আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
১৭. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৭১
৫. যে ধরনের দ্রব্যে যাকাত ধার্য করা হয় না
রেওয়ায়ত ১০. আব্দুর রহমান ইবনে কাসিম (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, নবী করীম (ﷺ) এর পত্নী আয়েশা (রাযিঃ) তাহার ভ্রাতা মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর (রাযিঃ)-এর ইয়াতীম ছেলে-মেয়েদের লালন-পালন করিতেন। ইহাদের অনেকেরই অলংকার ছিল। কিন্তু আয়েশা (রাযিঃ) এইগুলির যাকাত আদায় করিতেন না।
بَاب مَا لَا زَكَاةَ فِيهِ مِنْ الْحُلِيِّ وَالتِّبْرِ وَالْعَنْبَرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ تَلِي بَنَاتَ أَخِيهَا يَتَامَى فِي حَجْرِهَا لَهُنَّ الْحَلْيُ فَلَا تُخْرِجُ مِنْ حُلِيِّهِنَّ الزَّكَاةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৭২
৫. যে ধরনের দ্রব্যে যাকাত ধার্য করা হয় না
রেওয়ায়ত ১১ নাফি’ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) স্বীয় কন্যা ও ক্রীতদাসীদেরকে স্বর্ণের অলংকার পরাইতেন। তিনি সমস্ত অলংকারের যাকাত দিতেন না।*
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কাহারও নিকট যদি স্বর্ণ বা রৌপ্যের পিণ্ড থাকে এবং ইহা কাজে না লাগায় তবে নিসাব পরিমাণ হইলে ইহাতে বাৎসরিক চল্লিশ ভাগের এক ভাগ হারে যাকাত ধার্য হইবে। অলংকার তৈয়ারের উদ্দেশ্যে রক্ষিত পিণ্ড বা মেরামতের উদ্দেশ্যে রক্ষিত ভগ্ন অলংকার গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় মাল আসবাবের মত। ইহাতে যাকাত ফরয হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মোতি, কস্তুরী, আম্বর ইত্যাদি সুগন্ধি দ্রব্যে যাকাত ফরয হয় না।
* অধিকাংশ ইমামের নিকট ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রক্ষিত অলংকারের যাকাত ফরয হয় না। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে ইহাতেও যাকাত ফরয হইবে। আর এই হাদীসটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইয়াতীম নাবালেগদের সম্পদ ছিল বিধায় ইহার যাকাত আদায় করা হইত না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কাহারও নিকট যদি স্বর্ণ বা রৌপ্যের পিণ্ড থাকে এবং ইহা কাজে না লাগায় তবে নিসাব পরিমাণ হইলে ইহাতে বাৎসরিক চল্লিশ ভাগের এক ভাগ হারে যাকাত ধার্য হইবে। অলংকার তৈয়ারের উদ্দেশ্যে রক্ষিত পিণ্ড বা মেরামতের উদ্দেশ্যে রক্ষিত ভগ্ন অলংকার গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় মাল আসবাবের মত। ইহাতে যাকাত ফরয হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মোতি, কস্তুরী, আম্বর ইত্যাদি সুগন্ধি দ্রব্যে যাকাত ফরয হয় না।
* অধিকাংশ ইমামের নিকট ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রক্ষিত অলংকারের যাকাত ফরয হয় না। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে ইহাতেও যাকাত ফরয হইবে। আর এই হাদীসটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইয়াতীম নাবালেগদের সম্পদ ছিল বিধায় ইহার যাকাত আদায় করা হইত না।
بَاب مَا لَا زَكَاةَ فِيهِ مِنْ الْحُلِيِّ وَالتِّبْرِ وَالْعَنْبَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُحَلِّي بَنَاتَهُ وَجَوَارِيَهُ الذَّهَبَ ثُمَّ لَا يُخْرِجُ مِنْ حُلِيِّهِنَّ الزَّكَاةَ
قَالَ مَالِك مَنْ كَانَ عِنْدَهُ تِبْرٌ أَوْ حَلْيٌ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ لَا يُنْتَفَعُ بِهِ لِلُبْسٍ فَإِنَّ عَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةَ فِي كُلِّ عَامٍ يُوزَنُ فَيُؤْخَذُ رُبُعُ عُشْرِهِ إِلَّا أَنْ يَنْقُصَ مِنْ وَزْنِ عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَإِنْ نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَلَيْسَ فِيهِ زَكَاةٌ وَإِنَّمَا تَكُونُ فِيهِ الزَّكَاةُ إِذَا كَانَ إِنَّمَا يُمْسِكُهُ لِغَيْرِ اللُّبْسِ فَأَمَّا التِّبْرُ وَالْحُلِيُّ الْمَكْسُورُ الَّذِي يُرِيدُ أَهْلُهُ إِصْلَاحَهُ وَلُبْسَهُ فَإِنَّمَا هُوَ بِمَنْزِلَةِ الْمَتَاعِ الَّذِي يَكُونُ عِنْدَ أَهْلِهِ فَلَيْسَ عَلَى أَهْلِهِ فِيهِ زَكَاةٌ قَالَ مَالِك لَيْسَ فِي اللُّؤْلُؤِ وَلَا فِي الْمِسْكِ وَلَا الْعَنْبَرِ زَكَاةٌ
قَالَ مَالِك مَنْ كَانَ عِنْدَهُ تِبْرٌ أَوْ حَلْيٌ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ لَا يُنْتَفَعُ بِهِ لِلُبْسٍ فَإِنَّ عَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةَ فِي كُلِّ عَامٍ يُوزَنُ فَيُؤْخَذُ رُبُعُ عُشْرِهِ إِلَّا أَنْ يَنْقُصَ مِنْ وَزْنِ عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَإِنْ نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَلَيْسَ فِيهِ زَكَاةٌ وَإِنَّمَا تَكُونُ فِيهِ الزَّكَاةُ إِذَا كَانَ إِنَّمَا يُمْسِكُهُ لِغَيْرِ اللُّبْسِ فَأَمَّا التِّبْرُ وَالْحُلِيُّ الْمَكْسُورُ الَّذِي يُرِيدُ أَهْلُهُ إِصْلَاحَهُ وَلُبْسَهُ فَإِنَّمَا هُوَ بِمَنْزِلَةِ الْمَتَاعِ الَّذِي يَكُونُ عِنْدَ أَهْلِهِ فَلَيْسَ عَلَى أَهْلِهِ فِيهِ زَكَاةٌ قَالَ مَالِك لَيْسَ فِي اللُّؤْلُؤِ وَلَا فِي الْمِسْكِ وَلَا الْعَنْبَرِ زَكَاةٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: