আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৯. ইতিকাফের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৭৯
১. ইতিকাফের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১. নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত-তিনি বলিয়াছেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইতিকাফে থাকা অবস্থায় তাহার শির আমার দিকে ঝুঁকাইয়া দিতেন, আমি তাহার চুল চিরুনি দিয়া আঁচড়াইয়া দিতাম। আর তিনি হাজতে-ইনসানী (পায়খানা-প্রস্রাবের আবশ্যক) ব্যতীত গৃহে প্রবেশ করিতেন না।
بَاب ذِكْرِ الْاعْتِكَافِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اعْتَكَفَ يُدْنِي إِلَيَّ رَأْسَهُ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لَا يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ
হাদীস নং:৬৮০
১. ইতিকাফের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২. আমরা বিনত আব্দুর রহমান (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আয়েশা (রাযিঃ) যখন ইতিকাফ করিতেন, তখন তিনি রোগীর অবস্থা জিজ্ঞাসা করিতে গমন করিতেন না; কিন্তু চলার পথে না দাঁড়াইয়া জিজ্ঞাসা করিয়া নিতেন।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন, মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফকারী কোন প্রয়োজনে মসজিদের বাহিরে যাইবে না এবং কোন কারণে বাহিরও হইবে না। আর কাহাকে সাহায্যও করিবে না। কিন্তু যদি হাজতে-ইনসানীর (প্ৰস্ৰাব-পায়খানা) জন্য বাহির হয় তাহা বৈধ হইবে। আর যদি কাহারো আবশ্যকের জন্য বাহির হওয়া জায়েয হইত তবে রোগীর অবস্থা দেখা, জানাযার নামায পড়া ও উহার অনুগমন তাহার জন্য সর্বাগ্রে বৈধ হইত (কিন্তু সেগুলির জন্যও বাহির হওয়া নিষেধ)।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন, মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফকারী (প্রকৃত) ইতিকাফকারী হইবে না যতক্ষণ যেসব বস্তু হইতে তাহার পরহেয করিতে হয় সেইসব হইতে সে পরহিয না করিবে (যথা রোগী দেখিতে যাওয়া, জানাযার নামায পড়া, হাজতে-ইনসানী ব্যতীত গৃহে প্রবেশ করা)।
بَاب ذِكْرِ الْاعْتِكَافِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ إِذَا اعْتَكَفَتْ لَا تَسْأَلُ عَنْ الْمَرِيضِ إِلَّا وَهِيَ تَمْشِي لَا تَقِفُ
قَالَ مَالِك لَا يَأْتِي الْمُعْتَكِفُ حَاجَتَهُ وَلَا يَخْرُجُ لَهَا وَلَا يُعِينُ أَحَدًا إِلَّا أَنْ يَخْرُجَ لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ وَلَوْ كَانَ خَارِجًا لِحَاجَةِ أَحَدٍ لَكَانَ أَحَقَّ مَا يُخْرَجُ إِلَيْهِ عِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَالصَّلَاةُ عَلَى الْجَنَائِزِ وَاتِّبَاعُهَا قَالَ مَالِك لَا يَكُونُ الْمُعْتَكِفُ مُعْتَكِفًا حَتَّى يَجْتَنِبَ مَا يَجْتَنِبُ الْمُعْتَكِفُ مِنْ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَالصَّلَاةِ عَلَى الْجَنَائِزِ وَدُخُولِ الْبَيْتِ إِلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮১
১. ইতিকাফের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তিনি ইবনে শিহাব (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করিলেন, এক ব্যক্তি সম্পর্কে যে ইতিকাফ করিতেছে, সে কি তাহার প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজনে (গৃহের) ছাদের নীচে প্রবেশ করিতে পারবে? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইহাতে কোন ক্ষতি নাই।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ আমাদের নিকট যাহাতে কোন ইখতেলাফ নাই তাহা এই যে, যে সকল মসজিদে জুম’আর নামায পড়া হয়, সেই সকল মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরূহ নহে। আর আমি মনে করি না যে, যে সকল মসজিদে জুম’আর নামায পড়া হয় না, সেই সকল মসজিদে ইতিকাফকে তিনি (মালিক রাহঃ) মাকরূহ বলিয়াছেন। ব্যাপার হইল এই যে, ইতিকাফকারী যে মসজিদে ইতিকাফ করিতেছে উহা হইতে বাহির হইবে অথবা জুম’আ ছাড়িয়া দিবে, সেই জন্য তিনি মাকরুহ বলিয়াছেন। তাহার মতে, যদি এইরূপ মসজিদ হয় যাহাতে জুম’আ পড়া হয় না এবং ইতিকাফকারীর উপর সেই মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে জুম’আতে যাওয়া ওয়াজিব না হয় তবে সেই মসজিদে ইতিকাফ করিতে কোন দোষ নাই। কারণ আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেন, (وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ) অর্থাৎ তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাহদের (স্ত্রীর) সহিত মিলিত হইও না। (বাকারাঃ ১৮৭) ইহাতে সাধারণভাবে সকল মসজিদকে উদ্দেশ্য করা হইয়াছে এবং কোন মসর্জির্দকে আল্লাহ নির্দিষ্ট করিয়া দেন নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেন, এইজন্যই ইতিকাফকারীর পক্ষে জুম’আ অনুষ্ঠিত হয় না সেইরূপ মসজিদে ইতিকাফ করা জায়েয হইবে, যদি মসজিদ হইতে বাহির হইয়া জুম’আ মসজিদে যাওয়া তাহার উপর ওয়াজিব না হয়।

মালিক (রাহঃ) বলেন, যে মসজিদে ইতিকাফ করিয়াছে (ইতিকাফকারী) সেই মসজিদেই রাত্রি যাপন করিবে, তবে যদি তাহার তাবু মসজিদের চত্বরের কোন চত্বরে হয়।

মালিক (রাহঃ) বলেন, আমি শুনি নাই, ইতিকাফকারী রাত্রি যাপন করার জন্য কোন কিছু নির্মাণ করিবে কিন্তু তাহার রাত্রি যাপন হইবে মসজিদে অথবা মসজিদের চত্বরে। মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র রাত্রি যাপন সে করিবে না, ইহার প্রমাণ হইল আয়েশা (রাযিঃ)-এর উক্তি- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন ইতিকাফ করিতেন তখন হাজতে-ইনসানী ছাড়া গৃহে প্রবেশ করতেন না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেউ মসজিদের ছাদের উপর ইতিকাফ করিবে না এবং সাওমাআতেও (صومعه মিনার) না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারী যেই রাত্রে ইতিকাফের ইচ্ছা করিয়াছে, সেই রাত্রির সূর্যাস্তের পূর্বে ইতিকাফের স্থানে প্রবেশ করিবে, যাহাতে যেই রাত্রে ইতিকাফ করবে, সেই রাত্রির প্রথম অংশকে সে ইতিকাফ দ্বারা মুবারকবাদ জানাইতে পারে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারী নিজের ইতিকাফে মশগুল থাকিবে, ইতিকাফ ভিন্ন তিজারত বা অন্যকিছুর দিকে যেই সবের প্রতি মশগুল হওয়া যায় মনোযোগী হইবে না। ইতিকাফকারীর পক্ষে তাহার কোন আসবাব অথবা পরিবারের উপকারী ও উপযোগী কোন কাজ, তাহার মাল বিক্রয় অথবা অন্য কোন কাজ যাহা তাহাকে ব্যতিব্যস্ত করে না (এই জাতীয়) নিজের কোন আবশ্যকে নির্দেশ দেওয়াতে কোন ক্ষতি নাই। ইহাতে কোন দোষ নাই, যদি তিনি ছোটখাট কাজের জন্য কোন ব্যক্তিকে সেই কার্য সমাধা করিতে নির্দেশ দেন।

মালিক (রাহঃ) বলেন, কোন আহলে ইলম কর্তৃক ইতিকাফে কোন শর্ত আরোপ করিতে আমি শুনি নাই। ইতিকাফ অন্যান্য আমলের মত একটি আমল; যথা নামায, রোযা, হজ্জ এবং অন্যান্য যাহা এই সকল আমলের অনুরূপ এবং যাহা উহাদের মধ্যে ফরয অথবা নফল। (শরীয়তের) এই সকল আমলের মত ইতিকাফও একটি আমল। যে ব্যক্তি ইহার কোন আমলে প্রবেশ করিবে, সে প্রতিষ্ঠিত সুন্নত মুতাবিক আমল করিবে। মুসলমানগণ যে তরীকায় চলিয়াছেন সেই তরীকা ছাড়া উহাতে নূতন কোন পন্থা আবিষ্কার করার অধিকার তাহার নাই। না কোন শর্ত আরোপ করিবে, না কোন বিদ’আত সৃষ্টি করবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইতিকাফ করিয়াছেন, উহা হইতে মুসলমানরা ইতিকাফের সুন্নত অবগত হইয়াছেন।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফ এবং মসজিদে অবস্থান এক সমান। আর গ্রাম ও শহরের লোকের ইতিকাফ এক সমান (আহকামের ব্যাপারে)।
بَاب ذِكْرِ الْاعْتِكَافِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ الرَّجُلِ يَعْتَكِفُ هَلْ يَدْخُلُ لِحَاجَتِهِ تَحْتَ سَقْفٍ فَقَالَ نَعَمْ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ أَنَّهُ لَا يُكْرَهُ الْاعْتِكَافُ فِي كُلِّ مَسْجِدٍ يُجَمَّعُ فِيهِ وَلَا أُرَاهُ كُرِهَ الْاعْتِكَافُ فِي الْمَسَاجِدِ الَّتِي لَا يُجَمَّعُ فِيهَا إِلَّا كَرَاهِيَةَ أَنْ يَخْرُجَ الْمُعْتَكِفُ مِنْ مَسْجِدِهِ الَّذِي اعْتَكَفَ فِيهِ إِلَى الْجُمُعَةِ أَوْ يَدَعَهَا فَإِنْ كَانَ مَسْجِدًا لَا يُجَمَّعُ فِيهِ الْجُمُعَةُ وَلَا يَجِبُ عَلَى صَاحِبِهِ إِتْيَانُ الْجُمُعَةِ فِي مَسْجِدٍ سِوَاهُ فَإِنِّي لَا أَرَى بَأْسًا بِالْاعْتِكَافِ فِيهِ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ فَعَمَّ اللَّهُ الْمَسَاجِدَ كُلَّهَا وَلَمْ يَخُصَّ شَيْئًا مِنْهَا قَالَ مَالِك فَمِنْ هُنَالِكَ جَازَ لَهُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِي الْمَسَاجِدِ الَّتِي لَا يُجَمَّعُ فِيهَا الْجُمُعَةُ إِذَا كَانَ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يَخْرُجَ مِنْهُ إِلَى الْمَسْجِدِ الَّذِي تُجَمَّعُ فِيهِ الْجُمُعَةُ قَالَ مَالِك وَلَا يَبِيتُ الْمُعْتَكِفُ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي اعْتَكَفَ فِيهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ خِبَاؤُهُ فِي رَحَبَةٍ مِنْ رِحَابِ الْمَسْجِدِ وَلَمْ أَسْمَعْ أَنَّ الْمُعْتَكِفَ يَضْرِبُ بِنَاءً يَبِيتُ فِيهِ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ أَوْ فِي رَحَبَةٍ مِنْ رِحَابِ الْمَسْجِدِ وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَا يَبِيتُ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ قَوْلُ عَائِشَةَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اعْتَكَفَ لَا يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ وَلَا يَعْتَكِفُ فَوْقَ ظَهْرِ الْمَسْجِدِ وَلَا فِي الْمَنَارِ يَعْنِي الصَّوْمَعَةَ وَقَالَ مَالِك يَدْخُلُ الْمُعْتَكِفُ الْمَكَانَ الَّذِي يُرِيدُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهِ قَبْلَ غُرُوبِ [ ص: 245 ] الشَّمْسِ مِنْ اللَّيْلَةِ الَّتِي يُرِيدُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهَا حَتَّى يَسْتَقْبِلَ بِاعْتِكَافِهِ أَوَّلَ اللَّيْلَةِ الَّتِي يُرِيدُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهَا وَالْمُعْتَكِفُ مُشْتَغِلٌ بِاعْتِكَافِهِ لَا يَعْرِضُ لِغَيْرِهِ مِمَّا يَشْتَغِلُ بِهِ مِنْ التِّجَارَاتِ أَوْ غَيْرِهَا وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَأْمُرَ الْمُعْتَكِفُ بِضَيْعَتِهِ وَمَصْلَحَةِ أَهْلِهِ وَأَنْ يَأْمُرَ بِبَيْعِ مَالِهِ أَوْ بِشَيْءٍ لَا يَشْغَلُهُ فِي نَفْسِهِ فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا كَانَ خَفِيفًا أَنْ يَأْمُرَ بِذَلِكَ مَنْ يَكْفِيهِ إِيَّاهُ قَالَ مَالِك لَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَذْكُرُ فِي الْاعْتِكَافِ شَرْطًا وَإِنَّمَا الْاعْتِكَافُ عَمَلٌ مِنْ الْأَعْمَالِ مِثْلُ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ وَالْحَجِّ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْأَعْمَالِ مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ فَرِيضَةً أَوْ نَافِلَةً فَمَنْ دَخَلَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ فَإِنَّمَا يَعْمَلُ بِمَا مَضَى مِنْ السُّنَّةِ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُحْدِثَ فِي ذَلِكَ غَيْرَ مَا مَضَى عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ لَا مِنْ شَرْطٍ يَشْتَرِطُهُ وَلَا يَبْتَدِعُهُ وَقَدْ اعْتَكَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَرَفَ الْمُسْلِمُونَ سُنَّةَ الْاعْتِكَافِ قَالَ مَالِك وَالْاعْتِكَافُ وَالْجِوَارُ سَوَاءٌ وَالْاعْتِكَافُ لِلْقَرَوِيِّ وَالْبَدَوِيِّ سَوَاءٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান