আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২৭. উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১০৯৬
১৪. যাহার নিহত হওয়া ইত্যাদি অজ্ঞাত থাকে
রেওয়ায়ত ১৫. রবীয়া ইবনে আবু আব্দুর রহমান (রাহঃ) একাধিক আলেম সূত্রে বর্ণনা করেন যে, জামাল যুদ্ধে, সিফফীন যুদ্ধে এবং হাররা দিবসে যাহারা নিহত হইয়াছেন তাহারা মীরাস পান নাই। এরপর ফুদাইদ দিবসে যাহারা নিহত হইয়াছে তাহারাও একে অপরের মীরাস পান নাই।
কিন্তু মীরাস পাইবে সেই ক্ষেত্রে যেই ক্ষেত্রে নিশ্চিত জানা গিয়াছে যে, তিনি তাহার সাথির পূর্বে নিহত হইয়াছেন।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আমাদের উলামায়ে কিরামের মধ্যে এ ব্যাপারে কোন বিরোধ নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কয়েকজন পানিতে ডুবিয়া অথবা মাটিতে ধ্বসিয়া মৃত্যুবরণ করে অথবা নিহত হয়, আর কে আগে কে পরে* মৃত্যুবরণ করিয়াছে তাহা অজ্ঞাত থাকে, তবে তাহারা একে অন্যের ওয়ারিস হইবে না, বরং প্রত্যেকের মাল তাহাদের ওয়ারিসগণ পাইবে, যাহারা জীবিত রহিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেহ সন্দেহস্থলে কাহারও ওয়ারিস হইবে না, ওয়ারিস হওয়ার জন্য নিঃসন্দেহ হওয়া প্রয়োজন। যেমন কেহ মৃত্যুবরণ করিল, আর সে তাহার যে দাসকে মুক্ত করিয়াছিল সেও মৃত্যুবরণ করিল, এখন যদি এই সন্তান বলে যে, আমার পিতা এই দাসের ওয়ারিস হইবে তবে তাহা ততক্ষণ পর্যন্ত সাব্যস্ত হইবে না যতক্ষণ না সে সাক্ষী দ্বারা প্রমাণ করিবে যে, ঐ দাস তাহার পিতার পূর্বে মারা গিয়াছে। যদি প্রমাণ করিতে না পারে তবে ঐ দাসের জীবিত ওয়ারিসগণ তাহার মাল পাইবে।মালিক (রাহঃ) বলেন, অনুরূপভাবে যদি দুই সহোদর ভাই মারা যায় যাহাদের একজনের সন্তান রহিয়াছে অন্যজন নিঃসন্তান, আর তাহদের উভয়ের একজন সৎ ভাইও রহিয়াছে। কিন্তু ইহা জানা যায় নাই যে, প্রথমে কোন ভাই মরিয়াছে। এখন নিঃসন্তান ভাই-এর মাল তাহার সৎ ভাই পাইবে, তাহার ভাতিজারা পাইবে না। এইরূপে ফুফু ভাতিজা একত্রে মারা গেলে বা চাচা ভাতিজা একত্রে মারা গেলে আর কে আগে মারা গিয়াছে তাহা জানা নাই, তবে চাচা স্বীয় ভাতিজার এবং ভাতিজা স্বীয় ফুফুর ওয়ারিস হইবে না।
কিন্তু মীরাস পাইবে সেই ক্ষেত্রে যেই ক্ষেত্রে নিশ্চিত জানা গিয়াছে যে, তিনি তাহার সাথির পূর্বে নিহত হইয়াছেন।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আমাদের উলামায়ে কিরামের মধ্যে এ ব্যাপারে কোন বিরোধ নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কয়েকজন পানিতে ডুবিয়া অথবা মাটিতে ধ্বসিয়া মৃত্যুবরণ করে অথবা নিহত হয়, আর কে আগে কে পরে* মৃত্যুবরণ করিয়াছে তাহা অজ্ঞাত থাকে, তবে তাহারা একে অন্যের ওয়ারিস হইবে না, বরং প্রত্যেকের মাল তাহাদের ওয়ারিসগণ পাইবে, যাহারা জীবিত রহিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেহ সন্দেহস্থলে কাহারও ওয়ারিস হইবে না, ওয়ারিস হওয়ার জন্য নিঃসন্দেহ হওয়া প্রয়োজন। যেমন কেহ মৃত্যুবরণ করিল, আর সে তাহার যে দাসকে মুক্ত করিয়াছিল সেও মৃত্যুবরণ করিল, এখন যদি এই সন্তান বলে যে, আমার পিতা এই দাসের ওয়ারিস হইবে তবে তাহা ততক্ষণ পর্যন্ত সাব্যস্ত হইবে না যতক্ষণ না সে সাক্ষী দ্বারা প্রমাণ করিবে যে, ঐ দাস তাহার পিতার পূর্বে মারা গিয়াছে। যদি প্রমাণ করিতে না পারে তবে ঐ দাসের জীবিত ওয়ারিসগণ তাহার মাল পাইবে।মালিক (রাহঃ) বলেন, অনুরূপভাবে যদি দুই সহোদর ভাই মারা যায় যাহাদের একজনের সন্তান রহিয়াছে অন্যজন নিঃসন্তান, আর তাহদের উভয়ের একজন সৎ ভাইও রহিয়াছে। কিন্তু ইহা জানা যায় নাই যে, প্রথমে কোন ভাই মরিয়াছে। এখন নিঃসন্তান ভাই-এর মাল তাহার সৎ ভাই পাইবে, তাহার ভাতিজারা পাইবে না। এইরূপে ফুফু ভাতিজা একত্রে মারা গেলে বা চাচা ভাতিজা একত্রে মারা গেলে আর কে আগে মারা গিয়াছে তাহা জানা নাই, তবে চাচা স্বীয় ভাতিজার এবং ভাতিজা স্বীয় ফুফুর ওয়ারিস হইবে না।
بَاب مَنْ جُهِلَ أَمْرُهُ بِالْقَتْلِ أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَائِهِمْ أَنَّهُ لَمْ يَتَوَارَثْ مَنْ قُتِلَ يَوْمَ الْجَمَلِ وَيَوْمَ صِفِّينَ وَيَوْمَ الْحَرَّةِ ثُمَّ كَانَ يَوْمَ قُدَيْدٍ فَلَمْ يُوَرَّثْ أَحَدٌ مِنْ صَاحِبِهِ شَيْئًا إِلَّا مَنْ عُلِمَ أَنَّهُ قُتِلَ قَبْلَ صَاحِبِهِ
قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ وَلَا شَكَّ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَكَذَلِكَ الْعَمَلُ فِي كُلِّ مُتَوَارِثَيْنِ هَلَكَا بِغَرَقٍ أَوْ قَتْلٍ أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ مِنْ الْمَوْتِ إِذَا لَمْ يُعْلَمْ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلَ صَاحِبِهِ لَمْ يَرِثْ أَحَدٌ مِنْهُمَا مِنْ صَاحِبِهِ شَيْئًا وَكَانَ مِيرَاثُهُمَا لِمَنْ بَقِيَ مِنْ وَرَثَتِهِمَا يَرِثُ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا وَرَثَتُهُ مِنْ الْأَحْيَاءِ وَقَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يَرِثَ أَحَدٌ أَحَدًا بِالشَّكِّ وَلَا يَرِثُ أَحَدٌ أَحَدًا إِلَّا بِالْيَقِينِ مِنْ الْعِلْمِ وَالشُّهَدَاءِ وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ يَهْلَكُ هُوَ وَمَوْلَاهُ الَّذِي أَعْتَقَهُ أَبُوهُ فَيَقُولُ بَنُو الرَّجُلِ الْعَرَبِيِّ قَدْ وَرِثَهُ أَبُونَا فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُمْ أَنْ يَرِثُوهُ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا شَهَادَةٍ إِنَّهُ مَاتَ قَبْلَهُ وَإِنَّمَا يَرِثُهُ أَوْلَى النَّاسِ بِهِ مِنْ الْأَحْيَاءِ قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا الْأَخَوَانِ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ يَمُوتَانِ وَلِأَحَدِهِمَا وَلَدٌ وَالْآخَرُ لَا وَلَدَ لَهُ وَلَهُمَا أَخٌ لِأَبِيهِمَا فَلَا يُعْلَمُ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلَ صَاحِبِهِ فَمِيرَاثُ الَّذِي لَا وَلَدَ لَهُ لِأَخِيهِ لِأَبِيهِ وَلَيْسَ لِبَنِي أَخِيهِ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ شَيْءٌ قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا أَنْ تَهْلَكَ الْعَمَّةُ وَابْنُ أَخِيهَا أَوْ ابْنَةُ الْأَخِ وَعَمُّهَا فَلَا يُعْلَمُ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلُ فَإِنْ لَمْ يُعْلَمْ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلُ لَمْ يَرِثْ الْعَمُّ مِنْ ابْنَةِ أَخِيهِ شَيْئًا وَلَا يَرِثُ ابْنُ الْأَخِ مِنْ عَمَّتِهِ شَيْئًا
قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ وَلَا شَكَّ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَكَذَلِكَ الْعَمَلُ فِي كُلِّ مُتَوَارِثَيْنِ هَلَكَا بِغَرَقٍ أَوْ قَتْلٍ أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ مِنْ الْمَوْتِ إِذَا لَمْ يُعْلَمْ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلَ صَاحِبِهِ لَمْ يَرِثْ أَحَدٌ مِنْهُمَا مِنْ صَاحِبِهِ شَيْئًا وَكَانَ مِيرَاثُهُمَا لِمَنْ بَقِيَ مِنْ وَرَثَتِهِمَا يَرِثُ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا وَرَثَتُهُ مِنْ الْأَحْيَاءِ وَقَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يَرِثَ أَحَدٌ أَحَدًا بِالشَّكِّ وَلَا يَرِثُ أَحَدٌ أَحَدًا إِلَّا بِالْيَقِينِ مِنْ الْعِلْمِ وَالشُّهَدَاءِ وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ يَهْلَكُ هُوَ وَمَوْلَاهُ الَّذِي أَعْتَقَهُ أَبُوهُ فَيَقُولُ بَنُو الرَّجُلِ الْعَرَبِيِّ قَدْ وَرِثَهُ أَبُونَا فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُمْ أَنْ يَرِثُوهُ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا شَهَادَةٍ إِنَّهُ مَاتَ قَبْلَهُ وَإِنَّمَا يَرِثُهُ أَوْلَى النَّاسِ بِهِ مِنْ الْأَحْيَاءِ قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا الْأَخَوَانِ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ يَمُوتَانِ وَلِأَحَدِهِمَا وَلَدٌ وَالْآخَرُ لَا وَلَدَ لَهُ وَلَهُمَا أَخٌ لِأَبِيهِمَا فَلَا يُعْلَمُ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلَ صَاحِبِهِ فَمِيرَاثُ الَّذِي لَا وَلَدَ لَهُ لِأَخِيهِ لِأَبِيهِ وَلَيْسَ لِبَنِي أَخِيهِ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ شَيْءٌ قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا أَنْ تَهْلَكَ الْعَمَّةُ وَابْنُ أَخِيهَا أَوْ ابْنَةُ الْأَخِ وَعَمُّهَا فَلَا يُعْلَمُ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلُ فَإِنْ لَمْ يُعْلَمْ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلُ لَمْ يَرِثْ الْعَمُّ مِنْ ابْنَةِ أَخِيهِ شَيْئًا وَلَا يَرِثُ ابْنُ الْأَخِ مِنْ عَمَّتِهِ شَيْئًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: