আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৯. সফরাবস্থায় নামায কসর পড়া - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩১৯
১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া
রেওয়ায়ত ১. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহার তাবুক সফরকালে যোহর ও আসরের নামায একত্রে পড়িয়াছিলেন।
كِتَابُ قَصْرِ الصَّلَاةِ فِي السَّفَرِ بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي سَفَرِهِ إِلَى تَبُوكَ
হাদীস নং:৩২০
১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া
রেওয়ায়ত ২. আবুত তুফায়েল আমির ইবনে ওয়াসিলা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, মুআয ইবনে জবল (রাযিঃ) তাহাকে বলিয়াছেনঃ তাহারা তাবুকের যুদ্ধের বৎসর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে সফরে বাহির হইলেন। (সেই সফরে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়িতেন। (মুআয) বলিলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন নামাযে দেরি করিলেন, অতঃপর তিনি আগমন করিলেন এবং যোহর ও আসর একত্রে পড়িলেন। আবার ভিতরে গেলেন, পুনরায় বাহির হইলেন, তারপর মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়িলেন। অতঃপর বলিলেনঃ তোমরা আগামীকাল ইনশাআল্লাহ তাবুকের ঝর্ণার কাছে পৌছিয়া যাইবে। তোমরা দিনের প্রথমাংশেই সেইখানে পৌছিবে। যে অগ্রে সেই স্থানে পৌছে, আমি না আসা পর্যন্ত সেই ব্যক্তি যেন উহার সামান্যতম পানিও স্পর্শ না করে। অতঃপর আমরা সেখানে পৌছিলাম। কিন্তু আমাদের আগেভাগে সেখানে দুইজন লোক পৌছিয়া গিয়াছিল। আর ঝর্ণা হইতে অতি সামান্য পানি নির্গত হইতেছিল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তোমরা কি ইহার পানি হইতে কিছু স্পর্শ করিয়াছ? তাহারা উভয়ে হাঁসূচক উত্তর দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাদিগকে অনেক তিরস্কার করিলেন এবং আল্লাহর যতটুকু ইচ্ছা ততটুকু তাহদের সম্পর্কে বলিলেন। তারপর তাহারা অঞ্জলি ভরিয়া অল্প অল্প করিয়া কিছু পানি কোন এক পাত্রে জমা করিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেই পানিতে তাহার উভয় হাত ও মুখমণ্ডল ধুলেন এবং সেই পানি ঝর্ণায় নিক্ষেপ করিলেন যদ্দরুন ঝর্ণ হইতে ফোয়ারার মত অনেক পানি উঠিতে লাগিল। লোকজন ঝর্ণা হইতে পানি পান করিয়া তৃষ্ণা নিবারণ করিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ হে মুআয, সম্ভবত তুমি দীর্ঘায়ু লাভ করিবে এবং তুমি এ ঝর্ণার পানি দ্বারা এই স্থানের অনেক বাগবাগিচায় পূর্ণভাবে পানি সেচ হইতে দেখিবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তোমরা কি ইহার পানি হইতে কিছু স্পর্শ করিয়াছ? তাহারা উভয়ে হাঁসূচক উত্তর দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাদিগকে অনেক তিরস্কার করিলেন এবং আল্লাহর যতটুকু ইচ্ছা ততটুকু তাহদের সম্পর্কে বলিলেন। তারপর তাহারা অঞ্জলি ভরিয়া অল্প অল্প করিয়া কিছু পানি কোন এক পাত্রে জমা করিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেই পানিতে তাহার উভয় হাত ও মুখমণ্ডল ধুলেন এবং সেই পানি ঝর্ণায় নিক্ষেপ করিলেন যদ্দরুন ঝর্ণ হইতে ফোয়ারার মত অনেক পানি উঠিতে লাগিল। লোকজন ঝর্ণা হইতে পানি পান করিয়া তৃষ্ণা নিবারণ করিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ হে মুআয, সম্ভবত তুমি দীর্ঘায়ু লাভ করিবে এবং তুমি এ ঝর্ণার পানি দ্বারা এই স্থানের অনেক বাগবাগিচায় পূর্ণভাবে পানি সেচ হইতে দেখিবে।
بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُمْ خَرَجُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ تَبُوكَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَالْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ قَالَ فَأَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ دَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا ثُمَّ قَالَ إِنَّكُمْ سَتَأْتُونَ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ عَيْنَ تَبُوكَ وَإِنَّكُمْ لَنْ تَأْتُوهَا حَتَّى يَضْحَى النَّهَارُ فَمَنْ جَاءَهَا فَلَا يَمَسَّ مِنْ مَائِهَا شَيْئًا حَتَّى آتِيَ فَجِئْنَاهَا وَقَدْ سَبَقَنَا إِلَيْهَا رَجُلَانِ وَالْعَيْنُ تَبِضُّ بِشَيْءٍ مِنْ مَاءٍ فَسَأَلَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ مَسِسْتُمَا مِنْ مَائِهَا شَيْئًا فَقَالَا نَعَمْ فَسَبَّهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ لَهُمَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ ثُمَّ غَرَفُوا بِأَيْدِيهِمْ مِنْ الْعَيْنِ قَلِيلًا قَلِيلًا حَتَّى اجْتَمَعَ فِي شَيْءٍ ثُمَّ غَسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ أَعَادَهُ فِيهَافَجَرَتْ الْعَيْنُ بِمَاءٍ كَثِيرٍ فَاسْتَقَى النَّاسُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوشِكُ يَا مُعَاذُ إِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ أَنْ تَرَى مَا هَاهُنَا قَدْ مُلِئَ جِنَانًا
হাদীস নং:৩২১
১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া
রেওয়ায়ত ৩. নাফি (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ যদি (কোন কারণবশত) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দ্রুত ভ্রমণ করিতে হইত, তবে তিনি মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়িতেন।
بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا عَجِلَ بِهِ السَّيْرُ يَجْمَعُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ
হাদীস নং:৩২২
১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া
রেওয়ায়ত ৪. আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, ভয়-ভীতিজনিত কোন কারণ ছাড়া এবং সফর ব্যতিরেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে যোহর ও আসর একসঙ্গে এবং মাগরিব ও ইশা এক সঙ্গে পড়াইয়াছেন।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ আমার মতে ইহা বৃষ্টির জন্য ছিল।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ আমার মতে ইহা বৃষ্টির জন্য ছিল।
بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا فِي غَيْرِ خَوْفٍ وَلَا سَفَرٍ قَالَ مَالِك أُرَى ذَلِكَ كَانَ فِي مَطَرٍ
হাদীস নং:৩২৩
১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া
রেওয়ায়ত ৫. নাফি (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আমীরগণ বর্ষণকালে মাগরিব ও ইশার নামাযকে একত্রে পড়িলে আব্দুল্লাহু ইবনে উমর (রাযিঃ) তাহাদের সঙ্গে (উক্ত দুই ওয়াক্তের) নামায একত্রে পড়িতেন।
بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا جَمَعَ الْأُمَرَاءُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ فِي الْمَطَرِ جَمَعَ مَعَهُمْ
হাদীস নং:৩২৪
১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া
রেওয়ায়ত ৬. ইবনে শিহাব (রাহঃ) সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করিলেনঃ সফরে যোহর ও আসরকে পর্যায়ক্রমে একত্রে পড়া যায় কিনা? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইহাতে কোন দোষ নাই, আরাফাতে লোকজনের নামাযের প্রতি (যাহা এক সঙ্গে পড়া হয়) তুমি কি লক্ষ কর নাই?
আলী ইবনে হুসায়ন (রাযিঃ) বলতেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দিনে সফরের ইচ্ছা করিলে যোহর ও আসর একযোগে পড়িতেন। আর রাত্রে সফরের ইচ্ছা করিলে মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়িতেন।
আলী ইবনে হুসায়ন (রাযিঃ) বলতেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দিনে সফরের ইচ্ছা করিলে যোহর ও আসর একযোগে পড়িতেন। আর রাত্রে সফরের ইচ্ছা করিলে মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়িতেন।
بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سَأَلَ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ هَلْ يُجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي السَّفَرِ فَقَالَ نَعَمْ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ أَلَمْ تَرَ إِلَى صَلَاةِ النَّاسِ بِعَرَفَةَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَسِيرَ يَوْمَهُ جَمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَسِيرَ لَيْلَهُ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَسِيرَ يَوْمَهُ جَمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَسِيرَ لَيْلَهُ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ