আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
১৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৫৮
১৪. ভুলে হত্যা ও যিহার এর রোযা
রেওয়ায়ত ৪০. ইয়াইয়া (রাহঃ) বলেন, আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলতে শুনিয়াছি, সেই ব্যক্তি সম্পর্কে যে ব্যক্তির উপর ধারাবাহিকরূপে দুই মাসের রোযা ফরয হইয়াছে- ভুলে হত্যা অথবা যিহার* করা বাবদ। অতঃপর তাহার কোন কঠিন পীড়া হইয়াছে যদ্দরুন রোযা ভাঙিতে হইয়াছে। সে যদি আরোগ্য লাভ করে এবং রোযা রাখিতে সক্ষম হয়, তবে আমি (এই ব্যাপারে) যাহা শুনিয়াছি, তন্মধ্যে উত্তম হইল- সেই ব্যক্তির জন্য ইহাতে বিলম্ব করা জায়েয নহে। তাহার যে রোযা পূর্বে গত হইয়াছে, উহার উপর ভিত্তি করিয়া সে অবশিষ্ট রোযা রাখিবে।
তদ্রূপ ভুলে হত্যার কারণে যে নারীর উপর রোযা ওয়াজিব হইয়াছে, সে তাহার রোযার মাঝখানে ঋতুবতী হইলে রোযা রাখিবে না। তবে পাক হইলে পর সে রোযা রাখিতে বিলম্ব করিবে না এবং যে রোযা পূর্বে রাখিয়াছে উহার উপর ভিত্তি করিয়া অবশিষ্ট রোযা রাখিবে। আল্লাহর কিতাবের বিধান মুতাবিক যাহার উপর দুই মাসের রোযা ধারাবাহিকভাবে রাখা ওয়াজিব হইয়াছে, তাহার জন্য পীড়াজনিত ব্যাপার ও ঋতুস্রাব ব্যতীত রোযা ভঙ্গ করা জায়েয নহে। এইরূপ ব্যক্তির জন্য সফর আরম্ভ করিয়া রোযা ভঙ্গ করারও অনুমতি নাই। যেরূপ কুরআনুল করীমে ইরশাদ করা হইয়াছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রুগ্ন থাকে কিংবা সফরে থাকে, তবে সে অন্য দিন রোযা রাখিবে। ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ এই ব্যাপারে যাহা শুনিয়াছি, তাহার মধ্যে ইহাই আমার কাছে সর্বাপেক্ষা উত্তম।
* যিহার- যাহ্যাঁদের সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ নিজের স্ত্রীকে তাহদের সঙ্গে তুলনা করে সম্বোধন করা।
তদ্রূপ ভুলে হত্যার কারণে যে নারীর উপর রোযা ওয়াজিব হইয়াছে, সে তাহার রোযার মাঝখানে ঋতুবতী হইলে রোযা রাখিবে না। তবে পাক হইলে পর সে রোযা রাখিতে বিলম্ব করিবে না এবং যে রোযা পূর্বে রাখিয়াছে উহার উপর ভিত্তি করিয়া অবশিষ্ট রোযা রাখিবে। আল্লাহর কিতাবের বিধান মুতাবিক যাহার উপর দুই মাসের রোযা ধারাবাহিকভাবে রাখা ওয়াজিব হইয়াছে, তাহার জন্য পীড়াজনিত ব্যাপার ও ঋতুস্রাব ব্যতীত রোযা ভঙ্গ করা জায়েয নহে। এইরূপ ব্যক্তির জন্য সফর আরম্ভ করিয়া রোযা ভঙ্গ করারও অনুমতি নাই। যেরূপ কুরআনুল করীমে ইরশাদ করা হইয়াছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রুগ্ন থাকে কিংবা সফরে থাকে, তবে সে অন্য দিন রোযা রাখিবে। ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ এই ব্যাপারে যাহা শুনিয়াছি, তাহার মধ্যে ইহাই আমার কাছে সর্বাপেক্ষা উত্তম।
* যিহার- যাহ্যাঁদের সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ নিজের স্ত্রীকে তাহদের সঙ্গে তুলনা করে সম্বোধন করা।
بَاب صِيَامِ الَّذِي يَقْتُلُ خَطَإٍ أَوْ يَتَظَاهَرُ
حَدَّثَنِي يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِيمَنْ وَجَبَ عَلَيْهِ صِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ فِي قَتْلِ خَطَأٍ أَوْ تَظَاهُرٍ فَعَرَضَ لَهُ مَرَضٌ يَغْلِبُهُ وَيَقْطَعُ عَلَيْهِ صِيَامَهُ أَنَّهُ إِنْ صَحَّ مِنْ مَرَضِهِ وَقَوِيَ عَلَى الصِّيَامِ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُؤَخِّرَ ذَلِكَ وَهُوَ يَبْنِي عَلَى مَا قَدْ مَضَى مِنْ صِيَامِهِ وَكَذَلِكَ الْمَرْأَةُ الَّتِي يَجِبُ عَلَيْهَا الصِّيَامُ فِي قَتْلِ النَّفْسِ خَطَأً إِذَا حَاضَتْ بَيْنَ ظَهْرَيْ صِيَامِهَا أَنَّهَا إِذَا طَهُرَتْ لَا تُؤَخِّرُ الصِّيَامَ وَهِيَ تَبْنِي عَلَى مَا قَدْ صَامَتْ وَلَيْسَ لِأَحَدٍ وَجَبَ عَلَيْهِ صِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ فِي كِتَابِ اللَّهِ أَنْ يُفْطِرَ إِلَّا مِنْ عِلَّةٍ مَرَضٍ أَوْ حَيْضَةٍ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُسَافِرَ فَيُفْطِرَ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: