আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২. পাক-পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৭
৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ২৭. উরওয়াহ্ ইবনে যুবায়র (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, ইস্তিতাবা* সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে প্রশ্ন করা হইল। তিনি বলিলেনঃ তোমাদের একজন কি তিনটি পাথরও পায় না (যদ্বারা সে পবিত্রতা লাভ করিতে সক্ষম হয়?)

*ইস্তিতাবা অর্থ ইস্তিনজা অর্থাৎ পেশাব-পায়খানা হইতে পবিত্ৰতা অর্জন।
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ الْاسْتِطَابَةِ فَقَالَ أَوَلَا يَجِدُ أَحَدُكُمْ ثَلَاثَةَ أَحْجَارٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৫৮
৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ২৮. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত — রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (একদ) কবরস্থানের দিকে গমন করিলেন। তিনি সেখানে পৌছার পর বলিলেনঃ

السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ

তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে মু’মিন সম্প্রদায়ের বাসস্থানে (অর্থাৎ গোরস্তানে) বসবাসকারিগণ! আমরা তোমাদের সহিত মিলিত হইব, ইনশাআল্লাহ।” আমার আকাঙ্ক্ষা, যদি আমার ভাইদিগকে দেখিতাম! তাহারা বলিলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার ভাই নই কি? তিনি বলিলেনঃ তোমরা আমার আসহাব, আমার ভাই তাহারা যাহারা এখনও (ইহজগতে) আসেন নাই। আমি তাহদের অগ্রদূত হইব হাওযের নিকট। তাহারা বলিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার উম্মতের মধ্যে যাহারা আপনার পরে আগমন করিবে আপনি তাহাদের পরিচয় পাইবেন কিভাবে?

তিনি বলিলেনঃ তোমরা আমাকে বল দেখি, যদি কোন ব্যক্তির কাছে পায়ে ও ললাটে সাদা চিহ্নযুক্ত ঘোড়া থাকে এবং সেগুলি গাঢ় কাল রং-এর ঘোড়ার সহিত একত্র থাকে, তবে সেই ব্যক্তি কি তাহার (সাদা চিহ্নযুক্ত) ঘোড়া চিনিতে পারবে না? তাহারা বলিলেনঃ হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ! চিনিতে পরিবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ আমার উম্মতকে আমি চিনিতে পারিব। কারণ তাহারা ওযুর দরুন রোজ কিয়ামতে জ্যোতির্ময় চেহারা এবং জ্যোতির্ময় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়া উপস্থিত হইবে। আমি হাওযে তাহদের অগ্রদূত থাকিব। দলভ্রষ্ট উটকে যেরূপ তাড়াইয়া দেওয়া হয়, আমার হাওয হইতে কাহাকেও অদ্রূপ তাড়াইয়া দেওয়া হইলে আমি তাহাকে আহবান করিবঃ أَلاَ هَلُمَّ أَلاَ هَلُمَّ أَلاَ هَلُمَّ - ওহে (আমার নিকট) আস, (আমার নিকট) আস, (আমার নিকট) আস। তারপর আমাকে বলা হইবেঃ ইহারা (আপনার সুন্নতকে) আপনার পরে পরিবর্তন করিয়াছে। আমি বলিবঃ فَسُحْقًا فَسُحْقًا فَسُحْقًا -তবে দূর হও, দূর হও, দূর হও।
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ إِلَى الْمَقْبُرَةِ فَقَالَ " السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ وَدِدْتُ أَنِّي قَدْ رَأَيْتُ إِخْوَانَنَا " . فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَسْنَا بِإِخْوَانِكَ قَالَ " بَلْ أَنْتُمْ أَصْحَابِي وَإِخْوَانُنَا الَّذِينَ لَمْ يَأْتُوا بَعْدُ وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ " . فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ يَأْتِي بَعْدَكَ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ " أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ لِرَجُلٍ خَيْلٌ غُرٌّ مُحَجَّلَةٌ فِي خَيْلٍ دُهْمٍ بُهْمٍ أَلاَ يَعْرِفُ خَيْلَهُ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ فَلاَ يُذَادَنَّ رِجَالٌ عَنْ حَوْضِي كَمَا يُذَادُ الْبَعِيرُ الضَّالُّ أُنَادِيهِمْ أَلاَ هَلُمَّ أَلاَ هَلُمَّ أَلاَ هَلُمَّ فَيُقَالُ إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بَعْدَكَ فَأَقُولُ فَسُحْقًا فَسُحْقًا فَسُحْقًا " .
হাদীস নং:৫৯
৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ২৯. হুমরান (রাহঃ) (حُمْرَان) হইতে বর্ণিত, উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) (একদা) মাকাইদ (مَقَاعِد) বৈঠকখানায় বসিলেন। মুয়াযযিন আসিয়া তাহাকে আসরের নামাযের সংবাদ দিলেন। তিনি পানি আনাইলেন, তারপর ওযু করিলেন এবং বলিলেনঃ আল্লাহর কসম, আমি নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট একটি হাদীস বয়ান করিব। কিতাবুল্লাহর (কুরআনের) একটি আয়াত যদি না থাকিত তবে আমি তোমাদের নিকট হাদীস বয়ান করিতাম না। অতঃপর বললেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছি যে ব্যক্তি ওযূ করে আর সে তাহার ওযূকে উত্তমরূপে সমাধা করার পর নামায আদায় করে, তার (পাপ) মার্জনা করা হবে অর্থাৎ পরবর্তী নামায সমাপ্ত করা পর্যন্ত অর্থাৎ পরবর্তী নামায আদায় করলেই এই মার্জনা পাওয়া যাবে।

মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ আমার ধারণা, উসমান (রাযিঃ) যেই আয়াতের কথা বলিয়াছেন তাহা এইঃ

أَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِ ۚ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَٰلِكَ ذِكْرَىٰ لِلذَّاكِرِين

নামায কায়েম করবে দিবসের দুই প্রান্তভাগে ও রজনীর প্রথমাংশে। নিশ্চয় সৎকর্ম অসৎ কর্ম মিটাইয়া দেয়। (সূরা হুদঃ ১১৪)
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ جَلَسَ عَلَى الْمَقَاعِدِ فَجَاءَ الْمُؤَذِّنُ فَآذَنَهُ بِصَلَاةِ الْعَصْرِ فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ قَالَ وَاللَّهِ لَأُحَدِّثَنَّكُمْ حَدِيثًا لَوْلَا أَنَّهُ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَا حَدَّثْتُكُمُوهُ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ امْرِئٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يُصَلِّي الصَّلَاةَ إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الصَّلَاةِ الْأُخْرَى حَتَّى يُصَلِّيَهَا قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك أُرَاهُ يُرِيدُ هَذِهِ الْآيَةَ أَقِمْ الصَّلَاةَ طَرَفَيْ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنْ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০
৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ৩০. আব্দুল্লাহ সুনাবিহী (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ মুমিন বান্দা যখন ওযু করে এবং কুলি করে, তাহার মুখ হইতে পাপসমূহ বাহির হইয়া যায়। সে যখন মুখমণ্ডল ধৌত করে তাহার মুখমণ্ডল হইতে তখন পাপসমূহ বাহির হইয়া যায়। এমনকি চক্ষুদ্বয়ের পালকের নিচ হইতেও গুনাহ বাহির হইয়া যায়। তারপর যখন সে তাহার উভয় হাত ধোয় তখন পাপসমূহ হস্তদ্বয় হইতে বাহির হইয়া যায়; এমনকি তাহার উভয় হাতের নখসমূহের নিচ হইতেও গুনাহ বাহির হইয়া যায়। অতঃপর যখন সে তাহার মাথা মাসাহ্‌ করে তাহার পাপসমূহ তখন তাহার মাথা হইতে বাহির হইয়া যায়; এমনকি তাহার উভয় কান হইতেও বাহির হইয়া যায়। যখন সে তাহার উভয় পা ধোয় তখন পাপসমূহ তাহার উভয় পা হইতে বাহির হইয়া যায়; এমনকি তাহার উভয় পায়ের সকল নখের নিচ হইতেও গুনাহ বাহির হইয়া যায়। তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ অতঃপর সেই ব্যক্তির মসজিদে গমন এবং নামায পড়া তাহার জন্য নফল (অতিরিক্ত সওয়াবের বস্তু)-স্বরূপ হয়।
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ فَتَمَضْمَضَ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ فِيهِ وَإِذَا اسْتَنْثَرَ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ أَنْفِهِ فَإِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ وَجْهِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَشْفَارِ عَيْنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ يَدَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ يَدَيْهِ فَإِذَا مَسَحَ بِرَأْسِهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ رَأْسِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ أُذُنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ رِجْلَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ رِجْلَيْهِ - قَالَ - ثُمَّ كَانَ مَشْيُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ وَصَلاَتُهُ نَافِلَةً لَهُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১
৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ৩১. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন মু’মিন বান্দা ওযু করে এবং তাহার মুখমণ্ডল ধোয় তখন তাহার মুখমণ্ডল হইতে সকল গুনাহ যাহা দেখার দরুন অর্জিত হইয়াছে, বাহির হইয়া যায়; পানির সঙ্গে অথবা পানির শেষ কাতরার (ফোঁটা) সঙ্গে অথবা (ইহার সমার্থবোধক) অনুরূপ কোন বাক্য। তারপর যখন সে তাহার উভয় হাত ধোয় তখন তাহার হস্তদ্বয় হইতে হস্তদ্বয় দ্বারা অর্জিত সকল পাপ বাহির হইয়া যায়। পানির সঙ্গে অথবা (বলিয়াছেন) পানির শেষ কাতরার সঙ্গে; এমনকি সে যাবতীয় পাপ হইতে পবিত্র হইয়া যায়।
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ - أَوِ الْمُؤْمِنُ - فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتْ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ - أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ - فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتْ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ - أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيئَةٍ مَشَتْهَا رِجْلاَهُ مَعَ الْمَاءِ - أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ - حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوبِ " .
হাদীস নং:৬২
৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ৩২. আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এমন সময় দেখিলাম যখন আসরের নামাযের সময় নিকটবর্তী। লোকজন ওযুর জন্য পানি তালাশ করিলেন, কিন্তু তাহারা পানি পাইলেন না। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট একটি পাত্রে কিছু পানি আনা হইল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের হাত সেই পাত্রে রাখিলেন। তারপর লোকজনকে উহা হইতে ওযু করার নির্দেশ দিলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমি হযরতের অঙ্গুলিসমূহের নিচ হইতে পানি নির্গত হইতে দেখিলাম, লোকজন ওযু করিলেন। এমনকি তাহাদের (দলের) সর্বশেষ ব্যক্তিও ওষু করিলেন।
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَانَتْ صَلاَةُ الْعَصْرِ فَالْتَمَسَ النَّاسُ وَضُوءًا فَلَمْ يَجِدُوهُ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِوَضُوءٍ فِي إِنَاءٍ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ الإِنَاءِ يَدَهُ ثُمَّ أَمَرَ النَّاسَ يَتَوَضَّئُونَ مِنْهُ - قَالَ أَنَسٌ - فَرَأَيْتُ الْمَاءَ يَنْبُعُ مِنْ تَحْتِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ النَّاسُ حَتَّى تَوَضَّئُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৬৩
৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ৩৩. নুআয়ম ইবনে আব্দুল্লাহ মুজমির (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি ওযু করিয়াছে এবং তাহার ওযুকে উত্তমরূপে সম্পাদন করিয়াছে, অতঃপর নামাযের উদ্দেশ্যে বাহির হইয়াছে, সে নামাযে থাকিবে (সওয়াবের দিক দিয়া নামাযে বলিয়া গণ্য হইবে) যতক্ষণ নামাযের নিয়ত রাখিবে এবং তাহার জন্য প্রতিটি প্রথম পদ উত্তোলনে একটি করিয়া নেকী লেখা হইবে, আর প্রতিটি দ্বিতীয় পদ উত্তোলনের পরিবর্তে তাহার পাপ মোচন করিয়া দেওয়া হইবে। তাই তোমাদের কেউ ইকামত শুনিতে পাইলে দৌড়াইবে না, কারণ তোমাদের মধ্যে সেই লোকই বেশী সওয়াবের অধিকারী যাহার ঘর মসজিদ হইতে অধিক দূরে। শ্রোতারা বলিলেনঃ এইরূপ কেন, হে আবু হুরায়রা? তিনি বলিলেনঃ কদমের আধিক্যের কারণে।
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَدَنِيِّ الْمُجْمِرِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَامِدًا إِلَى الصَّلاَةِ فَإِنَّهُ فِي صَلاَةٍ مَادَامَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلاَةِ وَإِنَّهُ يُكْتَبُ لَهُ بِإِحْدَى خُطْوَتَيْهِ حَسَنَةٌ وَيُمْحَى عَنْهُ بِالأُخْرَى سَيِّئَةٌ فَإِذَا سَمِعَ أَحَدُكُمُ الإِقَامَةَ فَلاَ يَسْعَ فَإِنَّ أَعْظَمَكُمْ أَجْرًا أَبْعَدُكُمْ دَارًا . قَالُوا لِمَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ مِنْ أَجْلِ كَثْرَةِ الْخُطَا .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৪
৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ৩৪. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) শুনিয়াছেন যে, সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল, মল-মূত্র ত্যাগের কারণে পানি দ্বারা ইস্তিন্জা (মল-মূত্র ত্যাগের পর বিশেষ স্থান ধৌত করা) করা সম্পর্কে। সাঈদ (রাহঃ) বললেনঃ ইহা অবশ্য মেয়েদের ইস্তিন্জা।
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يُسْأَلُ عَنِ الْوُضُوءِ مِنَ الْغَائِطِ بِالْمَاءِ فَقَالَ سَعِيدٌ إِنَّمَا ذَلِكَ وُضُوءُ النِّسَاءِ
হাদীস নং:৬৫
৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ৩৫. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমাদের কাহারও পাত্র হইতে কুকুর আহার করিলে, তবে অবশ্যই উহাকে সাতবার ধুইবে।
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا شَرِبَ الْكَلْبُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْسِلْهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬
৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ৩৬. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট হাদীস পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে শরীয়ত তোমাদের জন্য নির্ধারিত করা হইয়াছে উহার উপর তোমরা দৃঢ়তার সহিত থাক, পূর্ণ ইস্তিকামাত বা দৃঢ়তার সামর্থ্যও তো তোমাদের নাই। কাজ করিতে থাক। তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম আমল নামায। মু’মিন ব্যতীত অন্য কেউ ওযুর যথাযোগ্য হিফাযত (ওযুতে যাহিরী ও বাতেনী পরিচ্ছন্নতা অর্জনের প্রতি লক্ষ্য রাখার নাম মুহাফিযাত) করে না।
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اسْتَقِيمُوا وَلَنْ تُحْصُوا وَاعْمَلُوا وَخَيْرُ أَعْمَالِكُمُ الصَّلاَةُ وَلاَ يُحَافِظُ عَلَى الْوُضُوءِ إِلاَّ مُؤْمِنٌ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান