আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
১৭. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬০৩
২৪. আহলে কিতাবের উপর ধার্য জিযয়া
রেওয়ায়ত ৪১. ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেনঃ আমি শুনিয়াছি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাহরাইনের অগ্নিপূজকদের উপর, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) পারস্যের অগ্নিপূজকদের উপর এবং উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) বর্বর মুশরিকদের উপর জিযয়া ধার্য করিয়াছিলেন।
بَاب جِزْيَةِ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمَجُوسِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ الْجِزْيَةَ مِنْ مَجُوسِ الْبَحْرَيْنِ وَأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَخَذَهَا مِنْ مَجُوسِ فَارِسَ وَأَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ أَخَذَهَا مِنْ الْبَرْبَرِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৬০৪
২৪. আহলে কিতাবের উপর ধার্য জিযয়া
রেওয়ায়ত ৪২. মুহাম্মাদ বাকির (রাহঃ) বর্ণনা করেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) অগ্নি উপাসকদের জিযয়ার কথা আলোচনা করিতে গিয়া বলিলেনঃ বুঝিতে পারিতেছি না, ইহাদের ব্যাপারে কি করা যায়। এই সময় আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) বললেনঃ আমি সাক্ষ্য দিতেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে আমি বলিতে শুনিয়াছি যে, অগ্নি-উপাসকদের সহিত তোমরা কিতাবীদের মত ব্যবহার করিবে।
بَاب جِزْيَةِ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمَجُوسِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ذَكَرَ الْمَجُوسَ فَقَالَ مَا أَدْرِي كَيْفَ أَصْنَعُ فِي أَمْرِهِمْ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ سُنُّوا بِهِمْ سُنَّةَ أَهْلِ الْكِتَابِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬০৫
২৪. আহলে কিতাবের উপর ধার্য জিযয়া
রেওয়ায়ত ৪৩. আসলাম (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) অমুসলিম স্বর্ণ মালিকদের উপর বাৎসরিক চার দীনার এবং রৌপ্য-মালিকদের উপর বাৎসরিক দশ দিরহাম জিযয়া ধার্য করিয়াছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুধার্ত মুসলিমদের খাদ্য প্রদান এবং মুসাফিরদের তিনদিন পর্যন্ত মেহমানদারী করাও ইহার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
بَاب جِزْيَةِ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمَجُوسِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ضَرَبَ الْجِزْيَةَ عَلَى أَهْلِ الذَّهَبِ أَرْبَعَةَ دَنَانِيرَ وَعَلَى أَهْلِ الْوَرِقِ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا مَعَ ذَلِكَ أَرْزَاقُ الْمُسْلِمِينَ وَضِيَافَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৬০৬
২৪. আহলে কিতাবের উপর ধার্য জিযয়া
রেওয়ায়ত ৪৪. আসলাম (রাহঃ) বর্ণনা করেন- উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে একবার জানাইলাম, সরকারী উটসমূহের মধ্যে একটা অন্ধ উটও রহিয়াছে। উমর (রাযিঃ) বলিলেনঃ অভাবী কাহাকেও দিয়া দিও। ইহা হইতে সে উপকার লাভ করিতে পারিবে। আমি বলিলামঃ উটটি তো অন্ধ। তিনি বলিলেন, উহাকে উটের দলে বাধিয়া দিবে। ইহাদের সঙ্গে চলাফেরা করিবে। আমি বলিলাম, কেমন করিয়া ইহা ঘাস খাইবে? তিনি বলিলেনঃ ইহা জিযয়া না যাকাতের? আমি বলিলামঃ জিয়ার। তিনি বলিলেনঃ তুমি ইহাকে যবেহ করার ইচ্ছা করিয়াছ নাকি? আমি বলিলামঃ না, ইহাতে জিযয়ার চিহ্ন বিদ্যমান। শেষে উমর (রাযিঃ)-এর নির্দেশে ঐ উটকে নাহর (যবেহ) করা হইল।
উমর (রাযিঃ)-এর নিকট নয়টি পেয়ালা ছিল। ফল বা ভাল কোন জিনিস তাহার নিকট আসিলে ঐ পেয়ালাগুলি ভরিয়া উম্মুল মু’মিনীনদের নিকট পাঠাইয়া দিতেন। সকলের শেষে তদীয় কন্যা উম্মুল মু'মিনীন হাফসা (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠাইতেন। কম পড়িলে হাফসা (রাযিঃ)-এর হিস্যাতেই পড়িত। যাহা হউক, উক্ত অন্ধ উটটিকে নাহর করার পর প্রথম উল্লিখিত পেয়ালাসমূহ ভরিয়া উম্মুল মু'মিনীনদের নিকট পাঠানো হইল। বাকি যাহা রহিল তাহা রান্না করিয়া মুহাজির ও আনসারদেরকে দাওয়াত করিয়া খাওয়াইলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অমুসলিম জিযয়া প্রদানকারীদের নিকট হইতে জিযয়া হিসাবে পশু আদায় করা হইবে না। তবে মূল্য ধার্য করিয়া নগদ অর্থের বদলে পশু লওয়া যাইতে পারে।
উমর (রাযিঃ)-এর নিকট নয়টি পেয়ালা ছিল। ফল বা ভাল কোন জিনিস তাহার নিকট আসিলে ঐ পেয়ালাগুলি ভরিয়া উম্মুল মু’মিনীনদের নিকট পাঠাইয়া দিতেন। সকলের শেষে তদীয় কন্যা উম্মুল মু'মিনীন হাফসা (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠাইতেন। কম পড়িলে হাফসা (রাযিঃ)-এর হিস্যাতেই পড়িত। যাহা হউক, উক্ত অন্ধ উটটিকে নাহর করার পর প্রথম উল্লিখিত পেয়ালাসমূহ ভরিয়া উম্মুল মু'মিনীনদের নিকট পাঠানো হইল। বাকি যাহা রহিল তাহা রান্না করিয়া মুহাজির ও আনসারদেরকে দাওয়াত করিয়া খাওয়াইলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অমুসলিম জিযয়া প্রদানকারীদের নিকট হইতে জিযয়া হিসাবে পশু আদায় করা হইবে না। তবে মূল্য ধার্য করিয়া নগদ অর্থের বদলে পশু লওয়া যাইতে পারে।
بَاب جِزْيَةِ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمَجُوسِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِنَّ فِي الظَّهْرِ نَاقَةً عَمْيَاءَ فَقَالَ عُمَرُ ادْفَعْهَا إِلَى أَهْلِ بَيْتٍ يَنْتَفِعُونَ بِهَا قَالَ فَقُلْتُ وَهِيَ عَمْيَاءُ فَقَالَ عُمَرُ يَقْطُرُونَهَا بِالْإِبِلِ قَالَ فَقُلْتُ كَيْفَ تَأْكُلُ مِنْ الْأَرْضِ قَالَ فَقَالَ عُمَرُ أَمِنْ نَعَمْ الْجِزْيَةِ هِيَ أَمْ مِنْ نَعَمْ الصَّدَقَةِ فَقُلْتُ بَلْ مِنْ نَعَمْ الْجِزْيَةِ فَقَالَ عُمَرُ أَرَدْتُمْ وَاللَّهِ أَكْلَهَا فَقُلْتُ إِنَّ عَلَيْهَا وَسْمَ الْجِزْيَةِ فَأَمَرَ بِهَا عُمَرُ فَنُحِرَتْ وَكَانَ عِنْدَهُ صِحَافٌ تِسْعٌ فَلَا تَكُونُ فَاكِهَةٌ وَلَا طُرَيْفَةٌ إِلَّا جَعَلَ مِنْهَا فِي تِلْكَ الصِّحَافِ فَبَعَثَ بِهَا إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَكُونُ الَّذِي يَبْعَثُ بِهِ إِلَى حَفْصَةَ ابْنَتِهِ مِنْ آخِرِ ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ فِيهِ نُقْصَانٌ كَانَ فِي حَظِّ حَفْصَةَ قَالَ فَجَعَلَ فِي تِلْكَ الصِّحَافِ مِنْ لَحْمِ تِلْكَ الْجَزُورِ فَبَعَثَ بِهِ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَ بِمَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِ تِلْكَ الْجَزُورِ فَصُنِعَ فَدَعَا عَلَيْهِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارَ
قَالَ مَالِك لَا أَرَى أَنْ تُؤْخَذَ النَّعَمُ مِنْ أَهْلِ الْجِزْيَةِ إِلَّا فِي جِزْيَتِهِمْ
قَالَ مَالِك لَا أَرَى أَنْ تُؤْخَذَ النَّعَمُ مِنْ أَهْلِ الْجِزْيَةِ إِلَّا فِي جِزْيَتِهِمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৬০৭
২৪. আহলে কিতাবের উপর ধার্য জিযয়া
রেওয়ায়ত ৪৫. মালিক (রাহঃ) বলেন, আমি জানিতে পারিয়াছি যে, উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) তাহার কর্মচারীদের নিকট একই মর্মে চিঠি লিখিয়াছেন যে, জিযয়া প্রদানকারীদের মধ্যে যাহারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিবে তাহদের জিযয়া মউকুফ হইয়া যাইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ প্রচলিত সুন্নত হইল, অমুসলিম আহলে কিতাব নারী ও শিশুদের উপর জিযয়া ধার্য হইবে না। যুবকদের নিকট হইতেই কেবল জিযয়া আদায় করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বললেনঃ যিম্মী ও অগ্নিপূজকদের খেজুর বা আঙ্গুরের বাগান, কৃষিক্ষেত্র এবং পশুসমূহ হইতে যাকাত গ্রহণ করা হইবে না। কারণ সম্পদ পবিত্রকরণ উদ্দেশ্যে এবং মুসলিম দরিদ্র ব্যক্তিগণকে প্রদানের জন্য যাকাত শুধু মুসলমানদের উপর ধার্য হয়। জিযয়া অমুসলিম বাসিন্দাদেরকে অধঃস্থ দেখাইবার জন্য কেবল তাহাদের উপর ধার্য করা হইয়াছে। সুতরাং যতদিন তাহারা সন্ধিকৃত এলাকায় বসবাস করিবে, তাহাদের উপর জিযয়া ব্যতীত আর কিছুই ধার্য হইবে না। তবে মুসলিম অধুষিত অঞ্চলে তাহারা ব্যবসার উদ্দেশ্যে আসা-যাওয়া করিলে তাহাদের ব্যবসায়ের মাল হইতে এক-দশমাংশ আদায় করা হইবে। কারণ স্বীয় অঞ্চলে বসবাস করার এবং শক্ৰ হইতে রক্ষা করার ভিত্তিতেই তাহাদের উপর জিযয়া ধার্য করা হইয়াছিল। সুতরাং স্বীয় অঞ্চলের বাহিরে গিয়া ব্যবসায়ে লিপ্ত হইলে ব্যবসায়ের মাল হইতে এক-দশমাংশ আদায় করা হইবে।
যেমন মিসরে বসবাসকারী অমুসলিম বাসিন্দা সিরিয়ায়, সিরিয়ার যিম্মী ইরাকে, ইরাকের যিম্মী অধিবাসী মদীনায় ব্যবসা করিতে গেলে তাহার ব্যবসায়ের মালে এক-দশমাংশ কর ধার্য করা হইবে। আহলে কিতাব এবং অগ্নি-উপাসক (অর্থাৎ অমুসলিম যিম্মী) বাসিন্দাদের পশুপাল, ফল এবং কৃষিক্ষেত্রে কোনরূপ যাকাত ধার্য করা যাইবে না। এমনিভাবে অমুসলিম যিম্মী নাগরিকদিগকে তাহাদের পৈতৃক ধর্মে প্রতিষ্ঠিত থাকিতে দেওয়া হইবে এবং তাহদের ধর্মীয় বিষয়ে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করা যাইবে না। কিন্তু দারুল ইসলামে যতবার তাহারা ব্যবসা করিতে আসিবে তাহাদের নিকট হইতে ততবার এক-দশমাংশ কর আদায় করা হইবে। অর্থাৎ বাণিজ্য উদ্দেশ্যে বৎসরে কয়েকবার আসিলে প্রত্যেকবারই উক্ত কর দিবে। কারণ তাহাদের ব্যবসায়ের মধ্যে কর ধার্য করা যাইবে না বলিয়া কোনরূপ চুক্তি তাহাদের সঙ্গে হয় নাই। আমাদের শহরবাসী (মদীনাবাসী) আলিমগণকে উক্তরূপ আমল করিতে আমি দেখিয়াছি।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ প্রচলিত সুন্নত হইল, অমুসলিম আহলে কিতাব নারী ও শিশুদের উপর জিযয়া ধার্য হইবে না। যুবকদের নিকট হইতেই কেবল জিযয়া আদায় করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বললেনঃ যিম্মী ও অগ্নিপূজকদের খেজুর বা আঙ্গুরের বাগান, কৃষিক্ষেত্র এবং পশুসমূহ হইতে যাকাত গ্রহণ করা হইবে না। কারণ সম্পদ পবিত্রকরণ উদ্দেশ্যে এবং মুসলিম দরিদ্র ব্যক্তিগণকে প্রদানের জন্য যাকাত শুধু মুসলমানদের উপর ধার্য হয়। জিযয়া অমুসলিম বাসিন্দাদেরকে অধঃস্থ দেখাইবার জন্য কেবল তাহাদের উপর ধার্য করা হইয়াছে। সুতরাং যতদিন তাহারা সন্ধিকৃত এলাকায় বসবাস করিবে, তাহাদের উপর জিযয়া ব্যতীত আর কিছুই ধার্য হইবে না। তবে মুসলিম অধুষিত অঞ্চলে তাহারা ব্যবসার উদ্দেশ্যে আসা-যাওয়া করিলে তাহাদের ব্যবসায়ের মাল হইতে এক-দশমাংশ আদায় করা হইবে। কারণ স্বীয় অঞ্চলে বসবাস করার এবং শক্ৰ হইতে রক্ষা করার ভিত্তিতেই তাহাদের উপর জিযয়া ধার্য করা হইয়াছিল। সুতরাং স্বীয় অঞ্চলের বাহিরে গিয়া ব্যবসায়ে লিপ্ত হইলে ব্যবসায়ের মাল হইতে এক-দশমাংশ আদায় করা হইবে।
যেমন মিসরে বসবাসকারী অমুসলিম বাসিন্দা সিরিয়ায়, সিরিয়ার যিম্মী ইরাকে, ইরাকের যিম্মী অধিবাসী মদীনায় ব্যবসা করিতে গেলে তাহার ব্যবসায়ের মালে এক-দশমাংশ কর ধার্য করা হইবে। আহলে কিতাব এবং অগ্নি-উপাসক (অর্থাৎ অমুসলিম যিম্মী) বাসিন্দাদের পশুপাল, ফল এবং কৃষিক্ষেত্রে কোনরূপ যাকাত ধার্য করা যাইবে না। এমনিভাবে অমুসলিম যিম্মী নাগরিকদিগকে তাহাদের পৈতৃক ধর্মে প্রতিষ্ঠিত থাকিতে দেওয়া হইবে এবং তাহদের ধর্মীয় বিষয়ে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করা যাইবে না। কিন্তু দারুল ইসলামে যতবার তাহারা ব্যবসা করিতে আসিবে তাহাদের নিকট হইতে ততবার এক-দশমাংশ কর আদায় করা হইবে। অর্থাৎ বাণিজ্য উদ্দেশ্যে বৎসরে কয়েকবার আসিলে প্রত্যেকবারই উক্ত কর দিবে। কারণ তাহাদের ব্যবসায়ের মধ্যে কর ধার্য করা যাইবে না বলিয়া কোনরূপ চুক্তি তাহাদের সঙ্গে হয় নাই। আমাদের শহরবাসী (মদীনাবাসী) আলিমগণকে উক্তরূপ আমল করিতে আমি দেখিয়াছি।
بَاب جِزْيَةِ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمَجُوسِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ إِلَى عُمَّالِهِ أَنْ يَضَعُوا الْجِزْيَةَ عَمَّنْ أَسْلَمَ مِنْ أَهْلِ الْجِزْيَةِ حِينَ يُسْلِمُونَ قَالَ مَالِك مَضَتْ السُّنَّةُ أَنْ لَا جِزْيَةَ عَلَى نِسَاءِ أَهْلِ الْكِتَابِ وَلَا عَلَى صِبْيَانِهِمْ وَأَنَّ الْجِزْيَةَ لَا تُؤْخَذُ إِلَّا مِنْ الرِّجَالِ الَّذِينَ قَدْ بَلَغُوا الْحُلُمَ وَلَيْسَ عَلَى أَهْلِ الذِّمَّةِ وَلَا عَلَى الْمَجُوسِ فِي نَخِيلِهِمْ وَلَا كُرُومِهِمْ وَلَا زُرُوعِهِمْ وَلَا مَوَاشِيهِمْ صَدَقَةٌ لِأَنَّ الصَّدَقَةَ إِنَّمَا وُضِعَتْ عَلَى الْمُسْلِمِينَ تَطْهِيرًا لَهُمْ وَرَدًّا عَلَى فُقَرَائِهِمْ وَوُضِعَتْ الْجِزْيَةُ عَلَى أَهْلِ الْكِتَابِ صَغَارًا لَهُمْ فَهُمْ مَا كَانُوا بِبَلَدِهِمْ الَّذِينَ صَالَحُوا عَلَيْهِ لَيْسَ عَلَيْهِمْ شَيْءٌ سِوَى الْجِزْيَةِ فِي شَيْءٍ مِنْ أَمْوَالِهِمْ إِلَّا أَنْ يَتَّجِرُوا فِي بِلَادِ الْمُسْلِمِينَ وَيَخْتَلِفُوا فِيهَا فَيُؤْخَذُ مِنْهُمْ الْعُشْرُ فِيمَا يُدِيرُونَ مِنْ التِّجَارَاتِ وَذَلِكَ أَنَّهُمْ إِنَّمَا وُضِعَتْ عَلَيْهِمْ الْجِزْيَةُ وَصَالَحُوا عَلَيْهَا عَلَى أَنْ يُقَرُّوا بِبِلَادِهِمْ وَيُقَاتَلُ عَنْهُمْ عَدُوُّهُمْ فَمَنْ خَرَجَ مِنْهُمْ مِنْ بِلَادِهِ إِلَى غَيْرِهَا يَتْجُرُ إِلَيْهَا فَعَلَيْهِ الْعُشْرُ مَنْ تَجَرَ مِنْهُمْ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ إِلَى الشَّامِ وَمِنْ أَهْلِ الشَّامِ إِلَى الْعِرَاقِ وَمِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ إِلَى الْمَدِينَةِ أَوْ الْيَمَنِ أَوْ مَا أَشْبَهَ هَذَا مِنْ الْبِلَادِ فَعَلَيْهِ الْعُشْرُ وَلَا صَدَقَةَ عَلَى أَهْلِ الْكِتَابِ وَلَا الْمَجُوسِ فِي شَيْءٍ مِنْ أَمْوَالِهِمْ وَلَا مِنْ مَوَاشِيهِمْ وَلَا ثِمَارِهِمْ وَلَا زُرُوعِهِمْ مَضَتْ بِذَلِكَ السُّنَّةُ وَيُقَرُّونَ عَلَى دِينِهِمْ وَيَكُونُونَ عَلَى مَا كَانُوا عَلَيْهِ وَإِنْ اخْتَلَفُوا فِي الْعَامِ الْوَاحِدِ مِرَارًا فِي بِلَادِ الْمُسْلِمِينَ فَعَلَيْهِمْ كُلَّمَا اخْتَلَفُوا الْعُشْرُ لِأَنَّ ذَلِكَ لَيْسَ مِمَّا صَالَحُوا عَلَيْهِ وَلَا مِمَّا شُرِطَ لَهُمْ وَهَذَا الَّذِي أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ أَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: