আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩০. দুগ্ধপান সংক্রান্ত বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১২৬৮
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ১. অমর বিনতে আব্দির রহমান (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁহার নিকট ছিলেন। (এমন সময়) তিনি জনৈক ব্যক্তির আওয়ায শুনিলেন। সে ব্যক্তিটি হাফসা (রাযিঃ) এর গৃহে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করিতেছিল। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইহা (অপরিচিত) ব্যক্তির আওয়ায, আপনার গৃহে অনুমতি চাহিতেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ আমি মনে করি সে ব্যক্তি অমুক, হাফসা (রাযিঃ)-এর দুধ চাচা হইবে। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, যদি অমুক তাহার দুধ চাচা জীবিত থাকিতেন, তিনি আমার নিকট প্রবেশ করিতে পারিতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ হ্যাঁ জন্মসূত্রে আত্মীয়তার ফলে যেসব (সম্পর্ক ও বিবাহ) হারাম হয় দুগ্ধপান করার ফলেও সেসব হারাম হইয়া যায়।
بَاب *رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَخْبَرَتْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عِنْدَهَا وَأَنَّهَا سَمِعَتْ صَوْتَ رَجُلٍ يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِ حَفْصَةَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرَاهُ فُلَانًا لِعَمٍّ لِحَفْصَةَ مِنْ الرَّضَاعَةِ فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ كَانَ فُلَانٌ حَيًّا لِعَمِّهَا مِنْ الرَّضَاعَةِ دَخَلَ عَلَيَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ إِنَّ الرَّضَاعَةَ تُحَرِّمُ مَا تُحَرِّمُ الْوِلَادَةُ
হাদীস নং:১২৬৯
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ২. উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আয়েশা উম্মুল মু’মিনীন (রাযিঃ) বলেনঃ পর্দার হুকুম নাযিল হওয়ার পর আমার দুধ চাচা আবুল কু’আয়সের ভাই আফলাহ (রাযিঃ) আমার নিকট প্রবেশের অনুমতি চাহিলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত তাহাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করিলাম। আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাশরীফ আনিলেন এবং আমি এই বিষয়টি তাহাকে অভিহিত করিলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাকে আমার নিকট আসার অনুমতি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন।

আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে স্ত্রীলোক দুধ পান করাইয়াছে, পুরুষ আমাকে পান করায় নাই। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তিনি তোমার চাচা, তোমার নিকট সে প্রবেশ করিতে পারিবে আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, এই ঘটনা পর্দার হুকুম নাযিল হওয়ার পরে সংঘটিত হইয়াছে। আয়েশা (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ জন্মের (সম্পর্কের) দ্বারা যাহা হারাম হয় দুধ পানের (সম্পর্কের) দ্বারাও উহা হারাম হইবে।
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَ عَمِّي مِنْ الرَّضَاعَةِ يَسْتَأْذِنُ عَلَيَّ فَأَبَيْتُ أَنْ آذَنَ لَهُ عَلَيَّ حَتَّى أَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّهُ عَمُّكِ فَأْذَنِي لَهُ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا أَرْضَعَتْنِي الْمَرْأَةُ وَلَمْ يُرْضِعْنِي الرَّجُلُ فَقَالَ إِنَّهُ عَمُّكِ فَلْيَلِجْ عَلَيْكِ قَالَتْ عَائِشَةُ وَذَلِكَ بَعْدَ مَا ضُرِبَ عَلَيْنَا الْحِجَابُ وَقَالَتْ عَائِشَةُ يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعَةِ مَا يَحْرُمُ مِنْ الْوِلَادَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১২৭০
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ৩. উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উম্মুল মু’মিনীন, আয়েশ (রাযিঃ) তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, তাহার দুধ চাচা আবু কু’আয়স এর ভাই আল ফালাহ (রাযিঃ) পর্দার হুকুম অবতীর্ণ হওয়ার পর তাহার নিকট প্রবেশের অনুমতি চাহিলেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি আমার নিকট প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকার করিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাশরীফ আনিলে পর আমি যাহা করিয়াছি উহা তাহাকে অবহিত করিলাম। অতঃপর তাহাকে (দুধ চাচাকে) আমার নিকট প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে নির্দেশ দিলেন।
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أَفْلَحَ أَخَا أَبِي الْقُعَيْسِ جَاءَ يَسْتَأْذِنُ عَلَيْهَا وَهُوَ عَمُّهَا مِنْ الرَّضَاعَةِ بَعْدَ أَنْ أُنْزِلَ الْحِجَابُ قَالَتْ فَأَبَيْتُ أَنْ آذَنَ لَهُ عَلَيَّ فَلَمَّا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي صَنَعْتُ فَأَمَرَنِي أَنْ آذَنَ لَهُ عَلَيَّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১২৭১
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ৪. সাওর ইবনে যাইদদিবলী (রাহঃ) হইতে বর্ণিত- আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলিতেন, দুই বৎসর সময়ের ভিতরে দুধ একবার চুষিলেও উহা হারাম করিবে। অর্থাৎ জন্মসূত্রে বিবাহ যেমন অবৈধ হয় তদ্রূপ ইহাতেও হয়।
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدِّيلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَا كَانَ فِي الْحَوْلَيْنِ وَإِنْ كَانَ مَصَّةً وَاحِدَةً فَهُوَ يُحَرِّمُ
হাদীস নং:১২৭২
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ৫. আমর ইবনে শারীদ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে, যাহার স্ত্রী রহিয়াছে দুইজন। তাহাদের মধ্যে এক স্ত্রী এক ছেলেকে, আর এক স্ত্রী এক কন্যাকে দুধ পান করাইয়াছে। এই ছেলে সেই কন্যাকে বিবাহ করিতে পারবে কি? তিনি বলিলেনঃ না, কারণ (উভয়ে পিতার দিক দিয়া) বীর্য এক।
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ فَأَرْضَعَتْ إِحْدَاهُمَا غُلَامًا وَأَرْضَعَتْ الْأُخْرَى جَارِيَةً فَقِيلَ لَهُ هَلْ يَتَزَوَّجُ الْغُلَامُ الْجَارِيَةَ فَقَالَ لَا اللِّقَاحُ وَاحِدٌ
হাদীস নং:১২৭৩
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ৬. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিতেন, ছোট বেলায় যাহাকে দুধ খাওয়ান হয় উহাই গ্রহণযোগ্য, বড়দের দুধ পান করান ধর্তব্য নহে, অর্থাৎ উহাতে রাযী (দুধ পান)- এর ফলে যে হুকুম হয় তাহা হইবে না।*
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ لَا رَضَاعَةَ إِلَّا لِمَنْ أُرْضِعَ فِي الصِّغَرِ وَلَا رَضَاعَةَ لِكَبِيرٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১২৭৪
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ৭. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, সালিম ইবনে আব্দিল্লাহ (রাহঃ) তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি যখন দুগ্ধপোষ্য ছিলেন, তখন আয়েশা উম্মুল মু’মিনীন (রাযিঃ) তাহাকে পাঠাইলেন তাহার ভগ্নী উম্মে কুলসুম বিনতে আবী বকর (রাযিঃ) এর নিকট এবং বলিয়া দিলেন- ইহাকে (সালিমকে) দশবার দুধ চোষাইয়া দিন, যেন সে আমার নিকট প্রবেশ করিতে পারে। সালিম বলেনঃ উম্মে কুলসুম আমাকে তিনবার দুধ চোষাইয়াছেন। তারপর আমি পীড়িত হই, তাই আমাকে তিনবার ছাড়া আর দুধ পান করান নাই, যেহেতু উম্মে কুলসুম আমাকে দশবার দুধ পান করান নাই তাই আমি আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট প্রবেশ করিতাম না।
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَرْسَلَتْ بِهِ وَهُوَ يَرْضَعُ إِلَى أُخْتِهَا أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَقَالَتْ أَرْضِعِيهِ عَشْرَ رَضَعَاتٍ حَتَّى يَدْخُلَ عَلَيَّ قَالَ سَالِمٌ فَأَرْضَعَتْنِي أُمُّ كُلْثُومٍ ثَلَاثَ رَضَعَاتٍ ثُمَّ مَرِضَتْ فَلَمْ تُرْضِعْنِي غَيْرَ ثَلَاثِ رَضَعَاتٍ فَلَمْ أَكُنْ أَدْخُلُ عَلَى عَائِشَةَ مِنْ أَجْلِ أَنَّ أُمَّ كُلْثُومٍ لَمْ تُتِمَّ لِي عَشْرَ رَضَعَاتٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১২৭৫
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ৮. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, সফিয়্যা বিনতে আবী উবায়দ (রাহঃ) তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, উম্মুল মু’মিনীন হাফসা (রাযিঃ) আসিম ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে সা’দ (রাহঃ)-কে তাহার ভগ্নী ফাতিমা বিনতে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠাইলেন। তখন আসিম ছোট এবং দুদ্ধপোষ্য, (উদ্দেশ্য) যেন তিনি আসিমকে দশবার দুধ পান করাইয়া দেন যাহাতে সে হাফসা (রাযিঃ)-এর নিকট প্রবেশ করিতে পারে। তিনি (ফাতেমা) উহা করিলেন, তাই আসিম তাহার হাফসা (রাযিঃ)-এর নিকট যাতায়াত করিতেন।
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ أَبِي عُبَيْدٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ حَفْصَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَرْسَلَتْ بِعَاصِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ إِلَى أُخْتِهَا فَاطِمَةَ بِنْتِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ تُرْضِعُهُ عَشْرَ رَضَعَاتٍ لِيَدْخُلَ عَلَيْهَا وَهُوَ صَغِيرٌ يَرْضَعُ فَفَعَلَتْ فَكَانَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১২৭৬
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ৯. নবী করীম (ﷺ)-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) এর ভগ্নীগণ অথবা তাহার ভাতিজীগণ যাহাদিগকে দুধ পান করাইয়াছেন তাহারা আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট প্রবেশ করিতে পারিতেন। আর যাহাদিগকে তাহার ভাবীগণ দুধ পান করাইয়াছেন,* তাহারা তাহার নিকট প্রবেশ করিতে পারিতেন না।
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا مَنْ أَرْضَعَتْهُ أَخَوَاتُهَا وَبَنَاتُ أَخِيهَا وَلَا يَدْخُلُ عَلَيْهَا مَنْ أَرْضَعَهُ نِسَاءُ إِخْوَتِهَا
হাদীস নং:১২৭৭
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ১০. ইবরাহীম ইবনে উকবা (রাহঃ) সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-কে রাযা’আত [সন্তানকে দুগ্ধ পান করানো] সম্পর্কে প্রশ্ন করিলেন। সাঈদ বলিলেনঃ দুই বৎসরের মধ্যে পান করানো হইলে যদিও এক ফোঁটা হয় উহা বিবাহ সম্পর্ক হারাম করিবে, আর যাহা দুই বৎসরের পর বাহিরে হয় উহা খাদ্যদ্রব্য বলিয়া গণ্য হইবে, যাহা আহার করিয়াছে। উহাতে বিবাহ সম্পর্ক হারাম হইবে না।

ইবরাহীম ইবনে উকবা (রাহঃ) বলেনঃ অতঃপর আমি উরওয়াহ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করি। তিনি সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব-এর মতোই বলিলেন।
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ أَنَّهُ سَأَلَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ عَنْ الرَّضَاعَةِ فَقَالَ سَعِيدٌ كُلُّ مَا كَانَ فِي الْحَوْلَيْنِ وَإِنْ كَانَتْ قَطْرَةً وَاحِدَةً فَهُوَ يُحَرِّمُ وَمَا كَانَ بَعْدَ الْحَوْلَيْنِ فَإِنَّمَا هُوَ طَعَامٌ يَأْكُلُهُ قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُقْبَةَ ثُمَّ سَأَلْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ مِثْلَ مَا قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১২৭৮
১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ১১. ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি স্ত্রীলোকদের সন্তানদের দুধ পান করানো তখন গ্রহণযোগ্য হইবে যখন উহারা দোলনাতে থাকে এবং যাহা গোশত ও রক্ত সৃষ্টি করে। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলিতেনঃ রাযাআত [দুধ পান করান] অল্প হউক বেশী হউক উহা হারাম করিবে। আর রাযা’আত পুরুষের পক্ষের আত্মীয়তাও হারাম করিবে।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি সন্তানদের দুধ পান অল্প হউক, বেশী হউক, যদি উহা দুই বৎসরের মধ্যে হয় তবে হারাম করিবে। তিনি বলেন, দুই বৎসরের পরে হইলে অল্প হউক বেশী হউক উহা কিছুই হারাম করিবে না। উহা হইতেছে খাদ্যদ্রব্যের মতো।
بَاب رَضَاعَةِ الصَّغِيرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ لَا رَضَاعَةَ إِلَّا مَا كَانَ فِي الْمَهْدِ وَإِلَّا مَا أَنْبَتَ اللَّحْمَ وَالدَّمَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ الرَّضَاعَةُ قَلِيلُهَا وَكَثِيرُهَا تُحَرِّمُ وَالرَّضَاعَةُ مِنْ قِبَلِ الرِّجَالِ تُحَرِّمُ
قَالَ يَحْيَى وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ الرَّضَاعَةُ قَلِيلُهَا وَكَثِيرُهَا إِذَا كَانَ فِي الْحَوْلَيْنِ تُحَرِّمُ فَأَمَّا مَا كَانَ بَعْدَ الْحَوْلَيْنِ فَإِنَّ قَلِيلَهُ وَكَثِيرَهُ لَا يُحَرِّمُ شَيْئًا وَإِنَّمَا هُوَ بِمَنْزِلَةِ الطَّعَامِ