاسِ الْغَرِيمِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا رَجُلٍ أَفْلَسَ فَأَدْرَكَ الرَّجُلُ مَالَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ بَاعَ مِنْ رَجُلٍ مَتَاعًا فَأَفْلَسَ الْمُبْتَاعُ فَإِنَّ الْبَائِعَ إِذَا وَجَدَ شَيْئًا مِنْ مَتَاعِهِ بِعَيْنِهِ أَخَذَهُ وَإِنْ كَانَ الْمُشْتَرِي قَدْ بَاعَ بَعْضَهُ وَفَرَّقَهُ فَصَاحِبُ الْمَتَاعِ أَحَقُّ بِهِ مِنْ الْغُرَمَاءِ لَا يَمْنَعُهُ مَا فَرَّقَ الْمُبْتَاعُ مِنْهُ أَنْ يَأْخُذَ مَا وَجَدَ بِعَيْنِهِ فَإِنْ اقْتَضَى مِنْ ثَمَنِ الْمُبْتَاعِ شَيْئًا فَأَحَبَّ أَنْ يَرُدَّهُ وَيَقْبِضَ مَا وَجَدَ مِنْ مَتَاعِهِ وَيَكُونَ فِيمَا لَمْ يَجِدْ أُسْوَةَ الْغُرَمَاءِ فَذَلِكَ لَهُ قَالَ مَالِك وَمَنْ اشْتَرَى سِلْعَةً مِنْ السِّلَعِ غَزْلًا أَوْ مَتَاعًا أَوْ بُقْعَةً مِنْ الْأَرْضِ ثُمَّ أَحْدَثَ فِي ذَلِكَ الْمُشْتَرَى عَمَلًا بَنَى الْبُقْعَةَ دَارًا أَوْ نَسَجَ الْغَزْلَ ثَوْبًا ثُمَّ أَفْلَسَ الَّذِي ابْتَاعَ ذَلِكَ فَقَالَ رَبُّ الْبُقْعَةِ أَنَا آخُذُ الْبُقْعَةَ وَمَا فِيهَا مِنْ الْبُنْيَانِ إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ لَهُ وَلَكِنْ تُقَوَّمُ الْبُقْعَةُ وَمَا فِيهَا مِمَّا أَصْلَحَ الْمُشْتَرِي ثُمَّ يُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُ الْبُقْعَةِ وَكَمْ ثَمَنُ الْبُنْيَانِ مِنْ تِلْكَ الْقِيمَةِ ثُمَّ يَكُونَانِ شَرِيكَيْنِ فِي ذَلِكَ لِصَاحِبِ الْبُقْعَةِ بِقَدْرِ حِصَّتِهِ وَيَكُونُ لِلْغُرَمَاءِ بِقَدْرِ حِصَّةِ الْبُنْيَانِ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ تَكُونَ قِيمَةُ ذَلِكَ كُلِّهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَخَمْسَ مِائَةِ دِرْهَمٍ فَتَكُونُ قِيمَةُ الْبُقْعَةِ خَمْسَ مِائَةِ دِرْهَمٍ وَقِيمَةُ الْبُنْيَانِ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَيَكُونُ لِصَاحِبِ الْبُقْعَةِ الثُّلُثُ وَيَكُونُ لِلْغُرَمَاءِ الثُّلُثَانِ قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ الْغَزْلُ وَغَيْرُهُ مِمَّا أَشْبَهَهُ إِذَا دَخَلَهُ هَذَا وَلَحِقَ الْمُشْتَرِيَ دَيْنٌ لَا وَفَاءَ لَهُ عِنْدَهُ وَهَذَا الْعَمَلُ فِيهِ قَالَ مَالِك فَأَمَّا مَا بِيعَ مِنْ السِّلَعِ الَّتِي لَمْ يُحْدِثْ فِيهَا الْمُبْتَاعُ شَيْئًا إِلَّا أَنَّ تِلْكَ السِّلْعَةَ نَفَقَتْ وَارْتَفَعَ ثَمَنُهَا فَصَاحِبُهَا يَرْغَبُ فِيهَا وَالْغُرَمَاءُ يُرِيدُونَ إِمْسَاكَهَا فَإِنَّ الْغُرَمَاءَ يُخَيَّرُونَ بَيْنَ أَنْ يُعْطُوا رَبَّ السِّلْعَةِ الثَّمَنَ الَّذِي بَاعَهَا بِهِ وَلَا يُنَقِّصُوهُ شَيْئًا وَبَيْنَ أَنْ يُسَلِّمُوا إِلَيْهِ سِلْعَتَهُ وَإِنْ كَانَتْ السِّلْعَةُ قَدْ نَقَصَ ثَمَنُهَا فَالَّذِي بَاعَهَا بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَ سِلْعَتَهُ وَلَا تِبَاعَةَ لَهُ فِي شَيْءٍ مِنْ مَالِ غَرِيمِهِ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ شَاءَ أَنْ يَكُونَ غَرِيمًا مِنْ الْغُرَمَاءِ يُحَاصُّ بِحَقِّهِ وَلَا يَأْخُذُ سِلْعَتَهُ فَذَلِكَ لَهُ وَقَالَ مَالِك فِيمَنْ اشْتَرَى جَارِيَةً أَوْ دَابَّةً فَوَلَدَتْ عِنْدَهُ ثُمَّ أَفْلَسَ الْمُشْتَرِي فَإِنَّ الْجَارِيَةَ أَوْ الدَّابَّةَ وَوَلَدَهَا لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَرْغَبَ الْغُرَمَاءُ فِي ذَلِكَ فَيُعْطُونَهُ حَقَّهُ كَامِلًا وَيُمْسِكُونَ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান