আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬১৯
১. রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রোযার উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেনঃ তোমরা চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা রাখিও না। আর চাঁদ না দেখিয়া রোযা খুলিও না। যদি তোমাদের উপর (আকাশ) মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে রোযা খোলার জন্য অন্য দিন হিসাব করিয়া নিও।
بَاب مَا جَاءَ فِي رُؤْيَةِ الْهِلَالِ لِلصَّوْمِ وَالْفِطْرِ فِي رَمَضَانَ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬২০
১. রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মাস উনত্রিশ দিনেরও হয়, যদি (আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে) তোমাদের উপর চাঁদ পর্দাবৃত করা হয়, তবে উহার জন্য দিন গণনা করিও।
بَاب مَا جَاءَ فِي رُؤْيَةِ الْهِلَالِ لِلصَّوْمِ وَالْفِطْرِ فِي رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ فَلَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬২১
১. রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩. আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযানের উল্লেখ করিলেন। (এই প্রসঙ্গে) তিনি বলিলেনঃ তোমরা চাঁদ না দেখিয়া রোযা রাখিও না এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা খুলিও না। আর যদি আকাশ তোমাদের উপর মেঘাচ্ছাদিত হয়, তবে সংখ্যা ত্রিশ পূর্ণ করিও।
بَاب مَا جَاءَ فِي رُؤْيَةِ الْهِلَالِ لِلصَّوْمِ وَالْفِطْرِ فِي رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدِّيلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ
হাদীস নং:৬২২
১. রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-এর আমলে বিকালে চাঁদ দৃষ্ট হয়। কিন্তু উসমান (রাযিঃ) সন্ধ্যা হওয়া ও সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত ইফতার করেন নাই।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি রমযানের চাঁদ একাই দেখিয়াছে সে নিজে রোযা রাখিবে, তাহার জন্য রোযা ভঙ্গ করা সমীচীন নহে। কারণ সে জানে যে, উহা রমযান মাস। আর যে শাওয়ালের চাঁদ একা দেখিয়াছে, সে রোযা ভঙ্গ করিবে না, কারণ লোকে (এই বলিয়া) অপবাদ দিবে যে, আমাদের একজন রোযা রাখে নাই। পক্ষাত্তরে যাহারা নির্ভরযোগ্য নহে তেমন ব্যক্তিদের খেয়াল হইলে তবে তাহারা বলিবে, আমরা অবশ্য চাঁদ দেখিয়াছি। আর যে ব্যক্তি দিনে শাওয়ালের চাঁদ দেখিতে পায়, সে রোযা ইফতার করিবে না বরং সেই দিনের রোযা পূর্ণ করিবে, কারণ উহা আগামী রাতের চাঁদ।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যদি লোকে ঈদের দিন রোযা রাখে এবং তাহারা উহাকে রোযার দিন বলিয়া মনে করে, তৎপর একজন বিশ্বস্ত লোক আসিয়া তাহাদিগকে বলে, রমযানের চাঁদ তাহাদের রোযার একদিন পূর্বে দেখা গিয়াছে, আর তাহদের এই দিবস হইতেছে একত্রিশের, তবে যেই মুহুর্তে তাহদের নিকট খবর পৌছে সেই মুহুর্তেই তাহারা রোযা ভাঙিয়া ফেলিবে। অবশ্য তাহারা সেই খবর সূর্য হেলিবার পর পাইলে সেই দিন তাহারা ঈদের নামায পড়িবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي رُؤْيَةِ الْهِلَالِ لِلصَّوْمِ وَالْفِطْرِ فِي رَمَضَانَ
وحدثني عن مالك أنه بلغه أن الهلال رئي في زمان عثمان بن عفان بعشي فلم يفطر عثمان حتى أمسى وغابت الشمس قال يحيى سمعت مالك يقول في الذي يرى هلال رمضان وحده أنه يصوم لا ينبغي له أن يفطر وهو يعلم أن ذلك اليوم من رمضان قال ومن رأى هلال شوال وحده فإنه لا يفطر لأن الناس يتهمون على أن يفطر منهم من ليس مأمونا ويقول أولئك إذا ظهر عليهم قد رأينا الهلال ومن رأى هلال شوال نهارا فلا يفطر ويتم صيام يومه ذلك فإنما هو هلال الليلة التي تأتي قال يحيى وسمعت مالك يقول إذا صام الناس يوم الفطر وهم يظنون أنه من رمضان فجاءهم ثبت أن هلال رمضان قد رئي قبل أن يصوموا بيوم وأن يومهم ذلك أحد وثلاثون فإنهم يفطرون في ذلك اليوم أية ساعة جاءهم الخبر غير أنهم لا يصلون صلاة العيد إن كان ذلك جاءهم بعد زوال الشمس
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান