আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২৯. ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১২৩৪
২৯. তালাকের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭৬. ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলিয়াছেন, আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাকীফ গোত্রের এক ব্যক্তি মুসলমান হইয়াছেন। তাহার দশটি বিবি ছিল। যখন তিনি ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে উহাদের মধ্য হইতে চারটিকে রাখিতে এবং অন্য সকলকে ত্যাগ করিতে নির্দেশ দিলেন।*
بَاب جَامِعِ الطَّلَاقِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ مِنْ ثَقِيفٍ أَسْلَمَ وَعِنْدَهُ عَشْرُ نِسْوَةٍ حِينَ أَسْلَمَ الثَّقَفِيُّ أَمْسِكْ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا وَفَارِقْ سَائِرَهُنَّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১২৩৫
২৯. তালাকের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭৭. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যেই স্ত্রীকে তাহার স্বামী এক তালাক অথবা দুই তালাক দিয়াছে, তারপর ইদ্দতের সময় অতিবাহিত করিয়া হালাল হওয়া এবং দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত তাহাকে প্রথম স্বামী পরিত্যাগ করিয়া রাখিয়াছে, এমতাবস্থায় দ্বিতীয় স্বামী তাহাকে বিবাহ করার পর দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যু হওয়া অথবা সেই স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর প্রথম স্বামী পুনরায় সেই স্ত্রীকে বিবাহ করিয়াছে, তবে সেই স্ত্রী অবশিষ্ট (এক অথবা দুই) তালাকের অধিকারিণী হইয়া প্রথম স্বামীর স্ত্রীরূপে বহাল থাকিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকটও মাস’আলার ফয়সালা এইরূপ, ইহাতে কোন মতানৈক্য নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকটও মাস’আলার ফয়সালা এইরূপ, ইহাতে কোন মতানৈক্য নাই।
بَاب جَامِعِ الطَّلَاقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَحُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَعُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ كُلُّهُمْ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ أَيُّمَا امْرَأَةٍ طَلَّقَهَا زَوْجُهَا تَطْلِيقَةً أَوْ تَطْلِيقَتَيْنِ ثُمَّ تَرَكَهَا حَتَّى تَحِلَّ وَتَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَيَمُوتَ عَنْهَا أَوْ يُطَلِّقَهَا ثُمَّ يَنْكِحُهَا زَوْجُهَا الْأَوَّلُ فَإِنَّهَا تَكُونُ عِنْدَهُ عَلَى مَا بَقِيَ مِنْ طَلَاقِهَا قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ السُّنَّةُ عِنْدَنَا الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২৩৬
২৯. তালাকের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭৮. মালিক (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর উম্মে ওয়ালাদ-কে সাবিতুল আহনাফ (রাহঃ) বিবাহ করিলেন। সাবিত বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) আমাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন, আমি তাহার নিকট আসিলাম এবং তাহার সমীপে প্রবেশ করিয়া দেখিলাম, সেখানে কয়েকটি চাবুক ও দুইটি লৌহ শিকল (আর তাহার নিকটে রহিয়াছে) উপবিষ্ট তাহার দুইজন ক্রীতদাস। তারপর আমাকে বলিলেন, তুমি স্ত্রীকে তালাক দাও, নতুবা আল্লাহর কসম, আমি তোমাকে এইরূপ এইরূপ করিব (অর্থাৎ চাবুক মারিব ও শিকল পরাইব)। সাবিত বলিলেনঃ (চাপ দেখিয়া) আমি বলিলাম, এই স্ত্রীকে তালাক এক হাজার বার। তারপর সাবিত বলেন- আমি তাহার নিকট হইতে প্রস্থান করিলাম।
মক্কার পথে আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পাইলাম, আমি তাহাকে আমার ব্যাপার অবহিত করিলাম। (শুনিয়া) আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) রাগান্বিত হইলেন এবং বলিলেনঃ ইহা (কোন) তালাক নহে, তোমার স্ত্রী তোমার জন্য হারাম হয় নাই। তুমি তোমার স্ত্রী গ্রহণ কর, আমার মনে (কিন্তু) শান্তি আসিল না। তাই আমি আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ)-এর নিকট হাযির হইলাম। তিনি ছিলেন তখন মক্কার শাসনকর্তা। আমি তাহাকে বিষয়টি অবহিত করিলাম এবং আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) যাহা বলিয়াছেন তাহাও জানাইলাম। (ঘটনা শ্রবণ করিয়া) আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ) আমাকে বলিলেনঃ তোমার স্ত্রী তোমার জন্য হারাম হয় নাই, তুমি তাহার দিকে রুজু কর। তিনি জাবির ইবনে আসওয়াদ যুহরী তৎকালীন মদীনার গভর্নরকে নির্দেশ দিয়া লিখিলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমানকে শাস্তি দাও এবং সাবিতের স্ত্রীর সহিত তাহার মিলনের পথে বাধা অপসারিত কর। সাবিত বলেনঃ তখন আমি মদীনাতে যাই। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর পত্নী সফিয়্যা তাহার স্বামীর জ্ঞাতসারে আমার স্ত্রীকে সজ্জিত করিয়া আমার নিকট প্রেরণ করিলেন। অতঃপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে ওয়ালীমার যিয়াফতে আমন্ত্রণ জানাইলাম। তিনি উহা গ্রহণ করেন এবং ওয়ালীমায় যোগদান করেন।
মক্কার পথে আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পাইলাম, আমি তাহাকে আমার ব্যাপার অবহিত করিলাম। (শুনিয়া) আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) রাগান্বিত হইলেন এবং বলিলেনঃ ইহা (কোন) তালাক নহে, তোমার স্ত্রী তোমার জন্য হারাম হয় নাই। তুমি তোমার স্ত্রী গ্রহণ কর, আমার মনে (কিন্তু) শান্তি আসিল না। তাই আমি আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ)-এর নিকট হাযির হইলাম। তিনি ছিলেন তখন মক্কার শাসনকর্তা। আমি তাহাকে বিষয়টি অবহিত করিলাম এবং আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) যাহা বলিয়াছেন তাহাও জানাইলাম। (ঘটনা শ্রবণ করিয়া) আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ) আমাকে বলিলেনঃ তোমার স্ত্রী তোমার জন্য হারাম হয় নাই, তুমি তাহার দিকে রুজু কর। তিনি জাবির ইবনে আসওয়াদ যুহরী তৎকালীন মদীনার গভর্নরকে নির্দেশ দিয়া লিখিলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমানকে শাস্তি দাও এবং সাবিতের স্ত্রীর সহিত তাহার মিলনের পথে বাধা অপসারিত কর। সাবিত বলেনঃ তখন আমি মদীনাতে যাই। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর পত্নী সফিয়্যা তাহার স্বামীর জ্ঞাতসারে আমার স্ত্রীকে সজ্জিত করিয়া আমার নিকট প্রেরণ করিলেন। অতঃপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে ওয়ালীমার যিয়াফতে আমন্ত্রণ জানাইলাম। তিনি উহা গ্রহণ করেন এবং ওয়ালীমায় যোগদান করেন।
بَاب جَامِعِ الطَّلَاقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ثَابِتِ بْنِ الْأَحْنَفِ أَنَّهُ تَزَوَّجَ أُمَّ وَلَدٍ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ فَدَعَانِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ فَجِئْتُهُ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَإِذَا سِيَاطٌ مَوْضُوعَةٌ وَإِذَا قَيْدَانِ مِنْ حَدِيدٍ وَعَبْدَانِ لَهُ قَدْ أَجْلَسَهُمَا فَقَالَ طَلِّقْهَا وَإِلَّا وَالَّذِي يُحْلَفُ بِهِ فَعَلْتُ بِكَ كَذَا وَكَذَا قَالَ فَقُلْتُ هِيَ الطَّلَاقُ أَلْفًا قَالَ فَخَرَجْتُ مِنْ عِنْدِهِ فَأَدْرَكْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بِطَرِيقِ مَكَّةَ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي كَانَ مِنْ شَأْنِي فَتَغَيَّظَ عَبْدُ اللَّهِ وَقَالَ لَيْسَ ذَلِكَ بِطَلَاقٍ وَإِنَّهَا لَمْ تَحْرُمْ عَلَيْكَ فَارْجِعْ إِلَى أَهْلِكَ قَالَ فَلَمْ تُقْرِرْنِي نَفْسِي حَتَّى أَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ بِمَكَّةَ أَمِيرٌ عَلَيْهَا فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي كَانَ مِنْ شَأْنِي وَبِالَّذِي قَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قَالَ فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ لَمْ تَحْرُمْ عَلَيْكَ فَارْجِعْ إِلَى أَهْلِكَ وَكَتَبَ إِلَى جَابِرِ بْنِ الْأَسْوَدِ الزُّهْرِيِّ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ يَأْمُرُهُ أَنْ يُعَاقِبَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَأَنْ يُخَلِّيَ بَيْنِي وَبَيْنَ أَهْلِي قَالَ فَقَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَجَهَّزَتْ صَفِيَّةُ امْرَأَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ امْرَأَتِي حَتَّى أَدْخَلَتْهَا عَلَيَّ بِعِلْمِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ثُمَّ دَعَوْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَوْمَ عُرْسِي لِوَلِيمَتِي فَجَاءَنِي

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১২৩৭
২৯. তালাকের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭৯. আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) পাঠ করিলেনঃ
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ
হে নবী, তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীগণকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর উহাদিগকে তালাক দিও ইদ্দতের প্রারম্ভিক (সময়ের) প্রতি লক্ষ্য করিয়া।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ প্রতি তুহরে (ঋতু হইতে পবিত্র থাকার সময়ে) একটি করিয়া তালাক দেওয়া ইহার উদ্দেশ্য।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ
হে নবী, তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীগণকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর উহাদিগকে তালাক দিও ইদ্দতের প্রারম্ভিক (সময়ের) প্রতি লক্ষ্য করিয়া।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ প্রতি তুহরে (ঋতু হইতে পবিত্র থাকার সময়ে) একটি করিয়া তালাক দেওয়া ইহার উদ্দেশ্য।
بَاب جَامِعِ الطَّلَاقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَرَأَ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمْ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ لِقُبُلِ عِدَّتِهِنَّ قَالَ مَالِك يَعْنِي بِذَلِكَ أَنْ يُطَلِّقَ فِي كُلِّ طُهْرٍ مَرَّةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১২৩৮
২৯. তালাকের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৮০. হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেন (পূর্বে নিয়ম ছিল) স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পূর্বে উহার দিকে রুজু করার অধিকার প্রত্যেক ব্যক্তির ছিল, যদিও স্ত্রীকে হাজার তালাক দিয়া থাকে। এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে তালাক দিল। যখনই ইদ্দত সমাপ্তির প্রান্তে পৌঁছিয়াছে তখন স্বামী তাহার দিকে রুজু করিল। তারপর আবার তালাক দিল, অতঃপর সে বলিলঃ আমি তোমাকে আর কখনও আমার নিকট আশ্রয় দিব না, আমার জন্য তুমি কখনও হালাল হইবে না। তারপর আল্লাহ তাআলা (আয়াত) নাযিল করিলেনঃ
الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ
অর্থাৎ, এই তালাক দুই বার। অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিমত রাখিয়া দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করিয়া দিবে।
সেই দিন হইতে লোকেরা নূতনভাবে গণনা আরম্ভ করিল, যাহারা (ইতিপূর্বে) তালাক দিয়াছিল তাহারাও এবং যাহারা তালাক দেয় নাই তাহারাও।
الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ
অর্থাৎ, এই তালাক দুই বার। অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিমত রাখিয়া দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করিয়া দিবে।
সেই দিন হইতে লোকেরা নূতনভাবে গণনা আরম্ভ করিল, যাহারা (ইতিপূর্বে) তালাক দিয়াছিল তাহারাও এবং যাহারা তালাক দেয় নাই তাহারাও।
بَاب جَامِعِ الطَّلَاقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ كَانَ الرَّجُلُ إِذَا طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثُمَّ ارْتَجَعَهَا قَبْلَ أَنْ تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا كَانَ ذَلِكَ لَهُ وَإِنْ طَلَّقَهَا أَلْفَ مَرَّةٍ فَعَمَدَ رَجُلٌ إِلَى امْرَأَتِهِ فَطَلَّقَهَا حَتَّى إِذَا شَارَفَتْ انْقِضَاءَ عِدَّتِهَا رَاجَعَهَا ثُمَّ طَلَّقَهَا ثُمَّ قَالَ لَا وَاللَّهِ لَا آوِيكِ إِلَيَّ وَلَا تَحِلِّينَ أَبَدًا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ فَاسْتَقْبَلَ النَّاسُ الطَّلَاقَ جَدِيدًا مِنْ يَوْمِئِذٍ مَنْ كَانَ طَلَّقَ مِنْهُمْ أَوْ لَمْ يُطَلِّقْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১২৩৯
২৯. তালাকের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৮১. সওর ইবনে যায়দ দীলি (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, লোকে স্ত্রীর ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এবং ইদ্দতকে তাহার উপর দীর্ঘ করার জন্য তালাক দিয়া পুনরায় উহার দিকে রুজু করিত অর্থাৎ তাহার সেই স্ত্রীর কোন আবশ্যক নাই এবং উহাকে রাখার কোন ইচ্ছা নাই। তাই আল্লাহ তাআলা আয়াত নাযিল করিয়াছেনঃ
وَلاَ تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًا لِتَعْتَدُوا وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ
অর্থাৎ, কিন্তু অন্যায়রূপে তাহাদের (স্ত্রীদের) ক্ষতি করিয়া সীমালংঘন উদ্দেশ্যে তাহাদেরকে তোমরা আটকাইয়া রাখিও না। যে এইরূপ করে, সে নিজের প্রতি যুলুম করে।
আল্লাহ তাহাদিগকে উপদেশ দিতেছেন ইহার দ্বারা।
وَلاَ تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًا لِتَعْتَدُوا وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ
অর্থাৎ, কিন্তু অন্যায়রূপে তাহাদের (স্ত্রীদের) ক্ষতি করিয়া সীমালংঘন উদ্দেশ্যে তাহাদেরকে তোমরা আটকাইয়া রাখিও না। যে এইরূপ করে, সে নিজের প্রতি যুলুম করে।
আল্লাহ তাহাদিগকে উপদেশ দিতেছেন ইহার দ্বারা।
بَاب جَامِعِ الطَّلَاقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدِّيلِيِّ أَنَّ الرَّجُلَ كَانَ يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ ثُمَّ يُرَاجِعُهَا وَلَا حَاجَةَ لَهُ بِهَا وَلَا يُرِيدُ إِمْسَاكَهَا كَيْمَا يُطَوِّلُ بِذَلِكَ عَلَيْهَا الْعِدَّةَ لِيُضَارَّهَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَلَا تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًا لِتَعْتَدُوا وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ يَعِظُهُمْ اللَّهُ بِذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১২৪০
২৯. তালাকের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৮২. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব এবং সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) তাহদের উভয়কে নেশাগ্রস্ত (মাতাল) ব্যক্তির তালাক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। উভয়ে উত্তর দিলেন, নেশাগ্রস্ত মাতাল ব্যক্তি তালাক দিলে তাহার তালাক বৈধ হইবে। সে কোন ব্যক্তিকে হত্যা করিলে (কিসাসস্বরূপ) তাহাকেও হত্যা করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, এই ফতোয়াই আমাদের নিকট গৃহীত বা সর্বাধিক সংগত।
মালিক (রাহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ) বলতেনঃ স্ত্রীর খোরপোশ দিতে স্বামী অক্ষম হইলে তাহাদের উভয়কে পৃথক করিয়া দেওয়া হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, আমাদের শহরের আলিম সমাজকে আমি এই মাস’আলার উপর (এইরূপ ফতোয়া দিতে ও আমল করিতে) দেখিয়াছি।
মালিক (রাহঃ) বলেন, এই ফতোয়াই আমাদের নিকট গৃহীত বা সর্বাধিক সংগত।
মালিক (রাহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ) বলতেনঃ স্ত্রীর খোরপোশ দিতে স্বামী অক্ষম হইলে তাহাদের উভয়কে পৃথক করিয়া দেওয়া হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, আমাদের শহরের আলিম সমাজকে আমি এই মাস’আলার উপর (এইরূপ ফতোয়া দিতে ও আমল করিতে) দেখিয়াছি।
بَاب جَامِعِ الطَّلَاقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ سُئِلَا عَنْ طَلَاقِ السَّكْرَانِ فَقَالَا إِذَا طَلَّقَ السَّكْرَانُ جَازَ طَلَاقُهُ وَإِنْ قَتَلَ قُتِلَ بِهِ قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ كَانَ يَقُولُ إِذَا لَمْ يَجِدْ الرَّجُلُ مَا يُنْفِقُ عَلَى امْرَأَتِهِ فُرِّقَ بَيْنَهُمَا قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ أَدْرَكْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: