আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৮৫
২৭. শিকার করার প্রতিফল
রেওয়ায়ত ৯০. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন, হে মু’মিনগণ, ইহরাম অবস্থায় তোমরা কোন প্রাণী শিকার করিও না। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে শিকার করে তবে যাহা শিকার করিল তদ্রূপ একটি গৃহপালিত পশু তাহাকে বদলা দিতে হইবে। ইহার ফয়সালা তোমাদের মধ্যে দুইজন তাকওয়ার অধিকারী লোক করিয়া দিবে।

এইরূপ ধার্যকৃত পশু কুরবানী হিসাবে মক্কায় প্রেরিত হইবে অথবা উহার কাফফারা হইবে মিসকীনকে আহার্য দান করা বা সমপরিমাণ রোযা রাখা যাহাতে সে স্বীয় কৃতকর্মের ফল ভোগ করিতে পারে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোন ইহরামবিহীন ব্যক্তি যদি কোন প্রাণী শিকার করিয়া পরে ইহরাম বাঁধিয়া উক্ত শিকার বধ করে, তবে সে ঐ মুহরিম ব্যক্তির মত, যে ব্যক্তি শিকারকৃত প্রাণী খরিদ করিয়া বধ করে। আল্লাহ্ উহা হইতে নিষেধ করিয়াছেন, সুতরাং উক্ত ব্যক্তির উপরও উহার বিনিময় প্রদান ওয়াজিব হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের সিদ্ধান্ত হইল, মুহরিম একা বা দলবদ্ধভাবে যেভাবেই শিকার করুন না কেন তাহার উপর বদলা দেওয়ার হুকুম প্রযোজ্য হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে সর্বোত্তম যে কথা আমি শুনিয়াছি তাহা হইল- শিকারকৃত প্রাণীটির মূল্য হিসাব করিয়া দেখা হইবে যে, ঐ মূল্যের বিনিময়ে কত পরিমাণ শস্য বাজারে পাওয়া যায়। পরে এক এক মুদ পরিমাণ শস্য এক একজন মিসকীনকে দিয়া দেওয়া হইবে বা এক এক মুদ হিসাবে যত পরিমাণ মুদ হইবে তত সংখ্যক রোযা রাখিবে। মিসকীনদের সংখ্যা হিসাবে তাহা হইবে। দশজন মিসকীন হইলে দশ রোযা, রিশজন হইলে বিশ রোযা, এইভাবে সংখ্যা ষাটের অধিকও যদি হইয়া যায় তবে তত পরিমাণ রোযা তাহাকে রাখিতে হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমি শুনিয়াছি যে, ইহরামবিহীন ব্যক্তি হারম শরীফের অভ্যন্তরে কোন প্রাণী শিকার করিলে তাহার উপর ইহরাম বাধিয়া হারমের ভিতর বধ করার মত হুকুম হইবে।
بَاب الْحُكْمِ فِي الصَّيْدِ
قَالَ مَالِك قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءُ مِثْلِ مَا قَتَلَ مِنْ النَّعَمِ يَحْكُمُ بِهِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ أَوْ كَفَّارَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ أَوْ عَدْلُ ذَلِكَ صِيَامًا لِيَذُوقَ وَبَالَ أَمْرِهِ قَالَ مَالِك فَالَّذِي يَصِيدُ الصَّيْدَ وَهُوَ حَلَالٌ ثُمَّ يَقْتُلُهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ بِمَنْزِلَةِ الَّذِي يَبْتَاعُهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ ثُمَّ يَقْتُلُهُ وَقَدْ نَهَى اللَّهُ عَنْ قَتْلِهِ فَعَلَيْهِ جَزَاؤُهُ وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ أَصَابَ الصَّيْدَ وَهُوَ مُحْرِمٌ حُكِمَ عَلَيْهِ بِالْجَزَاءِ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي الَّذِي يَقْتُلُ الصَّيْدَ فَيُحْكَمُ عَلَيْهِ فِيهِ أَنْ يُقَوَّمَ الصَّيْدُ الَّذِي أَصَابَ فَيُنْظَرَ كَمْ ثَمَنُهُ مِنْ الطَّعَامِ فَيُطْعِمَ كُلَّ مِسْكِينٍ مُدًّا أَوْ يَصُومَ مَكَانَ كُلِّ مُدٍّ يَوْمًا وَيُنْظَرَ كَمْ عِدَّةُ الْمَسَاكِينِ فَإِنْ كَانُوا عَشَرَةً صَامَ عَشَرَةَ أَيَّامٍ وَإِنْ كَانُوا عِشْرِينَ مِسْكِينًا صَامَ عِشْرِينَ يَوْمًا عَدَدَهُمْ مَا كَانُوا وَإِنْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ مَالِك سَمِعْتُ أَنَّهُ يُحْكَمُ عَلَى مَنْ قَتَلَ الصَّيْدَ فِي الْحَرَمِ وَهُوَ حَلَالٌ بِمِثْلِ مَا يُحْكَمُ بِهِ عَلَى الْمُحْرِمِ الَّذِي يَقْتُلُ الصَّيْدَ فِي الْحَرَمِ وَهُوَ مُحْرِمٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান