আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২৮. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১২৬
১২. আযাদ স্ত্রীর উপর দাসীকে বিবাহ করা
রেওয়ায়ত ২৮. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হইল, যে ব্যক্তির নিকট আযাদ স্ত্রী ছিল, এমতাবস্থায় সে দাসীকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা করিল। উত্তরে তাহারা উভয়ে বলিলেন, আযাদ স্ত্রী* ও দাসীকে স্ত্রী হিসাবে একত্র করাকে আমরা পছন্দ করি না।
بَاب نِكَاحِ الْأَمَةِ عَلَى الْحُرَّةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ سُئِلَا عَنْ رَجُلٍ كَانَتْ تَحْتَهُ امْرَأَةٌ حُرَّةٌ فَأَرَادَ أَنْ يَنْكِحَ عَلَيْهَا أَمَةً فَكَرِهَا أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَهُمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১২৭
১২. আযাদ স্ত্রীর উপর দাসীকে বিবাহ করা
রেওয়ায়ত ২৯. সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিতেন, আযাদ স্ত্রী থাকিতে তাহার অনুমতি ব্যতীত দাসী বিবাহ করা যাইবে না, আযাদ স্ত্রী অনুমতি দিলে তিনি বন্টনে দুই-তৃতীয়াংশের অধিকার লাভ করিবেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোন আযাদ ব্যক্তির উচিত নহে ক্রীতদাসীকে বিবাহ করা, যদি আযাদ মহিলাকে বিবাহ করার সামর্থ্য সে ব্যক্তির থাকে। আর সামর্থ্য না থাকিলেও ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না হইলে দাসী মহিলাকে বিবাহ করিবে না। ইহা এইজন্য যে, কুরআনুল করীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ


وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ مِنْكُمْ طَوْلاً أَنْ يَنْكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِمَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ مِنْ فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ

“তোমাদের মধ্যে কাহারও স্বাধীন বিশ্বাসী নারী বিবাহের সমর্থ না থাকিলে তোমরা তোমাদের অধিকারভুক্ত বিশ্বাসী যুবতী বিবাহ করবে।” (সূরা নিসাঃ ২৫) আরও ইরশাদ করিয়াছেনঃ

ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ الْعَنَتَ مِنْكُمْ

“তোমাদের মধ্যে যাহারা ব্যভিচারকে ভয় করে ইহা তাহাদের জন্য।” (সূরা নিসাঃ ২৫)

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ’আনাত’ (عنت) অর্থ ব্যভিচার।
بَاب نِكَاحِ الْأَمَةِ عَلَى الْحُرَّةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَا تُنْكَحُ الْأَمَةُ عَلَى الْحُرَّةِ إِلَّا أَنْ تَشَاءَ الْحُرَّةُ فَإِنْ طَاعَتْ الْحُرَّةُ فَلَهَا الثُّلُثَانِ مِنْ الْقَسْمِ
قَالَ مَالِك وَلَا يَنْبَغِي لِحُرٍّ أَنْ يَتَزَوَّجَ أَمَةً وَهُوَ يَجِدُ طَوْلًا لِحُرَّةٍ وَلَا يَتَزَوَّجَ أَمَةً إِذَا لَمْ يَجِدْ طَوْلًا لِحُرَّةٍ إِلَّا أَنْ يَخْشَى الْعَنَتَ وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ مِنْكُمْ طَوْلًا أَنْ يَنْكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِنْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ مِنْ فَتَيَاتِكُمْ الْمُؤْمِنَاتِ وَقَالَ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ الْعَنَتَ مِنْكُمْ قَالَ مَالِك وَالْعَنَتُ هُوَ الزِّنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান