আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮৪৯
৪৮. মুহরিম ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করিলে তাহার কুরবানী
রেওয়ায়ত ১৫৪. মালিক (রাহঃ) বলেন, তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ), আলী ইবনে আবি তালিব (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল- ইহরাম অবস্থায় কেউ যদি স্ত্রীর সহিত সহবাস করে তবে সে কি করিবে? তাহারা বলিলেনঃ স্বামী-স্ত্রী উভয়েই হজ্জের অবশিষ্ট রুকনগুলি আদায় করিয়া হজ্জ পুরা করিবে। আগামী বৎসর তাহাদিগকে পুনরায় হজ্জ করিতে হইবে এবং কুরবানী দিতে হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আলী ইবনে আবি তালিব (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ আগামী বৎসর পুনরায় হজ্জের ইহরাম বাঁধিলে হজ্জ পুরা না হওয়া পর্যন্ত তাহারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে আলাদা আলাদা থাকিবে।
بَاب هَدْيِ الْمُحْرِمِ إِذَا أَصَابَ أَهْلَهُ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَعَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَأَبَا هُرَيْرَةَ سُئِلُوا عَنْ رَجُلٍ أَصَابَ أَهْلَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ بِالْحَجِّ فَقَالُوا يَنْفُذَانِ يَمْضِيَانِ لِوَجْهِهِمَا حَتَّى يَقْضِيَا حَجَّهُمَا ثُمَّ عَلَيْهِمَا حَجُّ قَابِلٍ وَالْهَدْيُ قَالَ وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَإِذَا أَهَلَّا بِالْحَجِّ مِنْ عَامٍ قَابِلٍ تَفَرَّقَا حَتَّى يَقْضِيَا حَجَّهُمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৫০
৪৮. মুহরিম ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করিলে তাহার কুরবানী
রেওয়ায়ত ১৫৫. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-এর নিকট শুনিয়াছেন- তিনি সমবেত লোকদেরকে লক্ষ করিয়া বলিতেছিলেনঃ ইহরাম অবস্থায় যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করে তাহার সম্পর্কে তোমরা কি বল? উপস্থিত সকলেই চুপ হইয়া রহিলেন। শেষে সাঈদ (রাহঃ) নিজেই বলিলেনঃ এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করিয়াছিল। পরে সে এই সম্পর্কে মাসআলা জিজ্ঞাসার জন্য এক ব্যক্তিকে মদীনায় প্রেরণ করে। কেউ কেউ জবাব দিলেনঃ স্বামী-স্ত্রী এক বৎসর পর্যন্ত উভয়েই আলাদা হইয়া থাকিবে।

কিন্তু সাঈদ (রাহঃ) বললেনঃ এই বৎসর তাহারা হজ্জে অবশিষ্ট কাজসমূহ পুরা করবে। পরের বৎসর জীবিত থাকিলে পুনরায় হজ্জ করিবে এবং কুরবানী দিবে। প্রথম হজ্জের ইহরাম যে স্থান হইতে বাঁধিয়াছিল এই হজ্জের ইহরামও সেই স্থান হইতে বাঁধিবে। আর কাযা হজ্জ করিতে যখন আসিবে তখন উভয়েই তাহারা হজ্জ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আলাদা আলাদা থাকিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উভয়কেই এক একটি করিয়া কুরবানী করিতে হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আরাফাতে অবস্থানের পর এবং প্রস্তর নিক্ষেপের পূর্বে যদি কেউ স্ত্রী সহবাস করে তবে তাহার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হইবে এবং আগামী বৎসর পুনরায় তাহাকে হজ্জ করিতে হইবে। রমিয়ে হাজর বা প্রস্তর নিক্ষেপের পর যদি স্ত্রী সহবাস করে, তবে তাহাকে একটি উমরা এবং একটি কুরবানী করিতে হইবে। পরেরবার পুনরায় হজ্জ করিতে হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ স্খলন না হইয়া শুধু পুরুষাঙ্গ প্রবিষ্ট হইলেও হজ্জ ও উমরা বিনষ্ট হইয়া যাইবে এবং হাদয়ী ওয়াজিব হইবে। প্রবিষ্ট না হইয়াও যদি রতিলীলায় স্খলন হইয়া যায় তবুও হজ্জ বিনষ্ট হইয়া যাইবে।

আর কল্পনা করার দরুন যদি কাহারও স্খলন হইয়া যায় তবে ইহাতে কিছুই ওয়াজিব হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেউ স্ত্রীকে চুমা খাইলে স্খলন না হইলেও তাহার উপর কুরবানী ওয়াজিব হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোন মুহরিম মহিলার স্বামী যদি তাহার সম্মতিক্রমে তাহার সঙ্গে হজ্জ ও উমরার মধ্যে কয়েকবার সহবাস করে তবে ঐ মহিলাকে পরের বৎসর এই হজ্জের কায আদায় করিতে হইবে এবং কুরবানী দিতে হইবে। আর এইরূপ সহবাস উমরার মধ্যে হইলেও অতি সত্বর উমরা কাযা করিতে হইবে ও কুরবানী দিতে হইবে।
بَاب هَدْيِ الْمُحْرِمِ إِذَا أَصَابَ أَهْلَهُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ مَا تَرَوْنَ فِي رَجُلٍ وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَلَمْ يَقُلْ لَهُ الْقَوْمُ شَيْئًا فَقَالَ سَعِيدٌ إِنَّ رَجُلًا وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَبَعَثَ إِلَى الْمَدِينَةِ يَسْأَلُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ يُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا إِلَى عَامٍ قَابِلٍ فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ لِيَنْفُذَا لِوَجْهِهِمَا فَلْيُتِمَّا حَجَّهُمَا الَّذِي أَفْسَدَاهُ فَإِذَا فَرَغَا رَجَعَا فَإِنْ أَدْرَكَهُمَا حَجٌّ قَابِلٌ فَعَلَيْهِمَا الْحَجُّ وَالْهَدْيُ وَيُهِلَّانِ مِنْ حَيْثُ أَهَلَّا بِحَجِّهِمَا الَّذِي أَفْسَدَاهُ وَيَتَفَرَّقَانِ حَتَّى يَقْضِيَا حَجَّهُمَا قَالَ مَالِك يُهْدِيَانِ جَمِيعًا بَدَنَةً بَدَنَةً
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ فِي الْحَجِّ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَنْ يَدْفَعَ مِنْ عَرَفَةَ وَيَرْمِيَ الْجَمْرَةَ إِنَّهُ يَجِبُ عَلَيْهِ الْهَدْيُ وَحَجُّ قَابِلٍ قَالَ فَإِنْ كَانَتْ إِصَابَتُهُ أَهْلَهُ بَعْدَ رَمْيِ الْجَمْرَةِ فَإِنَّمَا عَلَيْهِ أَنْ يَعْتَمِرَ وَيُهْدِيَ وَلَيْسَ عَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ قَالَ مَالِك وَالَّذِي يُفْسِدُ الْحَجَّ أَوْ الْعُمْرَةَ حَتَّى يَجِبَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ الْهَدْيُ فِي الْحَجِّ أَوْ الْعُمْرَةِ الْتِقَاءُ الْخِتَانَيْنِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَاءٌ دَافِقٌ قَالَ وَيُوجِبُ ذَلِكَ أَيْضًا الْمَاءُ الدَّافِقُ إِذَا كَانَ مِنْ مُبَاشَرَةٍ فَأَمَّا رَجُلٌ ذَكَرَ شَيْئًا حَتَّى خَرَجَ مِنْهُ مَاءٌ دَافِقٌ فَلَا أَرَى عَلَيْهِ شَيْئًا وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا قَبَّلَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَكُنْ مِنْ ذَلِكَ مَاءٌ دَافِقٌ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ فِي الْقُبْلَةِ إِلَّا الْهَدْيُ وَلَيْسَ عَلَى الْمَرْأَةِ الَّتِي يُصِيبُهَا زَوْجُهَا وَهِيَ مُحْرِمَةٌ مِرَارًا فِي الْحَجِّ أَوْ الْعُمْرَةِ وَهِيَ لَهُ فِي ذَلِكَ مُطَاوِعَةٌ إِلَّا الْهَدْيُ وَحَجُّ قَابِلٍ إِنْ أَصَابَهَا فِي الْحَجِّ وَإِنْ كَانَ أَصَابَهَا فِي الْعُمْرَةِ فَإِنَّمَا عَلَيْهَا قَضَاءُ الْعُمْرَةِ الَّتِي أَفْسَدَتْ وَالْهَدْيُ