কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
১১. শপথ এবং কাফফারা সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২১১৫
আন্তর্জাতিক নং: ২১১৫
কসমকারীর দায়মুক্তিতে সাহায্য করা
২১১৫। 'আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)....বারা ইবন আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কসমকারীর দায় মুক্তিতে সাহায্য করতে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
بَاب إِبْرَارِ الْمُقْسِمِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِإِبْرَارِ الْمُقْسِمِ .
হাদীস নং:২১১৬
আন্তর্জাতিক নং: ২১১৬
কসমকারীর দায়মুক্তিতে সাহায্য করা
২১১৬। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ).... আব্দুর রহমান ইবন সফওয়ান অথবা সফওয়ান ইবন আব্দুর রহমান কুরাশী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মক্কা বিজয়ের দিন আব্দুর রহমান তার পিতাকে নিয়ে আসলেন এবং বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! আমার পিতাকে হিজরতে শরীক রাখুন। তখন তিনি বললেনঃ আর তো হিজরত নেই। তখন তিনি সেখান থেকে চলে গিয়ে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেনঃ আপনি কি আমাকে চেনেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। এরপর আব্বাস (রাযিঃ) একটি জামা গায়ে, চাদর বিহীন অবস্থায় বেরিয়ে পড়লেন এবং বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! আপনি তো এই লোকটিকে চিনেন এবং তার ও আমাদের মধ্যকার ঘনিষ্ঠতাও আপনি জানেন। লোকটি তার পিতাকে নিয়ে এসেছে, যেন আপনি তাকে হিজরতের উপর বায়'আত করান। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ এখন তো আর হিজরত নেই। তখন আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ আপনাকে কসম দিয়ে বলছি। তখন নবী তাঁর হাত বাড়িয়ে দিলেন ও লোকটির হাত স্পর্শ করলেন এবং বললেনঃ আমি কেবল আমার চাচার শপথ পূর্ণ করলাম। আসলে এখন আর হিজরত নেই।
মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ)....ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদ (রাহঃ) থেকে উপরের হাদীসের অনুরূপ
বর্ণিত।
ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদ (রাহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথার মর্ম এই যে, যে দেশের অধিবাসীগণ ইসলাম গ্রহণ করেছে, সে দেশ থেকে আর হিজরত করে অন্যত্র যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ)....ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদ (রাহঃ) থেকে উপরের হাদীসের অনুরূপ
বর্ণিত।
ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদ (রাহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথার মর্ম এই যে, যে দেশের অধিবাসীগণ ইসলাম গ্রহণ করেছে, সে দেশ থেকে আর হিজরত করে অন্যত্র যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
بَاب إِبْرَارِ الْمُقْسِمِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ صَفْوَانَ، أَوْ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيِّ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ جَاءَ بِأَبِيهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اجْعَلْ لأَبِي نَصِيبًا فِي الْهِجْرَةِ . فَقَالَ " إِنَّهُ لاَ هِجْرَةَ " . فَانْطَلَقَ فَدَخَلَ عَلَى الْعَبَّاسِ فَقَالَ قَدْ عَرَفْتَنِي فَقَالَ أَجَلْ . فَخَرَجَ الْعَبَّاسُ فِي قَمِيصٍ لَيْسَ عَلَيْهِ رِدَاءٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ عَرَفْتَ فُلاَنًا وَالَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ جَاءَ بِأَبِيهِ لِيُبَايِعَكَ عَلَى الْهِجْرَةِ . فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّهُ لاَ هِجْرَةَ " . فَقَالَ الْعَبَّاسُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ . فَمَدَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَدَهُ فَمَسَّ يَدَهُ فَقَالَ " أَبْرَرْتُ عَمِّي وَلاَ هِجْرَةَ " .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ . قَالَ يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ يَعْنِي لاَ هِجْرَةَ مِنْ دَارٍ قَدْ أَسْلَمَ أَهْلُهَا .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ . قَالَ يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ يَعْنِي لاَ هِجْرَةَ مِنْ دَارٍ قَدْ أَسْلَمَ أَهْلُهَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: