আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৭. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৬৫
২. স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত
রেওয়ায়ত ৪. মুহাম্মাদ ইবনে উকবা (রাহঃ) কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলেনঃ আমার মুকাতাব[১] চুক্তিকৃত দাসের সঙ্গে একটি বিরাট অংকের টাকার বিনিময়ে মুকতাআ[২] করিয়া ফেলিয়াছি। ইহাতেও কি যাকাত দিতে হইবে?

কাসিম (রাহঃ) উত্তরে বললেন, পূর্ণ এক বৎসর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) কোন মালের যাকাত লইতেন না। কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, কাহাকেও সরকারী ভাতা প্রদানের সময় আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করিয়া নিতেন, আপনার এমন ধন-সম্পদ আছে কি যাহাতে যাকাত দেওয়া ওয়াজিব হয়? ঐ ব্যক্তি স্বীকারোক্তি করিলে তিনি দেয় ভাতা হইতে ইহা কাটিয়া রাখতেন। স্বীকার না করিলে ভাতা সম্পূর্ণটাই দিয়া যেতেন। কিছুই রাখিয়া দিতেন না।

[১] কোন কিছুর বিনিময়ে আযাদ হওয়ার চুক্তি সম্পাদনকারী ক্রীতদাসকে মুকাতাব বলা হয়।

[২] চুক্তি করার সময় কিস্তিবন্দী অনুসারে টাকা দেওয়ার শর্ত হইয়াছিল কিন্তু পরে মালিকের সম্মতিতে মুকাতিব-কে দেয় মোট অংক হইতে কমে এককালীন টাকা আদায় করিয়া আযাদ হইয়া গেলে ইহাকে মুকতাআ বলা হয়।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ مَوْلَى الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَأَلَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنْ مُكَاتَبٍ لَهُ قَاطَعَهُ بِمَالٍ عَظِيمٍ هَلْ عَلَيْهِ فِيهِ زَكَاةٌ فَقَالَ الْقَاسِمُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ لَمْ يَكُنْ يَأْخُذُ مِنْ مَالٍ زَكَاةً حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ قَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَعْطَى النَّاسَ أَعْطِيَاتِهِمْ يَسْأَلُ الرَّجُلَ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ مَالٍ وَجَبَتْ عَلَيْكَ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِذَا قَالَ نَعَمْ أَخَذَ مِنْ عَطَائِهِ زَكَاةَ ذَلِكَ الْمَالِ وَإِنْ قَالَ لَا أَسْلَمَ إِلَيْهِ عَطَاءَهُ وَلَمْ يَأْخُذْ مِنْهُ شَيْئًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৬
২. স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত
রেওয়ায়ত ৫. আয়েশা বিনতে কোদামা (রাযিঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেনঃ বাৎসরিক ভাতা নেওয়ার জন্য উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-এর নিকট যখন আসিতাম তখন তিনি জিজ্ঞাসা করিতেনঃ যাকাত ধার্য হওয়ার মত কোন সম্পদ আপনার নিকট রহিয়াছে কি?

আমি হ্যাঁ-সূচক জবাব প্ৰদান করিলে তিনি এই ভাতা হইতে যাকাত পরিমাণ অংক কাটিয়া রাখতেন, আর না বলিলে সম্পূর্ণ ভাতা দিয়া দিতেন।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عُمَرَ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ قُدَامَةَ عَنْ أَبِيهَا أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ إِذَا جِئْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ أَقْبِضُ عَطَائِي سَأَلَنِي هَلْ عِنْدَكَ مِنْ مَالٍ وَجَبَتْ عَلَيْكَ فِيهِ الزَّكَاةُ قَالَ فَإِنْ قُلْتُ نَعَمْ أَخَذَ مِنْ عَطَائِي زَكَاةَ ذَلِكَ الْمَالِ وَإِنْ قُلْتُ لَا دَفَعَ إِلَيَّ عَطَائِي
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৭
২. স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত
রেওয়ায়ত ৬. নাফি’ (রাহঃ) বর্ণনা করেন- আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলতেনঃ সম্পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোন সম্পদে যাকাত ফরয হয় না।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ لَا تَجِبُ فِي مَالٍ زَكَاةٌ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৫৬৮
২. স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত
রেওয়ায়ত ৭. ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেনঃ সর্বপ্রথম মুয়াবিয়া (রাযিঃ)-ই বেতন হইতে যাকাত আদায় করেন। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত প্রচলিত পদ্ধতি হইল- দুই শত দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) পরিমাণ অংকে যেমন যাকাত ধার্য করা হইয়া থাকে তেমনি বিশ দীনার[১] (স্বর্ণমুদ্রা) পরিমাণ অংকেও যাকাত ফরয হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেন, দীনার ওজনে কম হইলে এবং প্রকৃত মূল্য বিশ দীনার না হইলে ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। অনুরূপ বিশ দীনারের বেশী হইলে এবং প্রকৃত মূল্য বিশ দীনার পরিমাণ হইলে ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেন, বিশ দীনার হইতে কম পরিমাণ অংকে যাকাত ফরয হয় না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ দুই শত দিরহাম পরিমাণ অংক ওজনে হালকা হইলে এবং প্রকৃত মূল্য দুইশত দিরহাম না হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। সংখ্যায় দুই শতের বেশী হইলেও যদি প্রকৃত মূল্য দুইশত দিরহামের হয়, তবে ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কাহারও নিকট যদি এক শত ষাট দিরহাম থাকে এবং সে যে অঞ্চলে বসবাস করে সেই শহরে এক দীনার সমান আট দিরহাম হিসেবে হইলেও (যদি সেই অনুপাতে একশত ষাট দিরহাম সমান বিশ দীনার হইয়া যায় তবুও) ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। কেননা যাকাত ফরয হওয়ার জন্য কাহারও নিকট বিশ দীনার বা দুইশত দিরহাম থাকিতে হইবে।[২]

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ পাঁচ দীনার পরিমাণ অর্থ নিয়া একজন ব্যবসা শুরু করিল। বৎসর শেষ হইতে না হইতেই সে যাকাত পরিমাণ দীনারের মালিক হইয়া পড়িলে তাহাকে যাকাত আদায় করিতে হইবে। বৎসর সম্পূর্ণ হওয়ার একদিন পূর্বে বা পরে ঐ পরিমাণ দীনারের মালিক হইলেও যাকাত দিতে হইবে। পরে এই যাকাত প্রদানের দিন হইতে দ্বিতীয় এক বৎসর পূর্ণ অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত আর তাহাকে যাকাত দিতে হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেহ দশ দীনার নিয়া ব্যবসা শুরু করিল, পূর্ণ বৎসর অতিক্রান্ত হইতে না হইতে সে বিশ দীনারের মালিক হইল। তাহার উপর যাকাত ধার্য করা হইবে। যেদিন হইতে বিশ দীনারের মালিক হইল সেইদিন হইতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রাপ্ত হইতে হইবে, এরূপ নয়। কেননা বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার সময় সে বিশ দীনারের মালিক। পরে দ্বিতীয় এক বৎসর পূর্ণ অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত আর তাহার উপর যাকাত ধার্য হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হইল, ক্রীতদাস কর্তৃক উপার্জিত মজুরি, ভাড়া এবং কিতাবত-চুক্তির বিনিময়ে প্রদত্ত অর্থ বা সম্পদে কম হউক বা বেশী হউক যাকাত ধার্য হইবে না, যতদিন মালিক কর্তৃক অর্থপ্রাপ্তির দিন হইতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত না হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ স্বর্ণ বা রৌপ্যে যদি কয়েকজনের হিস্যা থাকে তবে যাহার হিস্যা বিশ দীনার (স্বর্ণ হইলে) বা দুইশত দিরহাম (রৌপ্য হইলে) পরিমাণ হইবে তাহার উপর যাকাত ধার্য হইবে। যাহার হিস্যা ইহার চেয়ে কম হইবে তাহার উপর যাকাত ফরয হইবে না। সকলের হিস্যাই যদি নিসাব পরিমাণ হয় কিন্তু কাহারও কম আর কাহারও বেশী হয় তবে প্রত্যেকের উপরই নিজ নিজ হিস্যানুসারে যাকাত ফরয হইবে। উহা এই জন্য যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ রৌপ্য পাঁচ উকিয়ার কম হইলে যাকাত ওয়াজিব নহে।

মালিক (রাহঃ) বলেন, আমি এ বিষয়ে যাহা কিছু শুনিয়াছি উহাদের মধ্যে উল্লিখিত ফয়সালাটি আমার পছন্দনীয়।

মালিক (রাহঃ) বলেন, কাহারও মালিকানাধীন স্বর্ণ ও রৌপ্য বিভিন্নজনের নিকট বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িয়া থাকিলে সাকল্য টাকা হিসাব করিয়া যাকাত দিতে হইবে।মালিক (রাহঃ) বলেনঃ স্বর্ণ বা রৌপ্য যদি কেহ প্রাপ্ত হয়, তবে প্রাপ্তির দিন হইতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে না।

[১] সাধারণত এক দীনার সমান দশ দিরহাম হইয়া থাকে।

[২] উল্লেখ্য, যদি এই কম ওজন সমান দিরহাম বা দীনার যথার্থ ওজনের দিরহাম বা দীনারের মতই চালু থাকে তবে ইহাতেও যাকাত ধার্য হইবে।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ أَوَّلُ مَنْ أَخَذَ مِنْ الْأَعْطِيَةِ الزَّكَاةَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ
قَالَ مَالِك السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا أَنَّ الزَّكَاةَ تَجِبُ فِي عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا كَمَا تَجِبُ فِي مِائَتَيْ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك لَيْسَ فِي عِشْرِينَ دِينَارًا نَاقِصَةً بَيِّنَةَ النُّقْصَانِ زَكَاةٌ فَإِنْ زَادَتْ حَتَّى تَبْلُغَ بِزِيَادَتِهَا عِشْرِينَ دِينَارًا وَازِنَةً فَفِيهَا الزَّكَاةُ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا الزَّكَاةُ وَلَيْسَ فِي مِائَتَيْ دِرْهَمٍ نَاقِصَةً بَيِّنَةَ النُّقْصَانِ زَكَاةٌ فَإِنْ زَادَتْ حَتَّى تَبْلُغَ بِزِيَادَتِهَا مِائَتَيْ دِرْهَمٍ وَافِيَةً فَفِيهَا الزَّكَاةُ فَإِنْ كَانَتْ تَجُوزُ بِجَوَازِ الْوَازِنَةِ رَأَيْتُ فِيهَا الزَّكَاةَ دَنَانِيرَ كَانَتْ أَوْ دَرَاهِمَ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَانَتْ عِنْدَهُ سِتُّونَ وَمِائَةُ دِرْهَمٍ وَازِنَةً وَصَرْفُ الدَّرَاهِمِ بِبَلَدِهِ ثَمَانِيَةُ دَرَاهِمَ بِدِينَارٍ أَنَّهَا لَا تَجِبُ فِيهَا الزَّكَاةُ وَإِنَّمَا تَجِبُ الزَّكَاةُ فِي عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ خَمْسَةُ دَنَانِيرَ مِنْ فَائِدَةٍ أَوْ غَيْرِهَا فَتَجَرَ فِيهَا فَلَمْ يَأْتِ الْحَوْلُ حَتَّى بَلَغَتْ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ أَنَّهُ يُزَكِّيهَا وَإِنْ لَمْ تَتِمَّ إِلَّا قَبْلَ أَنْ يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ بِيَوْمٍ وَاحِدٍ أَوْ بَعْدَ مَا يَحُولُ عَلَيْهَا الْحَوْلُ بِيَوْمٍ وَاحِدٍ ثُمَّ لَا زَكَاةَ فِيهَا حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ زُكِّيَتْ وَقَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ عَشَرَةُ دَنَانِيرَ فَتَجَرَ فِيهَا فَحَالَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ وَقَدْ بَلَغَتْ عِشْرِينَ دِينَارًا أَنَّهُ يُزَكِّيهَا مَكَانَهَا وَلَا يَنْتَظِرُ بِهَا أَنْ يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ بَلَغَتْ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ لِأَنَّ الْحَوْلَ قَدْ حَالَ عَلَيْهَا وَهِيَ عِنْدَهُ عِشْرُونَ ثُمَّ لَا زَكَاةَ فِيهَا حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ زُكِّيَتْ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي إِجَارَةِ الْعَبِيدِ وَخَرَاجِهِمْ وَكِرَاءِ الْمَسَاكِينِ وَكِتَابَةِ الْمُكَاتَبِ أَنَّهُ لَا تَجِبُ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ الزَّكَاةُ قَلَّ ذَلِكَ أَوْ كَثُرَ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ مِنْ يَوْمِ يَقْبِضُهُ صَاحِبُهُ وَقَالَ مَالِك فِي الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ يَكُونُ بَيْنَ الشُّرَكَاءِ إِنَّ مَنْ بَلَغَتْ حِصَّتُهُ مِنْهُمْ عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَعَلَيْهِ فِيهَا الزَّكَاةُ وَمَنْ نَقَصَتْ حِصَّتُهُ عَمَّا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ وَإِنْ بَلَغَتْ حِصَصُهُمْ جَمِيعًا مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ وَكَانَ بَعْضُهُمْ فِي ذَلِكَ أَفْضَلَ نَصِيبًا مِنْ بَعْضٍ أُخِذَ مِنْ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ بِقَدْرِ حِصَّتِهِ إِذَا كَانَ فِي حِصَّةِ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ مِنْ الْوَرِقِ صَدَقَةٌ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَإِذَا كَانَتْ لِرَجُلٍ ذَهَبٌ أَوْ وَرِقٌ مُتَفَرِّقَةٌ بِأَيْدِي أُنَاسٍ شَتَّى فَإِنَّهُ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُحْصِيَهَا جَمِيعًا ثُمَّ يُخْرِجَ مَا وَجَبَ عَلَيْهِ مِنْ زَكَاتِهَا كُلِّهَا قَالَ مَالِك وَمَنْ أَفَادَ ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا إِنَّهُ لَا زَكَاةَ عَلَيْهِ فِيهَا حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ أَفَادَهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান