আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৩৭
১২. হজ্জে কিরান
রেওয়ায়ত ৪২. জাফর ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন- মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ (রাযিঃ) সুকইয়াতে[1] আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)-এর নিকট আসিলেন। আলী (রাযিঃ) তখন উটের বাচ্চাগুলিকে পানিতে গোলা আটা এবং ঘাস খাওয়াইতেছিলেন। মিকদাদ (রাযিঃ) বললেনঃ উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) হজ্জে কিরান করিতে নিষেধ করিতেছেন। ইহা শুনিয়া আলী (রাযিঃ) ঐ অবস্থায়ই উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-এর সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইয়া গেলেন। তখনও তাহার হাতে আটা লাগিয়াছিল। আজ পর্যন্ত আমি তাহার হাতের আটার দাগ ভুলিতে পারি নাই। তিনি উসমান (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়া বলিলেনঃ আপনি হজ্জে কিরান নিষেধ করেন। তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইহাই আমার মত। আলী (রাযিঃ) ক্রোধাৰিত হইয়া বাহির হইয়া গেলেন এবং বলিলেনঃ (لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا) হে আল্লাহ, আমি হজ্জ ও উমরা উভয়ের এক সঙ্গে তালবিয়া পাঠ করিলাম।[2]

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হজ্জে কিরানের ইহরামকারী ব্যক্তি দশ তারিখে কুরবানীর পশু যবেহ না করা (তাহার সঙ্গে পশু هدى থাকিলে) এবং মিনায় গিয়া ইহরাম না খোলা পর্যন্ত নিজের চুল কাটিবে না। এবং ইহরাম অবস্থায় যাহা নিষিদ্ধ তাহা করিবে না।

[1] ইহা মক্কার পথে অবস্থিত একটি জনবসতি।

[2] নাসাঈ শরীফের এক বর্ণনায় জানা যায়, উসমান (রাযিঃ) পরে তাহার এই মত প্রত্যাহার করিয়া হজ্জে কিরানকে জায়েয বলিয়া মত প্রকাশ করিয়াছিলেন। অতঃপর সঙ্গিগণের দিকে লক্ষ করিয়া বলিয়াছিলেন, হজ্জ ও উমরার হুকুম একই। তোমাদিগকে আমি সাক্ষ্য রাখিতেছি যে, উমরার সঙ্গে সঙ্গে আমি এখন হজ্জেরও নিয়ত করিলাম।
بَاب الْقِرَانِ فِي الْحَجِّ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ الْمِقْدَادَ بْنَ الْأَسْوَدِ دَخَلَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِالسُّقْيَا وَهُوَ يَنْجَعُ بَكَرَاتٍ لَهُ دَقِيقًا وَخَبَطًا فَقَالَ هَذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَنْهَى عَنْ أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَخَرَجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعَلَى يَدَيْهِ أَثَرُ الدَّقِيقِ وَالْخَبَطِ فَمَا أَنْسَى أَثَرَ الدَّقِيقِ وَالْخَبَطِ عَلَى ذِرَاعَيْهِ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَالَ أَنْتَ تَنْهَى عَنْ أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَقَالَ عُثْمَانُ ذَلِكَ رَأْيِي فَخَرَجَ عَلِيٌّ مُغْضَبًا وَهُوَ يَقُولُ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ قَرَنَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لَمْ يَأْخُذْ مِنْ شَعَرِهِ شَيْئًا وَلَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَيْءٍ حَتَّى يَنْحَرَ هَدْيًا إِنْ كَانَ مَعَهُ وَيَحِلَّ بِمِنًى يَوْمَ النَّحْرِ
হাদীস নং:৭৩৮
১২. হজ্জে কিরান
রেওয়ায়ত ৪৩. সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জের উদ্দেশ্যে যখন রওয়ানা হন তখন সাহাবীদের মধ্যে কেহ কেহ কেবল হজ্জের, আর কেহ কেহ হজ্জ ও উমরা উভয়ের, আর কেহ কেহ কেবল উমরার ইহরাম বাঁধিয়াছিলেন। যাহারা হজ্জ ও উমরা উভয়ের বা কেবল হজ্জের নিয়ত করিয়াছিলেন, তাহারা ইহরাম খোলেন নাই, আর যাহারা উমরার ইহরাম বাধিয়াছিলেন তাহারা উমরা আদায় করিয়া ইহরাম খুলিয়া ফেলিয়াছিলেন।
بَاب الْقِرَانِ فِي الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ خَرَجَ إِلَى الْحَجِّ فَمِنْ أَصْحَابِهِ مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَمِنْهُمْ مَنْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ وَمِنْهُمْ مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَقَطْ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ أَوْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَلَمْ يَحْلِلْ وَأَمَّا مَنْ كَانَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَحَلُّوا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৯
১২. হজ্জে কিরান
রেওয়ায়ত ৪৪. মালিক (রাহঃ) কতিপয় বিজ্ঞ আলিমের নিকট শুনিয়াছেন, তাহারা বলেনঃ কেহ প্রথমে কেবল উমরার ইহরাম বাঁধিল, পরে সে যদি উমরার সহিত হজ্জেরও ইহরাম বাঁধিতে চাহে তবে তাওয়াফ ও সায়ী বায়নাস্-সাফা ওয়াল মারওয়ার (সাফা ও মারওয়ার পর্বতদ্বয়ের মধ্যবর্তী নির্দিষ্ট স্থানে দৌড়ান) পূর্ব পর্যন্ত তাহা পারে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) তাহাই করিয়াছিলেন। তিনি একবার বলিয়াছিলেনঃ যদি বায়তুল্লাহু পৌছিতে বাধাপ্রাপ্ত হই তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহরাম অবস্থায় যাহা করিয়াছিলেন আমিও তাহাই করিব।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ উমরার ইহরাম বাঁধিয়াছিলেন। পরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদিগকে বলিলেন, যাহাদের সঙ্গে কুরবানীর পশু রহিয়াছে তাহারা এই সঙ্গে হজ্জের ইহরামও বাধিয়া নিবে। অতঃপর একত্রে উভয় ইহরাম খুলিবে।
بَاب الْقِرَانِ فِي الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُونَ مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يُهِلَّ بِحَجٍّ مَعَهَا فَذَلِكَ لَهُ مَا لَمْ يَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَقَدْ صَنَعَ ذَلِكَ ابْنُ عُمَرَ حِينَ قَالَ إِنْ صُدِدْتُ عَنْ الْبَيْتِ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلَّا وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي أَوْجَبْتُ الْحَجَّ مَعَ الْعُمْرَةِ قَالَ مَالِك وَقَدْ أَهَلَّ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ ثُمَّ قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهْلِلْ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ لَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান