আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৯২৮
৭৬. বন্য পশু-পাখি হত্যার ফিদয়া
রেওয়ায়ত ২৩৩. আবুয যুবায়র মক্কী (রাহঃ) বর্ণনা করেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) হায়েনা হত্যার বেলায় একটি মেষ, হরিণের বেলায় একটি ছাগল এবং খরগোশ হত্যার বেলায় এক বৎসর বয়সের ছাগলছানা, বন্য ইদুর হত্যার বেলায় চার মাস বয়সের ছাগলছানা প্রদানের বিধান দিয়াছেন।
بَاب فِدْيَةِ مَا أُصِيبَ مِنْ الطَّيْرِ وَالْوَحْشِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَضَى فِي الضَّبُعِ بِكَبْشٍ وَفِي الْغَزَالِ بِعَنْزٍ وَفِي الْأَرْنَبِ بِعَنَاقٍ وَفِي الْيَرْبُوعِ بِجَفْرَةٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৯২৯
৭৬. বন্য পশু-পাখি হত্যার ফিদয়া
রেওয়ায়ত ২৩৩. মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রাহঃ) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট আসিয়া বলিলঃ আমি ও আমার সঙ্গী একটি গিরিবর্তে আমাদের ঘোড়া দৌড়াইয়া ইহরাম অবস্থায় একটি হরিণ শিকার করিয়া ফেলিয়াছি। উমর (রাযিঃ) তখন পার্শ্বে উপবিষ্ট এক ব্যক্তিকে বলিলেনঃ চলুন, আমরা দুইজনে ইহার একটি ফয়সালা করিয়া দেই। শেষে তাহারা উভয়ে ঐ ব্যক্তির উপর একটা বকরী ফিদয়া প্রদানের বিধান দেন। ঐ ব্যক্তি ফিরিয়া যাইতে যাইতে বলিতেছিলঃ ইনি আমিরুল মু’মিনীন, যিনি অন্যের সহযোগিতা ভিন্ন একটি হরিণের ফয়সালা দিতে পারিলেন না। উমর (রাযিঃ) তাহার উক্তি শুনিয়া ফেলিলেন। তাহাকে ডাকিয়া বলিলেনঃ তুমি কুরআনুল কারীমের সূরা-ই-মায়িদা পড়িয়াছ কি? সে বলিলঃ জি, না। তিনি বলিলেনঃ যিনি আমার সঙ্গে ফয়সালা দিয়াছেন তাহাকে চিন? সে বলিলঃ জি, না। উমর (রাযিঃ) তখন বলিলেনঃ যদি সূরা-ই-মায়িদা পড়িয়াছ বলিতে তবে তোমাকে আমি আজ শাস্তি দিতাম। আল্লাহ্ তাআলা তাহার কিতাবে (সূরা-ই-মায়িদায়) ইরশাদ করিয়াছেনঃ “তোমাদের দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ সত্যবাদী ব্যক্তি ফিদয়া সম্পর্কে ফয়সালা করিয়া দিবে। উহা কুরবানীর জন্য হইবে যাহা মক্কায় পৌছিবে।” আর যিনি আমার সহিত ফয়সালা প্রদানে সহযোগিতা করিয়াছেন ইনি হইতেছেন আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ)।
بَاب فِدْيَةِ مَا أُصِيبَ مِنْ الطَّيْرِ وَالْوَحْشِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ قُرَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ إِنِّي أَجْرَيْتُ أَنَا وَصَاحِبٌ لِي فَرَسَيْنِ نَسْتَبِقُ إِلَى ثُغْرَةِ ثَنِيَّةٍ فَأَصَبْنَا ظَبْيًا وَنَحْنُ مُحْرِمَانِ فَمَاذَا تَرَى فَقَالَ عُمَرُ لِرَجُلٍ إِلَى جَنْبِهِ تَعَالَ حَتَّى أَحْكُمَ أَنَا وَأَنْتَ قَالَ فَحَكَمَا عَلَيْهِ بِعَنْزٍ فَوَلَّى الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ هَذَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَحْكُمَ فِي ظَبْيٍ حَتَّى دَعَا رَجُلًا يَحْكُمُ مَعَهُ فَسَمِعَ عُمَرُ قَوْلَ الرَّجُلِ فَدَعَاهُ فَسَأَلَهُ هَلْ تَقْرَأُ سُورَةَ الْمَائِدَةِ قَالَ لَا قَالَ فَهَلْ تَعْرِفُ هَذَا الرَّجُلَ الَّذِي حَكَمَ مَعِي فَقَالَ لَا فَقَالَ لَوْ أَخْبَرْتَنِي أَنَّكَ تَقْرَأُ سُورَةَ الْمَائِدَةِ لَأَوْجَعْتُكَ ضَرْبًا ثُمَّ قَالَ إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ يَحْكُمُ بِهِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ وَهَذَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৯৩০
৭৬. বন্য পশু-পাখি হত্যার ফিদয়া
রেওয়ায়ত ২৩৫. হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) বর্ণনা করেন- তাহার পিতা উরওয়াহ বলিতেনঃ একটি বন্য গাভী হত্যা করিলে একটি গরু এবং হরিণ হত্যা করিলে একটি বকরী ফিদয়া দিতে হইবে।
بَاب فِدْيَةِ مَا أُصِيبَ مِنْ الطَّيْرِ وَالْوَحْشِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يَقُولُ فِي الْبَقَرَةِ مِنْ الْوَحْشِ بَقَرَةٌ وَفِي الشَّاةِ مِنْ الظِّبَاءِ شَاةٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৯৩১
৭৬. বন্য পশু-পাখি হত্যার ফিদয়া
রেওয়ায়ত ২৩৬. সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলেনঃ মক্কার কোন কবুতর শিকার করিলে একটি বকরী ফিদয়া দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মক্কার অধিবাসী কোন ব্যক্তি যদি হজ্জ বা উমরার ইহরাম বাঁধে আর তাহার ঘরে যদি মক্কার কবুতরের বাচ্চা থাকে আর ঐ ব্যক্তি কবুতরের বাসার মুখ বন্ধ করিয়া দেওয়ার ফলে যদি ঐ ছানা মারা যায়, তবে প্রতিটি ছানার পরিবর্তে এক একটি বকর ফিদয়া দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মক্কার অধিবাসী কোন ব্যক্তি যদি হজ্জ বা উমরার ইহরাম বাঁধে আর তাহার ঘরে যদি মক্কার কবুতরের বাচ্চা থাকে আর ঐ ব্যক্তি কবুতরের বাসার মুখ বন্ধ করিয়া দেওয়ার ফলে যদি ঐ ছানা মারা যায়, তবে প্রতিটি ছানার পরিবর্তে এক একটি বকর ফিদয়া দিতে হইবে।
بَاب فِدْيَةِ مَا أُصِيبَ مِنْ الطَّيْرِ وَالْوَحْشِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي حَمَامِ مَكَّةَ إِذَا قُتِلَ شَاةٌ
وَقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ يُحْرِمُ بِالْحَجِّ أَوْ الْعُمْرَةِ وَفِي بَيْتِهِ فِرَاخٌ مِنْ حَمَامِ مَكَّةَ فَيُغْلَقُ عَلَيْهَا فَتَمُوتُ فَقَالَ أَرَى بِأَنْ يَفْدِيَ ذَلِكَ عَنْ كُلِّ فَرْخٍ بِشَاةٍ
وَقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ يُحْرِمُ بِالْحَجِّ أَوْ الْعُمْرَةِ وَفِي بَيْتِهِ فِرَاخٌ مِنْ حَمَامِ مَكَّةَ فَيُغْلَقُ عَلَيْهَا فَتَمُوتُ فَقَالَ أَرَى بِأَنْ يَفْدِيَ ذَلِكَ عَنْ كُلِّ فَرْخٍ بِشَاةٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৯৩২
৭৬. বন্য পশু-পাখি হত্যার ফিদয়া
রেওয়ায়ত ২৩৭. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহরামরত ব্যক্তি যদি একটি উটপাখি মারিয়া ফেলে, তবে উহার বদলে একটি উট ফিদয়া দিতে হইবে। ইহাই আমি হামেশা শুনিয়া আসিয়াছি।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উটপাখির ডিম নষ্ট করিলে প্রতিটি ডিমের পরিবর্তে একটি উটের মূল্যের এক-দশমাংশ হিসাবে ফিদয়া দিতে হইবে। যেমন, আযাদ কোন মহিলার গর্ভস্থ সন্তান যদি কেউ মারিয়া ফেলে তবে ইহার কাফফারায় (মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন) একটি দাসী বা দাস আযাদ করিতে হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ পঞ্চাশ দীনার হইতেছে একটি মানুষের পূর্ণাঙ্গ দিয়্যতের (রক্তপণ) এক-দশমাংশ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ শকুন, বাজ, ঈগল, রখম (এক প্রকার শকুন জাতীয় প্রাণী) শিকার বলিয়া গণ্য। মুহরিম ব্যক্তি এইগুলি হত্যা করিলেও বদলা আদায় করিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ প্রাণী ছোট হউক আর বড় হউক যাহার যে ফিদয়ার বিধান করা হইয়াছে তাহাই আদায় করিতে হইবে। দিয়্যতের মধ্যে যেমন বড়-ছোটর তারতম্য হয় না, এইখানেও কোন তারতম্য করা হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উটপাখির ডিম নষ্ট করিলে প্রতিটি ডিমের পরিবর্তে একটি উটের মূল্যের এক-দশমাংশ হিসাবে ফিদয়া দিতে হইবে। যেমন, আযাদ কোন মহিলার গর্ভস্থ সন্তান যদি কেউ মারিয়া ফেলে তবে ইহার কাফফারায় (মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন) একটি দাসী বা দাস আযাদ করিতে হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ পঞ্চাশ দীনার হইতেছে একটি মানুষের পূর্ণাঙ্গ দিয়্যতের (রক্তপণ) এক-দশমাংশ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ শকুন, বাজ, ঈগল, রখম (এক প্রকার শকুন জাতীয় প্রাণী) শিকার বলিয়া গণ্য। মুহরিম ব্যক্তি এইগুলি হত্যা করিলেও বদলা আদায় করিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ প্রাণী ছোট হউক আর বড় হউক যাহার যে ফিদয়ার বিধান করা হইয়াছে তাহাই আদায় করিতে হইবে। দিয়্যতের মধ্যে যেমন বড়-ছোটর তারতম্য হয় না, এইখানেও কোন তারতম্য করা হইবে না।
بَاب فِدْيَةِ مَا أُصِيبَ مِنْ الطَّيْرِ وَالْوَحْشِ
قَالَ مَالِك لَمْ أَزَلْ أَسْمَعُ أَنَّ فِي النَّعَامَةِ إِذَا قَتَلَهَا الْمُحْرِمُ بَدَنَةً قَالَ مَالِك أَرَى أَنَّ فِي بَيْضَةِ النَّعَامَةِ عُشْرَ ثَمَنِ الْبَدَنَةِ كَمَا يَكُونُ فِي جَنِينِ الْحُرَّةِ غُرَّةٌ عَبْدٌ أَوْ وَلِيدَةٌ وَقِيمَةُ الْغُرَّةِ خَمْسُونَ دِينَارًا وَذَلِكَ عُشْرُ دِيَةِ أُمِّهِ وَكُلُّ شَيْءٍ مِنْ النُّسُورِ أَوْ الْعِقْبَانِ أَوْ الْبُزَاةِ أَوْ الرَّخَمِ فَإِنَّهُ صَيْدٌ يُودَى كَمَا يُودَى الصَّيْدُ إِذَا قَتَلَهُ الْمُحْرِمُ وَكُلُّ شَيْءٍ فُدِيَ فَفِي صِغَارِهِ مِثْلُ مَا يَكُونُ فِي كِبَارِهِ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ مَثَلُ دِيَةِ الْحُرِّ الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ فَهُمَا بِمَنْزِلَةٍ وَاحِدَةٍ سَوَاءٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: