আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৭. রাত্রে নফল নামায - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৪৮
১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ১. আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে কোন নফল নামায পড়িতে অভ্যস্ত কিন্তু তাহার উপর ঘুমের প্রভাববশত সে নামায আদায় করিতে পারে নাই, তবে আল্লাহ্ তাআলা তাহাকে তাহার নামাযের সওয়াব প্রদান করিবেন, আর নিদ্রা হইবে তাহার জন্য সাদ্কা (অর্থাৎ নামাযের জন্য তাহাকে হিসাব দিতে হইবে না, উপরন্তু নিয়ত করার সওয়াবও পাইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ رَجُلٍ عِنْدَهُ رِضًا أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ امْرِئٍ تَكُونُ لَهُ صَلَاةٌ بِلَيْلٍ يَغْلِبُهُ عَلَيْهَا نَوْمٌ إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَجْرَ صَلَاتِهِ وَكَانَ نَوْمُهُ عَلَيْهِ صَدَقَةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৪৯
১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ২. নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে ঘুমাইয়া থাকিতাম, আমার দুই পা তাহার কিবলার স্থলে থাকিত। (অবস্থা এই ছিল) তিনি যখন সিজদায় যাইতেন আমাকে চাপ দিতেন, তখন আমি আমার পা দুইটিকে গুটাইয়া লইতাম; যখন তিনি দাঁড়াইতেন আমার পা দুইটিকে আবার লম্বা করিয়া দিতাম। তিনি [আয়েশা (রাযিঃ)] বলেন, সেইকালে ঘরগুলিতে বাতি ছিল না।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَايَ فِي قِبْلَتِهِ فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي فَقَبَضْتُ رِجْلَيَّ فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا قَالَتْ وَالْبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৫০
১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ৩. নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেউ নামাযে তন্দ্রাচ্ছন্ন হইয়া পড়িলে সে যেন বসিয়া পড়ে, যতক্ষণ তন্দ্রা ছুটিয়া না যায়। কেননা তোমাদের কেউ তন্দ্রাবস্থায় নামায পড়িলে, বলা যায় না, হয়তো সে ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করিতে গিয়া নিজের নফসকে মন্দ বলিয়া ফেলিবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ لَا يَدْرِي لَعَلَّهُ يَذْهَبُ يَسْتَغْفِرُ فَيَسُبَّ نَفْسَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৫১
১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ৪. ইসমাঈল ইবনে আবি হাকিম (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জনৈকা স্ত্রীলোককে রাত্রিবেলা নামায পড়িতে শুনিলেন। তিনি বলিলেনঃ ইনি (স্ত্রীলোকটি) কে? (উত্তরে) তাহাকে বলা হইলঃ স্ত্রীলোকটি হাওলা বিনতে তুয়াইত। সে সারারাত্রি ঘুমায় না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহাতে অসন্তুষ্ট হইলেন, এমন কি তাহার চেহারা (মুবারক)-এর উপর নারাজি ভাব প্রকাশ পাইল। অতঃপর তিনি ফরমাইলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা পরিশ্রান্ত হন না, যতক্ষণ তোমরা পরিশ্রাত্ত না হও। ততটুকু আমলই কর যতটুকু করার সামর্থ্য রাখ।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وحدثني عن مالك عن إسمعيل بن أبي حكيم أنه بلغه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم سمع امرأة من الليل تصلي فقال من هذه فقيل له هذه الحولاء بنت تويت لا تنام الليل فكره ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى عرفت الكراهية في وجهه ثم قال إن الله تبارك وتعالى لا يمل حتى تملوا اكلفوا من العمل ما لكم به طاقة

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৫২
১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ৫. আসলাম (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) রাত্রে যতক্ষণ আল্লাহ তাওফীক দিতেন নামায পড়িতেন। অতঃপর যখন প্রত্যুষের সময় হইত তিনি ঘরের লোকজনকে জাগাইয়া দিতেন। তাহাদের উদ্দেশ্যে বলিতেন, আস-নামায, আস-নামায (নামায, নামায)। অতঃপর কুরআন মজীদের এই আয়াতটি তিলাওয়াত করিতেনঃ
(وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَّحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَىٰ)
এবং তোমার পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ দাও ও উহাতে অবিচলিত থাক, আমি তোমার নিকট কোন জীবনোপকরণ চাহি না; আমিই তোমাকে জীবনোপকরণ দেই এবং শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য। (সূরা ত্ব-হাঃ ১৩২)
(وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَّحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَىٰ)
এবং তোমার পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ দাও ও উহাতে অবিচলিত থাক, আমি তোমার নিকট কোন জীবনোপকরণ চাহি না; আমিই তোমাকে জীবনোপকরণ দেই এবং শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য। (সূরা ত্ব-হাঃ ১৩২)
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يُصَلِّي مِنْ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ أَيْقَظَ أَهْلَهُ لِلصَّلَاةِ يَقُولُ لَهُمْ الصَّلَاةَ الصَّلَاةَ ثُمَّ يَتْلُو هَذِهِ الْآيَةَ وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৫৩
১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিটক রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলিতেনঃ ইশা (নামায)-এর পূর্বে নিদ্রা এবং পরে আলাপ করা মাকরূহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، كَانَ يَقُولُ يُكْرَهُ النَّوْمُ قَبْلَ الْعِشَاءِ وَالْحَدِيثُ بَعْدَهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৫৪
১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিতেনঃ দিনের কি রাত্রির (নফল) নামায দুই-দুই রাক'আতই। প্রতি দুই রাক'আত পর সালাম ফিরাইবে। ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ এই বিষয়ে আমার সিদ্ধান্তও অনুরূপ।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ صَلَاةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى يُسَلِّمُ مِنْ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ قَالَ مَالِك وَهُوَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: