আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮১৮
৩৯. বিদায়ী তাওয়াফ
রেওয়ায়ত ১২৩. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ বায়তুল্লাহর তাওয়াফ না করিয়া হাজীগণের কেউ যেন মক্কা হইতে না ফিরে। কারণ হজ্জের শেষ আমল হইল বায়তুল্লাহর তাওয়াফ।*
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ‘শেষ আমল বায়তুল্লাহর তাওয়াফ উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর এই উক্তির অর্থ হইল, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ
وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ
যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মর্যাদা দিবে উহা তাহার আল্লাহভীতি হইতেই উৎসারিত। এ সবকিছুরই সম্পর্ক বায়তুল্লাহর সঙ্গে। সুতরাং হজ্জের সমস্ত রুকন ও আমল বায়তুল্লাহতে যাইয়াই শেষ হয়।
* এই তাওয়াফকে তাওয়াফুল-বিদা বা বিদায়ী তাওয়াফ বলা হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ‘শেষ আমল বায়তুল্লাহর তাওয়াফ উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর এই উক্তির অর্থ হইল, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ
وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ
যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মর্যাদা দিবে উহা তাহার আল্লাহভীতি হইতেই উৎসারিত। এ সবকিছুরই সম্পর্ক বায়তুল্লাহর সঙ্গে। সুতরাং হজ্জের সমস্ত রুকন ও আমল বায়তুল্লাহতে যাইয়াই শেষ হয়।
* এই তাওয়াফকে তাওয়াফুল-বিদা বা বিদায়ী তাওয়াফ বলা হয়।
بَاب وَدَاعِ الْبَيْتِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لَا يَصْدُرَنَّ أَحَدٌ مِنْ الْحَاجِّ حَتَّى يَطُوفَ بِالْبَيْتِ فَإِنَّ آخِرَ النُّسُكِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ قَالَ مَالِك فِي قَوْلِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَإِنَّ آخِرَ النُّسُكِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ إِنَّ ذَلِكَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ لِقَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ وَقَالَ ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ فَمَحِلُّ الشَّعَائِرِ كُلِّهَا وَانْقِضَاؤُهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮১৯
৩৯. বিদায়ী তাওয়াফ
রেওয়ায়ত ১২৪. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এক ব্যক্তিকে মাররুয-যাহরান (মক্কা হইতে ১৮ মাইল দূরে অবস্থিত একটি স্থান) হইতে ফিরাইয়া দিয়াছিলেন। কারণ সে তাওয়াফুল বিদা করিয়া আসে নাই।
بَاب وَدَاعِ الْبَيْتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَدَّ رَجُلًا مِنْ مَرِّ الظَّهْرَانِ لَمْ يَكُنْ وَدَّعَ الْبَيْتَ حَتَّى وَدَّعَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮২০
৩৯. বিদায়ী তাওয়াফ
রেওয়ায়ত ১২৫. হিশাম ইবনে উরওয়াহ (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেনঃ তাওয়াফে ইফাযা (তাওয়াফে যিয়ারত) যে ব্যক্তি করিতে পারিয়াছে আল্লাহ তাহার হজ্জ পুরা করিয়া দিয়াছেন। পরে বিশেষ অসুবিধা দেখা না দিলে সে যেন তাওয়াফুল-বিদা’ও করিয়া নেয়। যদি কোন অসুবিধা দেখা দেয় এবং এই কারণে বিদায়ী তাওয়াফ করিতে না পারে তবে তাওয়াফে ইফাযা আদায় করায় হজ্জ তাহার পুরা হইয়া গিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাওয়াফে যিয়ারত করার পর তাওয়াফুল বিদা জানা না থাকার দরুন যদি কেউ উহা না করিয়া মক্কা হইতে চলিয়া আসে তবে আর তাহার জন্য ফিরিয়া যাওয়া জরুরী নহে। তবে মক্কার নিকটবর্তী স্থানে থাকিলে পুনরায় গিয়া বিদায়ী-তাওয়াফ করিয়া নেওয়া উচিত।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাওয়াফে যিয়ারত করার পর তাওয়াফুল বিদা জানা না থাকার দরুন যদি কেউ উহা না করিয়া মক্কা হইতে চলিয়া আসে তবে আর তাহার জন্য ফিরিয়া যাওয়া জরুরী নহে। তবে মক্কার নিকটবর্তী স্থানে থাকিলে পুনরায় গিয়া বিদায়ী-তাওয়াফ করিয়া নেওয়া উচিত।
بَاب وَدَاعِ الْبَيْتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ مَنْ أَفَاضَ فَقَدْ قَضَى اللَّهُ حَجَّهُ فَإِنَّهُ إِنْ لَمْ يَكُنْ حَبَسَهُ شَيْءٌ فَهُوَ حَقِيقٌ أَنْ يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ وَإِنْ حَبَسَهُ شَيْءٌ أَوْ عَرَضَ لَهُ فَقَدْ قَضَى اللَّهُ حَجَّهُ
قَالَ مَالِك وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا جَهِلَ أَنْ يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ حَتَّى صَدَرَ لَمْ أَرَ عَلَيْهِ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَكُونَ قَرِيبًا فَيَرْجِعَ فَيَطُوفَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ يَنْصَرِفَ إِذَا كَانَ قَدْ أَفَاضَ
قَالَ مَالِك وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا جَهِلَ أَنْ يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ حَتَّى صَدَرَ لَمْ أَرَ عَلَيْهِ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَكُونَ قَرِيبًا فَيَرْجِعَ فَيَطُوفَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ يَنْصَرِفَ إِذَا كَانَ قَدْ أَفَاضَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: