আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩১২
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ২৮. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় সাদকে* গনিমতের স্বর্ণ কিংবা রৌপ্যের বাসন** বিক্রয় করার নির্দেশ দিলেন। তাহারা উভয়ে তিনটি বাসন চার দীনারের বিনিময়ে অথবা রাবী বলিয়াছেন প্রতি চারিটি বাসন তিন দীনারের বিনিময়ে বিক্রয় করিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করিলেন, তোমরা সুদের ব্যবসা করিয়াছ। তাই তোমরা ইহা ফিরাইয়া দাও।
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّعْدَيْنِ أَنْ يَبِيعَا آنِيَةً مِنْ الْمَغَانِمِ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ فَبَاعَا كُلَّ ثَلَاثَةٍ بِأَرْبَعَةٍ عَيْنًا أَوْ كُلَّ أَرْبَعَةٍ بِثَلَاثَةٍ عَيْنًا فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَيْتُمَا فَرُدَّا
হাদীস নং:১৩১৩
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ২৯. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন-দীনারের বিনিময়ে দীনার, দিরহামের বিনিময়ে দিরহাম, এতদুভয়ের মধ্যে বাড়তি ক্রয়-বিক্রয় চলিবে না।
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي تَمِيمٍ عَنْ أَبِي الْحُبَابِ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الدِّينَارُ بِالدِّينَارِ وَالدِّرْهَمُ بِالدِّرْهَمِ لَا فَضْلَ بَيْنَهُمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩১৪
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ৩০. আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, স্বর্ণকে স্বর্ণের বিনিময়ে সমান সমান ছাড়া বিক্রয় করিও না এবং স্বর্ণের এক অংশকে অন্য অংশের বিনিময়ে বাড়তি বিক্রয় করিও না। (অনুরূপ) চাঁদির বিনিময়ে চাঁদি সমান সমান ছাড়া বিক্রয় করিও না এবং উহার এক অংশকে অপর অংশের বিনিময়ে বাড়তি বিক্রি করিও না, আর উহা হইতে নগদের বিনিময়ে বাকী বিক্রয় করিও না।
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ وَلَا تَبِيعُوا الْوَرِقَ بِالْوَرِقِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ وَلَا تَبِيعُوا مِنْهَا شَيْئًا غَائِبًا بِنَاجِزٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩১৫
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ৩১. মুজাহিদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি (একবার) আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। একজন স্বর্ণকার তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিল-হে আবু আব্দির রহমান। আমি স্বর্ণে কারুকার্যের কাজ করি, অতঃপর উহার ওজনের চাইতে অধিক ওজনে বিক্রয় করি; ইহাতে আমি শ্রম অনুযায়ী বাড়তি গ্রহণ করিতে পারি কি? আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) তাহাকে নিষেধ করিলেন। স্বর্ণকার এই মাসআলা তাহার নিকট বারবার পেশ করিতেছিল আর আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তাহাকে নিষেধ করিতেছিলেন । এইভাবে মসজিদের দ্বারপ্রান্তে কিংবা যে সওয়ারীতে আরোহণ করিলেন উহার কাছে উপনীত হইলেন। অতঃপর আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিলেন-দীনার দীনারের বিনিময়ে এবং দিরহাম দিরহামের বিনিময়ে, এতদুভয়ের মধ্যে বাড়তি (ক্রয়-বিক্রয়) বৈধ নহে। ইহা আমাদের নবী (ﷺ)-এর ওসীয়ত আমাদের প্রতি এবং আমাদের ওসীয়তও (ইহাই) তোমাদের প্রতি।
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ عَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَجَاءَهُ صَائِغٌ فَقَالَ لَهُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّي أَصُوغُ الذَّهَبَ ثُمَّ أَبِيعُ الشَّيْءَ مِنْ ذَلِكَ بِأَكْثَرَ مِنْ وَزْنِهِ فَأَسْتَفْضِلُ مِنْ ذَلِكَ قَدْرَ عَمَلِ يَدِي فَنَهَاهُ عَبْدُ اللَّهِ عَنْ ذَلِكَ فَجَعَلَ الصَّائِغُ يُرَدِّدُ عَلَيْهِ الْمَسْأَلَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ يَنْهَاهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى بَابِ الْمَسْجِدِ أَوْ إِلَى دَابَّةٍ يُرِيدُ أَنْ يَرْكَبَهَا ثُمَّ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الدِّينَارُ بِالدِّينَارِ وَالدِّرْهَمُ بِالدِّرْهَمِ لَا فَضْلَ بَيْنَهُمَا هَذَا عَهْدُ نَبِيِّنَا إِلَيْنَا وَعَهْدُنَا إِلَيْكُمْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩১৬
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ৩২. উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিয়াছেন, তোমরা এক দীনারকে দুই দীনারের বিনিময়ে এবং এক দিরহামকে দুই দিরহামের বিনিময়ে বিক্রয় করিও না।
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ جَدِّهِ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَبِيعُوا الدِّينَارَ بِالدِّينَارَيْنِ وَلَا الدِّرْهَمَ بِالدِّرْهَمَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩১৭
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ৩৩. আতা ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, মু’আবিয়া ইবনে আবী সুফিয়ান (রাযিঃ) স্বর্ণ কিংবা চাঁদির একটি পানপাত্র (সিকায়া) ক্রয় করিয়াছিলেন উহার চাইতে অধিক ওজনের (স্বর্ণ বা চাঁদির) বিনিময়ে। আবুদ্দারদা (রাযিঃ) তাহাকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিলেন- আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এইরূপ (কার্য) হইতে নিষেধ করিতে শুনিয়াছি। কিন্তু যদি সমান সমান হয় (তবে উহা বৈধ হইবে) মু’আবিয়া (রাযিঃ) বললেন, আমি এইরূপ কার্যে কোন দোষ মনে করি না, আবুদ্দারদা (রাযিঃ) বলিলেন, (মু’আবিয়ার ব্যাপারে) আমাকে কে মদদ করিবে? আমি তাহাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হইতে হাদীসের সংবাদ দিতেছি আর তিনি আমার কাছে তাহার মত বর্ণনা করিতেছেন। (হে মু’আবিয়া) তুমি যেই স্থানে বসবাস কর, সেই স্থানে আমি তোমার সহিত বসবাস করিব না। তারপর আবুদ্দারদা (রাযিঃ) উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট আগমন করিলেন এবং তাহার নিকট ঘটনা বর্ণনা করিলেন। অতঃপর উমর (রাযিঃ) মু’আবিয়ার নিকট লিখিলেন-এইরূপ বিক্রয় করিবেন না, কিন্তু যদি সমান সমান এবং একই পরিমাণের হয় (তবে বিক্রয় করা বৈধ হইবে)।
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ بَاعَ سِقَايَةً مِنْ ذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ بِأَكْثَرَ مِنْ وَزْنِهَا فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْ مِثْلِ هَذَا إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ مَا أَرَى بِمِثْلِ هَذَا بَأْسًا فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ مَنْ يَعْذِرُنِي مِنْ مُعَاوِيَةَ أَنَا أُخْبِرُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُخْبِرُنِي عَنْ رَأْيِهِ لَا أُسَاكِنُكَ بِأَرْضٍ أَنْتَ بِهَا ثُمَّ قَدِمَ أَبُو الدَّرْدَاءِ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى مُعَاوِيَةَ أَنْ لَا تَبِيعَ ذَلِكَ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَزْنًا بِوَزْنٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩১৮
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ৩৪. আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিয়াছেন, স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ সমান সমান ছাড়া বিক্রয় করিও না। এবং একটিকে অপরটির উপর বৃদ্ধি করিয়া বিক্রয় করিও না। আর চাঁদির বিনিময়ে চাঁদি সমান সমান ছাড়া বিক্রয় করিও না। উহার এক অংশকে অপর অংশের উপর বাড়তি করিয়া বিক্রয় করিও না আর স্বর্ণের বিনিময়ে চাঁদি বিক্রয় করিও না, যে দুইটির একটি অনুপস্থিত, আর অপরটি বর্তমানে মওজুদ রহিয়াছে। (কব্জা করার পূর্বে) যদি মহাজন তার গৃহে প্রবেশ করা পর্যন্তের জন্য সময় চাহে তবে সেই সময়ও তাহাকে দিও না। আমি তোমাদের বেলায় ‘রামা’ ( رماء )এর আশঙ্কা করি। ‘রামা’ হইতেছে সুদ।
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لَا تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ وَلَا تَبِيعُوا الْوَرِقِ بِالْوَرِقِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ وَلَا تَبِيعُوا الْوَرِقَ بِالذَّهَبِ أَحَدُهُمَا غَائِبٌ وَالْآخَرُ نَاجِزٌ وَإِنْ اسْتَنْظَرَكَ إِلَى أَنْ يَلِجَ بَيْتَهُ فَلَا تُنْظِرْهُ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ الرَّمَاءَ وَالرَّمَاءُ هُوَ الرِّبَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩১৯
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ৩৫. আব্দুল্লাহ ইবনে দিনার (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিয়াছেন-স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ সমান সমান ছাড়া বিক্রয় করিও না, এবং একটিকে অপরটির উপর বৃদ্ধি করিয়া বিক্রয় করিও না। আর চাঁদির বিনিময়ে চাঁদি সমান সমান ছাড়া বিক্রয় করিও না। উহার এক অংশকে অপর অংশের উপর বাড়তি করিয়া বিক্রয় করিও না। আর স্বর্ণের বিনিময়ে চাঁদি বিক্রয় করিও না, যে দুইটির একটি অনুপস্থিত, আর অপরটি বর্তমানে মওজুদ রহিয়াছে। (কব্জা করার পূর্বে) যদি মহাজন তার গৃহে প্রবেশ করা পর্যন্তের জন্য সময় চাহে তবে সেই সময়ও তাহাকে দিও না। আমি তোমাদের বেলায় রামা-এর আশঙ্কা করি। রামা’ হইতেছে সুদ।
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لَا تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ وَلَا تَبِيعُوا الْوَرِقَ بِالْوَرِقِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَا تُشِفُّوا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ وَلَا تَبِيعُوا شَيْئًا مِنْهَا غَائِبًا بِنَاجِزٍ وَإِنْ اسْتَنْظَرَكَ إِلَى أَنْ يَلِجَ بَيْتَهُ فَلَا تُنْظِرْهُ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ الرَّمَاءَ وَالرَّمَاءُ هُوَ الرِّبَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩২০
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ৩৬. উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিয়াছেন-(ক্রয়-বিক্রয় হইবে) দীনার দীনারের বিনিময়ে, দিরহাম দিরহামের বিনিময়ে, সা’ সার বিনিময়ে আর নগদকে ধারের বিনিময়ে বিক্রয় করা যাইবে না।
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الدِّينَارُ بِالدِّينَارِ وَالدِّرْهَمُ بِالدِّرْهَمِ وَالصَّاعُ بِالصَّاعِ وَلَا يُبَاعُ كَالِئٌ بِنَاجِزٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩২১
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ৩৭. আবুয যিনাদ (রাহঃ) সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, সুদ হয় কেবলমাত্র স্বর্ণে, চাঁদিতে অথবা যেইসব দ্রব্য ওজন করা হয় কিংবা ওজন করা হয় পানীয় বা খাদ্যদ্রব্য হইতে সেইসব দ্রব্যে।*
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ لَا رِبًا إِلَّا فِي ذَهَبٍ أَوْ فِي فِضَّةٍ أَوْ مَا يُكَالُ أَوْ يُوزَنُ بِمَا يُؤْكَلُ أَوْ يُشْرَبُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩২২
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ৩৮. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন স্বর্ণ এবং চাঁদিকে কর্তন করা ধরাপৃষ্ঠে ফাসাদ দৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত।*

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ চাঁদির বিনিময়ে স্বর্ণ এবং স্বর্ণের বিনিময়ে চাঁদি অনুমান করিয়া বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই, যদি ঢালাইবিহীন স্বর্ণ বা তৈরী গহনা হয়। অবশ্য গণনাযোগ্য দিরহাম বা দীনার হইলে সেইসবকে অনুমান করিয়া ক্রয় করা কাহারো পক্ষে বৈধ নহে। যাবত উহার সংখ্যা জানা না যায় এবং উহাকে গণনা করা না হয়। উহাকে অনুমান করিয়া ক্রয় করিলে, উহার লক্ষ্য হইবে প্রতারণা যখন গণনা করা হইল না এবং অনুমান করিয়া ক্রয় করা হইল। ইহা মুসলমানদের ক্রয়-বিক্রয়ের অন্তর্ভুক্ত নহে। আর ঢালাইবিহীন** স্বর্ণ বা চাঁদি এবং (তৈরী) গহনা যেসব ওজনে বিক্রয় হয় সেই সবকে অনুমান করিয়া বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।

এইসবকে অনুমানে বিক্রয় করা এইরূপ যেমন গম, খুর্মা এবং উহাদের মতো অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য যাহাকে কেহ অনুমান করিয়া বিক্রয় করে যদি উহা ওজন করিয়া বিক্রয় করার মতো দ্রব্য হয়। তাই এইরূপ দ্রব্য অনুমান করিয়া বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্বর্ণখচিত কুরআন অথবা তলোয়ার অথবা অঙ্গুরীয়কে দীনার, দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করিয়াছে। স্বর্ণখচিত যে বস্তু দীনারের বিনিময়ে ক্রয় করিল সে বস্তুর মূল্যের প্রতি লক্ষ্য করিতে হইবে; যদি উক্ত বস্তুর মূল্য দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩) হয় এবং উহাতে লাগানো স্বর্ণের মূল্য হয় এক-তৃতীয়াংশ (১/৩) তবে উহা বৈধ হইবে। ইহাতে কোন দোষ নাই যদি নগদ আদান-প্রদান হয়। আমাদের শহরের লোকের মধ্যে এই নিয়মই প্রচলিত রহিয়াছে।
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ قَطْعُ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ مِنْ الْفَسَادِ فِي الْأَرْضِ
قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ وَالْفِضَّةَ بِالذَّهَبِ جِزَافًا إِذَا كَانَ تِبْرًا أَوْ حَلْيًا قَدْ صِيغَ فَأَمَّا الدَّرَاهِمُ الْمَعْدُودَةُ وَالدَّنَانِيرُ الْمَعْدُودَةُ فَلَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَشْتَرِيَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ جِزَافًا حَتَّى يُعْلَمَ وَيُعَدَّ فَإِنْ اشْتُرِيَ ذَلِكَ جِزَافًا فَإِنَّمَا يُرَادُ بِهِ الْغَرَرُ حِينَ يُتْرَكُ عَدُّهُ وَيُشْتَرَى جِزَافًا وَلَيْسَ هَذَا مِنْ بُيُوعِ الْمُسْلِمِينَ فَأَمَّا مَا كَانَ يُوزَنُ مِنْ التِّبْرِ وَالْحَلْيِ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُبَاعَ ذَلِكَ جِزَافًا وَإِنَّمَا ابْتِيَاعُ ذَلِكَ جِزَافًا كَهَيْئَةِ الْحِنْطَةِ وَالتَّمْرِ وَنَحْوِهِمَا مِنْ الْأَطْعِمَةِ الَّتِي تُبَاعُ جِزَافًا وَمِثْلُهَا يُكَالُ فَلَيْسَ بِابْتِيَاعِ ذَلِكَ جِزَافًا بَأْسٌ قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى مُصْحَفًا أَوْ سَيْفًا أَوْ خَاتَمًا وَفِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ ذَهَبٌ أَوْ فِضَّةٌ بِدَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فَإِنَّ مَا اشْتُرِيَ مِنْ ذَلِكَ وَفِيهِ الذَّهَبُ بِدَنَانِيرَ فَإِنَّهُ يُنْظَرُ إِلَى قِيمَتِهِ فَإِنْ كَانَتْ قِيمَةُ ذَلِكَ الثُّلُثَيْنِ وَقِيمَةُ مَا فِيهِ مِنْ الذَّهَبِ الثُّلُثَ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ وَلَا يَكُونُ فِيهِ تَأْخِيرٌ وَمَا اشْتُرِيَ مِنْ ذَلِكَ بِالْوَرِقِ مِمَّا فِيهِ الْوَرِقُ نُظِرَ إِلَى قِيمَتِهِ فَإِنْ كَانَ قِيمَةُ ذَلِكَ الثُّلُثَيْنِ وَقِيمَةُ مَا فِيهِ مِنْ الْوَرِقِ الثُّلُثَ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِ النَّاسِ عِنْدَنَا