আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
১৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৭৪
২২. রোযার বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৫৬. নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রোযা রাখতেন একাধারে, এমনকি আমরা বলিতাম, তিনি আর রোযা ছাড়িবেন না, আর যখন তিনি রোযা রাখতেন না, আমরা তখন বলিতাম, তিনি আর রোযা রাখবেন না। রমযান ব্যতীত কোন পূর্ণ মাসের রোযা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাখেন নাই এবং শা’বান মাসের চাইতে বেশী অন্য কোন মাসে রোযা রাখিতেও তাঁহাকে দেখি নাই।
بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لَا يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لَا يَصُومُ وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ قَطُّ إِلَّا رَمَضَانَ وَمَا رَأَيْتُهُ فِي شَهْرٍ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৭৫
২২. রোযার বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৫৭. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, রোযা (একটি) ঢাল, কাজেই তোমাদের যে কেউ রোযাদার হও, সে বাজে কথা বলিবে না এবং বর্বরতার কাজ করিবে না। যদি কোন ব্যক্তি তাহাকে গালি দেয় অথবা কাটাকাটি-মারামারি করিতে আসে, তবে সে যেন বলে, আমি রোযাদার, আমি রোযাদার।
بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الصِّيَامُ جُنَّةٌ فَإِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ صَائِمًا فَلَا يَرْفُثْ وَلَا يَجْهَلْ فَإِنْ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ أَوْ شَاتَمَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ إِنِّي صَائِمٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৭৬
২২. রোযার বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৫৮. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সেই সত্তার কসম, যাহার হাতে আমার প্রাণ, নিশ্চয়ই রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মৃগণাভীর ঘ্রাণ হইতেও উত্তম; নিঃসন্দেহে রোযাদার তাহার প্রবৃত্তি ও পানাহারকে ত্যাগ করে আমার জন্য। তাই রোযা আমারই এবং আমি উহার প্রতিদান দিব। প্রতিটি নেকীর প্রতিদান দশ হইতে সাত শত পর্যন্ত, আর রোযা আমার জন্য, আমিই উহার প্রতিদান দিব।
بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ إِنَّمَا يَذَرُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ وَشَرَابَهُ مِنْ أَجْلِي فَالصِّيَامُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ كُلُّ حَسَنَةٍ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ إِلَّا الصِّيَامَ فَهُوَ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ
হাদীস নং:৬৭৭
২২. রোযার বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৫৯. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেনঃ রমযান মাস যখন প্রবেশ করে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলিয়া দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করিয়া দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শিকলে আব্দ্ধ করা হয়।
بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِّدَتْ الشَّيَاطِينُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৭৮
২২. রোযার বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৬০. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তিনি আহলে ইলমদের নিকট শুনিয়াছেন যে, তাহারা দিনের কোন মুহুর্তে রোযাদারের জন্য মেছওয়াক করাকে মাকরূহ জানিতেন না- দিনের শুরুর দিকে হউক বা শেষভাগে হউক। তিনি বলেনঃ আমি কাহাকেও শুনি নাই, উহাকে মাকরূহ জানিতে অথবা উহা হইতে বারণ করিতে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ ঈদুল ফিতরের পর ছয় দিনের রোযা সম্পর্কে মালিক (রাহঃ)-কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, তিনি আহলে ইলম এবং আহলে ফিকহ, কাহাকেও সেই (ছয় দিনের) রোযা রাখিতে দেখেন নাই এবং তিনি বলেনঃ প্রাচীনদের কাহারো নিকট হইতে (উহা রাখার ব্যাপারে) আমার নিকট কোন কিছু পৌছে নাই। আর আহলে ইলম উহাকে মাকরূহ জানিতেন এবং উহা বিদ’আত হওয়ার আশঙ্কা করিতেন। আরো ভয় ছিল, অজ্ঞরা- সহজকে কঠিন করা যাহাদের অভ্যাস- তাহারা রমযানের মধ্যে যাহা গণ্য নছে উহাকে রমযানের সহিত মিলাইয়া দিবে, যদি তাহারা আহলে ইলমকে উহা রাখিতে দেখে এবং তাহাদের নিকট হইতে এই ব্যাপারে অনুমতি লাভ করে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আহলে ইলম ও আহলে ফিকহ এবং লোকে যাহাদিগকে স্মরণ করিয়া থাকে, তাহাদের কাহাকেও জুম’আ দিবসের রোযা হইতে নিষেধ করিতে শুনি নাই। জুম’আর দিনে রোযা রাখা ভাল। আমি কোন কোন আহলে ইলমকে উহা পালন করিতে দেখিয়াছি। আর আমি মনে করি, তাহারা (জুম’আ দিবসের প্রতি) লক্ষ্য রাখিতেন (ইহার গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়া)।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ ঈদুল ফিতরের পর ছয় দিনের রোযা সম্পর্কে মালিক (রাহঃ)-কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, তিনি আহলে ইলম এবং আহলে ফিকহ, কাহাকেও সেই (ছয় দিনের) রোযা রাখিতে দেখেন নাই এবং তিনি বলেনঃ প্রাচীনদের কাহারো নিকট হইতে (উহা রাখার ব্যাপারে) আমার নিকট কোন কিছু পৌছে নাই। আর আহলে ইলম উহাকে মাকরূহ জানিতেন এবং উহা বিদ’আত হওয়ার আশঙ্কা করিতেন। আরো ভয় ছিল, অজ্ঞরা- সহজকে কঠিন করা যাহাদের অভ্যাস- তাহারা রমযানের মধ্যে যাহা গণ্য নছে উহাকে রমযানের সহিত মিলাইয়া দিবে, যদি তাহারা আহলে ইলমকে উহা রাখিতে দেখে এবং তাহাদের নিকট হইতে এই ব্যাপারে অনুমতি লাভ করে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আহলে ইলম ও আহলে ফিকহ এবং লোকে যাহাদিগকে স্মরণ করিয়া থাকে, তাহাদের কাহাকেও জুম’আ দিবসের রোযা হইতে নিষেধ করিতে শুনি নাই। জুম’আর দিনে রোযা রাখা ভাল। আমি কোন কোন আহলে ইলমকে উহা পালন করিতে দেখিয়াছি। আর আমি মনে করি, তাহারা (জুম’আ দিবসের প্রতি) লক্ষ্য রাখিতেন (ইহার গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়া)।
بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ أَهْلَ الْعِلْمِ لَا يَكْرَهُونَ السِّوَاكَ لِلصَّائِمِ فِي رَمَضَانَ فِي سَاعَةٍ مِنْ سَاعَاتِ النَّهَارِ لَا فِي أَوَّلِهِ وَلَا فِي آخِرِهِ وَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَكْرَهُ ذَلِكَ وَلَا يَنْهَى عَنْهُ قَالَ يَحْيَى وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي صِيَامِ سِتَّةِ أَيَّامٍ بَعْدَ الْفِطْرِ مِنْ رَمَضَانَ إِنَّهُ لَمْ يَرَ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْفِقْهِ يَصُومُهَا وَلَمْ يَبْلُغْنِي ذَلِكَ عَنْ أَحَدٍ مِنْ السَّلَفِ وَإِنَّ أَهْلَ الْعِلْمِ يَكْرَهُونَ ذَلِكَ وَيَخَافُونَ بِدْعَتَهُ وَأَنْ يُلْحِقَ بِرَمَضَانَ مَا لَيْسَ مِنْهُ أَهْلُ الْجَهَالَةِ وَالْجَفَاءِ لَوْ رَأَوْا فِي ذَلِكَ رُخْصَةً عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَرَأَوْهُمْ يَعْمَلُونَ ذَلِكَ وَقَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ لَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْفِقْهِ وَمَنْ يُقْتَدَى بِهِ يَنْهَى عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَصِيَامُهُ حَسَنٌ وَقَدْ رَأَيْتُ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَصُومُهُ وَأُرَاهُ كَانَ يَتَحَرَّاهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: