আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮২৭
৪২. সা’য়ী সম্পর্কে বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ১৩২. হিশাম ইবনে উরওয়াহ (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেন, আমি উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাযিঃ)-কে বললাম (তখন আমি অল্প বয়স্ক), দেখুন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ) সুতরাং যে কেউ বাইতুল্লাহর হজ্জ বা উমরা করিবে তাহার জন্য এই দুইটির মধ্যে সায়ী করায় কোন গুনাহ নাই- তাই কেউ যদি সায়ী না করে তবে ইহাতে তাহার গুনাহ হইবে কি? তিনি বলিলেনঃ সাবধান, তুমি যাহা বুঝিয়াছ তাহা ঠিক নহে। তাহাই যদি হইত তবে আয়াতে বলার ভঙ্গী হইত- এই দুইয়ের মধ্যে সায়ী না করায় কোন গুনাহ নাই। (অথচ আল্লাহ্ তাআলা বলিয়াছেনঃ সায়ী করায় কোন গুনাহ নাই।)
এই আয়াতটি মূলত আনসারদের ব্যাপারে নাযিল হইয়াছিল। ইহারা জাহিলী যুগে মানাতের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাধিয়া হজ্জের নিয়তে আসিত। মক্কার পথে কুদায়দ নামক স্থানের বিপরীতে ছিল ওদের দেবী মানাত। সাফা-মারওয়ায় সায়ী করা তাহারা মনে করিত গুনাহর কাজ। ইসলাম আসার পর তাহারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তখন নাযিল হয় এই আয়াতঃ
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا
অর্থাৎ, সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কেহ কাবা গৃহের হজ্জ কিংবা উমরা সম্পন্ন করে এই দুইটির মধ্যে যাতায়াত করিলে তাহার কোন পাপ নাই। (বাকারাঃ ১৫৮)
এই আয়াতটি মূলত আনসারদের ব্যাপারে নাযিল হইয়াছিল। ইহারা জাহিলী যুগে মানাতের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাধিয়া হজ্জের নিয়তে আসিত। মক্কার পথে কুদায়দ নামক স্থানের বিপরীতে ছিল ওদের দেবী মানাত। সাফা-মারওয়ায় সায়ী করা তাহারা মনে করিত গুনাহর কাজ। ইসলাম আসার পর তাহারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তখন নাযিল হয় এই আয়াতঃ
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا
অর্থাৎ, সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কেহ কাবা গৃহের হজ্জ কিংবা উমরা সম্পন্ন করে এই দুইটির মধ্যে যাতায়াত করিলে তাহার কোন পাপ নাই। (বাকারাঃ ১৫৮)
بَاب جَامِعِ السَّعْيِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ أَرَأَيْتِ قَوْلَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوْ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا فَمَا عَلَى الرَّجُلِ شَيْءٌ أَنْ لَا يَطَّوَّفَ بِهِمَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ كَلَّا لَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ لَكَانَتْ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يَطَّوَّفَ بِهِمَا إِنَّمَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فِي الْأَنْصَارِ كَانُوا يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ وَكَانَتْ مَنَاةُ حَذْوَ قُدَيْدٍ وَكَانُوا يَتَحَرَّجُونَ أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَلَمَّا جَاءَ الْإِسْلَامُ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوْ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৮২৮
৪২. সা’য়ী সম্পর্কে বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ১৩৩. হিশাম ইবনে উরওয়াহ (রাহঃ) বর্ণনা করেন- আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর কন্যা সাওদা (রাহঃ) ছিলেন উরওয়াহ ইবনে যুবায়র (রাহঃ)-এর স্ত্রী। একবার হজ্জ বা উমরার সময় তিনি সাফা-মারওয়ার সায়ীর জন্য বাহির হন। তিনি মোটা ধরনের মহিলা ছিলেন। ইশার নামায পড়িয়া মানুষ যখন বাহির হইয়াছিল তখন তিনি হ্যাঁটিয়া হ্যাঁটিয়া হজ্জ অথবা উমরার তাওয়াফ ও সায়ী শুরু করিয়াছিলেন। কিন্তু তখনও সায়ী শেষ হইতে পারে নাই, আর এইদিকে ফজরের আযান হইয়া যায়। সায়ী শেষ করিতে তাহার ইশা হইতে ফজর পর্যন্ত সময় লাগিয়াছিল। উরওয়াহ কাহাকেও কোন কিছুতে আরোহণ করিয়া সায়ী করিতে দেখিলে কঠোরভাবে নিষেধ করিতেন। লোকেরা তাহাকে দেখিলে অসুস্থতার বাহানা করিত। তিনি পরে আমাদের নিকট আলাপে বলিতেনঃ ইহারা (যাহারা সওয়ার হইয়া সায়ী করে) ক্ষতিগ্রস্ত, তাহারা স্বীয় উদ্দেশ্য হাসিল করিতে পারে নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমরা করার সময় সাফা-মারওয়ার সায়ী করিতে যদি ভুলিয়া যায় এবং মক্কা হইতে দূরে চলিয়া যাওয়ার পর ইহা স্মরণ হইলে তাহাকে পুনরায় মক্কায় আসিয়া সায়ী করিতে হইবে। আর ইহার মধ্যে স্ত্রী সহবাস করিয়া থাকিলে তবে ফিরিয়া আসিয়া সায়ী করিবে এবং দ্বিতীয়বার উমরা করিবে এবং হাদয়ী কুরবানী দিবে।
মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইলঃ সায়ী করার সময় যদি কেউ কাহারও সঙ্গে দাঁড়াইয়া কথা বলিতে শুরু করে তবে কেমন হইবে? তিনি বলিলেনঃ আমি ইহাকে পছন্দ করি না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেউ যদি তাওয়াফ করিতে গিয়া কোন চক্কর ভুলিয়া যায় বা এই সম্পর্কে তাহার সন্দেহ হয়, পরে সায়ী করার সময় যদি তাহার উহা খেয়াল হয় তবে সায়ী মউকুফ করিয়া দিবে এবং প্রথমে ইয়াকীনের উপর ভিত্তি করিয়া তাওয়াফ পুরা করিয়া দুই রাক'আত তাওয়াফের নামায পড়িয়া নুতনভাবে সায়ী করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমরা করার সময় সাফা-মারওয়ার সায়ী করিতে যদি ভুলিয়া যায় এবং মক্কা হইতে দূরে চলিয়া যাওয়ার পর ইহা স্মরণ হইলে তাহাকে পুনরায় মক্কায় আসিয়া সায়ী করিতে হইবে। আর ইহার মধ্যে স্ত্রী সহবাস করিয়া থাকিলে তবে ফিরিয়া আসিয়া সায়ী করিবে এবং দ্বিতীয়বার উমরা করিবে এবং হাদয়ী কুরবানী দিবে।
মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইলঃ সায়ী করার সময় যদি কেউ কাহারও সঙ্গে দাঁড়াইয়া কথা বলিতে শুরু করে তবে কেমন হইবে? তিনি বলিলেনঃ আমি ইহাকে পছন্দ করি না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেউ যদি তাওয়াফ করিতে গিয়া কোন চক্কর ভুলিয়া যায় বা এই সম্পর্কে তাহার সন্দেহ হয়, পরে সায়ী করার সময় যদি তাহার উহা খেয়াল হয় তবে সায়ী মউকুফ করিয়া দিবে এবং প্রথমে ইয়াকীনের উপর ভিত্তি করিয়া তাওয়াফ পুরা করিয়া দুই রাক'আত তাওয়াফের নামায পড়িয়া নুতনভাবে সায়ী করিবে।
بَاب جَامِعِ السَّعْيِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ أَنَّ سَوْدَةَ بِنْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ كَانَتْ عِنْدَ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ فَخَرَجَتْ تَطُوفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فِي حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ مَاشِيَةً وَكَانَتْ امْرَأَةً ثَقِيلَةً فَجَاءَتْ حِينَ انْصَرَفَ النَّاسُ مِنْ الْعِشَاءِ فَلَمْ تَقْضِ طَوَافَهَا حَتَّى نُودِيَ بِالْأُولَى مِنْ الصُّبْحِ فَقَضَتْ طَوَافَهَا فِيمَا بَيْنَهَا وَبَيْنَهُ وَكَانَ عُرْوَةُ إِذَا رَآهُمْ يَطُوفُونَ عَلَى الدَّوَابِّ يَنْهَاهُمْ أَشَدَّ النَّهْيِ فَيَعْتَلُّونَ بِالْمَرَضِ حَيَاءً مِنْهُ فَيَقُولُ لَنَا فِيمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ لَقَدْ خَابَ هَؤُلَاءِ وَخَسِرُوا
قَالَ مَالِك مَنْ نَسِيَ السَّعْيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فِي عُمْرَةٍ فَلَمْ يَذْكُرْ حَتَّى يَسْتَبْعِدَ مِنْ مَكَّةَ أَنَّهُ يَرْجِعُ فَيَسْعَى وَإِنْ كَانَ قَدْ أَصَابَ النِّسَاءَ فَلْيَرْجِعْ فَلْيَسْعَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى يُتِمَّ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ عَلَيْهِ عُمْرَةٌ أُخْرَى وَالْهَدْيُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَلْقَاهُ الرَّجُلُ بَيْنَالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَيَقِفُ مَعَهُ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ لَا أُحِبُّ لَهُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَمَنْ نَسِيَ مِنْ طَوَافِهِ شَيْئًا أَوْ شَكَّ فِيهِ فَلَمْ يَذْكُرْ إِلَّا وَهُوَ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَإِنَّهُ يَقْطَعُ سَعْيَهُ ثُمَّ يُتِمُّ طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عَلَى مَا يَسْتَيْقِنُ وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْ الطَّوَافِ ثُمَّ يَبْتَدِئُ سَعْيَهُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
قَالَ مَالِك مَنْ نَسِيَ السَّعْيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فِي عُمْرَةٍ فَلَمْ يَذْكُرْ حَتَّى يَسْتَبْعِدَ مِنْ مَكَّةَ أَنَّهُ يَرْجِعُ فَيَسْعَى وَإِنْ كَانَ قَدْ أَصَابَ النِّسَاءَ فَلْيَرْجِعْ فَلْيَسْعَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى يُتِمَّ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ عَلَيْهِ عُمْرَةٌ أُخْرَى وَالْهَدْيُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَلْقَاهُ الرَّجُلُ بَيْنَالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَيَقِفُ مَعَهُ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ لَا أُحِبُّ لَهُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَمَنْ نَسِيَ مِنْ طَوَافِهِ شَيْئًا أَوْ شَكَّ فِيهِ فَلَمْ يَذْكُرْ إِلَّا وَهُوَ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَإِنَّهُ يَقْطَعُ سَعْيَهُ ثُمَّ يُتِمُّ طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عَلَى مَا يَسْتَيْقِنُ وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْ الطَّوَافِ ثُمَّ يَبْتَدِئُ سَعْيَهُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৮২৯
৪২. সা’য়ী সম্পর্কে বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ১৩৪. জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাফা ও মারওয়াতে সায়ী করিতে আসিলে সাধারণভাবে হ্যাঁটিতেন, মধ্যবর্তী নিম্নভূমিতে (বাতনে ওয়াদী) যখন চলিতেন তখন ইহা হইতে বাহির না হওয়া পর্যন্ত দ্রুত চলিতেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি অজ্ঞতার কারণে তাওয়াফের পূর্বে সায়ী করিয়া ফেলে তবে সে ফিরিয়া আসিয়া তাওয়াফ করার পর পুনরায় সায়ী করিবে। তাওয়াফের কথা তুলিয়া মক্কা হইতে দূরে চলিয়া গেলে যত দূরেই যাক তাহাকে ফিরিয়া আসিতে হইবে এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিতে হইবে। আর স্ত্রী সহবাস করিয়া থাকিলে তবে ফিরিয়া আসিয়া তাওয়াফ ও সায়ী করিতে হইবে এবং উমরার বাকি কার্যাদি সমাধা করিবে। তাহার পক্ষে পুনরায় উমরা করা এবং হাদয়ী কুরবানী করা ওয়াজিব।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি অজ্ঞতার কারণে তাওয়াফের পূর্বে সায়ী করিয়া ফেলে তবে সে ফিরিয়া আসিয়া তাওয়াফ করার পর পুনরায় সায়ী করিবে। তাওয়াফের কথা তুলিয়া মক্কা হইতে দূরে চলিয়া গেলে যত দূরেই যাক তাহাকে ফিরিয়া আসিতে হইবে এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিতে হইবে। আর স্ত্রী সহবাস করিয়া থাকিলে তবে ফিরিয়া আসিয়া তাওয়াফ ও সায়ী করিতে হইবে এবং উমরার বাকি কার্যাদি সমাধা করিবে। তাহার পক্ষে পুনরায় উমরা করা এবং হাদয়ী কুরবানী করা ওয়াজিব।
بَاب جَامِعِ السَّعْيِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا نَزَلَ مِنْ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مَشَى حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ فِي بَطْنِ الْوَادِي سَعَى حَتَّى يَخْرُجَ مِنْهُ
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ جَهِلَ فَبَدَأَ بِالسَّعْيِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ قَالَ لِيَرْجِعْ فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لْيَسْعَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَإِنْ جَهِلَ ذَلِكَ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ مَكَّةَ وَيَسْتَبْعِدَ فَإِنَّهُ يَرْجِعُ إِلَى مَكَّةَ فَيَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَيَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَإِنْ كَانَ أَصَابَ النِّسَاءَ رَجَعَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى يُتِمَّ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ عَلَيْهِ عُمْرَةٌ أُخْرَى وَالْهَدْيُ
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ جَهِلَ فَبَدَأَ بِالسَّعْيِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ قَالَ لِيَرْجِعْ فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لْيَسْعَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَإِنْ جَهِلَ ذَلِكَ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ مَكَّةَ وَيَسْتَبْعِدَ فَإِنَّهُ يَرْجِعُ إِلَى مَكَّةَ فَيَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَيَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَإِنْ كَانَ أَصَابَ النِّسَاءَ رَجَعَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى يُتِمَّ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ عَلَيْهِ عُمْرَةٌ أُخْرَى وَالْهَدْيُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান