আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২. পাক-পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৪
২৯. মুস্তাহাযা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১০৪. নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, ফাতিমা বিনতে আবি হুবাইসা (রাযিঃ) বলিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি পবিত্ৰ হই না (অর্থাৎ রক্তস্রাব বন্ধ হয় না।) আমি নামায পড়িব কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে বলিলেনঃ উহা একটি রোগ (শিরামাত্র), হায়েয নহে। তাই যখন হায়েয আরম্ভ হয় তখন নামায ছাড়িয়া দাও। হয়েযের (দিবসের) পরিমাণ দিন অতিবাহিত হইলে তুমি তোমার রক্ত ধৌত কর, তারপর নামায পড়।
بَاب الْمُسْتَحَاضَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ قَالَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَا أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتْ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلَاةَ فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي الدَّمَ عَنْكِ وَصَلِّي

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৫
২৯. মুস্তাহাযা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১০৫. নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী উম্মু-সালামা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর যুগে জনৈকা স্ত্রীলোকের (রক্তস্রাব বন্ধ হইত না), রক্ত প্রবাহিত হইত। তাহার সম্পর্কে উম্মু-সালামা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে প্রশ্ন করিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ (রক্তস্রাব বন্ধ না হওয়ার) যে রোগে সে আক্রান্ত হইয়াছে, সেই রোগ হওয়ার পূর্বে তাহার কত দিন কত রাত্র প্রতি মাসে হায়েয আসিত সে উহার প্রতি লক্ষ রাখিবে। মাসের সেই কয়দিন ও রাত্রিতে সে নামায পড়িবে না। অতঃপর সেই কয়দিন অতিবাহিত হইলে সে গোসল করিবে, তারপর লজ্জাস্থান কাপড় দিয়া বাধিয়া লইবে, তারপর নামায পড়িবে।
بَاب الْمُسْتَحَاضَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تُهَرَاقُ الدِّمَاءَ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَفْتَتْ لَهَا أُمُّ سَلَمَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لِتَنْظُرْ إِلَى عَدَدِ اللَّيَالِي وَالأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُهُنَّ مِنَ الشَّهْرِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا الَّذِي أَصَابَهَا فَلْتَتْرُكِ الصَّلاَةَ قَدْرَ ذَلِكَ مِنَ الشَّهْرِ فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ ثُمَّ لِتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ ثُمَّ لِتُصَلِّي " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৬
২৯. মুস্তাহাযা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১০৬. যায়নাব বিনত আবি সালামা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি আব্দুর রহমান ইবনে আওফের স্ত্রী (উম্মু হাবিবা) যায়নাব বিনতে জাহশকে দেখিয়াছেন, তাহার রক্তস্রাব বন্ধ হইত না, তিনি গোসল করিয়া নামায পড়িতেন।
بَاب الْمُسْتَحَاضَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهَا رَأَتْ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ الَّتِي كَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَكَانَتْ تُسْتَحَاضُ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৭
২৯. মুস্তাহাযা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১০৭. কাকা’ (قَعْقَاع) ইবনে হাকিম (রাহঃ) এবং যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) তাহারা উভয়ে সুমাইকে সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-এর নিকট পাঠাইলেন মুস্তাহাযা (স্ত্রীলোক) গোসল কিরূপে করিবে এই বিষয়ে তাহাকে প্রশ্ন করিতে। তিনি বলিলেনঃ এক যোহর হইতে অপর যোহর পর্যন্ত গোসল করিবে এবং প্রত্যেক নামাযের জন্য ওযু করবে। আর যদি রক্ত তাহার উপর প্রাধান্য লাভ করে (অর্থাৎ অধিক হয়) তবে (রক্ত প্রবাহের স্থানে) কাপড় বাধিবে।
بَاب الْمُسْتَحَاضَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ الْقَعْقَاعَ بْنَ حَكِيمٍ، وَزَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ، أَرْسَلاَهُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ يَسْأَلُهُ كَيْفَ تَغْتَسِلُ الْمُسْتَحَاضَةُ فَقَالَ تَغْتَسِلُ مِنْ طُهْرٍ إِلَى طُهْرٍ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ فَإِنْ غَلَبَهَا الدَّمُ اسْتَثْفَرَتْ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩৮
২৯. মুস্তাহাযা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১০৮. হিশাম ইবনে উরওয়াহ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তাহার পিতা বলিয়াছেন, মুস্তাহাজার জন্য একবার গোসল করা ব্যতীত অন্য কিছু ওয়াজিব নহে, অতঃপর প্রত্যেক (ফরয) নামাযের জন্য সে ওযু করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের সিদ্ধাত্ত হইল- মুস্তাহাযা নামায পড়ার পর তাহার স্বামীর জন্য তাহার সঙ্গে সহবাস করা বৈধ, অনুরূপই নিফাসওয়ালীর (সন্তান প্রসবের পর যে রক্তস্রাব হয় উহাকে নিফাস বলা হয়) হুকুম। রক্ত স্ত্রীলোকদিগকে (নামায, রোযা ও স্বামীর মিলন হইতে) যতদিন বাধা দিয়া রাখে উহার শেষ সীমায় উপনীত হওয়ার পরও যদি সে রক্ত দেখিতে পায় তবে তখন তাহার স্বামী তাহার সহিত মিলিত হইতে পরিবে, কারণ সে স্ত্রীলোক মুস্তাহাযা স্ত্রীলোকের মত।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হিশাম ইবনে উরওয়াহ (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে মুস্তাহাযা সম্পর্কে যে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন, তদনুযায়ী এই বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত করিয়াছি। এই বিষয়ে আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার মনঃপূত।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের সিদ্ধাত্ত হইল- মুস্তাহাযা নামায পড়ার পর তাহার স্বামীর জন্য তাহার সঙ্গে সহবাস করা বৈধ, অনুরূপই নিফাসওয়ালীর (সন্তান প্রসবের পর যে রক্তস্রাব হয় উহাকে নিফাস বলা হয়) হুকুম। রক্ত স্ত্রীলোকদিগকে (নামায, রোযা ও স্বামীর মিলন হইতে) যতদিন বাধা দিয়া রাখে উহার শেষ সীমায় উপনীত হওয়ার পরও যদি সে রক্ত দেখিতে পায় তবে তখন তাহার স্বামী তাহার সহিত মিলিত হইতে পরিবে, কারণ সে স্ত্রীলোক মুস্তাহাযা স্ত্রীলোকের মত।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হিশাম ইবনে উরওয়াহ (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে মুস্তাহাযা সম্পর্কে যে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন, তদনুযায়ী এই বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত করিয়াছি। এই বিষয়ে আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার মনঃপূত।
بَاب الْمُسْتَحَاضَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ لَيْسَ عَلَى الْمُسْتَحَاضَةِ إِلَّا أَنْ تَغْتَسِلَ غُسْلًا وَاحِدًا ثُمَّ تَتَوَضَّأُ بَعْدَ ذَلِكَ لِكُلِّ صَلَاةٍ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ إِذَا صَلَّتْ أَنَّ لِزَوْجِهَا أَنْ يُصِيبَهَا وَكَذَلِكَ النُّفَسَاءُ إِذَا بَلَغَتْ أَقْصَى مَا يُمْسِكُ النِّسَاءَ الدَّمُ فَإِنْ رَأَتْ الدَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ فَإِنَّهُ يُصِيبُهَا زَوْجُهَا وَإِنَّمَا هِيَ بِمَنْزِلَةِ الْمُسْتَحَاضَةِ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الْمُسْتَحَاضَةِ عَلَى حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ وَهُوَ أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: