আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৬৬
৩৯. ঋণে সুদ প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৮২. সফফাহ-এর মাওলা উবাইদ আবী সালিহ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কিছু বস্ত্র বিক্রয় করিলাম মেয়াদের উপর দার-ই নাখলা* এর বাসিন্দাদের নিকট অতঃপর আমি কুফায় যাওয়ার মনস্থ করিলাম। তাহারা আমাকে বলিল, আমি তাহাদেরকে দাম কমাইয়া দিলে তাহারা মূল্য নগদে আদায় করিবে। আমি এই বিষয়ে যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলাম। তিনি বলিলেন— আমি তোমার জন্য ইহা (মালের অর্থ) আহার করা জায়েয করিব না এবং অন্যকে আহার করাও ইহা জায়েয করিব না।
بَاب مَا جَاءَ فِي الرِّبَا فِي الدَّيْنِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدٍ أَبِي صَالِحٍ مَوْلَى السَّفَّاحِ أَنَّهُ قَالَ بِعْتُ بَزًّا لِي مِنْ أَهْلِ دَارِ نَخْلَةَ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ أَرَدْتُ الْخُرُوجَ إِلَى الْكُوفَةِ فَعَرَضُوا عَلَيَّ أَنْ أَضَعَ عَنْهُمْ بَعْضَ الثَّمَنِ وَيَنْقُدُونِي فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَقَالَ لَا آمُرُكَ أَنْ تَأْكُلَ هَذَا وَلَا تُوكِلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৬৭
৩৯. ঋণে সুদ প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৮৩. আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এক ব্যক্তি সম্বন্ধে, যাহার মেয়াদী ঋণ রহিয়াছে অন্য এক ব্যক্তির উপর, অতঃপর ঋখদাতা (কিছু পরিমাণ ঋণ) গ্রহীতা হইতে কমাইরা দিল এবং ঋণগ্রহীতা (মেয়াদ শেষ হওয়ার পূবে ঋণের অর্থ) ঋণদাতাকে নগদ প্রদান করিল। আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) ইহা মাকরূহ জানিলেন এবং ইহা হইতে নিষেধ করিলেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الرِّبَا فِي الدَّيْنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَفْصِ بْنِ خَلْدَةَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ الرَّجُلِ يَكُونُ لَهُ الدَّيْنُ عَلَى الرَّجُلِ إِلَى أَجَلٍ فَيَضَعُ عَنْهُ صَاحِبُ الْحَقِّ وَيُعَجِّلُهُ الْآخَرُ فَكَرِهَ ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَنَهَى عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৬৮
৩৯. ঋণে সুদ প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৮৪. যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) বলেনঃ জাহিলীয়া যুগে সুদ ছিল এইরূপ—এক ব্যক্তির অপর ব্যক্তির উপর মেয়াদী হক রহিয়াছে যখন হক আদায় করার মুহূর্তে উপস্থিত হইয়াছে তখন (ঋণগ্রহীতাকে বলা হইত;) আমার হক আদায় করিবে, না ঋণ বৃদ্ধি করিয়া সময় বাড়াইয়া নিবে (এখন) ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ শোধ করে (তবে ভাল কথা), অন্যথায় ঋণের হার বাড়াইয়া দেওয়া হইতে এবং ঋণদাতা মেয়াদ আরও পিছাইয়া দিত (ইহাই ছিল জাহিলীয়ার সুদ)।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাকরূহ বিষয় যাহাতে কোন দ্বিমত নাই তাহা হইতেছে এই, এক ব্যক্তির অপর ব্যক্তির উপর মেয়াদী ঋণ রহিয়াছে। ঋণদাতা কিছু পরিমাণ ঋণ কমাইয়া দিল, ঋণগ্রহীতা (মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে) ঋণ পরিশোধ করিয়া দিল। মালিক (রাহঃ) বলেন, ইহা আমাদের নিকট এইরূপ যেমন কোন ব্যক্তি ঋণ আদায়ের সময় যখন উপস্থিত হইল তখন ঋণগ্রহীতার জন্য মেয়াদ আরও বাড়াইয়া দিল (ইহার পরিবর্তে) ঋণগ্রহীতা ঋণদাতার জন্য ঋণ (পরিশোধ করার সময়) কিছু বাড়াইয়া দিল, ইহাই প্রকৃত সুদ যাহাতে কোন সন্দেহ নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তির অপর এক ব্যক্তির উপর একশত দীনার (ঋণ) রহিয়াছে মেয়াদে পরিশোধযোগ্য। যখন মেয়াদ উত্তীর্ণ হইল তখন ঋণদাতা ঋণগ্রহীতাকে বলিল—আমার নিকট একটি পণ্য বিক্রয় কর, যাহার নগদ মূল্য একশত দীনার এবং বাকী মূল্য হইতেছে দেড়শত দীনার। মালিক (রাহঃ) বলেন, এই বিক্রয় জায়েয হইবে না আহলে ইলম (উলামা) সর্বদা ইহা হইতে নিষেধ করিতেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা এইজন্য মাকরূহ যে, সে (ক্রেতা) ইহা (বিক্রেতা)-কে বিক্রীত বস্তুর মূল্য পরিশোধ করিতেছে, বিক্রেতা ক্রেতাকে দ্বিতীয়বার যেই সময় উল্লেখ করিয়াছে সেই সময় পর্যন্ত ক্রেতার জন্য মেয়াদ পিছাইয়া দিতেছে এবং এই পিছাইয়া দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পঞ্চাশ দীনার তাহার উপর বৃদ্ধি করিল, ইহা মাকরূহ, জায়েয নহে। যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ)-এর হাদীসে বর্ণিত জাহিলীয়া যুগের বেচাকেনার ইহা সদৃশ তাহারা ঋণ আদায় করার যখন মেয়াদ উপস্থিত হইত, তখন তাহারা ঋণগ্রহীতাকে বলিত, হয়ত ঋণ পরিশোধ কর, নচেৎ ঋণে কিছু বাড়তি দাও, অতঃপর যদি (ঋণগ্রহীতা) ঋণ পরিশোধ করে, তাহারা উহা গ্রহণ করিত, আর (যথাসময়ে) পরিশোধ না করিত, তবে তাহারা তাহদের প্রাপ্য হকসমূহে কিছু পরিমাণ বৃদ্ধি করিয়া দিত এবং ঋণগ্রহীতার জন্য মেয়াদ বাড়াইয়াদিত।
بَاب مَا جَاءَ فِي الرِّبَا فِي الدَّيْنِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّهُ قَالَ كَانَ الرِّبَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَنْ يَكُونَ لِلرَّجُلِ عَلَى الرَّجُلِ الْحَقُّ إِلَى أَجَلٍ فَإِذَا حَلَّ الْأَجَلُ قَالَ أَتَقْضِي أَمْ تُرْبِي فَإِنْ قَضَى أَخَذَ وَإِلَّا زَادَهُ فِي حَقِّهِ وَأَخَّرَ عَنْهُ فِي الْأَجَلِ
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمَكْرُوهُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنْ يَكُونَ لِلرَّجُلِ عَلَى الرَّجُلِ الدَّيْنُ إِلَى أَجَلٍ فَيَضَعُ عَنْهُ الطَّالِبُ وَيُعَجِّلُهُ الْمَطْلُوبُ وَذَلِكَ عِنْدَنَا بِمَنْزِلَةِ الَّذِي يُؤَخِّرُ دَيْنَهُ بَعْدَ مَحِلِّهِ عَنْ غَرِيمِهِ وَيَزِيدُهُ الْغَرِيمُ فِي حَقِّهِ قَالَ فَهَذَا الرِّبَا بِعَيْنِهِ لَا شَكَّ فِيهِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَكُونُ لَهُ عَلَى الرَّجُلِ مِائَةُ دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِذَا حَلَّتْ قَالَ لَهُ الَّذِي عَلَيْهِ الدَّيْنُ بِعْنِي سِلْعَةً يَكُونُ ثَمَنُهَا مِائَةَ دِينَارٍ نَقْدًا بِمِائَةٍ وَخَمْسِينَ إِلَى أَجَلٍ هَذَا بَيْعٌ لَا يَصْلُحُ وَلَمْ يَزَلْ أَهْلُ الْعِلْمِ يَنْهَوْنَ عَنْهُ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يُعْطِيهِ ثَمَنَ مَا بَاعَهُ بِعَيْنِهِ وَيُؤَخِّرُ عَنْهُ الْمِائَةَ الْأُولَى إِلَى الْأَجَلِ الَّذِي ذَكَرَ لَهُ آخِرَ مَرَّةٍ وَيَزْدَادُ عَلَيْهِ خَمْسِينَ دِينَارًا فِي تَأْخِيرِهِ عَنْهُ فَهَذَا مَكْرُوهٌ وَلَا يَصْلُحُ وَهُوَ أَيْضًا يُشْبِهُ حَدِيثَ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ فِي بَيْعِ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا حَلَّتْ دُيُونُهُمْ قَالُوا لِلَّذِي عَلَيْهِ الدَّيْنُ إِمَّا أَنْ تَقْضِيَ وَإِمَّا أَنْ تُرْبِيَ فَإِنْ قَضَى أَخَذُوا وَإِلَّا زَادُوهُمْ فِي حُقُوقِهِمْ وَزَادُوهُمْ فِي الْأَجَلِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান