আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১২৮৫
১. বায়নার বিক্রয় প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ১. আমর ইবনে শু’আইব তাহার পিতা হইতে, তিনি তাহার, দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উরবান (বায়না) বিক্রয় হইতে নিষেধ করিয়াছেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে (আল্লাহ সর্বজ্ঞাত) ইহা (বায়না) এই কোন ব্যক্তি ক্রীতদাস অথবা ক্রীতদাসী ক্রয় করিল অথবা কোন পশু কেরায়া লইল। অতঃপর ক্রেতা অথবা যাহার নিকট হইতে কেরায়া লইল তাহাকে বলিল, আমি আপনাকে এক দীনার অথবা এক দিরহাম কিংবা উহার চাইতে কম বা বেশী, এই শর্তে দিলাম যে, যদি আমি (ক্রীত) দ্রব্য গ্রহণ করি, কিংবা আপনার নিকট হইতে কেরায়া নেওয়া পশুর উপর আরোহণ করি, তবে যাহা আমি আপনাকে দিলাম, তাহা দ্রব্যের মূল্য অথবা পশুর কেরায়া হইতে কর্তন করা হইবে। আর যদি আমি দ্রব্য ক্রয় না করি কিংবা কেরায়ায়ত লওয়া পশুটি ব্যবহার না করিয়া ফিরাইয়া দেই অর্থাৎ কেরায়া না লই, তবে যাহা আমি আপনাকে দিয়াছি তাহা কোন বিনিময় ছাড়া আপনার হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট হুকুম এই, ব্যবসায়ী ও শুদ্ধভাষী গোলামকে হাবশী কয়েকজন গোলাম অথবা বিভিন্নজাত হইতে অন্য কোন জাতের গোলামের বিনিময়ে যাহারা বাকপটুতায় ব্যবসায় কার্য সম্পাদনে এবং অভিজ্ঞতায় ইহার তুল্য নহে এইরূপ গোলামের বিনিময়ে বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। একজন গোলামকে দুইজনের অথবা কয়েকজন গোলামের বিনিময়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত (বাকী) ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। যদি উভয় প্রকার গোলামের মধ্যে পার্থক্য থাকে এবং সেই পার্থক্য হয় স্পষ্ট, আর যদি উহাদের মধ্যে এক গোলাম অপর গোলামের সদৃশ হয় (এমন কি একে অপরের) কাছাকাছি হয় তবে উহা হইতে এক গোলামের বিনিময়ে দুই গোলাম বাকী গ্রহণ করিবে না, যদিও বা উহাদের জাত ভিন্ন ভিন্ন হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তুমি উহা হইতে যাহা ক্রয় করিয়াছ তাহা কজা করার পূর্বে বিক্রয় করাতে কোন বাধা নাই যদি মূল্য নগদ আদায় কর এবং যাহার নিকট হইতে উহাকে ক্রয় করিয়াছ তাহাকে ছাড়া ভিন্ন লোকের নিকট বিক্রয় কর।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ [অন্তঃসত্ত্বা ক্রীতদাসীর] পেটের বাচ্চাকে বাদ দিয়া* মাকে বিক্রয় করা বৈধ নহে, ইহা ধোঁকা হইবে, কারণ জানা নাই বাচ্চা ছেলে না মেয়ে, সুশ্রী না কুশ্রী, সম্পূর্ণ না অসম্পূর্ণ, জীবিত না মৃত। উপরিউক্ত গুণাবলির পার্থক্যের দ্বারা মূল্যের তারতম্য হইয়া থাকে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি দাসী অথবা দাসকে বিক্রয় করিল একশত দীনারে নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে, অতঃপর বিক্রেতা লজ্জিত হইল এবং ক্রেতাকে অনুরোধ করিল দশ দীনার গ্রহণ করিয়া, যাহা বিক্রেতা ক্রেতাকে দিবে নগদ অথবা নির্ধারিত সময়ে বিক্রিত বস্তু ফেরত দিতে। তাহার নিকট বিক্রেতা (গোলামের মূল্য বাবদ) যে একশত দীনার পাইবে উহা সে আর গ্রহণ করিল না। মালিক (রাহঃ) বলেন, এইরূপ করিতে কোন দোষ নাই। যদি ক্রেতা লজ্জিত হয় এবং সে দাস-দাসীকে ফেরত নেওয়ার জন্য বিক্রেতার নিকট অনুরোধ করে এবং যেই নির্ধারিত সময়ে সে মূল্য পরিশোধ করিবে বলিয়া ধার্য করিয়া গোলাম বা বাঁদী ক্রয় করিয়াছিল সেই সময়ের অধিক সময়ে পরিশোধ করিবে বলিয়া সময় নির্ধারিত করিয়া অথবা নগদ দশ দীনার বিক্রেতাকে বর্ধিত করিয়া দেয়; তবে ইহা বৈধ নহে। ইহা এইজন্য মাকরূহ যে, বিক্রেতা যেন ক্রেতার নিকট এক বৎসর মেয়াদে একশত দীনার বিক্রয় করিল ক্রীতদাসী ফেরত লওয়ার পূর্বে এবং দশ দীনার নগদ অথবা বাকী এক বৎসর হইতে দূরবর্তী মেয়াদে লাভ করিবে এই শর্তে। এইভাবে ইহা স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ [নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে] ধারে বিক্রয় করার মতো হইল। [যাহা বৈধ নহে, কাজেই ইহাও বৈধ হইবে না।]
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি নির্দিষ্ট মেয়াদে একশত দীনার আদায়ের বিনিময়ে অন্য ব্যক্তির নিকট নিজ ক্রীতদাসী বিক্রয় করিল, অতঃপর যে মেয়াদে বিক্রয় করিয়াছিল তার চাইতে দূরবতী মেয়াদে এবং উহার নিকট যেই মূল্যে বিক্রয় করিয়াছিল সেই মূল্য হইতে অধিক মূল্যে সেই ক্রীতদাসীকে উহা হইতে খরিদ করিল।ইহা বৈধ নহে, ইহা মাকরূহ হওয়ার ব্যাখ্যা হইতেছে এই, এক ব্যক্তি নিজের দাসীকে বিক্রয় করিল নির্দিষ্ট মেয়াদে [অর্থ আদায় করিবে বলিয়া ধার্য করিয়া] অতঃপর উহাকে এই মেয়াদ হইতে লম্বা মেয়াদে খরিদ করিল। বিক্রয় করিয়াছিল এক মাস মেয়াদে ত্রিশ দীনারের বিনিময়ে, অতঃপর ক্রয় করিল এক বৎসর মেয়াদে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে ষাট দীনার মূল্যে। ইহা এইরূপ হইল যেন তাহার পণ্যদ্রব্য অবিকল তাহার দিকে প্রত্যাবর্তন করিল এবং সে (ক্রেতা) বিক্রেতাকে দিল ত্রিশ দীনার এক মাসের মেয়াদে। অতঃপর ষাট দীনারের বিনিময়ে ক্রেতা উহাকে পুনরায় গ্রহণ করিল এক বৎসরে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে। ইহা বৈধ নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে (আল্লাহ সর্বজ্ঞাত) ইহা (বায়না) এই কোন ব্যক্তি ক্রীতদাস অথবা ক্রীতদাসী ক্রয় করিল অথবা কোন পশু কেরায়া লইল। অতঃপর ক্রেতা অথবা যাহার নিকট হইতে কেরায়া লইল তাহাকে বলিল, আমি আপনাকে এক দীনার অথবা এক দিরহাম কিংবা উহার চাইতে কম বা বেশী, এই শর্তে দিলাম যে, যদি আমি (ক্রীত) দ্রব্য গ্রহণ করি, কিংবা আপনার নিকট হইতে কেরায়া নেওয়া পশুর উপর আরোহণ করি, তবে যাহা আমি আপনাকে দিলাম, তাহা দ্রব্যের মূল্য অথবা পশুর কেরায়া হইতে কর্তন করা হইবে। আর যদি আমি দ্রব্য ক্রয় না করি কিংবা কেরায়ায়ত লওয়া পশুটি ব্যবহার না করিয়া ফিরাইয়া দেই অর্থাৎ কেরায়া না লই, তবে যাহা আমি আপনাকে দিয়াছি তাহা কোন বিনিময় ছাড়া আপনার হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট হুকুম এই, ব্যবসায়ী ও শুদ্ধভাষী গোলামকে হাবশী কয়েকজন গোলাম অথবা বিভিন্নজাত হইতে অন্য কোন জাতের গোলামের বিনিময়ে যাহারা বাকপটুতায় ব্যবসায় কার্য সম্পাদনে এবং অভিজ্ঞতায় ইহার তুল্য নহে এইরূপ গোলামের বিনিময়ে বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। একজন গোলামকে দুইজনের অথবা কয়েকজন গোলামের বিনিময়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত (বাকী) ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। যদি উভয় প্রকার গোলামের মধ্যে পার্থক্য থাকে এবং সেই পার্থক্য হয় স্পষ্ট, আর যদি উহাদের মধ্যে এক গোলাম অপর গোলামের সদৃশ হয় (এমন কি একে অপরের) কাছাকাছি হয় তবে উহা হইতে এক গোলামের বিনিময়ে দুই গোলাম বাকী গ্রহণ করিবে না, যদিও বা উহাদের জাত ভিন্ন ভিন্ন হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তুমি উহা হইতে যাহা ক্রয় করিয়াছ তাহা কজা করার পূর্বে বিক্রয় করাতে কোন বাধা নাই যদি মূল্য নগদ আদায় কর এবং যাহার নিকট হইতে উহাকে ক্রয় করিয়াছ তাহাকে ছাড়া ভিন্ন লোকের নিকট বিক্রয় কর।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ [অন্তঃসত্ত্বা ক্রীতদাসীর] পেটের বাচ্চাকে বাদ দিয়া* মাকে বিক্রয় করা বৈধ নহে, ইহা ধোঁকা হইবে, কারণ জানা নাই বাচ্চা ছেলে না মেয়ে, সুশ্রী না কুশ্রী, সম্পূর্ণ না অসম্পূর্ণ, জীবিত না মৃত। উপরিউক্ত গুণাবলির পার্থক্যের দ্বারা মূল্যের তারতম্য হইয়া থাকে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি দাসী অথবা দাসকে বিক্রয় করিল একশত দীনারে নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে, অতঃপর বিক্রেতা লজ্জিত হইল এবং ক্রেতাকে অনুরোধ করিল দশ দীনার গ্রহণ করিয়া, যাহা বিক্রেতা ক্রেতাকে দিবে নগদ অথবা নির্ধারিত সময়ে বিক্রিত বস্তু ফেরত দিতে। তাহার নিকট বিক্রেতা (গোলামের মূল্য বাবদ) যে একশত দীনার পাইবে উহা সে আর গ্রহণ করিল না। মালিক (রাহঃ) বলেন, এইরূপ করিতে কোন দোষ নাই। যদি ক্রেতা লজ্জিত হয় এবং সে দাস-দাসীকে ফেরত নেওয়ার জন্য বিক্রেতার নিকট অনুরোধ করে এবং যেই নির্ধারিত সময়ে সে মূল্য পরিশোধ করিবে বলিয়া ধার্য করিয়া গোলাম বা বাঁদী ক্রয় করিয়াছিল সেই সময়ের অধিক সময়ে পরিশোধ করিবে বলিয়া সময় নির্ধারিত করিয়া অথবা নগদ দশ দীনার বিক্রেতাকে বর্ধিত করিয়া দেয়; তবে ইহা বৈধ নহে। ইহা এইজন্য মাকরূহ যে, বিক্রেতা যেন ক্রেতার নিকট এক বৎসর মেয়াদে একশত দীনার বিক্রয় করিল ক্রীতদাসী ফেরত লওয়ার পূর্বে এবং দশ দীনার নগদ অথবা বাকী এক বৎসর হইতে দূরবর্তী মেয়াদে লাভ করিবে এই শর্তে। এইভাবে ইহা স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ [নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে] ধারে বিক্রয় করার মতো হইল। [যাহা বৈধ নহে, কাজেই ইহাও বৈধ হইবে না।]
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি নির্দিষ্ট মেয়াদে একশত দীনার আদায়ের বিনিময়ে অন্য ব্যক্তির নিকট নিজ ক্রীতদাসী বিক্রয় করিল, অতঃপর যে মেয়াদে বিক্রয় করিয়াছিল তার চাইতে দূরবতী মেয়াদে এবং উহার নিকট যেই মূল্যে বিক্রয় করিয়াছিল সেই মূল্য হইতে অধিক মূল্যে সেই ক্রীতদাসীকে উহা হইতে খরিদ করিল।ইহা বৈধ নহে, ইহা মাকরূহ হওয়ার ব্যাখ্যা হইতেছে এই, এক ব্যক্তি নিজের দাসীকে বিক্রয় করিল নির্দিষ্ট মেয়াদে [অর্থ আদায় করিবে বলিয়া ধার্য করিয়া] অতঃপর উহাকে এই মেয়াদ হইতে লম্বা মেয়াদে খরিদ করিল। বিক্রয় করিয়াছিল এক মাস মেয়াদে ত্রিশ দীনারের বিনিময়ে, অতঃপর ক্রয় করিল এক বৎসর মেয়াদে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে ষাট দীনার মূল্যে। ইহা এইরূপ হইল যেন তাহার পণ্যদ্রব্য অবিকল তাহার দিকে প্রত্যাবর্তন করিল এবং সে (ক্রেতা) বিক্রেতাকে দিল ত্রিশ দীনার এক মাসের মেয়াদে। অতঃপর ষাট দীনারের বিনিময়ে ক্রেতা উহাকে পুনরায় গ্রহণ করিল এক বৎসরে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে। ইহা বৈধ নহে।
بَاب مَا جَاءَ فِي بَيْعِ الْعُرْبَانِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ الثِّقَةِ عِنْدَهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْعُرْبَانِ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ أَوْ يَتَكَارَى الدَّابَّةَ ثُمَّ يَقُولُ لِلَّذِي اشْتَرَى مِنْهُ أَوْ تَكَارَى مِنْهُ أُعْطِيكَ دِينَارًا أَوْ دِرْهَمًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَقَلَّ عَلَى أَنِّي إِنْ أَخَذْتُ السِّلْعَةَ أَوْ رَكِبْتُ مَا تَكَارَيْتُ مِنْكَ فَالَّذِي أَعْطَيْتُكَ هُوَ مِنْ ثَمَنِ السِّلْعَةِ أَوْ مِنْ كِرَاءِ الدَّابَّةِ وَإِنْ تَرَكْتُ ابْتِيَاعَ السِّلْعَةِ أَوْ كِرَاءَ الدَّابَّةِ فَمَا أَعْطَيْتُكَ لَكَ بَاطِلٌ بِغَيْرِ شَيْءٍ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِأَنْ يَبْتَاعَ الْعَبْدَ التَّاجِرَ الْفَصِيحَ بِالْأَعْبُدِ مِنْ الْحَبَشَةِ أَوْ مِنْ جِنْسٍ مِنْ الْأَجْنَاسِ لَيْسُوا مِثْلَهُ فِي الْفَصَاحَةِ وَلَا فِي التِّجَارَةِ وَالنَّفَاذِ وَالْمَعْرِفَةِ لَا بَأْسَ بِهَذَا أَنْ تَشْتَرِيَ مِنْهُ الْعَبْدَ بِالْعَبْدَيْنِ أَوْ بِالْأَعْبُدِ إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ إِذَا اخْتَلَفَ فَبَانَ اخْتِلَافُهُ فَإِنْ أَشْبَهَ بَعْضُ ذَلِكَ بَعْضًا حَتَّى يَتَقَارَبَ فَلَا يَأْخُذْ مِنْهُ اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ اخْتَلَفَتْ أَجْنَاسُهُمْ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ تَبِيعَ مَا اشْتَرَيْتَ مِنْ ذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تَسْتَوْفِيَهُ إِذَا انْتَقَدْتَ ثَمَنَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يُسْتَثْنَى جَنِينٌ فِي بَطْنِ أُمِّهِ إِذَا بِيعَتْ لِأَنَّ ذَلِكَ غَرَرٌ لَا يُدْرَى أَذَكَرٌ هُوَ أَمْ أُنْثَى أَحَسَنٌ أَمْ قَبِيحٌ أَوْ نَاقِصٌ أَوْ تَامٌّ أَوْ حَيٌّ أَوْ مَيْتٌ وَذَلِكَ يَضَعُ مِنْ ثَمَنِهَا قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَبْتَاعُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ بِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَنْدَمُ الْبَائِعُ فَيَسْأَلُ الْمُبْتَاعَ أَنْ يُقِيلَهُ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ يَدْفَعُهَا إِلَيْهِ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ وَيَمْحُو عَنْهُ الْمِائَةَ دِينَارٍ الَّتِي لَهُ قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِذَلِكَ وَإِنْ نَدِمَ الْمُبْتَاعُ فَسَأَلَ الْبَائِعَ أَنْ يُقِيلَهُ فِي الْجَارِيَةِ أَوْ الْعَبْدِ وَيَزِيدَهُ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْ الْأَجَلِ الَّذِي اشْتَرَى إِلَيْهِ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَنْبَغِي وَإِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ الْبَائِعَ كَأَنَّهُ بَاعَ مِنْهُ مِائَةَ دِينَارٍ لَهُ إِلَى سَنَةٍ قَبْلَ أَنْ تَحِلَّ بِجَارِيَةٍ وَبِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْ السَّنَةٍ فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ بَيْعُ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ إِلَى أَجَلٍ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَبِيعُ مِنْ الرَّجُلِ الْجَارِيَةَ بِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَشْتَرِيهَا بِأَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ الثَّمَنِ الَّذِي بَاعَهَا بِهِ إِلَى أَبْعَدَ مِنْ ذَلِكَ الْأَجَلِ الَّذِي بَاعَهَا إِلَيْهِ إِنَّ ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ وَتَفْسِيرُ مَا كَرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يَبِيعَ الرَّجُلُ الْجَارِيَةَ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَبْتَاعُهَا إِلَى أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْهُ يَبِيعُهَا بِثَلَاثِينَ دِينَارًا إِلَى شَهْرٍ ثُمَّ يَبْتَاعُهَا بِسِتِّينَ دِينَارًا إِلَى سَنَةٍ أَوْ إِلَى نِصْفِ سَنَةٍ فَصَارَ إِنْ رَجَعَتْ إِلَيْهِ سِلْعَتُهُ بِعَيْنِهَا وَأَعْطَاهُ صَاحِبُهُ ثَلَاثِينَ دِينَارًا إِلَى شَهْرٍ بِسِتِّينَ دِينَارًا إِلَى سَنَةٍ أَوْ إِلَى نِصْفِ سَنَةٍ فَهَذَا لَا يَنْبَغِي

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: