আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২৯. ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৮২
১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৫. কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত-আয়েশা উম্মুল মু’মিনীন (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ বারীরা (রাযিঃ) সম্পর্কে তিনটি আহকাম জারি করা হইয়াছিল। তিনটির সুন্নত বা আহকামের একটি ছিলঃ তাহাকে আযাদ করা হয় এবং তাহাকে আযাদীর পর স্বামীর সহিত থাকার ব্যাপারে ইখতিয়ার প্রদান করা হয়। (দ্বিতীয় সুন্নত এই) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, যে কর্তা আযাদ করিবে সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করবে। (তৃতীয় সুন্নত এই)-রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বারীরা (রাযিঃ)-এর গৃহে প্রবেশ করিলেন। তখন ডেকচিতে গোশত সিদ্ধ হইতেছিল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-র খিদমতে রুটি এবং গৃহে মওজুদ ব্যঞ্জন উপস্থিত করা হইল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ আমি কি ডেকচিতে গোশত সিদ্ধ হইতে দেখি নাই? (তবে আমার নিকট গোশত পেশ না করার কারণ কি?) তাহারা বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তবে উহা ছিল এমন গোশত যাহা বরীরাকে সাদ্‌কা স্বরূপ দেওয়া হইয়াছিল। আপনি তো সাদ্‌কার বস্তু আহার করেন না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, উহা বারীরার জন্য ছিল সাদ্‌কা কিন্তু (বারীরা মালিক হওয়ার পর) উহা আমাদের জন্য হইতেছে হাদিয়া।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلَاثُ سُنَنٍ فَكَانَتْ إِحْدَى السُّنَنِ الثَّلَاثِ أَنَّهَا أُعْتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِي زَوْجِهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْبُرْمَةُ تَفُورُ بِلَحْمٍ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ خُبْزٌ وَأُدْمٌ مِنْ أُدْمِ الْبَيْتِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَمْ أَرَ بُرْمَةً فِيهَا لَحْمٌ فَقَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلَكِنْ ذَلِكَ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ وَأَنْتَ لَا تَأْكُلُ الصَّدَقَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَهُوَ لَنَا هَدِيَّةٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৮৩
১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৬. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিতেনঃ কোন ক্রীতদাসী কোন ক্রীতদাসের স্ত্রী থাকিলে অতঃপর সেই ক্রীতদাসীকে (মালিক কর্তৃক) আযাদ করা হইলে তবে স্বামী তাহার সহিত সহবাস না করা পর্যন্ত (বিবাহে থাকা না থাকার ব্যাপারে) ক্রীতদাসীর ইখতিয়ার থাকিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি তাহার স্বামী তাহার সহিত সহবাস করার পরে সে ধারণা করে যে, ইখতিয়ারের সম্পর্কে সে অজ্ঞ ছিল তবে তাহাকে সত্যবাদিনী মনে করা হইবে না, তাহার অজ্ঞতার দাবি গ্রহণযোগ্য হইবে না, সহবাসের পর তাহার ইখতিয়ারও অবশিষ্ট থাকিবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي الْأَمَةِ تَكُونُ تَحْتَ الْعَبْدِ فَتَعْتِقُ إِنَّ الْأَمَةَ لَهَا الْخِيَارُ مَا لَمْ يَمَسَّهَا قَالَ مَالِك وَإِنْ مَسَّهَا زَوْجُهَا فَزَعَمَتْ أَنَّهَا جَهِلَتْ أَنَّ لَهَا الْخِيَارَ فَإِنَّهَا تُتَّهَمُ وَلَا تُصَدَّقُ بِمَا ادَّعَتْ مِنْ الْجَهَالَةِ وَلَا خِيَارَ لَهَا بَعْدَ أَنْ يَمَسَّهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১১৮৪
১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৭. উরওয়া ইবনে যুবায়র (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, বনী আদী (بنى عدى) কর্তৃক আযাদীপ্রাপ্ত জনৈক ক্রীতদাসী যাহার নাম যাবরা ছিল, সে উরওয়া ইবনে যুবায়রের নিকট ব্যক্ত করিয়াছে যে, সে জনৈক ক্রীতদাসের স্ত্রী ছিল তখন সে (নিজেও) ক্রীতদাসী ছিল। পরে তাহাকে মুক্তি প্রদান করা হয়। সে বলিল, অতঃপর নবীপত্নী হাফসা (রাযিঃ) আমাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন এবং বলিলেনঃ আমি তোমাকে একটি সংবাদ বলিব, তুমি তাড়াতাড়ি কোন সিদ্ধান্ত নিবে তাহা আমি পছন্দ করি না। তোমার স্বামী তোমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত তোমার অধিকার তোমারই উপর ন্যস্ত থাকিবে। তবে তোমার স্বামী তোমার সহিত মিলিত হইলে তোমার কোন অধিকার থাকিবে না। সে বলিল, ইহার উত্তরে আমি বলিলাম, আমি তাহাকে তালাক দিলাম, পুনরায় তালাক, পুনরায় তালাক, তাহাকে তিন তালাক দিয়া পরিত্যাগ করিল।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ مَوْلَاةً لِبَنِي عَدِيٍّ يُقَالُ لَهَا زَبْرَاءُ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ عَبْدٍ وَهِيَ أَمَةٌ يَوْمَئِذٍ فَعَتَقَتْ قَالَتْ فَأَرْسَلَتْ إِلَيَّ حَفْصَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَعَتْنِي فَقَالَتْ إِنِّي مُخْبِرَتُكِ خَبَرًا وَلَا أُحِبُّ أَنْ تَصْنَعِي شَيْئًا إِنَّ أَمْرَكِ بِيَدِكِ مَا لَمْ يَمْسَسْكِ زَوْجُكِ فَإِنْ مَسَّكِ فَلَيْسَ لَكِ مِنْ الْأَمْرِ شَيْءٌ قَالَتْ فَقُلْتُ هُوَ الطَّلَاقُ ثُمَّ الطَّلَاقُ ثُمَّ الطَّلَاقُ فَفَارَقَتْهُ ثَلَاثًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৮৫
১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৮. মালিক (রাহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছিয়াছে সাঈদ ইবনে মুসায়াব (রাহঃ) হইতে। তিনি বলেনঃ এমন কোন পুরুষ যে উন্মাদ বা রুগ্ন সে যদি কোন মহিলাকে বিবাহ করে, তবে সেই মহিলাকে অধিকার দেওয়া হইবে। যদি সে ইচ্ছা করে তাহা হইলে সেই স্বামীর সঙ্গে অবস্থান করিবে, আর যদি ইচ্ছা করে বিচ্ছেদ ঘটাইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ أَيُّمَا رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَبِهِ جُنُونٌ أَوْ ضَرَرٌ فَإِنَّهَا تُخَيَّرُ فَإِنْ شَاءَتْ قَرَّتْ وَإِنْ شَاءَتْ فَارَقَتْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৮৬
১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৯. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ক্রীতদাসী কোন ক্রীতদাসের অধীনে থাকা অবস্থায় তাহার সঙ্গে সঙ্গম বা তাহাকে স্পর্শ করার পূর্বে স্বাধীন হইয়া যায় এবং নিজের স্বাধীন অধিকার নিজে গ্রহণ করিয়া লয় তবে সে মোহর পাইবে না। আর ইহা এক তালাক বলিয়া গণ্য হইবে। মাসআলা আমাদের নিকটও তাহাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
قَالَ مَالِك فِي الْأَمَةِ تَكُونُ تَحْتَ الْعَبْدِ ثُمَّ تَعْتِقُ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا أَوْ يَمَسَّهَا إِنَّهَا إِنْ اخْتَارَتْ نَفْسَهَا فَلَا صَدَاقَ لَهَا وَهِيَ تَطْلِيقَةٌ وَذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৮৭
১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩০. মালিক (রাহঃ) ইবনে শিহাব (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন যে, যখন কোন পুরুষ তাহার স্ত্রীকে অধিকার প্রদান করে এবং স্ত্রী নিজেকেই গ্রহণ করে তাহা হইলে ইহা তালাক বলিয়া গণ্য হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই উত্তম।

মালিক (রাহঃ) অধিকার প্রাপ্ত মহিলা সম্পর্কে বলেনঃ যখন কোন মহিলাকে তাহার স্বামী অধিকার প্রদান করে, অতঃপর সেই স্ত্রী নিজ সত্তাকেই গ্রহণ করে তাহা হইলে ইহা তিন তালাক বলিয়া গণ্য হইবে। আর যদি স্বামী বলে যে, তোমাকে শুধুমাত্র এক তালাকের অধিকার প্রদান করিতেছি, তবে এইরূপ কথা বলার অধিকার স্বামীর নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেন, ইহাই উত্তম এই ব্যাপারে যাহা আমি শুনিয়াছি।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি স্ত্রীকে অধিকার প্রদান করে, অতঃপর স্ত্রী বলিল, আমি এক তালাক গ্রহণ করিলাম এবং স্বামী বলিলঃ আমি এইরূপ ইচ্ছা করি নাই স্বরং আমি তোমাকে পূর্ণ তিন তালাকের অধিকার প্রদান করিয়াছি। স্ত্রী যদি এক তালাক ব্যতীত গ্রহণ না করে তবে সে এই স্বামীর বিবাহে থাকিবে। এই অবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ إِذَا خَيَّرَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ فَاخْتَارَتْهُ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِطَلَاقٍ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ
قَالَ مَالِك فِي الْمُخَيَّرَةِ إِذَا خَيَّرَهَا زَوْجُهَا فَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا فَقَدْ طَلُقَتْ ثَلَاثًا وَإِنْ قَالَ زَوْجُهَا لَمْ أُخَيِّرْكِ إِلَّا وَاحِدَةً فَلَيْسَ لَهُ ذَلِكَ وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُهُ قَالَ مَالِك وَإِنْ خَيَّرَهَا فَقَالَتْ قَدْ قَبِلْتُ وَاحِدَةً وَقَالَ لَمْ أُرِدْ هَذَا وَإِنَّمَا خَيَّرْتُكِ فِي الثَّلَاثِ جَمِيعًا أَنَّهَا إِنْ لَمْ تَقْبَلْ إِلَّا وَاحِدَةً أَقَامَتْ عِنْدَهُ عَلَى نِكَاحِهَا وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ فِرَاقًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান