আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২. পাক-পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১৯
২৩. তাইয়াম্মুম (تيمم) প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৮৯. উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সফরে গমন করিলাম। যখন আমরা বায়দা (بيداء) অথবা (তিনি বলিয়াছেন) যাতুল-জাইশ (নামক স্থান)-এ পৌছিলাম, তখন আমার একটি মালা হারান গেল। উহা অনুসন্ধানের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সেখানে) অবস্থান করিলেন এবং লোকজনও তাহার সহিত অবস্থান করিলেন। তাহারা কোন পানির (কূপ বা নহর) কাছে ছিলেন না এবং তাঁহাদের সঙ্গেও পানি ছিল না। লোকজন আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হইলেন এবং ঘটনা বিবৃত করিলেন। তাহারা বললেনঃ আয়েশা (রাযিঃ) কি করিয়াছেন তাহা কি আপনি জানেন না? (তিনি) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এবং অন্য লোকদিগকে অবস্থানে বাধ্য করিয়াছেন। অথচ তাহারা পানির কাছে নহেন এবং তাহদের সঙ্গে পানিও নাই।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ তারপর আবু বকর (রাযিঃ) আমার নিকট আসিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহার (পবিত্র) শির আমার উরুর উপর স্থাপন করিয়া ঘুমাইতেছিলেন। তিনি [আবু বকর (রাযিঃ)] বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং লোকদিগকে তুমি আটকাইয়া রাখিয়াছ। অথচ তাহারা পানির পার্শ্বে নহেন এবং তাহাদের সাথে পানিও নাই। আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেনঃ তারপর আবু বকর (রাযিঃ) আমার প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করিলেন এবং আমাকে তিরস্কার করিলেন। আর তাহার হাত দিয়া আমার কোমরে খোচা মারিতে লাগিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর (পবিত্র) শির আমার উরুর উপর স্থাপিত থাকার দরুন আমি (খোচা মারা সত্ত্বেও) নড়াচড়া করিতেছিলাম না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অতঃপর ঘুমাইয়া পড়িলেন এমন কি এই পানিহীন অবস্থায় ভোর হইল। তারপর আল্লাহ তাআলা তাইয়াম্মুমের আয়াত নাযিল করিলেন। তারপর তাহারা সকলে তাইয়াম্মুম করিলেন।
উসায়দ ইবনে হুযায়র (রাযিঃ) বললেনঃ হে আবু বকরের পরিজন ইহা (অর্থাৎ তাইয়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ হওয়া) আপনাদের প্রথম বরকত নহে। (অর্থাৎ মুসলিমগণ আপনাদের দ্বারা নানাভাবে উপকৃত হইয়াছেন) আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেনঃ তারপর আমি যে উটের উপর আরোহণ করিয়াছিলাম উহাকে উঠাইলাম এবং উহার নীচে মালা পাইলাম।
মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি উপস্থিত নামাযের জন্য তাইয়াম্মুম করিয়াছে। অতঃপর পরবর্তী নামায উপস্থিত হইয়াছে, ঐ লোক কি সেই নামাযের জন্য (আবার) তাইয়াম্মুম করবে, না সেই (পূর্ববর্তী) তাইয়াম্মুম তাহার জন্য যথেষ্ট হইবে? উত্তরে তিনি বলিলেনঃ প্রত্যেক (ফরয) নামাযের জন্য তাইয়াম্মুম করবে। কারণ (সময় উপস্থিত হইলে) প্রত্যেক নামাযের জন্য পানির অনুসন্ধান করা তাহার ওয়াজিব। যে ব্যক্তি পানির অনুসন্ধান করিল কিন্তু পানি পাইল না, সে তাইয়াম্মুম করিবে।
মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি তাইয়াম্মুম করিয়াছে এবং তাহার সাথীগণ যাহারা ওযু করিয়াছেন সে তাহাদের ইমামতি করিতে পারবে কি? (উত্তরে) তিনি বলিলেন, সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ ইমামতি করিলে তাহা আমার নিকট পছন্দনীয়, আর যদি সে তাহাদের ইমামতি করিয়া থাকে, তবে তাহাতেও আমি কোন দোষ দেখি না।
মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন, এক ব্যক্তি পানি না পাইয়া তাইয়াম্মুম করিয়াছে, তারপর সে নামাযে দাঁড়াইয়াছে এবং তকবীর বলিয়া নামায আরম্ভ করিয়াছে। অতঃপর একজন লোক পানিসহ তাহার নিকট আগমন করিল। তিনি বলেনঃ সে নামায ছাড়িবে না, বরং তাইয়াম্মুম দ্বারা সেই নামায পূর্ণ করিবে এবং আগামী নামাযের জন্য ওযু করবে।
মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি নামাযের (প্রস্তুতির) জন্য দাঁড়াইয়াছে; কিন্তু সে পানি না পাইয়া আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক তাইয়াম্মুমের আমল করিয়াছে তবে সেই ব্যক্তি মহান আল্লাহর আনুগত্যই করিয়াছে। পক্ষাত্তরে যে ব্যক্তি পানি পাইয়াছে (ও ওযু করিয়াছে) তাহা (উপরিউক্ত তাইয়াম্মুমকারী) অপেক্ষা সেই ব্যক্তি বেশী পবিত্র ও নামাযের পূর্ণতাকারী বলিয়া গণ্য হইবে না; কারণ তাহারা উভয়েই নির্দেশপ্রাপ্ত এবং প্রত্যেকে মহিমান্বিত আল্লাহর পক্ষ হইতে যাহা নির্দেশ পাইয়াছে সেই মুতাবিক আমল করিয়াছে। যে ব্যক্তি পানি পাইয়াছে সেই ব্যক্তির আমল হইল ওযু, যেমন আল্লাহ্ তাআলা তাহাকে নির্দেশ করিয়াছেন, আর যে ব্যক্তি নামায শুরুর পূর্বে পানি পায় নাই সেই ব্যক্তির জন্য (নির্দেশ) হইল তাইয়াম্মুম।
মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন, জুনুবী ব্যক্তি তাইয়াম্মুম করিবে এবং কুরআন হইতে তাহার নির্ধারিত অংশ তিলাওয়াত করিবে এবং নফল নামায পড়িবে যতক্ষণ পর্যন্ত পানি না পায়। তবে ইহা সেই স্থানের জন্য যে স্থানে তাহার জন্য তাইয়াম্মুম দ্বারা নামায পড়া বৈধ।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ তারপর আবু বকর (রাযিঃ) আমার নিকট আসিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহার (পবিত্র) শির আমার উরুর উপর স্থাপন করিয়া ঘুমাইতেছিলেন। তিনি [আবু বকর (রাযিঃ)] বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং লোকদিগকে তুমি আটকাইয়া রাখিয়াছ। অথচ তাহারা পানির পার্শ্বে নহেন এবং তাহাদের সাথে পানিও নাই। আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেনঃ তারপর আবু বকর (রাযিঃ) আমার প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করিলেন এবং আমাকে তিরস্কার করিলেন। আর তাহার হাত দিয়া আমার কোমরে খোচা মারিতে লাগিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর (পবিত্র) শির আমার উরুর উপর স্থাপিত থাকার দরুন আমি (খোচা মারা সত্ত্বেও) নড়াচড়া করিতেছিলাম না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অতঃপর ঘুমাইয়া পড়িলেন এমন কি এই পানিহীন অবস্থায় ভোর হইল। তারপর আল্লাহ তাআলা তাইয়াম্মুমের আয়াত নাযিল করিলেন। তারপর তাহারা সকলে তাইয়াম্মুম করিলেন।
উসায়দ ইবনে হুযায়র (রাযিঃ) বললেনঃ হে আবু বকরের পরিজন ইহা (অর্থাৎ তাইয়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ হওয়া) আপনাদের প্রথম বরকত নহে। (অর্থাৎ মুসলিমগণ আপনাদের দ্বারা নানাভাবে উপকৃত হইয়াছেন) আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেনঃ তারপর আমি যে উটের উপর আরোহণ করিয়াছিলাম উহাকে উঠাইলাম এবং উহার নীচে মালা পাইলাম।
মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি উপস্থিত নামাযের জন্য তাইয়াম্মুম করিয়াছে। অতঃপর পরবর্তী নামায উপস্থিত হইয়াছে, ঐ লোক কি সেই নামাযের জন্য (আবার) তাইয়াম্মুম করবে, না সেই (পূর্ববর্তী) তাইয়াম্মুম তাহার জন্য যথেষ্ট হইবে? উত্তরে তিনি বলিলেনঃ প্রত্যেক (ফরয) নামাযের জন্য তাইয়াম্মুম করবে। কারণ (সময় উপস্থিত হইলে) প্রত্যেক নামাযের জন্য পানির অনুসন্ধান করা তাহার ওয়াজিব। যে ব্যক্তি পানির অনুসন্ধান করিল কিন্তু পানি পাইল না, সে তাইয়াম্মুম করিবে।
মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি তাইয়াম্মুম করিয়াছে এবং তাহার সাথীগণ যাহারা ওযু করিয়াছেন সে তাহাদের ইমামতি করিতে পারবে কি? (উত্তরে) তিনি বলিলেন, সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ ইমামতি করিলে তাহা আমার নিকট পছন্দনীয়, আর যদি সে তাহাদের ইমামতি করিয়া থাকে, তবে তাহাতেও আমি কোন দোষ দেখি না।
মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন, এক ব্যক্তি পানি না পাইয়া তাইয়াম্মুম করিয়াছে, তারপর সে নামাযে দাঁড়াইয়াছে এবং তকবীর বলিয়া নামায আরম্ভ করিয়াছে। অতঃপর একজন লোক পানিসহ তাহার নিকট আগমন করিল। তিনি বলেনঃ সে নামায ছাড়িবে না, বরং তাইয়াম্মুম দ্বারা সেই নামায পূর্ণ করিবে এবং আগামী নামাযের জন্য ওযু করবে।
মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি নামাযের (প্রস্তুতির) জন্য দাঁড়াইয়াছে; কিন্তু সে পানি না পাইয়া আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক তাইয়াম্মুমের আমল করিয়াছে তবে সেই ব্যক্তি মহান আল্লাহর আনুগত্যই করিয়াছে। পক্ষাত্তরে যে ব্যক্তি পানি পাইয়াছে (ও ওযু করিয়াছে) তাহা (উপরিউক্ত তাইয়াম্মুমকারী) অপেক্ষা সেই ব্যক্তি বেশী পবিত্র ও নামাযের পূর্ণতাকারী বলিয়া গণ্য হইবে না; কারণ তাহারা উভয়েই নির্দেশপ্রাপ্ত এবং প্রত্যেকে মহিমান্বিত আল্লাহর পক্ষ হইতে যাহা নির্দেশ পাইয়াছে সেই মুতাবিক আমল করিয়াছে। যে ব্যক্তি পানি পাইয়াছে সেই ব্যক্তির আমল হইল ওযু, যেমন আল্লাহ্ তাআলা তাহাকে নির্দেশ করিয়াছেন, আর যে ব্যক্তি নামায শুরুর পূর্বে পানি পায় নাই সেই ব্যক্তির জন্য (নির্দেশ) হইল তাইয়াম্মুম।
মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন, জুনুবী ব্যক্তি তাইয়াম্মুম করিবে এবং কুরআন হইতে তাহার নির্ধারিত অংশ তিলাওয়াত করিবে এবং নফল নামায পড়িবে যতক্ষণ পর্যন্ত পানি না পায়। তবে ইহা সেই স্থানের জন্য যে স্থানে তাহার জন্য তাইয়াম্মুম দ্বারা নামায পড়া বৈধ।
هَذَا بَاب فِي التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ أَوْ بِذَاتِ الْجَيْشِ انْقَطَعَ عِقْدٌ لِي فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْتِمَاسِهِ وَأَقَامَ النَّاسُ مَعَهُ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ فَأَتَى النَّاسُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَقَالُوا أَلَا تَرَى مَا صَنَعَتْ عَائِشَةُ أَقَامَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِالنَّاسِ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ قَالَتْ عَائِشَةُ فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعٌ رَأْسَهُ عَلَى فَخِذِي قَدْ نَامَ فَقَالَ حَبَسْتِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسَ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ قَالَتْ عَائِشَةُ فَعَاتَبَنِي أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ وَجَعَلَ يَطْعُنُ بِيَدِهِ فِي خَاصِرَتِي فَلَا يَمْنَعُنِي مِنْ التَّحَرُّكِ إِلَّا مَكَانُ رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى فَخِذِي فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَصْبَحَ عَلَى غَيْرِ مَاءٍ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى آيَةَ التَّيَمُّمِ فَتَيَمَّمُوا فَقَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ مَا هِيَ بِأَوَّلِ بَرَكَتِكُمْ يَا آلَ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ فَبَعَثْنَا الْبَعِيرَ الَّذِي كُنْتُ عَلَيْهِ فَوَجَدْنَا الْعِقْدَ تَحْتَهُ
وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ تَيَمَّمَ لِصَلَاةٍ حَضَرَتْ ثُمَّ حَضَرَتْ صَلَاةٌ أُخْرَى أَيَتَيَمَّمُ لَهَا أَمْ يَكْفِيهِ تَيَمُّمُهُ ذَلِكَ فَقَالَ بَلْ يَتَيَمَّمُ لِكُلِّ صَلَاةٍ لِأَنَّ عَلَيْهِ أَنْ يَبْتَغِيَ الْمَاءَ لِكُلِّ صَلَاةٍ فَمَنْ ابْتَغَى الْمَاءَ فَلَمْ يَجِدْهُ فَإِنَّهُ يَتَيَمَّمُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ تَيَمَّمَ أَيَؤُمُّ أَصْحَابَهُ وَهُمْ عَلَى وُضُوءٍ قَالَ يَؤُمُّهُمْ غَيْرُهُ أَحَبُّ إِلَيَّ وَلَوْ أَمَّهُمْ هُوَ لَمْ أَرَ بِذَلِكَ بَأْسًا قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ تَيَمَّمَ حِينَ لَمْ يَجِدْ مَاءً فَقَامَ وَكَبَّرَ وَدَخَلَ فِي الصَّلَاةِ فَطَلَعَ عَلَيْهِ إِنْسَانٌ مَعَهُ مَاءٌ قَالَ لَا يَقْطَعُ صَلَاتَهُ بَلْ يُتِمُّهَا بِالتَّيَمُّمِ وَلْيَتَوَضَّأْ لِمَا يُسْتَقْبَلُ مِنْ الصَّلَوَاتِ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك مَنْ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ فَلَمْ يَجِدْ مَاءً فَعَمِلَ بِمَا أَمَرَهُ اللَّهُ بِهِ مِنْ التَّيَمُّمِ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَلَيْسَ الَّذِي وَجَدَ الْمَاءَ بِأَطْهَرَ مِنْهُ وَلَا أَتَمَّ صَلَاةً لِأَنَّهُمَا أُمِرَا جَمِيعًا فَكُلٌّ عَمِلَ بِمَا أَمَرَهُ اللَّهُ بِهِ وَإِنَّمَا الْعَمَلُ بِمَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ مِنْ الْوُضُوءِ لِمَنْ وَجَدَ الْمَاءَ وَالتَّيَمُّمِ لِمَنْ لَمْ يَجِدْ الْمَاءَ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ فِي الصَّلَاةِ وَقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ الْجُنُبِ إِنَّهُ يَتَيَمَّمُ وَيَقْرَأُ حِزْبَهُ مِنْ الْقُرْآنِ وَيَتَنَفَّلُ مَا لَمْ يَجِدْ مَاءً وَإِنَّمَا ذَلِكَ فِي الْمَكَانِ الَّذِي يَجُوزُ لَهُ أَنْ يُصَلِّيَ فِيهِ بِالتَّيَمُّمِ
وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ تَيَمَّمَ لِصَلَاةٍ حَضَرَتْ ثُمَّ حَضَرَتْ صَلَاةٌ أُخْرَى أَيَتَيَمَّمُ لَهَا أَمْ يَكْفِيهِ تَيَمُّمُهُ ذَلِكَ فَقَالَ بَلْ يَتَيَمَّمُ لِكُلِّ صَلَاةٍ لِأَنَّ عَلَيْهِ أَنْ يَبْتَغِيَ الْمَاءَ لِكُلِّ صَلَاةٍ فَمَنْ ابْتَغَى الْمَاءَ فَلَمْ يَجِدْهُ فَإِنَّهُ يَتَيَمَّمُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ تَيَمَّمَ أَيَؤُمُّ أَصْحَابَهُ وَهُمْ عَلَى وُضُوءٍ قَالَ يَؤُمُّهُمْ غَيْرُهُ أَحَبُّ إِلَيَّ وَلَوْ أَمَّهُمْ هُوَ لَمْ أَرَ بِذَلِكَ بَأْسًا قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ تَيَمَّمَ حِينَ لَمْ يَجِدْ مَاءً فَقَامَ وَكَبَّرَ وَدَخَلَ فِي الصَّلَاةِ فَطَلَعَ عَلَيْهِ إِنْسَانٌ مَعَهُ مَاءٌ قَالَ لَا يَقْطَعُ صَلَاتَهُ بَلْ يُتِمُّهَا بِالتَّيَمُّمِ وَلْيَتَوَضَّأْ لِمَا يُسْتَقْبَلُ مِنْ الصَّلَوَاتِ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك مَنْ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ فَلَمْ يَجِدْ مَاءً فَعَمِلَ بِمَا أَمَرَهُ اللَّهُ بِهِ مِنْ التَّيَمُّمِ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَلَيْسَ الَّذِي وَجَدَ الْمَاءَ بِأَطْهَرَ مِنْهُ وَلَا أَتَمَّ صَلَاةً لِأَنَّهُمَا أُمِرَا جَمِيعًا فَكُلٌّ عَمِلَ بِمَا أَمَرَهُ اللَّهُ بِهِ وَإِنَّمَا الْعَمَلُ بِمَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ مِنْ الْوُضُوءِ لِمَنْ وَجَدَ الْمَاءَ وَالتَّيَمُّمِ لِمَنْ لَمْ يَجِدْ الْمَاءَ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ فِي الصَّلَاةِ وَقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ الْجُنُبِ إِنَّهُ يَتَيَمَّمُ وَيَقْرَأُ حِزْبَهُ مِنْ الْقُرْآنِ وَيَتَنَفَّلُ مَا لَمْ يَجِدْ مَاءً وَإِنَّمَا ذَلِكَ فِي الْمَكَانِ الَّذِي يَجُوزُ لَهُ أَنْ يُصَلِّيَ فِيهِ بِالتَّيَمُّمِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান