আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭৯৮
৩২. শক্র ব্যতীত অন্য কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হইলে কি করণীয়
রেওয়ায়ত ১০৩. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ অসুস্থতার কারণে যদি কাহারও যাত্রা বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সায়ী করা ব্যতীত সে হালাল হইবে না। কোন কাপড় বা ঔষধ ব্যবহার করার প্রয়োজন হইলে (যাহা ইহরাম অবস্থায় জায়েয নহে) তাহা ব্যবহার করিবে এবং উহার ফিদয়া দিবে।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ أُحْصِرَ بِغَيْرِ عَدُوٍّ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ الْمُحْصَرُ بِمَرَضٍ لَا يَحِلُّ حَتَّى يَطُوفَ بِالْبَيْتِ وَيَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَإِذَا اضْطُرَّ إِلَى لُبْسِ شَيْءٍ مِنْ الثِّيَابِ الَّتِي لَا بُدَّ لَهُ مِنْهَا أَوْ الدَّوَاءِ صَنَعَ ذَلِكَ وَافْتَدَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৯৯
৩২. শক্র ব্যতীত অন্য কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হইলে কি করণীয়
রেওয়ায়ত ১০৪. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছিয়াছে যে, নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) বলিতেন, ইহরামকে শুধু বায়তুল্লাহই হালাল করিতে পারে।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ أُحْصِرَ بِغَيْرِ عَدُوٍّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا كَانَتْ تَقُولُ الْمُحْرِمُ لَا يُحِلُّهُ إِلَّا الْبَيْتُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮০০
৩২. শক্র ব্যতীত অন্য কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হইলে কি করণীয়
রেওয়ায়ত ১০৫. আইয়ুব ইবনে আবি তামীম সাখতীয়ানী (রাহঃ) বসরার জনৈক প্রবীণ* ব্যক্তি হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলেনঃ মক্কার উদ্দেশ্যে একবার রওয়ানা ইলাম। পথে উট হইতে পড়িয়া আমার উরু ভাঙিয়া যায়। মক্কায় আমি একজনকে পাঠাইলাম। তখন সেখানে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এবং আরও অনেক বিজ্ঞ লোক উপস্থিত ছিলেন। তাঁহাদের কেউই আমাকে এই অবস্থায় ইহরাম খুলিতে অনুমতি দিলেন না। ফলে সাত মাস পর্যন্ত সেখানে আমি পড়িয়া রহিলাম। শেষে সুস্থ হইয়া উমরা আদায় করিয়া ইহরাম খুলিলাম।
* আবু উমর (রহঃ) বলেন, বসরার উক্ত ব্যক্তির নাম আব্দুল্লাহ ইবন যায়দ। কেউ কেউ তাহর নাম উল্লেখ করিয়াছেন ইয়াযিদ ইবন আব্দুল্লাহ আশ-শিখখীর।
* আবু উমর (রহঃ) বলেন, বসরার উক্ত ব্যক্তির নাম আব্দুল্লাহ ইবন যায়দ। কেউ কেউ তাহর নাম উল্লেখ করিয়াছেন ইয়াযিদ ইবন আব্দুল্লাহ আশ-শিখখীর।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ أُحْصِرَ بِغَيْرِ عَدُوٍّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَيُّوبَ بْنِ أَبِي تَمِيمَةَ السَّخْتِيَانِيِّ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ كَانَ قَدِيمًا أَنَّهُ قَالَ خَرَجْتُ إِلَى مَكَّةَ حَتَّى إِذَا كُنْتُ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ كُسِرَتْ فَخِذِي فَأَرْسَلْتُ إِلَى مَكَّةَ وَبِهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَالنَّاسُ فَلَمْ يُرَخِّصْ لِي أَحَدٌ أَنْ أَحِلَّ فَأَقَمْتُ عَلَى ذَلِكَ الْمَاءِ سَبْعَةَ أَشْهُرٍ حَتَّى أَحْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৮০১
৩২. শক্র ব্যতীত অন্য কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হইলে কি করণীয়
রেওয়ায়ত ১০৬. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ অসুস্থতার কারণে যদি কেউ যাত্রা করিয়াও খানা-এ-কাবায় পৌঁছিতে না পারে তবে তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী না করা পর্যন্ত সে আর হালাল হইবে না। সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত-মাবদ ইবনে হুযাবা মাখযুমী (রাহঃ) মক্কা আসার পথে তাহার বাহন হইতে পড়িয়া গিয়া আহত হন। তিনি তখন ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। অতঃপর একটি কূপের নিকট যাত্রা বিরতি করিলেন এবং খোঁজ নিয়া জানিতে পারিলেন যে, সেখানে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ) এবং মারওয়ান ইবনুল হাকাম (রাহঃ) আছেন। তাহাদের নিকট উক্ত ঘটনা বর্ণনা করিলে তাহারা বলিলেনঃ প্রয়োজনীয় ঔষধ ব্যবহার কর আর উহার ফিদয়া আদায় করিয়া দিও। সুস্থ হওয়ার পর উমরা আদায় করিয়া ইহরাম খুলিয়া ফেলিও। আগামী বৎসর পুনরায় এই হজ্জ আদায় করিয়া নিও এবং সামর্থ্যানুযায়ী কুরবানী দিও। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ শক্র ছাড়া অন্য কোন কারণে হজ্জে বাধাপ্রাপ্ত হইলে আমাদের নিকটও মাসআলা অনুরূপ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আবু আইয়ুব আনসারী (রাযিঃ) এবং হাব্বান ইবনে আসওয়াদ (রাযিঃ) যখন হজ্জের নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হইতে পারিলেন না এবং নাহরের দিন উপস্থিত হইলেন, সেই বৎসর দশ তারিখে মক্কায় গিয়া পৌছিলেন, তখন উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তাহাদিগকে বলিয়াছিলেনঃ উমরা করিয়া ইহরাম খুলিয়া নিন এবং এই বৎসর ফিরিয়া যান। আগামী বৎসর হজ্জ করিবেন এবং কুরবানী দিবেন। কুরবানীর সামর্থ্য না হইলে আপনাদেরকে হজ্জের সময় তিনদিন এবং বাড়ি ফিরিয়া সাতদিন রোযা রাখিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহরাম বাঁধার পর অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে- যেমন তারিখে ভুল করার দরুন, যদি হজ্জ করিতে না পারে তবে তাহার হুকুম মুহসারের মত হইবে।*
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল- মক্কাবাসী কোন ব্যক্তি হজ্জের নিয়তে ইহরাম বাঁধার পর তাহার পা ভাঙিয়া গেল বা দাস্ত শুরু হইল, এখন সে কি করিবে? তিনি বলিলেনঃ তাহার হুকুম মুহসারের মত। মক্কার বাহিরের অধিবাসী কোন ব্যক্তির ইহসার বা বাধাপ্রাপ্ত হইলে যে হুকুম, এখানেও সেই হুকুম প্রযোজ্য হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হজ্জের মাসে কোন ব্যক্তি উমরার ইহরাম বাধিয়া মক্কা আসিল এবং উমরা সমাধা করিয়া মক্কা হইতে পুনরায় হজ্জের ইহরাম বাঁধার পর তাহার পা ভাঙিয়া গেল বা এমন কোন কষ্ট পাইল যাহাতে সে আরাফাতে যাইতে আর সক্ষম হইল না। তখন সে যখন সুস্থ হইবে হারম শরীফের বাহিরে গিয়া মক্কায় ফিরিয়া আসিবে এবং তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিয়া ইহরাম খুলিয়া ফেলিবে। পরে আগামী বৎসর পুনরায় হজ্জ করিবে এবং কুরবানী দিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি হজ্জের মওসুমে উমরার ইহরাম বাঁধিয়া মক্কায় প্রবেশ করিল। অতঃপর উমরা পূর্ণ করিয়া মক্কা হইতে হজ্জের ইহরাম বাঁধিল। অতঃপর (দুর্ঘটনায় হাত-পা) ভাঙিল অথবা অন্য কোন বাঁধার সম্মুখীন হইল। ফলে অন্য লোকদের সঙ্গে আরাফাতে উপস্থিত হইতে পারে নাই। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উক্ত ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় থাকিবে। যখন সে সুস্থ হইবে, হিলের (হারম শরীফের বাহিরে) দিকে যাইবে। অতঃপর মক্কার দিকে প্রত্যাবর্তন করিবে। তাওয়াফ করিবে ও সাফা-মারওয়া সায়ী করিবে এবং হালাল হইবে। তাহার উপর আগামী বৎসর হাদয়ী ও হজ্জ ওয়াজিব হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি মক্কা হইতে হজ্জের ইহরাম বাধিয়াছে, তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ী করিয়াছে, অতঃপর সে অসুস্থ হইয়া পড়ে এবং লোকের সঙ্গে আরাফাতে উপস্থিত হইতে পারে নাই। তিনি বলেনঃ যদি সে হজ্জ করিতে না পারে যখন সম্ভব হইবে তখন সে হিলের দিকে যাইবে এবং উমরার নিয়ত করিয়া মক্কায় প্রবেশ করবে। ইহার কারণ, প্রথমে সে তাওয়াফ ও উমরার নিয়ত করে নাই। এইজন্য সে পুনরায় তাওয়াফ ও সায়ী করিবে এবং তাহার উপর আগামী বৎসর হাদয়ী ও হজ্জ ওয়াজিব হইবে।মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি হজ্জের ইহরাম বাধিয়াছে সে যদি মক্কার বাহিরের লোক হয়, সে অসুস্থতার দরুন যদি হজ্জ করিতে না পারে, অথচ ইহার পূর্বে সে তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ী করিয়াছিল, সেই ব্যক্তি উমরা করিয়া হালাল হইবে এবং আরেকবার বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করবে। কারণ তাহার পূর্বের তাওয়াফ ও সায়ী ছিল হজ্জের নিয়তে। তাহার উপর আগামী বৎসর হাদয়ী ও হজ্জ ওয়াজিব হইবে।
* অর্থাৎ উমরা করিয়া ইহরাম খুলিবে এবং কুরবানী দিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আবু আইয়ুব আনসারী (রাযিঃ) এবং হাব্বান ইবনে আসওয়াদ (রাযিঃ) যখন হজ্জের নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হইতে পারিলেন না এবং নাহরের দিন উপস্থিত হইলেন, সেই বৎসর দশ তারিখে মক্কায় গিয়া পৌছিলেন, তখন উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তাহাদিগকে বলিয়াছিলেনঃ উমরা করিয়া ইহরাম খুলিয়া নিন এবং এই বৎসর ফিরিয়া যান। আগামী বৎসর হজ্জ করিবেন এবং কুরবানী দিবেন। কুরবানীর সামর্থ্য না হইলে আপনাদেরকে হজ্জের সময় তিনদিন এবং বাড়ি ফিরিয়া সাতদিন রোযা রাখিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহরাম বাঁধার পর অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে- যেমন তারিখে ভুল করার দরুন, যদি হজ্জ করিতে না পারে তবে তাহার হুকুম মুহসারের মত হইবে।*
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল- মক্কাবাসী কোন ব্যক্তি হজ্জের নিয়তে ইহরাম বাঁধার পর তাহার পা ভাঙিয়া গেল বা দাস্ত শুরু হইল, এখন সে কি করিবে? তিনি বলিলেনঃ তাহার হুকুম মুহসারের মত। মক্কার বাহিরের অধিবাসী কোন ব্যক্তির ইহসার বা বাধাপ্রাপ্ত হইলে যে হুকুম, এখানেও সেই হুকুম প্রযোজ্য হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হজ্জের মাসে কোন ব্যক্তি উমরার ইহরাম বাধিয়া মক্কা আসিল এবং উমরা সমাধা করিয়া মক্কা হইতে পুনরায় হজ্জের ইহরাম বাঁধার পর তাহার পা ভাঙিয়া গেল বা এমন কোন কষ্ট পাইল যাহাতে সে আরাফাতে যাইতে আর সক্ষম হইল না। তখন সে যখন সুস্থ হইবে হারম শরীফের বাহিরে গিয়া মক্কায় ফিরিয়া আসিবে এবং তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিয়া ইহরাম খুলিয়া ফেলিবে। পরে আগামী বৎসর পুনরায় হজ্জ করিবে এবং কুরবানী দিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি হজ্জের মওসুমে উমরার ইহরাম বাঁধিয়া মক্কায় প্রবেশ করিল। অতঃপর উমরা পূর্ণ করিয়া মক্কা হইতে হজ্জের ইহরাম বাঁধিল। অতঃপর (দুর্ঘটনায় হাত-পা) ভাঙিল অথবা অন্য কোন বাঁধার সম্মুখীন হইল। ফলে অন্য লোকদের সঙ্গে আরাফাতে উপস্থিত হইতে পারে নাই। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উক্ত ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় থাকিবে। যখন সে সুস্থ হইবে, হিলের (হারম শরীফের বাহিরে) দিকে যাইবে। অতঃপর মক্কার দিকে প্রত্যাবর্তন করিবে। তাওয়াফ করিবে ও সাফা-মারওয়া সায়ী করিবে এবং হালাল হইবে। তাহার উপর আগামী বৎসর হাদয়ী ও হজ্জ ওয়াজিব হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি মক্কা হইতে হজ্জের ইহরাম বাধিয়াছে, তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ী করিয়াছে, অতঃপর সে অসুস্থ হইয়া পড়ে এবং লোকের সঙ্গে আরাফাতে উপস্থিত হইতে পারে নাই। তিনি বলেনঃ যদি সে হজ্জ করিতে না পারে যখন সম্ভব হইবে তখন সে হিলের দিকে যাইবে এবং উমরার নিয়ত করিয়া মক্কায় প্রবেশ করবে। ইহার কারণ, প্রথমে সে তাওয়াফ ও উমরার নিয়ত করে নাই। এইজন্য সে পুনরায় তাওয়াফ ও সায়ী করিবে এবং তাহার উপর আগামী বৎসর হাদয়ী ও হজ্জ ওয়াজিব হইবে।মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি হজ্জের ইহরাম বাধিয়াছে সে যদি মক্কার বাহিরের লোক হয়, সে অসুস্থতার দরুন যদি হজ্জ করিতে না পারে, অথচ ইহার পূর্বে সে তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ী করিয়াছিল, সেই ব্যক্তি উমরা করিয়া হালাল হইবে এবং আরেকবার বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করবে। কারণ তাহার পূর্বের তাওয়াফ ও সায়ী ছিল হজ্জের নিয়তে। তাহার উপর আগামী বৎসর হাদয়ী ও হজ্জ ওয়াজিব হইবে।
* অর্থাৎ উমরা করিয়া ইহরাম খুলিবে এবং কুরবানী দিবে।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ أُحْصِرَ بِغَيْرِ عَدُوٍّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ مَنْ حُبِسَ دُونَ الْبَيْتِ بِمَرَضٍ فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ حَتَّى يَطُوفَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ حُزَابَةَ الْمَخْزُومِيَّ صُرِعَ بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَسَأَلَ عَلَى الْمَاءِ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ عَنْ الْعُلَمَاءِ فَوَجَدَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ وَمَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَذَكَرَ لَهُمْ الَّذِي عَرَضَ لَهُ فَكُلُّهُمْ أَمَرَهُ أَنْ يَتَدَاوَى بِمَا لَا بُدَّ لَهُ مِنْهُ وَيَفْتَدِيَ فَإِذَا صَحَّ اعْتَمَرَ فَحَلَّ مِنْ إِحْرَامِهِ ثُمَّ عَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ وَيُهْدِي مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ
قَالَ مَالِك وَعَلَى هَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ أُحْصِرَ بِغَيْرِ عَدُوٍّ وَقَدْ أَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبَا أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّ وَهَبَّارَ بْنَ الْأَسْوَدِ حِينَ فَاتَهُمَا الْحَجُّ وَأَتَيَا يَوْمَ النَّحْرِ أَنْ يَحِلَّا بِعُمْرَةٍ ثُمَّ يَرْجِعَا حَلَالًا ثُمَّ يَحُجَّانِ عَامًا قَابِلًا وَيُهْدِيَانِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ قَالَ مَالِك وَكُلُّ مَنْ حُبِسَ عَنْ الْحَجِّ بَعْدَ مَا يُحْرِمُ إِمَّا بِمَرَضٍ أَوْ بِغَيْرِهِ أَوْ بِخَطَإٍ مِنْ الْعَدَدِ أَوْ خَفِيَ عَلَيْهِ الْهِلَالُ فَهُوَ مُحْصَرٌ عَلَيْهِ مَا عَلَى الْمُحْصَرِ قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَمَّنْ أَهَلَّ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ بِالْحَجِّ ثُمَّ أَصَابَهُ كَسْرٌ أَوْ بَطْنٌ مُتَحَرِّقٌ أَوْ امْرَأَةٌ تُطْلَقُ قَالَ مَنْ أَصَابَهُ هَذَا مِنْهُمْ فَهُوَ مُحْصَرٌ يَكُونُ عَلَيْهِ مِثْلُ مَا عَلَى أَهْلِ الْآفَاقِ إِذَا هُمْ أُحْصِرُوا قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ قَدِمَ مُعْتَمِرًا فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ حَتَّى إِذَا قَضَى عُمْرَتَهُ أَهَلَّ بِالْحَجِّ مِنْ مَكَّةَ ثُمَّ كُسِرَ أَوْ أَصَابَهُ أَمْرٌ لَا يَقْدِرُ عَلَى أَنْ يَحْضُرَ مَعَ النَّاسِ الْمَوْقِفَ قَالَ مَالِك أَرَى أَنْ يُقِيمَ حَتَّى إِذَا بَرَأَ خَرَجَ إِلَى الْحِلِّ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى مَكَّةَ فَيَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَيَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ يَحِلُّ ثُمَّ عَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ وَالْهَدْيُ قَالَ مَالِك فِيمَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ مِنْ مَكَّةَ ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ مَرِضَ فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يَحْضُرَ مَعَ النَّاسِ الْمَوْقِفَ قَالَ مَالِك إِذَا فَاتَهُ الْحَجُّ فَإِنْ اسْتَطَاعَ خَرَجَ إِلَى الْحِلِّ فَدَخَلَ بِعُمْرَةٍ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِأَنَّ الطَّوَافَ الْأَوَّلَ لَمْ يَكُنْ نَوَاهُ لِلْعُمْرَةِ فَلِذَلِكَ يَعْمَلُ بِهَذَا وَعَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ وَالْهَدْيُ فَإِنْ كَانَ مِنْ غَيْرِ أَهْلِمَكَّةَ فَأَصَابَهُ مَرَضٌ حَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْحَجِّ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَلَّ بِعُمْرَةٍ وَطَافَ بِالْبَيْتِ طَوَافًا آخَرَ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِأَنَّ طَوَافَهُ الْأَوَّلَ وَسَعْيَهُ إِنَّمَا كَانَ نَوَاهُ لِلْحَجِّ وَعَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ وَالْهَدْيُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ حُزَابَةَ الْمَخْزُومِيَّ صُرِعَ بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَسَأَلَ عَلَى الْمَاءِ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ عَنْ الْعُلَمَاءِ فَوَجَدَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ وَمَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَذَكَرَ لَهُمْ الَّذِي عَرَضَ لَهُ فَكُلُّهُمْ أَمَرَهُ أَنْ يَتَدَاوَى بِمَا لَا بُدَّ لَهُ مِنْهُ وَيَفْتَدِيَ فَإِذَا صَحَّ اعْتَمَرَ فَحَلَّ مِنْ إِحْرَامِهِ ثُمَّ عَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ وَيُهْدِي مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ
قَالَ مَالِك وَعَلَى هَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ أُحْصِرَ بِغَيْرِ عَدُوٍّ وَقَدْ أَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبَا أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّ وَهَبَّارَ بْنَ الْأَسْوَدِ حِينَ فَاتَهُمَا الْحَجُّ وَأَتَيَا يَوْمَ النَّحْرِ أَنْ يَحِلَّا بِعُمْرَةٍ ثُمَّ يَرْجِعَا حَلَالًا ثُمَّ يَحُجَّانِ عَامًا قَابِلًا وَيُهْدِيَانِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ قَالَ مَالِك وَكُلُّ مَنْ حُبِسَ عَنْ الْحَجِّ بَعْدَ مَا يُحْرِمُ إِمَّا بِمَرَضٍ أَوْ بِغَيْرِهِ أَوْ بِخَطَإٍ مِنْ الْعَدَدِ أَوْ خَفِيَ عَلَيْهِ الْهِلَالُ فَهُوَ مُحْصَرٌ عَلَيْهِ مَا عَلَى الْمُحْصَرِ قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَمَّنْ أَهَلَّ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ بِالْحَجِّ ثُمَّ أَصَابَهُ كَسْرٌ أَوْ بَطْنٌ مُتَحَرِّقٌ أَوْ امْرَأَةٌ تُطْلَقُ قَالَ مَنْ أَصَابَهُ هَذَا مِنْهُمْ فَهُوَ مُحْصَرٌ يَكُونُ عَلَيْهِ مِثْلُ مَا عَلَى أَهْلِ الْآفَاقِ إِذَا هُمْ أُحْصِرُوا قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ قَدِمَ مُعْتَمِرًا فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ حَتَّى إِذَا قَضَى عُمْرَتَهُ أَهَلَّ بِالْحَجِّ مِنْ مَكَّةَ ثُمَّ كُسِرَ أَوْ أَصَابَهُ أَمْرٌ لَا يَقْدِرُ عَلَى أَنْ يَحْضُرَ مَعَ النَّاسِ الْمَوْقِفَ قَالَ مَالِك أَرَى أَنْ يُقِيمَ حَتَّى إِذَا بَرَأَ خَرَجَ إِلَى الْحِلِّ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى مَكَّةَ فَيَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَيَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ يَحِلُّ ثُمَّ عَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ وَالْهَدْيُ قَالَ مَالِك فِيمَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ مِنْ مَكَّةَ ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ مَرِضَ فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يَحْضُرَ مَعَ النَّاسِ الْمَوْقِفَ قَالَ مَالِك إِذَا فَاتَهُ الْحَجُّ فَإِنْ اسْتَطَاعَ خَرَجَ إِلَى الْحِلِّ فَدَخَلَ بِعُمْرَةٍ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِأَنَّ الطَّوَافَ الْأَوَّلَ لَمْ يَكُنْ نَوَاهُ لِلْعُمْرَةِ فَلِذَلِكَ يَعْمَلُ بِهَذَا وَعَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ وَالْهَدْيُ فَإِنْ كَانَ مِنْ غَيْرِ أَهْلِمَكَّةَ فَأَصَابَهُ مَرَضٌ حَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْحَجِّ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَلَّ بِعُمْرَةٍ وَطَافَ بِالْبَيْتِ طَوَافًا آخَرَ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِأَنَّ طَوَافَهُ الْأَوَّلَ وَسَعْيَهُ إِنَّمَا كَانَ نَوَاهُ لِلْحَجِّ وَعَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ وَالْهَدْيُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান