আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৯১৬
৭২. কংকর নিক্ষেপের ব্যাপারে রুখসত
রেওয়ায়ত ২২১. আবুল বাদদা ইবনে আসিম ইবনে আদী (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উটের রাখালগণকে মিনা ব্যতীত অন্য স্থানেও রাত্রি যাপন করার অনুমতি প্রদান করিয়াছিলেন। দশ তারিখ এবং উহার পরদিন ও উহার পরবর্তী দিন (১১ ও ১২ তারিখ) সে রমিয়ে জমর (কংকর নিক্ষেপ) করিবে। চতুর্থ দিন অর্থাৎ ১৩ তারিখও যদি সে সেখানে অবস্থান করে তবে কংকর নিক্ষেপ করিবে।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي رَمْيِ الْجِمَارِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ أَبَا الْبَدَّاحِ بْنَ عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ لِرِعَاءِ الْإِبِلِ فِي الْبَيْتُوتَةِ خَارِجِينَ عَنْ مِنًى يَرْمُونَ يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ يَرْمُونَ الْغَدَ وَمِنْ بَعْدِ الْغَدِ لِيَوْمَيْنِ ثُمَّ يَرْمُونَ يَوْمَ النَّفْرِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৯১৭
৭২. কংকর নিক্ষেপের ব্যাপারে রুখসত
রেওয়ায়ত ২২২. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) আতা ইবনে আবি রাবাহ (রাহঃ)-কে উল্লেখ করিতে শুনিয়াছেন- উটের রাখালদিগকে কংকর নিক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হইয়াছে। আতা ইবনে রাবাহ বলেনঃ এই অনুমতি প্রথম যুগ হইতে প্রচলিত ছিল।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আবুল বাদ ইবনে আসিম ইবনে আলী বর্ণিত উপরিউক্ত হাদীসটির মর্মার্থ হইল, সে দশ তারিখে রমী করার পর এগার তারিখ অতিবাহিত হইয়া গেলে বার তারিখে আসিয়া এগার এবং বার উভয় তারিখের রমী করবে। কারণ ওয়াজিব হওয়ার পূর্বে কোন বস্তুর কাযা হয় না; যখন তাহার উপর ওয়াজিব হইল এবং সেইদিন অতিবাহিত হইল তখন সেইদিনের রমী কাযা করিতে হইবে।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي رَمْيِ الْجِمَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَذْكُرُ أَنَّهُ أُرْخِصَ لِلرِّعَاءِ أَنْ يَرْمُوا بِاللَّيْلِ يَقُولُ فِي الزَّمَانِ الْأَوَّلِ قَالَ مَالِك تَفْسِيرُ الْحَدِيثِ الَّذِي أَرْخَصَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِرِعَاءِ الْإِبِلِ فِي تَأْخِيرِ رَمْيِ الْجِمَارِ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنَّهُمْ يَرْمُونَ يَوْمَ النَّحْرِ فَإِذَا مَضَى الْيَوْمُ الَّذِي يَلِي يَوْمَ النَّحْرِ رَمَوْا مِنْ الْغَدِ وَذَلِكَ يَوْمُ النَّفْرِ الْأَوَّلِ فَيَرْمُونَ لِلْيَوْمِ الَّذِي مَضَى ثُمَّ يَرْمُونَ لِيَوْمِهِمْ ذَلِكَ لِأَنَّهُ لَا يَقْضِي أَحَدٌ شَيْئًا حَتَّى يَجِبَ عَلَيْهِ فَإِذَا وَجَبَ عَلَيْهِ وَمَضَى كَانَ الْقَضَاءُ بَعْدَ ذَلِكَ فَإِنْ بَدَا لَهُمْ النَّفْرُ فَقَدْ فَرَغُوا وَإِنْ أَقَامُوا إِلَى الْغَدِ رَمَوْا مَعَ النَّاسِ يَوْمَ النَّفْرِ الْآخِرِ وَنَفَرُوا
হাদীস নং:৯১৮
৭২. কংকর নিক্ষেপের ব্যাপারে রুখসত
রেওয়ায়ত ২২৩. আবু বকর ইবনে নাফি’ (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন- সফিয়া বিনতে আবি উবায়দের ভ্রাতৃকন্যার মুযদালিফায় নিফাস শুরু হয়। শেষে তিনি এবং তাহার ভ্রাতৃকন্যা সেখানেই থাকিয়া যান। দশ তারিখ যখন তাহারা মিনায় পৌছিলেন তখন সূর্য উঠিয়া গিয়াছিল। মিনায় পৌছার পর আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) উভয়কে কংকর নিক্ষেপের নির্দেশ দিলেন। তবে তাহাদের উপর কোন বদলার হুকুম দেন নাই।

মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিলঃ কেউ যদি মিনার দিবসগুলির কোন তারিখের রমী করিতে তুলিয়া যায় আর এইদিকে সূর্যও অস্তমিত হইয়া যায় তবে সে কি করিবে? তিনি বলিলেনঃ রাতে বা দিনে যখনই স্মরণ হইবে রমী করিয়া নিবে। নামাযের কথা ভুলিয়া গেলে যেমন রাত্রে বা দিনে যখনই স্মরণ হয় তখনই পড়িয়া নিতে হয়, এখানেও তাহাই করিবে। তবে মিনা হইতে চলিয়া যাওয়ার পর যদি স্মরণ হয় তবে তাহার উপর কুরবানী দেওয়া ওয়াজিব হইবে।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي رَمْيِ الْجِمَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ نَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ ابْنَةَ أَخٍ لِصَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ نُفِسَتْ بِالْمُزْدَلِفَةِ فَتَخَلَّفَتْ هِيَ وَصَفِيَّةُ حَتَّى أَتَتَا مِنًى بَعْدَ أَنْ غَرَبَتْ الشَّمْسُ مِنْ يَوْمِ النَّحْرِ فَأَمَرَهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَنْ تَرْمِيَا الْجَمْرَةَ حِينَ أَتَتَا وَلَمْ يَرَ عَلَيْهِمَا شَيْئًا
قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَمَّنْ نَسِيَ جَمْرَةً مِنْ الْجِمَارِ فِي بَعْضِ أَيَّامِ مِنًى حَتَّى يُمْسِيَ قَالَ لِيَرْمِ أَيَّ سَاعَةٍ ذَكَرَ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ كَمَا يُصَلِّي الصَّلَاةَ إِذَا نَسِيَهَا ثُمَّ ذَكَرَهَا لَيْلًا أَوْ نَهَارًا فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ بَعْدَ مَا صَدَرَ وَهُوَ بِمَكَّةَ أَوْ بَعْدَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا فَعَلَيْهِ الْهَدْيُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান