আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮৪৩
৪৬. হাদয়ী হাকাইয়া নেওয়ার পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ১৪৮. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত- আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) মদীনা হইতে যখন কুরবানীর পশু (হাদয়ী) নিয়া যাইতেন তখন যুল-হুলায়ফা পৌছিয়া ইহার গলায় চিহ্নের জন্য কিছু একটা লটকাইয়া দিতেন এবং সেখানেই উহার ইশআর (কাঁধের চামড়া যখম করিয়া রক্ত মাখাইয়া দেওয়া) করিতেন। প্রথমে ঐ পশুটির মুখ কিবলার দিকে করিয়া ইহার গলায় দুইটি জুতা লটকাইয়া দিতেন, পরে বাম দিকের কাঁধের চামড়া চিরিয়া উহা রক্তাক্ত করিতেন এবং নিজের সঙ্গে উহা হাঁকাইয়া নিয়া চলিতেন। আরাফাতে পৌছিয়া সকলে যেখানে অবস্থান করিতেন, তিনিও সেখানে অবস্থান করিতেন। সকলেই যখন ফিরিয়া আসিত কুরবানীর পশুটিও সঙ্গে ফিরিত। ইয়াওমুন নাহরের সকালে মিনায় পৌছিয়া মাথা কামানো বা চুল ছাটার পূর্বেই কুরবানীর পশুটি নাহর করিতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) স্বীয় কুরবানীর পশুটি স্বহস্তে নাহর করিতেন। কিবলামুখ করিয়া প্রথমে কুরবানীর পশুগুলি কাতার করাইয়া দাঁড় করাইতেন, পরে এইগুলি নাহর করিতেন এবং এই গোশত নিজেও খাইতেন এবং অন্যদেরকেও খাওয়াইতেন।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْهَدْيِ حِينَ يُسَاقُ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا أَهْدَى هَدْيًا مِنْ الْمَدِينَةِ قَلَّدَهُ وَأَشْعَرَهُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ يُقَلِّدُهُ قَبْلَ أَنْ يُشْعِرَهُ وَذَلِكَ فِي مَكَانٍ وَاحِدٍ وَهُوَ مُوَجَّهٌ لِلْقِبْلَةِ يُقَلِّدُهُ بِنَعْلَيْنِ وَيُشْعِرُهُ مِنْ الشِّقِّ الْأَيْسَرِ ثُمَّ يُسَاقُ مَعَهُ حَتَّى يُوقَفَ بِهِ مَعَ النَّاسِ بِعَرَفَةَ ثُمَّ يَدْفَعُ بِهِ مَعَهُمْ إِذَا دَفَعُوا فَإِذَا قَدِمَ مِنًى غَدَاةَ النَّحْرِ نَحَرَهُ قَبْلَ أَنْ يَحْلِقَ أَوْ يُقَصِّرَ وَكَانَ هُوَ يَنْحَرُ هَدْيَهُ بِيَدِهِ يَصُفُّهُنَّ قِيَامًا وَيُوَجِّهُهُنَّ إِلَى الْقِبْلَةِ ثُمَّ يَأْكُلُ وَيُطْعِمُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৮৪৪
৪৬. হাদয়ী হাকাইয়া নেওয়ার পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ১৪৯. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) ইশআর করার উদ্দেশ্যে যখন কুরবানীর উটের কুঁজে যখম করিতেন তখন বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার বলিতেন।

নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত- আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিতেনঃ কাদয়ী হইল সেই পশু যাহার গলায় হার লটকানো হইয়াছে, যাহার কুঁজ চিরিয়া যখম করা হইয়াছে এবং আরাফাতের ময়দানে নিয়া দাঁড় করানো হইয়াছে।

নাফি (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কুরবানীর উটসমূহকে মিসরীয় কুবাতি ও আনমাত কাপড় পরাইতেন। কুরবানীর পর কাপড়সমূহ বায়তুল্লাহর গিলাফ হিসাবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে পাঠাইয়া দিতেন।

মালিক (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনে সীনার (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেনঃ পরে বায়তুল্লাহর জন্য যখন আলাদা গিলাফ বানাইয়া নেওয়া হইল তখন আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) কুরবানীর উটসমূহের এই কাপড়-চোপড় কি করিতেন? তিনি বলিলেনঃ এইগুলি তিনি তখন খয়রাত করিয়া দিতেন।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْهَدْيِ حِينَ يُسَاقُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا طَعَنَ فِي سَنَامِ هَدْيِهِ وَهُوَ يُشْعِرُهُ قَالَ بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ الْهَدْيُ مَا قُلِّدَ وَأُشْعِرَ وَوُقِفَ بِهِ بِعَرَفَةَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُجَلِّلُ بُدْنَهُ الْقُبَاطِيَّ وَالْأَنْمَاطَ وَالْحُلَلَ ثُمَّ يَبْعَثُ بِهَا إِلَى الْكَعْبَةِ فَيَكْسُوهَا إِيَّاهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ دِينَارٍ مَا كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَصْنَعُ بِجِلَالِ بُدْنِهِ حِينَ كُسِيَتْ الْكَعْبَةُ هَذِهِ الْكِسْوَةَ قَالَ كَانَ يَتَصَدَّقُ بِهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৮৪৫
৪৬. হাদয়ী হাকাইয়া নেওয়ার পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ১৫০. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিতেনঃ কুরবানীর উট পাঁচ বা ততোধিক বৎসর বয়সের হইতে হইবে।

নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত- আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) তাহার কুরবানীর উটের কাপড়-চোপড় মিনা আরাফাতে না যাওয়া পর্যন্ত ছিড়িতেন না বা পরাইতেন না।

হিশাম ইবনে উরওয়াহ্ (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, তিনি স্বীয় পুত্রগণকে বলিতেনঃ বৎসগণ আল্লাহর নামে তোমরা এমন উট কুরবানী দিও না একজন দোস্তকে যাহা দিতে লজ্জা কর। আল্লাহ্ তাআলা সবচাইতে সম্মানিত। সুতরাং সর্বোত্তম বস্তুই তাহার জন্য নির্বাচন করা উচিত।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْهَدْيِ حِينَ يُسَاقُ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ فِي الضَّحَايَا وَالْبُدْنِ الثَّنِيُّ فَمَا فَوْقَهُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ لَا يَشُقُّ جِلَالَ بُدْنِهِ وَلَا يُجَلِّلُهَا حَتَّى يَغْدُوَ مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لِبَنِيهِ يَا بَنِيَّ لَا يُهْدِيَنَّ أَحَدُكُمْ مِنْ الْبُدْنِ شَيْئًا يَسْتَحْيِي أَنْ يُهْدِيَهُ لِكَرِيمِهِ فَإِنَّ اللَّهَ أَكْرَمُ الْكُرَمَاءِ وَأَحَقُّ مَنْ اخْتِيرَ لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী: