আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৮. জামাআতে নামায পড়া - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৮৫
২. ইশা ও ফজর-এর নামায প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৫. সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমাদের আর মুনাফিকদের মধ্যে পার্থক্য হইল ইশা ও ফজরের নামাযে উপস্থিত হওয়া। তাহারা ঐ দুই নামাযে হাজির হইতে পারে না অথবা অনুরূপ কোন বাক্য বলিয়াছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ الْأَسْلَمِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْمُنَافِقِينَ شُهُودُ الْعِشَاءِ وَالصُّبْحِ لَا يَسْتَطِيعُونَهُمَا أَوْ نَحْوَ هَذَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৮৬
২. ইশা ও ফজর-এর নামায প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৬. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি যখন কোন পথ দিয়া যাইতেছিল, তখন পথিমধ্যে কাটাযুক্ত (বৃক্ষের) শাখা দেখিতে পাইয়া সে উহা অপসারিত করিল। আল্লাহ্ তাআলা তাহার এই কার্য গ্রহণ করিলেন এবং তাহার গুনাহ্ মাফ করিয়া দিলেন। [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] আরও বলিয়াছেন, শহীদ পাঁচ প্রকারঃ (১) প্লেগাক্রান্ত (বা মহামারীতে মৃত), (২) পেটের পীড়ায় মৃত, (৩) যে পানিতে ডুবিয়া মরিয়াছে, (৪) ভূমিকম্পে কিছু চাপা পড়িয়া যাহার মৃত্যু হইয়াছে এবং (৫) আল্লাহর পথে যে ব্যক্তি শহীদ হইয়াছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي بِطَرِيقٍ إِذْ وَجَدَ غُصْنَ شَوْكٍ عَلَى الطَّرِيقِ فَأَخَّرَهُ فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ وَقَالَ الشُّهَدَاءُ خَمْسَةٌ الْمَطْعُونُ وَالْمَبْطُونُ وَالْغَرِقُ وَصَاحِبُ الْهَدْمِ [ ص: 110 ] وَالشَّهِيدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَالَ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الْأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لَاسْتَهَمُوا وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لَاسْتَبَقُوا إِلَيْهِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا
হাদীস নং:২৮৭
২. ইশা ও ফজর-এর নামায প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭. আবু বকর ইবনে সুলায়মান ইবনে আবি হাসমা (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) একদিন সুলায়মান ইবনে আবি হাসমাকে ফজরের নামাযে উপস্থিত পান নাই। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বাজারের দিকে গমন করিলেন। আর সুলায়মানের বাসগৃহ বাজার ও মসজিদের মাঝপথে অবস্থিত। তিনি সুলায়মানের জননী শিফা’-এর নিকট গমন করিলেন। তারপর তাহাকে বলিলেনঃ আমি ফজরের নামাযে সুলায়মানকে দেখিলাম না যে? তিনি (উত্তরে) বলিলেনঃ সে রাত্রে জাগ্রত থাকিয়া নামায পড়িয়াছিল, পরে ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। (ইহা শুনিয়া) উমর (রাযিঃ) বললেনঃ ফজরের নামাযের জামাআতে হাজির হওয়া আমার নিকট সারারাত (নফল) নামায পড়া হইতে পছন্দনীয়।

আব্দুর রহমান ইবনে আবি আমরা আনসারী (রাহঃ) হইতে বর্ণিত— উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) একবার ইশার নামাযে আসিলেন এবং মসজিদে অল্প মুসল্লী দেখিতে পাইলেন। তারপর তিনি অধিক লোক আসার অপেক্ষায় মসজিদের শেষভাগে শুইলেন। অত:পর তাহার নিকট ইবনে আবি আমরা আসিলেন এবং তাহার কাছে বসিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তুমি কে? তিনি পরিচয় দিলেন। আবার তিনি জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তুমি কি পরিমাণ কুরআন কণ্ঠস্থ করিয়াছ? তিনি তাহা জানাইলেন। তারপর উসমান (রাযিঃ) বলিলেন, যে ব্যক্তি ইশার নামাযে উপস্থিত হয়, সে যেন অধরাত্রি নামায পড়িল, আর যে ফজরের নামায পড়িল সে যেন পূর্ণ রাত্রি নামায় পড়িল।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقَدَ سُلَيْمَانَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ وَأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ غَدَا إِلَى السُّوقِ - وَمَسْكَنُ سُلَيْمَانَ بَيْنَ السُّوقِ وَالْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ - فَمَرَّ عَلَى الشِّفَاءِ أُمِّ سُلَيْمَانَ فَقَالَ لَهَا لَمْ أَرَ سُلَيْمَانَ فِي الصُّبْحِ فَقَالَتْ إِنَّهُ بَاتَ يُصَلِّي فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ . فَقَالَ عُمَرُ لأَنْ أَشْهَدَ صَلاَةَ الصُّبْحِ فِي الْجَمَاعَةِ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَقُومَ لَيْلَةً
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى صَلاَةِ الْعِشَاءِ فَرَأَى أَهْلَ الْمَسْجِدِ قَلِيلاً فَاضْطَجَعَ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُ النَّاسَ أَنْ يَكْثُرُوا فَأَتَاهُ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ مَنْ هُوَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ فَأَخْبَرَهُ . فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ مَنْ شَهِدَ الْعِشَاءَ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ لَيْلَةٍ وَمَنْ شَهِدَ الصُّبْحَ فَكَأَنَّمَا قَامَ لَيْلَةً
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান