আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৭০
৪০. ঋণ এবং হাওল (حول) বা হাওয়ালা (حوالة) এর বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৮৬. মুসা ইবনে মাইসারা (রাহঃ) জনৈক ব্যক্তিকে সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করিতে শুনিয়াছেন। তিনি বলিলেন, আমি ধারে বিক্রয় করিয়া থাকি (নিজ আয়ত্তে আনার পূর্বে পণ্য বিক্রয় করি)। (উত্তরে) সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বললেন—(পণ্য আয়ত্ত করার পর উহাকে) তোমার গৃহে না আনা পর্যন্ত তুমি উহা বিক্রয় করিও না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তি হইতে পণ্য ক্রয় করিয়াছে এই শর্তে—বিক্রেতা নির্দিষ্ট সময়ের পর উহা পুরোপুরি ক্রেতার দখলে দিয়া দিবে। হয়ত (মেয়াদ নির্দিষ্ট করিয়াছে) বাজার পরিস্থিতির দরুন, (নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে মাল তাহার নিকট হস্তান্তর করা হইলে এবং তারপর মাল বাজারে ছাড়িলে সে কিছু লাভ করিবে বলিয়া আশাবাদী, কিংবা মেয়াদ পর্যন্ত সে যে শর্ত করিয়াছে এই শর্ত করার প্রয়োজন ক্রেতার রহিয়াছে। অতঃপর বিক্রেতা ক্রেতার সহিত সেই মেয়াদের ব্যাপারে (শর্তের) খেলাফ করিল (অর্থাৎ) মেয়াদ পূর্ণ করিল না। তাই ক্রেতা সেই পণ্য বিক্রেতার নিকট ফিরাইয়া দিতে ইচ্ছা করিল, ইহা ক্রেতার পক্ষে জায়েয হইবে না, ক্রয় তাহার জন্য বাধ্যতামূলক হইবে, আর যদি বিক্রেতা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে সেই পণ্য ক্রেতার নিকট উপস্থিত করে তবে উহা গ্রহণ করার জন্য ক্রেতাকে বাধ্য করা যাইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিল, তারপর উহাকে ওজন করিয়া লইল। অতঃপর তাহার নিকট হইতে ক্রয় করার জন্য অন্য একজন আসিল, যে ক্রয় করিতে আসিয়াছে উহাকে সে জানাইল যে, সে এই খাদ্যদ্রব্য নিজের জন্য ওজন করিয়া লইয়াছে এবং পূর্ণরূপে আয়ত্তাধীন করিয়াছে। ইহা শুনিয়া ক্রেতা উহাকে বিশ্বাস করিয়া তাহারই প্রকাশিত ওজনে উহাকে গ্রহণ করিল। এইরূপে যাহা নগদ বিক্রয় করা হইল ইহাতে কোন দোষ নাই। আর অন্যের ওজনের উপর যদি ধারে বিক্রয় করা হয় তবে উহা মাকরূহ হইবে যাবত দ্বিতীয় ক্রেতা নিজের জন্য উহা ওজন করিয়া না লয়, ধারে বিক্রয় এই কারণে মাকরূহ যে, ইহা সুদের ওসীলা হয় এবং আশঙ্কা রহিয়াছে সে মাপ ও ওজন ছাড়া এইভাবে বারংবার ইহার পুনরাবৃত্তি ঘটিতে পারে। তাই ধারে হইলে উহা মাকরূহ হইবে, এই বিষয়ে আমাদের মতানৈক্য নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অনুপস্থিত ব্যক্তির জিম্মার ঋণ ক্রয় করা জায়েয নহে, উপস্থিত ব্যক্তির ঋণ ক্রয় করাও জায়েয নহে। তবে যাহার জিম্মায় ঋণ রহিয়াছে সে যদি স্বীকার করে। মৃত ব্যক্তির ঋণ ক্রয় করাও জায়েয নহে। যদিও সে যে সম্পদ রাখিয়া গিয়াছে উহা জানা থাকে। কারণ ইহা ক্রয় করাতে ধোঁকা রহিয়াছে। বলা যায় না এই বিক্রীত ঋণের অর্থ উশুল হইবে, না উশুল হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা মাকরুহ হওয়ার ব্যাখ্যা এই, যদি অনুপস্থিত ব্যক্তির কিংবা মৃত ব্যক্তির জিম্মায় ঋণ ক্রয় করা হয়; তবে সেই মৃত ব্যক্তির জিম্মায় কি পরিমাণ ঋণ নির্ধারিত হইবে তাহা অজ্ঞাত, যদি মৃত ব্যক্তির জিম্মায় ঋণ নির্ধারিত হয় তবে ক্রেতা যে মূল্য পরিশোধ করিয়াছে উহা বৃথা যাইবে। মালিক (রাহঃ) বলেন—এইরূপ ক্রয়ে আরও একটি ক্রটি রহিয়াছে, তাহা এই ক্রেতা মুর্দা হইতে এমন বস্তু ক্রয় করিয়াছে যে বস্তুর প্রতি মুর্দার কোন দায়িত্ব বা জামান্নত নাই, যদি সেই বস্তু সে পূর্ণরূপে দখল করিতে না পারে তবে তাহার মূল্য বৃথা যাইবে, ইহাই ধোকা, ইহা না-জায়েয।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যেই বস্তু কাহারো আয়ত্তে না থাকে উহা বিক্রয় করা জায়েয নহে। পক্ষান্তরে যেই (عيتة) বস্তু মূল্য বিক্রেতার আয়ত্তে নাই তাহার জন্য সলফ বিক্রয় বৈধ, এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য এই, ‘ঈনা বিক্রয়ের মধ্যে ঈনার মালিক অর্থ বহন করিয়া থাকে। যেই অর্থ দ্বারা সে ক্রয় করিতে ইচ্ছুক, তাই সে যেন এইরূপ বলিল, এই আমার নিকট দশ দীনার রহিয়াছে [যেমন খালিদের নিকট]। আপনার [যেমন দবীরের] ইচ্ছা আছে কি আমি আপনার পক্ষে দশ দীনার দিয়া ক্রয় করি এৰং আপনার পক্ষে উহাকে পনর দীনারের বিনিময়ে বিক্রয় করি। এইভাবে সে খালিদ যেন নগদ দশ দীনার বিক্রয় করিল বাকী পনর দীনারের বিনিময়ে। এই জন্য আমি উহাকে মাকরূহ বলি। ইহা সুদের ওসীলা এবং ইহাই ধোঁকা।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তি হইতে পণ্য ক্রয় করিয়াছে এই শর্তে—বিক্রেতা নির্দিষ্ট সময়ের পর উহা পুরোপুরি ক্রেতার দখলে দিয়া দিবে। হয়ত (মেয়াদ নির্দিষ্ট করিয়াছে) বাজার পরিস্থিতির দরুন, (নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে মাল তাহার নিকট হস্তান্তর করা হইলে এবং তারপর মাল বাজারে ছাড়িলে সে কিছু লাভ করিবে বলিয়া আশাবাদী, কিংবা মেয়াদ পর্যন্ত সে যে শর্ত করিয়াছে এই শর্ত করার প্রয়োজন ক্রেতার রহিয়াছে। অতঃপর বিক্রেতা ক্রেতার সহিত সেই মেয়াদের ব্যাপারে (শর্তের) খেলাফ করিল (অর্থাৎ) মেয়াদ পূর্ণ করিল না। তাই ক্রেতা সেই পণ্য বিক্রেতার নিকট ফিরাইয়া দিতে ইচ্ছা করিল, ইহা ক্রেতার পক্ষে জায়েয হইবে না, ক্রয় তাহার জন্য বাধ্যতামূলক হইবে, আর যদি বিক্রেতা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে সেই পণ্য ক্রেতার নিকট উপস্থিত করে তবে উহা গ্রহণ করার জন্য ক্রেতাকে বাধ্য করা যাইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিল, তারপর উহাকে ওজন করিয়া লইল। অতঃপর তাহার নিকট হইতে ক্রয় করার জন্য অন্য একজন আসিল, যে ক্রয় করিতে আসিয়াছে উহাকে সে জানাইল যে, সে এই খাদ্যদ্রব্য নিজের জন্য ওজন করিয়া লইয়াছে এবং পূর্ণরূপে আয়ত্তাধীন করিয়াছে। ইহা শুনিয়া ক্রেতা উহাকে বিশ্বাস করিয়া তাহারই প্রকাশিত ওজনে উহাকে গ্রহণ করিল। এইরূপে যাহা নগদ বিক্রয় করা হইল ইহাতে কোন দোষ নাই। আর অন্যের ওজনের উপর যদি ধারে বিক্রয় করা হয় তবে উহা মাকরূহ হইবে যাবত দ্বিতীয় ক্রেতা নিজের জন্য উহা ওজন করিয়া না লয়, ধারে বিক্রয় এই কারণে মাকরূহ যে, ইহা সুদের ওসীলা হয় এবং আশঙ্কা রহিয়াছে সে মাপ ও ওজন ছাড়া এইভাবে বারংবার ইহার পুনরাবৃত্তি ঘটিতে পারে। তাই ধারে হইলে উহা মাকরূহ হইবে, এই বিষয়ে আমাদের মতানৈক্য নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অনুপস্থিত ব্যক্তির জিম্মার ঋণ ক্রয় করা জায়েয নহে, উপস্থিত ব্যক্তির ঋণ ক্রয় করাও জায়েয নহে। তবে যাহার জিম্মায় ঋণ রহিয়াছে সে যদি স্বীকার করে। মৃত ব্যক্তির ঋণ ক্রয় করাও জায়েয নহে। যদিও সে যে সম্পদ রাখিয়া গিয়াছে উহা জানা থাকে। কারণ ইহা ক্রয় করাতে ধোঁকা রহিয়াছে। বলা যায় না এই বিক্রীত ঋণের অর্থ উশুল হইবে, না উশুল হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা মাকরুহ হওয়ার ব্যাখ্যা এই, যদি অনুপস্থিত ব্যক্তির কিংবা মৃত ব্যক্তির জিম্মায় ঋণ ক্রয় করা হয়; তবে সেই মৃত ব্যক্তির জিম্মায় কি পরিমাণ ঋণ নির্ধারিত হইবে তাহা অজ্ঞাত, যদি মৃত ব্যক্তির জিম্মায় ঋণ নির্ধারিত হয় তবে ক্রেতা যে মূল্য পরিশোধ করিয়াছে উহা বৃথা যাইবে। মালিক (রাহঃ) বলেন—এইরূপ ক্রয়ে আরও একটি ক্রটি রহিয়াছে, তাহা এই ক্রেতা মুর্দা হইতে এমন বস্তু ক্রয় করিয়াছে যে বস্তুর প্রতি মুর্দার কোন দায়িত্ব বা জামান্নত নাই, যদি সেই বস্তু সে পূর্ণরূপে দখল করিতে না পারে তবে তাহার মূল্য বৃথা যাইবে, ইহাই ধোকা, ইহা না-জায়েয।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যেই বস্তু কাহারো আয়ত্তে না থাকে উহা বিক্রয় করা জায়েয নহে। পক্ষান্তরে যেই (عيتة) বস্তু মূল্য বিক্রেতার আয়ত্তে নাই তাহার জন্য সলফ বিক্রয় বৈধ, এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য এই, ‘ঈনা বিক্রয়ের মধ্যে ঈনার মালিক অর্থ বহন করিয়া থাকে। যেই অর্থ দ্বারা সে ক্রয় করিতে ইচ্ছুক, তাই সে যেন এইরূপ বলিল, এই আমার নিকট দশ দীনার রহিয়াছে [যেমন খালিদের নিকট]। আপনার [যেমন দবীরের] ইচ্ছা আছে কি আমি আপনার পক্ষে দশ দীনার দিয়া ক্রয় করি এৰং আপনার পক্ষে উহাকে পনর দীনারের বিনিময়ে বিক্রয় করি। এইভাবে সে খালিদ যেন নগদ দশ দীনার বিক্রয় করিল বাকী পনর দীনারের বিনিময়ে। এই জন্য আমি উহাকে মাকরূহ বলি। ইহা সুদের ওসীলা এবং ইহাই ধোঁকা।
بَاب جَامِعِ الدَّيْنِ وَالْحِوَلِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَجُلًا يَسْأَلُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَقَالَ إِنِّي رَجُلٌ أَبِيعُ بِالدَّيْنِ فَقَالَ سَعِيدٌ لَا تَبِعْ إِلَّا مَا آوَيْتَ إِلَى رَحْلِكَ
قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَشْتَرِي السِّلْعَةَ مِنْ الرَّجُلِ عَلَى أَنْ يُوَفِّيَهُ تِلْكَ السِّلْعَةَ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى إِمَّا لِسُوقٍ يَرْجُو نَفَاقَهَا فِيهِ وَإِمَّا لِحَاجَةٍ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ الَّذِي اشْتَرَطَ عَلَيْهِ ثُمَّ يُخْلِفُهُ الْبَائِعُ عَنْ ذَلِكَ الْأَجَلِ فَيُرِيدُ الْمُشْتَرِي رَدَّ تِلْكَ السِّلْعَةِ عَلَى الْبَائِعِ إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ لِلْمُشْتَرِي وَإِنَّ الْبَيْعَ لَازِمٌ لَهُ وَإِنَّ الْبَائِعَ لَوْ جَاءَ بِتِلْكَ السِّلْعَةِ قَبْلَ مَحِلِّ الْأَجَلِ لَمْ يُكْرَهْ الْمُشْتَرِي عَلَى أَخْذِهَا قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَشْتَرِي الطَّعَامَ فَيَكْتَالُهُ ثُمَّ يَأْتِيهِ مَنْ يَشْتَرِيهِ مِنْهُ فَيُخْبِرُ الَّذِي يَأْتِيهِ أَنَّهُ قَدْ اكْتَالَهُ لِنَفْسِهِ وَاسْتَوْفَاهُ فَيُرِيدُ الْمُبْتَاعُ أَنْ يُصَدِّقَهُ وَيَأْخُذَهُ بِكَيْلِهِ إِنَّ مَا بِيعَ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ بِنَقْدٍ فَلَا بَأْسَ بِهِ وَمَا بِيعَ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ إِلَى أَجَلٍ فَإِنَّهُ مَكْرُوهٌ حَتَّى يَكْتَالَهُ الْمُشْتَرِي الْآخَرُ لِنَفْسِهِ وَإِنَّمَا كُرِهَ الَّذِي إِلَى أَجَلٍ لِأَنَّهُ ذَرِيعَةٌ إِلَى الرِّبَا وَتَخَوُّفٌ أَنْ يُدَارَ ذَلِكَ عَلَى هَذَا الْوَجْهِ بِغَيْرِ كَيْلٍ وَلَا وَزْنٍ فَإِنْ كَانَ إِلَى أَجَلٍ فَهُوَ مَكْرُوهٌ وَلَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يُشْتَرَى دَيْنٌ عَلَى رَجُلٍ غَائِبٍ وَلَا حَاضِرٍ إِلَّا بِإِقْرَارٍ مِنْ الَّذِي عَلَيْهِ الدَّيْنُ وَلَا عَلَى مَيِّتٍ وَإِنْ عَلِمَ الَّذِي تَرَكَ الْمَيِّتُ وَذَلِكَ أَنَّ اشْتِرَاءَ ذَلِكَ غَرَرٌ لَا يُدْرَى أَيَتِمُّ أَمْ لَا يَتِمُّ قَالَ وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا اشْتَرَى دَيْنًا عَلَى غَائِبٍ أَوْ مَيِّتٍ أَنَّهُ لَا يُدْرَى مَا يَلْحَقُ الْمَيِّتَ مِنْ الدَّيْنِ الَّذِي لَمْ يُعْلَمْ بِهِ فَإِنْ لَحِقَ الْمَيِّتَ دَيْنٌ ذَهَبَ الثَّمَنُ الَّذِي أَعْطَى الْمُبْتَاعُ بَاطِلًا قَالَ مَالِك وَفِي ذَلِكَ أَيْضًا عَيْبٌ آخَرُ أَنَّهُ اشْتَرَى شَيْئًا لَيْسَ بِمَضْمُونٍ لَهُ وَإِنْ لَمْ يَتِمَّ ذَهَبَ ثَمَنُهُ بَاطِلًا فَهَذَا غَرَرٌ لَا يَصْلُحُ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا فُرِقَ بَيْنَ أَنْ لَا يَبِيعَ الرَّجُلُ إِلَّا مَا عِنْدَهُ وَأَنْ يُسَلِّفَ الرَّجُلُ فِي شَيْءٍ لَيْسَ عِنْدَهُ أَصْلُهُ أَنَّ صَاحِبَ الْعِينَةِ إِنَّمَا يَحْمِلُ ذَهَبَهُ الَّتِي يُرِيدُ أَنْ يَبْتَاعَ بِهَا فَيَقُولُ هَذِهِ عَشَرَةُ دَنَانِيرَ فَمَا تُرِيدُ أَنْ أَشْتَرِيَ لَكَ بِهَا فَكَأَنَّهُ يَبِيعُ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ نَقْدًا بِخَمْسَةَ عَشَرَ دِينَارًا إِلَى أَجَلٍ فَلِهَذَا كُرِهَ هَذَا وَإِنَّمَا تِلْكَ الدُّخْلَةُ وَالدُّلْسَةُ
قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَشْتَرِي السِّلْعَةَ مِنْ الرَّجُلِ عَلَى أَنْ يُوَفِّيَهُ تِلْكَ السِّلْعَةَ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى إِمَّا لِسُوقٍ يَرْجُو نَفَاقَهَا فِيهِ وَإِمَّا لِحَاجَةٍ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ الَّذِي اشْتَرَطَ عَلَيْهِ ثُمَّ يُخْلِفُهُ الْبَائِعُ عَنْ ذَلِكَ الْأَجَلِ فَيُرِيدُ الْمُشْتَرِي رَدَّ تِلْكَ السِّلْعَةِ عَلَى الْبَائِعِ إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ لِلْمُشْتَرِي وَإِنَّ الْبَيْعَ لَازِمٌ لَهُ وَإِنَّ الْبَائِعَ لَوْ جَاءَ بِتِلْكَ السِّلْعَةِ قَبْلَ مَحِلِّ الْأَجَلِ لَمْ يُكْرَهْ الْمُشْتَرِي عَلَى أَخْذِهَا قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَشْتَرِي الطَّعَامَ فَيَكْتَالُهُ ثُمَّ يَأْتِيهِ مَنْ يَشْتَرِيهِ مِنْهُ فَيُخْبِرُ الَّذِي يَأْتِيهِ أَنَّهُ قَدْ اكْتَالَهُ لِنَفْسِهِ وَاسْتَوْفَاهُ فَيُرِيدُ الْمُبْتَاعُ أَنْ يُصَدِّقَهُ وَيَأْخُذَهُ بِكَيْلِهِ إِنَّ مَا بِيعَ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ بِنَقْدٍ فَلَا بَأْسَ بِهِ وَمَا بِيعَ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ إِلَى أَجَلٍ فَإِنَّهُ مَكْرُوهٌ حَتَّى يَكْتَالَهُ الْمُشْتَرِي الْآخَرُ لِنَفْسِهِ وَإِنَّمَا كُرِهَ الَّذِي إِلَى أَجَلٍ لِأَنَّهُ ذَرِيعَةٌ إِلَى الرِّبَا وَتَخَوُّفٌ أَنْ يُدَارَ ذَلِكَ عَلَى هَذَا الْوَجْهِ بِغَيْرِ كَيْلٍ وَلَا وَزْنٍ فَإِنْ كَانَ إِلَى أَجَلٍ فَهُوَ مَكْرُوهٌ وَلَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يُشْتَرَى دَيْنٌ عَلَى رَجُلٍ غَائِبٍ وَلَا حَاضِرٍ إِلَّا بِإِقْرَارٍ مِنْ الَّذِي عَلَيْهِ الدَّيْنُ وَلَا عَلَى مَيِّتٍ وَإِنْ عَلِمَ الَّذِي تَرَكَ الْمَيِّتُ وَذَلِكَ أَنَّ اشْتِرَاءَ ذَلِكَ غَرَرٌ لَا يُدْرَى أَيَتِمُّ أَمْ لَا يَتِمُّ قَالَ وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا اشْتَرَى دَيْنًا عَلَى غَائِبٍ أَوْ مَيِّتٍ أَنَّهُ لَا يُدْرَى مَا يَلْحَقُ الْمَيِّتَ مِنْ الدَّيْنِ الَّذِي لَمْ يُعْلَمْ بِهِ فَإِنْ لَحِقَ الْمَيِّتَ دَيْنٌ ذَهَبَ الثَّمَنُ الَّذِي أَعْطَى الْمُبْتَاعُ بَاطِلًا قَالَ مَالِك وَفِي ذَلِكَ أَيْضًا عَيْبٌ آخَرُ أَنَّهُ اشْتَرَى شَيْئًا لَيْسَ بِمَضْمُونٍ لَهُ وَإِنْ لَمْ يَتِمَّ ذَهَبَ ثَمَنُهُ بَاطِلًا فَهَذَا غَرَرٌ لَا يَصْلُحُ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا فُرِقَ بَيْنَ أَنْ لَا يَبِيعَ الرَّجُلُ إِلَّا مَا عِنْدَهُ وَأَنْ يُسَلِّفَ الرَّجُلُ فِي شَيْءٍ لَيْسَ عِنْدَهُ أَصْلُهُ أَنَّ صَاحِبَ الْعِينَةِ إِنَّمَا يَحْمِلُ ذَهَبَهُ الَّتِي يُرِيدُ أَنْ يَبْتَاعَ بِهَا فَيَقُولُ هَذِهِ عَشَرَةُ دَنَانِيرَ فَمَا تُرِيدُ أَنْ أَشْتَرِيَ لَكَ بِهَا فَكَأَنَّهُ يَبِيعُ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ نَقْدًا بِخَمْسَةَ عَشَرَ دِينَارًا إِلَى أَجَلٍ فَلِهَذَا كُرِهَ هَذَا وَإِنَّمَا تِلْكَ الدُّخْلَةُ وَالدُّلْسَةُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: