আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২৭. উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১০৭৪
১. সন্তানের মীরাস
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত মাসআলা এই, আমাদের শহরের আলিমগণকে মীরাসের অংশ বন্টন সম্পর্কে এই মতই পোষণ করিতে দেখিয়াছি, যখন ছেলেমেয়ের পিতা-মাতার মৃত্যু হয় এবং তাহার সম্পদ রাখিয়া যায়, তবে মেয়ের দ্বিগুণ মীরাস ছেলে পাইবে; যদি শুধু দুই মেয়ে কিংবা ততোধিক মেয়ে থাকে তবে পূর্ণ মালের দুই-তৃতীয়াংশ মেয়েগণ মীরাস পাইবে। যদি এক মেয়ে থাকে তবে অর্ধেক অংশ মীরাস পাইবে। আর যদি মৃত ব্যক্তির কোন যবিল ফুরুয (যাহাদিগকে হিস্যা কুরআন মজীদে নির্ধারিত আছে) থাকে এবং ছেলেমেয়েও বিদ্যমান থাকে তবে প্রথমত অংশীদারগণের হিস্যা আদায় করিয়া ছেলেমেয়েদিগকে পূর্ব বর্ণিত নিয়মে অংশ দিবে অর্থাৎ ছেলে পাইবে মেয়ের দ্বিগুণ। তবে পিতা যবিল ফুরূয হিসাবে এক-ষষ্ঠাংশ পাইবে অবশিষ্ট ওয়ারিশগণ বাকী পাঁচ হিস্যার দুই হিস্যা এক ছেলে এবং তিন হিস্যা তিন মেয়ে পাইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি মৃতের পুত্র কন্যা কেহ না থাকে তবে নাতি এবং নাতনিগণ ওয়ারিস হইবে। নাতি-নাতনীদের হিস্যাও পুত্র-কন্যাদের হিস্যার মতো বন্টন করা হইবে, মীরাস পাওয়া না পাওয়ার ব্যাপারে তাহাদের হুকুম পুত্রদের মতো। তবে মৃতের একটি পুত্র ও নাতি থাকিলে নাতি ওয়ারিস হইবে না। মৃতের দুই অথবা ততোধিক কন্যা থাকিলেও নাতনিগণ ওয়ারিস হইব না। হ্যাঁ, যদি নাতনীদের সঙ্গে কোন নাতিও থাকে, মৃতের সঙ্গে তাহার সম্পর্ক কন্যাদের মতো অথবা তাহাদের তুলনায় কিছু দূর-সম্পৰ্কীয়। তবে যবিল ফুরূযের হিস্যা দেওয়ার পর কিছু মাল বাঁচিয়া থাকিলে তাহা কন্যাদের সমপর্যায়ের নাতি এবং নাতির তুলনায় উচ্চ অর্থাৎ নিকট সম্পৰ্কীয়া নাতনীগণ পাইবে এবং নাতনীর দ্বিগুণ নাতি পাইবে। যদি যবিল ফুরূযকে দেওয়ার পর অবশিষ্ট না থাকে তবে তাহারা কিছুই পাইবে না। যদি মৃতের একটি মেয়ে থাকে তবে সে অর্ধেক পাইবে। আর তাহার পুত্রের মেয়ে সন্তান অর্থাৎ তাহার নাতনী এক বা একাধিক হইলে ইহারা সকলেই মৃতের ওয়ারিস হিসাবে এক-ষষ্ঠাংশ পাইবে আর যদি নাতনীদের সঙ্গে নাতিও থাকে তবে নাতনীরা কিছুই পাইবে না, যদি যবিল ফুরূযকে দিয়া কিছু অবশিষ্ট থাকে তবে তাহা ঐ নাতির হিস্যা এবং তাহার সঙ্গে অন্য যে তাহার সমকক্ষ এবং তাহার উর্ধ্বের নাতনীরাও তাহার সঙ্গে হিস্যা পাইবে, পুরুষ মেয়ের দ্বিগুণ এই হিসাবে আর দূরবর্তীদের জন্য কোন অংশ নাই যবিল যুরুষকে দিয়া কিছু অবশিষ্ট না থাকিলে তাহাদের জন্য কিছুই নাই।

আর ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ তাআলা স্বীয় কিতাবে বলেনঃ

يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ

আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিতেছেন, এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান, কিন্তু কেবল কন্যা দুই-এর অধিক থাকিলে তাহাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ, আর এক কন্যা থাকিলে তাহাদের জন্য অর্ধাংশ । (সূরা নিসাঃ ১১)

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আতরাফ অর্থাৎ দূরবর্তিগণ।
بَاب مِيرَاثِ الصُّلْبِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا وَالَّذِي أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ أَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا فِي فَرَائِضِ الْمَوَارِيثِ أَنَّ مِيرَاثَ الْوَلَدِ مِنْ وَالِدِهِمْ أَوْ وَالِدَتِهِمْ أَنَّهُ إِذَا تُوُفِّيَ الْأَبُ أَوْ الْأُمُّ وَتَرَكَا وَلَدًا رِجَالًا وَنِسَاءً فَلِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ فَإِنْ كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِنْ كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ فَإِنْ شَرِكَهُمْ أَحَدٌ بِفَرِيضَةٍ مُسَمَّاةٍ وَكَانَ فِيهِمْ ذَكَرٌ بُدِئَ بِفَرِيضَةِ مَنْ شَرِكَهُمْ وَكَانَ مَا بَقِيَ بَعْدَ ذَلِكَ بَيْنَهُمْ عَلَى قَدْرِ مَوَارِيثِهِمْ وَمَنْزِلَةُ وَلَدِ الْأَبْنَاءِ الذُّكُورِ إِذَا لَمْ يَكُنْ وَلَدٌ كَمَنْزِلَةِ الْوَلَدِ سَوَاءٌ ذُكُورُهُمْ كَذُكُورِهِمْ وَإِنَاثُهُمْ كَإِنَاثِهِمْ يَرِثُونَ كَمَا يَرِثُونَ وَيَحْجُبُونَ كَمَا يَحْجُبُونَ فَإِنْ اجْتَمَعَ الْوَلَدُ لِلصُّلْبِ وَوَلَدُ الْابْنِ وَكَانَ فِي الْوَلَدِ لِلصُّلْبِ ذَكَرٌ فَإِنَّهُ لَا مِيرَاثَ مَعَهُ لِأَحَدٍ مِنْ وَلَدِ الْابْنِ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي الْوَلَدِ لِلصُّلْبِ ذَكَرٌ وَكَانَتَا ابْنَتَيْنِ فَأَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ مِنْ الْبَنَاتِ لِلصُّلْبِ فَإِنَّهُ لَا مِيرَاثَ لِبَنَاتِ الْابْنِ مَعَهُنَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَعَ بَنَاتِ الْابْنِ ذَكَرٌ هُوَ مِنْ الْمُتَوَفَّى بِمَنْزِلَتِهِنَّ أَوْ هُوَ أَطْرَفُ مِنْهُنَّ فَإِنَّهُ يَرُدُّ عَلَى مَنْ هُوَ بِمَنْزِلَتِهِ وَمَنْ هُوَ فَوْقَهُ مِنْ بَنَاتِ الْأَبْنَاءِ فَضْلًا إِنْ فَضَلَ فَيَقْتَسِمُونَهُ بَيْنَهُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ فَإِنْ لَمْ يَفْضُلْ شَيْءٌ فَلَا شَيْءَ لَهُمْ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ الْوَلَدُ لِلصُّلْبِ إِلَّا ابْنَةً وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلِابْنَةِ ابْنِهِ وَاحِدَةً كَانَتْ أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ مِنْ بَنَاتِ الْأَبْنَاءِ مِمَّنْ هُوَ مِنْ الْمُتَوَفَّى بِمَنْزِلَةٍ وَاحِدَةٍ السُّدُسُ فَإِنْ كَانَ مَعَ بَنَاتِ الْابْنِ ذَكَرٌ هُوَ مِنْ الْمُتَوَفَّى بِمَنْزِلَتِهِنَّ فَلَا فَرِيضَةَ وَلَا سُدُسَ لَهُنَّ وَلَكِنْ إِنْ فَضَلَ بَعْدَ فَرَائِضِ أَهْلِ الْفَرَائِضِ فَضْلٌ كَانَ ذَلِكَ الْفَضْلُ لِذَلِكَ الذَّكَرِ وَلِمَنْ هُوَ بِمَنْزِلَتِهِ وَمَنْ فَوْقَهُ مِنْ بَنَاتِ الْأَبْنَاءِ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ وَلَيْسَ لِمَنْ هُوَ أَطْرَفُ مِنْهُمْ شَيْءٌ فَإِنْ لَمْ يَفْضُلْ شَيْءٌ فَلَا شَيْءَ لَهُمْ وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ فَإِنْ كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِنْ كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ قَالَ مَالِك الْأَطْرَفُ هُوَ الْأَبْعَدُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান