আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২৭. উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১০৭৮
৫. সহোদর ভাই-বোনদের হিস্যা
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মতিক্রমে নির্ধারিত মাসআলা এই যে, মৃত ব্যক্তির ছেলে কিংবা নাতি কিংবা পিতা জীবিত থাকিলে সহোদর ভাই-বোন মীরাস পাইবে না। আর যদি মৃত ব্যক্তির দাদা জীবিত না থাকে শুধু কন্যা বা নাতিন (পুত্রের কন্যা) থাকে তবে সহোদর ভাই-বোন ওয়ারিস হইবে; যবীল ফুরূযের হিস্যা দেওয়ার পর যাহা অবশিষ্ট থাকিবে তাহা সহোদর ভাই-বোন পাইবে। ভাই বোনের দ্বিগুণ পাইবে। যদি যবীল ফুরূযের হিস্যা দেওয়ার পর মাল না থাকে তবে তাহারা মোহরূম হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মৃত ব্যক্তির বাপ ও দাদা যদি না থাকে, আর না ছেলে এবং নাতি থাকে, শুধু একজন সহোদর বোন থাকে, তবে সে অর্ধেক হিস্যা পাইবে। যদি দুই বোন কিংবা ততোধিক সহোদর বোন থাকে, তবে দুই-তৃতীয়াংশ পাইবে। যদি এই বোনদের সঙ্গে কোন ভাইও থাকে তবে বোনদের জন্য নির্দিষ্ট অংশ থাকিবে না, তাহারা যবীল ফুরূযদের অংশ প্রদান করিয়া আসাবা হইবে। যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা হইতে বোনেরা দ্বিগুণ এই হারে তাহারা পাইবে। শুধু এক অবস্থায় তাহদের জন্য কিছুই থাকিবে না, বরং বৈপিত্রেয় ভাই বোনদের সঙ্গে শরীক হইয়া যাইবে।
যেমন কোন মৃত স্ত্রীলোকের স্বামী বিদ্যমান আছে, মাতা আছে এবং বৈপিত্রেয় ভাই সকল আছে এবং সহোদর ভাই সকলও বিদ্যমান আছে। প্রথমত স্বামী অর্ধেক অংশ পাইবে। মাতা এক-ষষ্ঠাংশ এবং বৈপিত্রেয় ভাইয়ের এক-তৃতীয়াংশ পাওয়ার পর আর মাল অবশিষ্ট রহিল না। এমতাবস্থায় সহোদর ভাইগণ বৈপিত্রেয় ভাইদের সহিত এক-তৃতীয়াংশ হিস্যার শরীক হইবে। কেননা সকলের মাতা এক হওয়াতে সবাই তৃতীয়াংশে শরীক হইল। অংশের ভাগ এই হারে, ভাই বোনের দ্বিগুণ এ সম্বন্ধে আল্লাহ তাআলা স্বীয় কিতাবে বলেনঃ
“যদি পিতা-মাতা সন্তানহীন কোন পুরুষ অথবা নারীর উত্তরাধিকারী থাকে তাহার এক বৈপিত্রেয় ভাই অথবা ভগ্নী তবে প্রত্যেকের জন্য এক-ষষ্ঠাংশ তাহারা ইহার অধিক হইলে সমঅংশীদার হইবে এক-তৃতীয়াংশে।” (সূরা নিসাঃ ১২)
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মৃত ব্যক্তির বাপ ও দাদা যদি না থাকে, আর না ছেলে এবং নাতি থাকে, শুধু একজন সহোদর বোন থাকে, তবে সে অর্ধেক হিস্যা পাইবে। যদি দুই বোন কিংবা ততোধিক সহোদর বোন থাকে, তবে দুই-তৃতীয়াংশ পাইবে। যদি এই বোনদের সঙ্গে কোন ভাইও থাকে তবে বোনদের জন্য নির্দিষ্ট অংশ থাকিবে না, তাহারা যবীল ফুরূযদের অংশ প্রদান করিয়া আসাবা হইবে। যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা হইতে বোনেরা দ্বিগুণ এই হারে তাহারা পাইবে। শুধু এক অবস্থায় তাহদের জন্য কিছুই থাকিবে না, বরং বৈপিত্রেয় ভাই বোনদের সঙ্গে শরীক হইয়া যাইবে।
যেমন কোন মৃত স্ত্রীলোকের স্বামী বিদ্যমান আছে, মাতা আছে এবং বৈপিত্রেয় ভাই সকল আছে এবং সহোদর ভাই সকলও বিদ্যমান আছে। প্রথমত স্বামী অর্ধেক অংশ পাইবে। মাতা এক-ষষ্ঠাংশ এবং বৈপিত্রেয় ভাইয়ের এক-তৃতীয়াংশ পাওয়ার পর আর মাল অবশিষ্ট রহিল না। এমতাবস্থায় সহোদর ভাইগণ বৈপিত্রেয় ভাইদের সহিত এক-তৃতীয়াংশ হিস্যার শরীক হইবে। কেননা সকলের মাতা এক হওয়াতে সবাই তৃতীয়াংশে শরীক হইল। অংশের ভাগ এই হারে, ভাই বোনের দ্বিগুণ এ সম্বন্ধে আল্লাহ তাআলা স্বীয় কিতাবে বলেনঃ
“যদি পিতা-মাতা সন্তানহীন কোন পুরুষ অথবা নারীর উত্তরাধিকারী থাকে তাহার এক বৈপিত্রেয় ভাই অথবা ভগ্নী তবে প্রত্যেকের জন্য এক-ষষ্ঠাংশ তাহারা ইহার অধিক হইলে সমঅংশীদার হইবে এক-তৃতীয়াংশে।” (সূরা নিসাঃ ১২)
بَاب مِيرَاثِ الْإِخْوَةِ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْإِخْوَةَ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ لَا يَرِثُونَ مَعَ الْوَلَدِ الذَّكَرِ شَيْئًا وَلَا مَعَ وَلَدِ الْابْنِ الذَّكَرِ شَيْئًا وَلَا مَعَ الْأَبِ دِنْيَا شَيْئًا وَهُمْ يَرِثُونَ مَعَ الْبَنَاتِ وَبَنَاتِ الْأَبْنَاءِ مَا لَمْ يَتْرُكْ الْمُتَوَفَّى جَدًّا أَبَا أَبٍ مَا فَضَلَ مِنْ الْمَالِ يَكُونُونَ فِيهِ عَصَبَةً يُبْدَأُ بِمَنْ كَانَ لَهُ أَصْلُ فَرِيضَةٍ مُسَمَّاةٍ فَيُعْطَوْنَ فَرَائِضَهُمْ فَإِنْ فَضَلَ بَعْدَ ذَلِكَ فَضْلٌ كَانَ لِلْإِخْوَةِ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ يَقْتَسِمُونَهُ بَيْنَهُمْ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ ذُكْرَانًا كَانُوا أَوْ إِنَاثًا لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ فَإِنْ لَمْ يَفْضُلْ شَيْءٌ فَلَا شَيْءَ لَهُمْ قَالَ وَإِنْ لَمْ يَتْرُكْ الْمُتَوَفَّى أَبًا وَلَا جَدًّا أَبَا أَبٍ وَلَا وَلَدًا وَلَا وَلَدَ ابْنٍ ذَكَرًا كَانَ أَوْ أُنْثَى فَإِنَّهُ يُفْرَضُ لِلْأُخْتِ الْوَاحِدَةِ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ النِّصْفُ فَإِنْ كَانَتَا اثْنَتَيْنِ فَمَا فَوْقَ ذَلِكَ مِنْ الْأَخَوَاتِ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ فُرِضَ لَهُمَا الثُّلُثَانِ فَإِنْ كَانَ مَعَهُمَا أَخٌ ذَكَرٌ فَلَا فَرِيضَةَ لِأَحَدٍ مِنْ الْأَخَوَاتِ وَاحِدَةً كَانَتْ أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ وَيُبْدَأُ بِمَنْ شَرِكَهُمْ بِفَرِيضَةٍ مُسَمَّاةٍ فَيُعْطَوْنَ فَرَائِضَهُمْ فَمَا فَضَلَ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ شَيْءٍ كَانَ بَيْنَ الْإِخْوَةِ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ إِلَّا فِي فَرِيضَةٍ وَاحِدَةٍ فَقَطْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ فِيهَا شَيْءٌ فَاشْتَرَكُوا فِيهَا مَعَ بَنِي الْأُمِّ فِي ثُلُثِهِمْ وَتِلْكَ الْفَرِيضَةُ هِيَ امْرَأَةٌ تُوُفِّيَتْ وَتَرَكَتْ زَوْجَهَا وَأُمَّهَا وَإِخْوَتَهَا لِأُمِّهَا وَإِخْوَتَهَا لِأُمِّهَا وَأَبِيهَا فَكَانَ لِزَوْجِهَا النِّصْفُ وَلِأُمِّهَا السُّدُسُ وَلِإِخْوَتِهَا لِأُمِّهَا الثُّلُثُ فَلَمْ يَفْضُلْ شَيْءٌ بَعْدَ ذَلِكَ فَيَشْتَرِكُ بَنُو الْأَبِ وَالْأُمِّ فِي هَذِهِ الْفَرِيضَةِ مَعَ بَنِي الْأُمِّ فِي ثُلُثِهِمْ فَيَكُونُ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَى مِنْ أَجْلِ أَنَّهُمْ كُلَّهُمْ إِخْوَةُ الْمُتَوَفَّى لِأُمِّهِ وَإِنَّمَا وَرِثُوا بِالْأُمِّ وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ وَإِنْ كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوْ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ فَإِنْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ فَلِذَلِكَ شُرِّكُوا فِي هَذِهِ الْفَرِيضَةِ لِأَنَّهُمْ كُلَّهُمْ إِخْوَةُ الْمُتَوَفَّى لِأُمِّهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: