আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৯৪০
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৪৫. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, বিদায় হজ্জের (হজ্জাতুল বিদা) সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মানুষের খাতিরে মিনায় দাঁড়ান। বিভিন্ন লোক আসিয়া তাঁহার নিকট বিভিন্ন মাসআলা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল। এমন সময় এক ব্যক্তি আসিয়া বলিলঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি জানিতাম না, তাই কুরবানী করার পূর্বেই মাথা কামাইয়া ফেলিয়াছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ এখন কুরবানী করিয়া নাও। কোন অসুবিধা নাই। অন্য এক ব্যক্তি আসিয়া বলিলঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বেই কুরবানী দিয়া ফেলিয়ছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ এখন কংকর নিক্ষেপ করিয়া নাও; কোন অসুবিধা হইবে না। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেনঃ আগে বা পরে ফেলা সম্পর্কে সেই দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে যত প্রশ্ন করা হইয়াছে সকলের বেলায়ই তিনি বলিয়াছেনঃ এখন করিয়া নাও। কোন অসুবিধা হইবে না।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّهُ قَالَ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلنَّاسِ بِمِنًى وَالنَّاسُ يَسْأَلُونَهُ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ أَشْعُرْ فَحَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَنْحَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْحَرْ وَلَا حَرَجَ ثُمَّ جَاءَهُ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ أَشْعُرْ فَنَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ قَالَ ارْمِ وَلَا حَرَجَ قَالَ فَمَا سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ شَيْءٍ قُدِّمَ وَلَا أُخِّرَ إِلَّا قَالَ افْعَلْ وَلَا حَرَجَ
হাদীস নং:৯৪১
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৪৬. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন জিহাদ বা হজ্জ বা উমরা হইতে প্রত্যাবর্তন করিতেন, তখন প্রতিটি চড়াই অতিক্রম করার সময় তিনি আল্লাহু আকবার’ বলিয়া নিম্নোক্ত দুআ পাঠ করিতেনঃ

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ سَاجِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ صَدَقَ اللَّهُ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ

অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ বা মাবূদ নাই, তিনি এক, তাহার কোন শরীক নাই। তাহার সকল সাম্রাজ্য এবং তাঁহারই সকল প্রশংসা এবং তিনি সকল জিনিসের উপর ক্ষমতাশীল। আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবকরী, ইবাদত-গুজার, সিজদা আদায়কারী এবং প্রভুর প্রশংসাকারী। আল্লাহ্ তাহার ওয়াদা পূরণ করিয়াছেন, তাহার বান্দাকে সাহায্য করিয়াছেন এবং একাই তিনি পরাজিত করিয়াছেন সকল শত্রু বাহিনী।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَفَلَ مِنْ غَزْوٍ أَوْ حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ يُكَبِّرُ عَلَى كُلِّ شَرَفٍ مِنْ الْأَرْضِ ثَلَاثَ تَكْبِيرَاتٍ ثُمَّ يَقُولُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ سَاجِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ صَدَقَ اللَّهُ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৪২
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৪৭. আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব বর্ণনা করেন- হাওদাতে আরোহিণী এক মহিলার নিকট দিয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পথ অতিক্রম করিয়া যাইতেছিলেন। মহিলাটিকে কেউ তখন বলিলঃ ইনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মহিলাটি তখন স্বীয় শিশু সন্তানটির হাত ধারণ করিয়া বলিলঃ হে আল্লাহর রাসূল! এই শিশুটিও হজ্জ আমার সহিত আদায় হইবে কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ হ্যাঁ, আদায় হইবে। আর ইহার সওয়াব তুমি পাইবে।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ عَنْ كُرَيْبٍ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِامْرَأَةٍ وَهِيَ فِي مِحَفَّتِهَا فَقِيلَ لَهَا هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذَتْ بِضَبْعَيْ صَبِيٍّ كَانَ مَعَهَا فَقَالَتْ أَلِهَذَا حَجٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ
হাদীস নং:৯৪৩
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৪৮. তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ ইবনে কারীয (রাহঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আরাফাতের দিন হইতে বেশী আর কোনদিন শয়তানকে লাঞ্ছিত, অপমানিত এবং রাগান্বিত হইতে দেখা যায় নাই। কারণ এই দিন সে আল্লাহ তাআলার অপার রহমত নাযিল হইতে এবং বড় বড় গুনাহসমূহ মাফ হইয়া যাইতে দেখিতে পায়। বদর যুদ্ধের দিনও তাহার ঐ অবস্থা হইতে দেখা গিয়াছিল? কেউ জিজ্ঞাসা করিলঃ বদরের দিন সে কি দেখিয়াছিল? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ ঐ দিন সে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)-কে ফিরিশতা বাহিনীকে কাতারবন্দী করিতে দেখিয়াছিল।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي عَبْلَةَ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ كَرِيزٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا رُئِيَ الشَّيْطَانُ يَوْمًا هُوَ فِيهِ أَصْغَرُ وَلَا أَدْحَرُ وَلَا أَحْقَرُ وَلَا أَغْيَظُ مِنْهُ فِي يَوْمِ عَرَفَةَ وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِمَا رَأَى مِنْ تَنَزُّلِ الرَّحْمَةِ وَتَجَاوُزِ اللَّهِ عَنْ الذُّنُوبِ الْعِظَامِ إِلَّا مَا أُرِيَ يَوْمَ بَدْرٍ قِيلَ وَمَا رَأَى يَوْمَ بَدْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ أَمَا إِنَّهُ قَدْ رَأَى جِبْرِيلَ يَزَعُ الْمَلَائِكَةَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৪৪
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৪৯. তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ ইবনে কারীয (রাহঃ) বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সর্বোত্তম দুআ হইল আরাফাতের দুআ। আর আরাফাতের সর্বোত্তম দুআ হইল ঐ দুআ যাহা আমি এবং আমার পূর্ববর্তী পয়গম্বরগণ করিয়াছিলেন। দুআটি এইঃ (لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ) আল্লাহ ব্যতীত কেউ ইলাহ নাই, তিনি এক, তাহার কোন শরীক নাই।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ كَرِيزٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَفْضَلُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ وَأَفْضَلُ مَا قُلْتُ أَنَا وَالنَّبِيُّونَ مِنْ قَبْلِي لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৯৪৫
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৫০. আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বর্ণনা করেন- মক্কা বিজয়ের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মক্কায় প্রবেশ করেন তখন তিনি মাথায় লৌহ শিরস্ত্রাণ পরিহিত ছিলেন। মাথা হইতে উহা যখন খুলিয়া রাখিলেন, তখন এক ব্যক্তি আসিয়া বলিলঃ হে আল্লাহর রাসূল! ইবনে খতল কাবার গিলাফ ধরিয়া দাঁড়াইয়া রহিয়াছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ তাহাকে হত্যা কর। ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলিয়াছেন, ঐদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহরাম বাধা অবস্থায় ছিলেন না। আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ فَلَمَّا نَزَعَهُ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْنُ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اقْتُلُوهُ قَالَ مَالِك وَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ مُحْرِمًا وَاللَّهُ أَعْلَمُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৪৬
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৫১. নাফি’ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) মক্কা হইতে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করিয়াছিলেন। কুদায়দ নামক স্থানে পৌছিয়া তিনি মদীনার বিশৃংখলা সম্পর্কে সংবাদ জ্ঞাত হন। শেষে তিনি পুনরায় মক্কা ফিরিয়া যান এবং ইহরাম না করিয়াই মক্কায় প্রবেশ করেন।

মালিক (রাহঃ) এইরূপ রেওয়ায়ত ইবনে শিহাব হইতেও বর্ণনা করিয়াছেন।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَقْبَلَ مِنْ مَكَّةَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِقُدَيْدٍ جَاءَهُ خَبَرٌ مِنْ الْمَدِينَةِ فَرَجَعَ فَدَخَلَ مَكَّةَ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ بِمِثْلِ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৯৪৭
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৫২. মুহাম্মাদ ইমরান আনসারী (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন- মক্কার পথে একটি বড় গাছের নীচে আমি বিশ্রাম নিতেছিলাম। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) তখন আমার নিকট আসিয়া বলিলেনঃ এই গাছটির নীচে আসিয়া কেন নামিয়া পড়িলে? আমি বলিলামঃ একটু ছায়া লাভের জন্য। তিনি বলিলেনঃ আর কোন উদ্দেশ্য নয়তো আমি বললাম না, শুধু ছায়ার জন্যই। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাহঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তুমি মিনায় বড় বড় দুইটি পর্বতের মধ্যবর্তী স্থানে হইবে, এই বলিয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পূর্বদিকে হস্ত দ্বারা ইশারা করিলেন, তখন (জানিও যে,) ঐ উপত্যকায় যাহাকে সিরার বলা হয়, উহার একটি বড় গাছের নীচে সত্তর জন নবীর (জনের পর) নাড়ী কর্তন করা হইয়াছিল।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدِّيلِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عِمْرَانَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ عَدَلَ إِلَيَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَأَنَا نَازِلٌ تَحْتَ سَرْحَةٍ بِطَرِيقِ مَكَّةَ فَقَالَ مَا أَنْزَلَكَ تَحْتَ هَذِهِ السَّرْحَةِ فَقُلْتُ أَرَدْتُ ظِلَّهَا فَقَالَ هَلْ غَيْرُ ذَلِكَ فَقُلْتُ لَا مَا أَنْزَلَنِي إِلَّا ذَلِكَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كُنْتَ بَيْنَ الْأَخْشَبَيْنِ مِنْ مِنًى وَنَفَخَ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ فَإِنَّ هُنَاكَ وَادِيًا يُقَالُ لَهُ السِّرَرُ بِهِ شَجَرَةٌ سُرَّ تَحْتَهَا سَبْعُونَ نَبِيًّا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৪৮
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৫৩. ইবনে আবি মুলায়কা (রাহঃ) বর্ণনা করেন, বায়তুল্লাহর তাওয়াফরত কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত এক মহিলার নিকট দিয়া উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) যাইতেছিলেন। তখন তিনি তাহাকে বলিলেনঃ হে আল্লাহর দাসী, অন্য মানুষকে কষ্ট দিও না। হায়, তুমি যদি তোমার বাড়িতেই বসিয়া থাকিতে। পরে উক্ত মেয়েলোকটি নিজের বাড়িতেই বসিয়া থাকিত। একদিন একটি লোক তাহাকে বলিলঃ যিনি তোমাকে বাড়ির বাহিরে যাইতে নিষেধ করিয়াছিলেন, তিনি ইনতিকাল করিয়াছেন। এখন তুমি বাহির হইয়া আসিতে পার। মেয়েটি বলিলঃ জীবদ্দশায় তাঁহাকে মানিব, আর মৃত্যুর পর অবাধ্য হইব, আমি এমন স্ত্রীলোক নহি।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ مَرَّ بِامْرَأَةٍ مَجْذُومَةٍ وَهِيَ تَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَقَالَ لَهَا يَا أَمَةَ اللَّهِ لَا تُؤْذِي النَّاسَ لَوْ جَلَسْتِ فِي بَيْتِكِ فَجَلَسَتْ فَمَرَّ بِهَا رَجُلٌ بَعْدَ ذَلِكَ فَقَالَ لَهَا إِنَّ الَّذِي كَانَ قَدْ نَهَاكِ قَدْ مَاتَ فَاخْرُجِي فَقَالَتْ مَا كُنْتُ لِأُطِيعَهُ حَيًّا وَأَعْصِيَهُ مَيِّتًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৪৯
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৫৪. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমি জ্ঞাত হইয়াছি, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলতেনঃ হাজরে আসওয়াদ এবং কাবার দরজার মধ্যবর্তী স্থানটি হইল মুলতাযাম।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقُولُ مَا بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْبَابِ الْمُلْتَزَمُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৫০
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৫৫. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে হাব্বান (রাহঃ) বর্ণনা করেন, রবাযা নামক স্থানে আবু যর (রাযিঃ)-এর নিকট দিয়া এক ব্যক্তি পথ অতিক্রম করিয়া যাইতেছিলেন। তাহাকে দেখিয়া তিনি বলিলেনঃ কোথায় যাইতেছ? তিনি বলিলেনঃ হজ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করিয়াছি। তিনি বলিলেনঃ অন্য কোন উদ্দেশ্য তো নাই? তিনি বলিলেনঃ না। আবু যর (রাযিঃ) বললেনঃ আচ্ছা যাও, তোমার কাজ তুমি কর।

ঐ ব্যক্তি বলেনঃ আমি মক্কায় চলিয়া গেলাম। আল্লাহর যতদিন ইচ্ছা হইল আমি সেখানে রহিয়া গেলাম। একদিন দেখি এক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করিয়া মানুষ খুবই ভিড় করিয়া আছে। ভিড়ের ভিতরে যাইয়া দেখি, রবাযায় যাহার সঙ্গে আমার সাক্ষাত হইয়াছিল [আবু যর (রাযিঃ)] তিনি বসিয়া আছেন। তিনি আমাকে দেখিয়া চিনিয়া ফেলিলেন এবং বলিলেনঃ তুমি সেই ব্যক্তি না, যাহাকে আমি হাদীস বর্ণনা করিয়া শুনাইয়াছিলাম।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَذْكُرُ أَنَّ رَجُلًا مَرَّ عَلَى أَبِي ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ وَأَنَّ أَبَا ذَرٍّ سَأَلَهُ أَيْنَ تُرِيدُ فَقَالَ أَرَدْتُ الْحَجَّ فَقَالَ هَلْ نَزَعَكَ غَيْرُهُ فَقَالَ لَا قَالَ فَأْتَنِفْ الْعَمَلَ قَالَ الرَّجُلُ فَخَرَجْتُ حَتَّى قَدِمْتُ مَكَّةَ فَمَكَثْتُ مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ إِذَا أَنَا بِالنَّاسِ مُنْقَصِفِينَ عَلَى رَجُلٍ فَضَاغَطْتُ عَلَيْهِ النَّاسَ فَإِذَا أَنَا بِالشَّيْخِ الَّذِي وَجَدْتُ بِالرَّبَذَةِ يَعْنِي أَبَا ذَرٍّ قَالَ فَلَمَّا رَآنِي عَرَفَنِي فَقَالَ هُوَ الَّذِي حَدَّثْتُكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯৫১
৮১. হজ্জ সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৫৬. মালিক (রাহঃ) ইবনে শিহাব (রাহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন, হজ্জের মধ্যে কোন কিছুর শর্ত আরোপ করা কিরূপ? তিনি বলিলেন, এমনও কেউ করে নাকি? এবং তিনি উক্ত বিষয়টির বিপক্ষে মতপ্রকাশ করিলেন।

মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল- স্বীয় পশুর (খাদ্যের) নিমিত্ত হারম শরীফের ঘাস কাটা যাইতে পারে কি? তিনি বলিলেনঃ না।
بَاب جَامِعِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ الْاسْتِثْنَاءِ فِي الْحَجِّ فَقَالَ أَوَ يَصْنَعُ ذَلِكَ أَحَدٌ وَأَنْكَرَ ذَلِكَ سُئِلَ مَالِك هَلْ يَحْتَشُّ الرَّجُلُ لِدَابَّتِهِ مِنْ الْحَرَمِ فَقَالَ لَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান