আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১১. ভয়কালীন নামাযের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪২৭
১. সালাতুল-খাওফ বা ভয়কালীন নামায
রেওয়ায়ত ১. সালিহ ইবনে খাওয়াত (রাহঃ) এমন এক ব্যক্তি হইতে বর্ণনা করেন, যিনি জাতুররিকা (ذَاتِ الرِّقَاعِ) যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে সালাতুল-খাওফ আদায় করিয়াছেন। একদল তাহার সাথে কাতারে দাঁড়াইয়াছিল, আর একদল শক্রর মুকাবিলায় সারিবদ্ধ ছিল। যে দল তাহার সাথে ছিল, তিনি সেই দলকে লইয়া এক রাক'আত সালাতুল-খাওফ পড়িলেন। অতঃপর তিনি দণ্ডায়মান রহিলেন, (দলে যাহারা ছিলেন) তাহারা নিজের নামায আদায় করিয়া লইলেন।

অতঃপর তাহারা প্রত্যাবর্তন করিয়া শক্রর মুকাবিলায় সারিবদ্ধ হইয়া গেলেন। তারপর দ্বিতীয় দল উপস্থিত হইল। নবী করীম (ﷺ) তাহাদের সঙ্গে অবশিষ্ট নামায পড়িলেন। অতঃপর তিনি বসা অবস্থায় রহিলেন। সঙ্গিগণ তাহাদের নামায পূর্ণ করিলে তিনি তাঁহাদের সাথে সালাম ফিরাইলেন।
بَاب صَلَاةِ الْخَوْفِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَمَّنْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ ذَاتِ الرِّقَاعِ صَلَاةَ الْخَوْفِ أَنَّ طَائِفَةً صَفَّتْ مَعَهُ وَصَفَّتْ طَائِفَةٌ وِجَاهَ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّتِي مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ ثَبَتَ قَائِمًا وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ انْصَرَفُوا فَصَفُّوا وِجَاهَ الْعَدُوِّ وَجَاءَتْ الطَّائِفَةُ الْأُخْرَى فَصَلَّى بِهِمْ الرَّكْعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ مِنْ صَلَاتِهِ ثُمَّ ثَبَتَ جَالِسًا وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ سَلَّمَ بِهِمْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪২৮
১. সালাতুল-খাওফ বা ভয়কালীন নামায
রেওয়ায়ত ২. সালিহ্ ইবনে খাওওয়াত আনসারী (রাহঃ) বলেন- সাহল ইবনে আবি হাসমা (রাহঃ) তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছিলেন যে, সালাতুল-খাওফ হইল এইঃ ইমাম নামাযে দাঁড়াইবেন। তাহার সঙ্গীদের একদল (তখন) তাহার সাথে থাকিবে। আর একদল শত্রুর মুকাবিলায় থাকিবে। অতঃপর ইমাম এক রাক'আত নামায পড়িয়া সিজদা করিবেন। তারপর দাঁড়াইয়া যাইবেন। যখন পূর্ণ দাঁড়াইয়া যাইবেন, তখন ইমাম দণ্ডায়মান থাকিবেন। তাহার সঙ্গীরা অবশিষ্ট এক রাক'আত পূর্ণ করিয়া সালাম ফিরাইয়া চলিয়া যাইবে ইমাম তখনও দণ্ডায়মান থাকিবেন। নামায শেষ করিয়া দলটি শক্রর মুকাবিলায় নিয়োজিত হইবে। অতঃপর পরবর্তী দল, যে দল এখনও নামায পড়ে নাই, সেই দল আসিয়া পিছনে তকবীর বলিয়া শামিল হইবে। ইমাম তাহাদিগকে এক রাক'আত পড়াইবেন, অতঃপর তাহারা দাঁড়াইয়া নিজ নিজ পরবর্তী রাক'আত পড়িবে এবং সালাম ফিরাইবে।
بَاب صَلَاةِ الْخَوْفِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ أَنْ يَقُومَ الْإِمَامُ وَمَعَهُ طَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَطَائِفَةٌ مُوَاجِهَةٌ الْعَدُوَّ فَيَرْكَعُ الْإِمَامُ رَكْعَةً وَيَسْجُدُ بِالَّذِينَ مَعَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَإِذَا اسْتَوَى قَائِمًا ثَبَتَ وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ الرَّكْعَةَ الْبَاقِيَةَ ثُمَّ يُسَلِّمُونَ وَيَنْصَرِفُونَ وَالْإِمَامُ قَائِمٌ فَيَكُونُونَ وِجَاهَ الْعَدُوِّ ثُمَّ يُقْبِلُ الْآخَرُونَ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا فَيُكَبِّرُونَ وَرَاءَ الْإِمَامِ فَيَرْكَعُ بِهِمْ الرَّكْعَةَ وَيَسْجُدُ ثُمَّ يُسَلِّمُ فَيَقُومُونَ فَيَرْكَعُونَ لِأَنْفُسِهِمْ الرَّكْعَةَ الْبَاقِيَةَ ثُمَّ يُسَلِّمُونَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪২৯
১. সালাতুল-খাওফ বা ভয়কালীন নামায
রেওয়ায়ত ৩. নাফি (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে ভয়কালীন নামায সম্পর্কে প্রশ্ন করা হইলে তিনি বলিলেনঃ ইমাম অগ্রসর হইবেন (স্বীয় স্থানে), তাহার সাথে থাকিবে লোকের একাংশ। তিনি তাহাদের এক রাক'আত পড়াইবেন। আর একদল লোক নিয়োজিত হইবে ইমাম ও শত্রুদের মাঝখানে এবং সেই দল তখন নামায পড়িবে না। যখন ইমাম তাহার সহিত যে দল আছে সেই দলকে এক রাক'আত পড়াইবেন, তখন তাহারা পিছনে সরিয়া যে দল নামায পড়ে নাই, সেই দলের স্থানে চলিয়া যাইবে, তাহারা সালাম ফিরাইবে না। অতঃপর যাহারা নামায পড়ে নাই তাহারা আগাইয়া আসিবে। ইমাম তাহাদের সাথে এক রাক'আত পড়িবেন। তৎপর ইমাম দুই রাক'আত পূর্ণ পড়িয়াছেন বিধায় তিনি প্রত্যাবর্তন করিবেন। অতঃপর উভয় দলের প্রত্যেকে দাঁড়াইয়া এক রাক'আত পড়িবে ইমামের প্রত্যাবর্তন করার পর। এইভাবে উভয় দলের প্রত্যেকের দুই দুই রাক'আত পড়া হইবে। আর যদি খাওফ বা ভীতি ইহার চাইতে প্রচণ্ড হয়, তবে যে যেইভাবে সম্ভব নামায পড়িয়া লইবে; চলমান অবস্থায় হউক বা দাঁড়াইয়া অথবা সওয়ারীর উপর হউক, কিবলামুখী হউক বা না হউক। মালিক (রাহঃ) বলেন- নাফি’ (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ আমি মনে করি, আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) ইহা (সালাতুল-খাওফের নিয়ম) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন।
بَاب صَلَاةِ الْخَوْفِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا سُئِلَ عَنْ صَلَاةِ الْخَوْفِ قَالَ يَتَقَدَّمُ الْإِمَامُ وَطَائِفَةٌ مِنْ النَّاسِ فَيُصَلِّي بِهِمْ الْإِمَامُ رَكْعَةً وَتَكُونُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْعَدُوِّ لَمْ يُصَلُّوا فَإِذَا صَلَّى الَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً اسْتَأْخَرُوا مَكَانَ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا وَلَا يُسَلِّمُونَ وَيَتَقَدَّمُ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا فَيُصَلُّونَ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ يَنْصَرِفُ الْإِمَامُ وَقَدْ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَتَقُومُ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْ الطَّائِفَتَيْنِ فَيُصَلُّونَ لِأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً رَكْعَةً بَعْدَ أَنْ يَنْصَرِفَ الْإِمَامُ فَيَكُونُ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْ الطَّائِفَتَيْنِ قَدْ صَلَّوْا رَكْعَتَيْنِ فَإِنْ كَانَ خَوْفًا هُوَ أَشَدَّ مِنْ ذَلِكَ صَلَّوْا رِجَالًا قِيَامًا عَلَى أَقْدَامِهِمْ أَوْ رُكْبَانًا مُسْتَقْبِلِي الْقِبْلَةِ أَوْ غَيْرَ مُسْتَقْبِلِيهَا قَالَ مَالِك قَالَ نَافِعٌ لَا أَرَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ إِلَّا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০
১. সালাতুল-খাওফ বা ভয়কালীন নামায
রেওয়ায়ত ৪. সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ খন্দকের দিন সূর্য অস্ত গিয়াছে অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যোহর ও আসরের নামায পড়েন নাই। মালিক (রাহঃ) বলেন, সালাতুল-খওফ সম্পর্কে যাহা আমি শুনিয়াছি, তন্মধ্যে কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) কর্তৃক সালিহ্ ইবনে খাওওয়াত (রাহঃ) হইতে বর্ণিত হাদীসটি আমার নিকট সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয়।
بَاب صَلَاةِ الْخَوْفِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ مَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ حَتَّى غَابَتْ الشَّمْسُ قَالَ مَالِك وَحَدِيثُ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي صَلَاةِ الْخَوْفِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান