আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২৩. কুরবানীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১০৩১
৪. কুরবানীর গোশত রাখিয়া দেওয়া
রেওয়ায়ত ৬. জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, তিন দিনের বেশী কুরবানীর গোশত রাখিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছিলেন। পরে বলিলেনঃ তোমরা নিজেরা উহা খাও, পাথেয় হিসাবে ব্যবহার কর এবং (ভবিষ্যতের জন্য) রাখিয়া দাও।
بَاب ادِّخَارِ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الضَّحَايَا بَعْدَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ثُمَّ قَالَ بَعْدُ كُلُوا وَتَصَدَّقُوا وَتَزَوَّدُوا وَادَّخِرُوا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০৩২
৪. কুরবানীর গোশত রাখিয়া দেওয়া
রেওয়ায়ত ৭. আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াকিদ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, তিন দিনের পর কুরবানীর গোশত খাইতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু বকর (রাহঃ) বলেনঃ এই কথা আমি আমরা বিনতে আব্দুর রহমানকে গিয়া শুনাইলাম। তিনি বলিলেনঃ আব্দুল্লাহ সত্য বলিয়াছেন। নবী করীম (ﷺ)-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সময় একবার ঈদুল আযহার দিন কিছু সংখ্যক বেদুঈন আসেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ তিন দিনের মতো গোশত রাখিয়া বাকীটা খয়রাত করিয়া দাও। ইহার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বলা হইল, পূর্বে লোকেরা কুরবানীর জন্তু দ্বারা ফায়দা লাভ করিত। ইহার চর্বি রাখিয়া দিত এবং চামড়া দ্বারা মশক বানাইয়া রাখিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তোমরা কি বলিতে চাও? বলা হইলঃ আপনি তিন দিনের অতিরিক্ত কুরবানীর গোশত রাখিতে নিষেধ করিয়াছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ কিছু অভাবী লোক গ্রাম হইতে আসিয়া পড়িয়াছিল, তাই তিন দিনের অতিরিক্ত গোশত রাখিতে আমি নিষেধ করিয়াছিলাম। এখন তোমরা উহা খাও, খয়রাত কর এবং জমা করিয়া রাখিয়া দাও।
بَاب ادِّخَارِ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَاقِدٍ أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الضَّحَايَا بَعْدَ ثَلَاثٍ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَتْ صَدَقَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَقُولُ دَفَّ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ حَضْرَةَ الْأَضْحَى فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ادَّخِرُوا لِثَلَاثٍ وَتَصَدَّقُوا بِمَا بَقِيَ قَالَتْ فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ كَانَ النَّاسُ يَنْتَفِعُونَ بِضَحَايَاهُمْ وَيَجْمُلُونَ مِنْهَا الْوَدَكَ وَيَتَّخِذُونَ مِنْهَا الْأَسْقِيَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا ذَلِكَ أَوْ كَمَا قَالَ قَالُوا نَهَيْتَ عَنْ لُحُومِ الضَّحَايَا بَعْدَ ثَلَاثٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا نَهَيْتُكُمْ مِنْ أَجْلِ الدَّافَّةِ الَّتِي دَفَّتْ عَلَيْكُمْ فَكُلُوا وَتَصَدَّقُوا وَادَّخِرُوا يَعْنِي بِالدَّافَّةِ قَوْمًا مَسَاكِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১০৩৩
৪. কুরবানীর গোশত রাখিয়া দেওয়া
রেওয়ায়ত ৮. আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) একবার সফর হইতে ফিরিবার পর পরিবারের লোকেরা তাহার সামনে গোশত পেশ করেন। তিনি ইহা দেখিয়া বলিলেনঃ ইহা কুরবানীর গোশত নহে তো? তাহারা বলিলেনঃ হ্যাঁ কুরবানীর। আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলিলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহা নিষেধ করেন নাই কি? তাহারা বলিলেনঃ আপনি যাওয়ার পর এই বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্য হুকুম প্রদান করিয়াছেন। আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এই বিষয়টি ভাল করিয়া অনুসন্ধান করিয়া দেখার উদ্দেশ্যে বাহির হইয়া পড়েন। তখন তিনি জানিতে পারেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তিন দিন পর কুরবানীর গোশত খাইতে আমি তোমাদিগকে নিষেধ করিয়াছিলাম। এখন তোমরা তা খাও, খয়রাত কর এবং জমা করিয়া রাখ। তোমাদিগকে আমি কতিপয় পাত্রে নাবীয করিতে নিষেধ করিয়াছিলাম, এখন যে কোন পাত্রে ইচ্ছা তোমরা তাহা বানাইতে পার, তবে (মনে রাখিও) সকল নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু হারাম। কবর যিয়ারত করিতে তোমাদিগকে আমি নিষেধ করিয়াছিলাম। এখন তোমরা কবর যিয়ারত করিতে যাইতে পার, তবে মুখে যেন কোন মন্দ কথা উচ্চারিত না হয়।
بَاب ادِّخَارِ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ فَقَدَّمَ إِلَيْهِ أَهْلُهُ لَحْمًا فَقَالَ انْظُرُوا أَنْ يَكُونَ هَذَا مِنْ لُحُومِ الْأَضْحَى فَقَالُوا هُوَ مِنْهَا فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْهَا فَقَالُوا إِنَّهُ قَدْ كَانَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَكَ أَمْرٌ فَخَرَجَ أَبُو سَعِيدٍ فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فَأُخْبِرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضْحَى بَعْدَ ثَلَاثٍ فَكُلُوا وَتَصَدَّقُوا وَادَّخِرُوا وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ الِانْتِبَاذِ فَانْتَبِذُوا وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا وَلَا تَقُولُوا هُجْرًا يَعْنِي لَا تَقُولُوا سُوءًا