আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১. নামাযের সময়সূচী - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২১
নামাযের সময়সূচী
৫. নামাযের সময় সম্পৰ্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ২১. নাফি (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলিয়াছেনঃ যাহার আসরের নামায ফাউত হইয়াছে, তবে যেন তাহার পরিবার-পরিজন ও সম্পদ ছিনাইয়া লওয়া হইয়াছে (অর্থাৎ পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ হারাইলে যেমন ক্ষতি হয় তদ্রূপ ক্ষতি হইয়াছে)।
كتاب وقوت الصلاة
بَابُ جَامِعِ الْوُقُوتِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الَّذِي تَفُوتُهُ صَلَاةُ الْعَصْرِ كَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ
হাদীস নং: ২২
নামাযের সময়সূচী
৫. নামাযের সময় সম্পৰ্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ২২. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আসরের নামায হইতে প্রত্যাবর্তনের পথে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর এমন এক ব্যক্তির সহিত সাক্ষাত হইল যিনি আসরের নামাযে হাজির হন নাই। উমর (রাযিঃ) বলিলেনঃ আসরের নামায হইতে তোমাকে কোন বস্তু বিরত রাখিল? লোকটি তাহার (উমরের) নিকট ওযর ব্যক্ত করিলেন। ওযর শোনার পর উমর (রাযিঃ) বললেনঃ (জামাআতে হাযির না হওয়ায়) তোমার পুণ্য কমিয়াছে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ বলা হইয়া থাকে “প্রত্যেক বস্তুর পূর্ণতা এবং ক্ষতি বা লোকসান রহিয়াছে।”
كتاب وقوت الصلاة
باب جامع الوقوت
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ انْصَرَفَ مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ فَلَقِيَ رَجُلًا لَمْ يَشْهَدْ الْعَصْرَ فَقَالَ عُمَرُ مَا حَبَسَكَ عَنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ فَذَكَرَ لَهُ الرَّجُلُ عُذْرًا فَقَالَ عُمَرُ طَفَّفْتَ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَيُقَالُ لِكُلِّ شَيْءٍ وَفَاءٌ وَتَطْفِيفٌ
হাদীস নং: ২৩
নামাযের সময়সূচী
৫. নামাযের সময় সম্পৰ্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ২৩. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলতেনঃ মুসল্লী এমন সময়ে নামায পড়িবে, যখন তাহার নামাযের ওয়াক্ত ফাউত হয় নাই, তাহা অতি উত্তম, কিন্তু মুসল্লীর নামাযের যে সময় ফাউত হইয়া গিয়াছে (অর্থাৎ মুস্তাহাব সময় ফাউত হইয়া মাকরূহ ওয়াক্ত উপস্থিত হইয়াছে) তবে সেই (ফাউত হওয়া মুস্তাহাব) সময় তাহার পরিজন ও মাল অপেক্ষাও বড় উত্তম।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সফরকালে (যেই সফরে নামায কসর পড়িতে হয় সেইরূপ সফর) যাহার নামাযের সময় উপস্থিত হইয়াছে, সে যদি ভুলে অথবা ব্যস্ততাবশত নামায পড়িতে বিলম্ব করে এবং এই অবস্থায় নিজের পরিজনের নিকট প্রত্যাবর্তন করে, তবে সে যদি নামাযের সময় থাকিতে পরিজনের নিকট প্রত্যাবর্তন করে সে মুকীমের নামায পড়িবে, আর যদি নামাযের সময় চলিয়া যাওয়ার পর প্রত্যাবর্তন করে, সে মুসাফিরের নামায পড়িবে। কারণ যেরূপ তাহার উপর ফরয হইয়াছিল সেইরূপ সে কাযা পড়িবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নগরীর লোকজন ও আহলে ইলমকে আমি ইহার উপরই পাইয়াছি (অর্থাৎ তাহাদের আমল ও অভিমতও ঐরূপই ছিল)।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অস্তাচলে যে লালিমা দৃষ্ট হয় উহাই শফক (شفق)। লালিমা চলিয়া গেলে ইশার নামায ওয়াজিব হইল এবং তুমি মাগরিবের সময় হইতে বাহির হইলে।*

*ইমাম মালিক শফিয়ী আহমদ, আবু ইউসুফ মুহাম্মাদ (রহঃ)-এর মাযহাব অনুরূপ। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেন লালিমা অস্ত যাওয়ার পর সাদা বর্ণ দেখা যায়, উহাই শাফাক। ইহা অদৃশ্য হইলে ইশার নামাযের সময় আরম্ভ হয়। ইশার সময় আরম্ভ না হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের সময় থাকে।
كتاب وقوت الصلاة
باب جامع الوقوت
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِنَّ الْمُصَلِّيَ لَيُصَلِّي الصَّلَاةَ وَمَا فَاتَهُ وَقْتُهَا وَلَمَا فَاتَهُ مِنْ وَقْتِهَا أَعْظَمُ أَوْ أَفْضَلُ مِنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك مَنْ أَدْرَكَ الْوَقْتَ وَهُوَ فِي سَفَرٍ فَأَخَّرَ الصَّلَاةَ سَاهِيًا أَوْ نَاسِيًا حَتَّى قَدِمَ عَلَى أَهْلِهِ أَنَّهُ إِنْ كَانَ قَدِمَ عَلَى أَهْلِهِ وَهُوَ فِي الْوَقْتِ فَلْيُصَلِّ صَلَاةَ الْمُقِيمِ وَإِنْ كَانَ قَدْ قَدِمَ وَقَدْ ذَهَبَ الْوَقْتُ فَلْيُصَلِّ صَلَاةَ الْمُسَافِرِ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يَقْضِي مِثْلَ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك وَهَذَا الْأَمْرُ هُوَ الَّذِي أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ النَّاسَ وَأَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَقَالَ مَالِك الشَّفَقُ الْحُمْرَةُ الَّتِي فِي الْمَغْرِبِ فَإِذَا ذَهَبَتْ الْحُمْرَةُ فَقَدْ وَجَبَتْ صَلَاةُ الْعِشَاءِ وَخَرَجْتَ مِنْ وَقْتِ الْمَغْرِبِ
হাদীস নং: ২৪
নামাযের সময়সূচী
৫. নামাযের সময় সম্পৰ্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ২৪. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) একবার সংজ্ঞা হারাইয়া ফেলিলেন। (হুঁশ ফিরিয়া আসার পর) তিনি আর নামাযের কাযা আদায় করিলেন না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে ইহা এইজন্য যে, নামাযের সময় চলিয়া গিয়াছিল। আর নামাযের সময় থাকিতে যে সংজ্ঞা ফিরিয়া পায় সে নামায আদায় করিবে (والله اعلم) (আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ)।
كتاب وقوت الصلاة
باب جامع الوقوت
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أُغْمِيَ عَلَيْهِ فَذَهَبَ عَقْلُهُ فَلَمْ يَقْضِ الصَّلاَةَ . قَالَ مَالِكٌ وَذَلِكَ فِيمَا نَرَى - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - أَنَّ الْوَقْتَ قَدْ ذَهَبَ فَأَمَّا مَنْ أَفَاقَ فِي الْوَقْتِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী: