কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৩২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২৮
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩২৮। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বলেনঃ “আমি আমার নেক্কার বান্দাদের জন্য এমন সব নি'আমত ও বিলাস-ব্যসনের সামগ্রী তৈরী করে রেখেছি, যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি, এমনকি কোন মানুষের অন্তরে তার ধারণারও কোন দিন উদ্রেক হয়নি"।

আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, সে সব ভোগ-বিলাসের উপকরণাদির কথা বাদ দাও, যেগুলো আল্লাহ তা'আলা তোমাদের কাছে স্পষ্ট করে বর্ণনা করেছেন (অর্থাৎ বর্ণনাতীত ভোগ্যসামগ্রী মজুদ রয়েছে)। যদি তোমরা কৌতূহলবশত জানতে চাও, তাহলে এ আয়াত তিলাওয়াত করঃ

فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
“কেউ জানে না তাদের জন্য নয়ন--প্রীতিকর কী লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ"। (৩২ঃ ১৭)।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَعْدَدْتُ لِعِبَادِيَ الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَمِنْ بَلْهَ مَا قَدْ أَطْلَعَكُمُ اللَّهُ عَلَيْهِ اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏(فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ )‏ قَالَ وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَقْرَؤُهَا مِنْ قُرَّاتِ أَعْيُنٍ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২৯
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩২৯। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জান্নাতের এক বিঘৎ (অর্ধহাত) পরিমাণ স্থান সমগ্র পৃথিবী এবং এর মাঝে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏"‏ لَشِبْرٌ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الأَرْضِ وَمَا عَلَيْهَا - الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৩০
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৩০। হিশাম ইব্‌ন আম্মার (রাহঃ)...... সাহল সা'দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাতের একটা কোড়া রাখার পরিমাণ জায়গা পৃথিবী এবং এর মাঝে যা আছে তা থেকে উত্তম।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ مَنْظُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَوْضِعُ سَوْطٍ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৩১
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৩১। সুওয়ায়দ ইবন সাঈদ (রাহঃ)..... মু'আয ইবন জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ জান্নাতের একশ স্তর রয়েছে। এক স্তর থেকে অপর স্তরের ব্যবধান আসমান-যমীনের দূরত্বের সমান। নিশ্চয় এর শীর্ষস্তরে রয়েছে ফিরদাউস এবং এর মধ্যবর্তী স্তরও ফিরদাউস। আর আরশও ফিরদাউসের উপর অবস্থিত। এখান থেকে জান্নাতের ঝরণাসমূহ প্রবাহিত। তাই যখন তোমরা আল্লাহর কাছে (জান্নাত) চাইবে, তখন তাঁর কাছে ফিরদাউস জান্নাত চাইবে।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ الْجَنَّةُ مِائَةُ دَرَجَةٍ كُلُّ دَرَجَةٍ مِنْهَا مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ وَإِنَّ أَعْلاَهَا الْفِرْدَوْسُ وَإِنَّ أَوْسَطَهَا الْفِرْدَوْسُ وَإِنَّ الْعَرْشَ عَلَى الْفِرْدَوْسِ مِنْهَا تُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ فَإِذَا مَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَسَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৩২
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৩২। আব্বাস ইব্‌ন উসমান দিমাশকী (রাহঃ)...... উসামা ইবন যায়িদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার তাঁর সাহাবীদের লক্ষ্য করে বলেছেনঃ আছে কি কেউ জান্নাতের জন্য কোমর বেঁধে কর্ম সম্পাদনকারী? কেননা, জান্নাতের উপমা সদৃশ কোন জিনিস নেই। কা'বার রব অর্থাৎ আল্লাহর শপথ এ (জান্নাত) তো ঝলমলে আলো, বিচ্ছুরিত সুগন্ধি, সুরম্য প্রাসাদ, প্রবাহমান স্রোতস্বিনী, সুমিষ্ট অসংখ্য ফলমূল, সুন্দরী-সুশ্রী স্ত্রী, বহু অলংকারে বিমন্ডিত, চিরস্থায়ী স্থান, সবুজ শ্যামলিমায় পরিপূর্ণ নিয়ামতে। আরও রয়েছে গগনচুম্বী নিরাপদ প্রাণস্পর্শী প্রাসাদ। তাঁরা (সাহাবারা) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এই জান্নাতের জন্য কোমর বাঁধলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা বলঃ 'ইনশাআল্লাহ'। এরপর তিনি জিহাদ সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং এর প্রতি উৎসাহ প্রদান করেন।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُهَاجِرٍ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ الْمَعَافِرِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ كُرَيْبٍ، - مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ - قَالَ حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ يَوْمٍ لأَصْحَابِهِ ‏"‏ أَلاَ مُشَمِّرٌ لِلْجَنَّةِ فَإِنَّ الْجَنَّةَ لاَ خَطَرَ لَهَا هِيَ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ نُورٌ يَتَلأْلأُ وَرَيْحَانَةٌ تَهْتَزُّ وَقَصْرٌ مَشِيدٌ وَنَهَرٌ مُطَّرِدٌ وَفَاكِهَةٌ كَثِيرَةٌ نَضِيجَةٌ وَزَوْجَةٌ حَسْنَاءُ جَمِيلَةٌ وَحُلَلٌ كَثِيرَةٌ فِي مَقَامٍ أَبَدًا فِي حَبْرَةٍ وَنَضْرَةٍ فِي دَارٍ عَالِيَةٍ سَلِيمَةٍ بَهِيَّةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا نَحْنُ الْمُشَمِّرُونَ لَهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ قُولُوا إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ الْجِهَادَ وَحَضَّ عَلَيْهِ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৩৩
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৩৩। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাতের প্রবেশকারী প্রথম দল পূর্ণিমার রাতের পূর্ণচন্দ্রের মত আলো ঝলমলে চেহারা বিশিষ্ট হবে। তাদের পরবর্তী দলের লোকেরা হবে উজ্জ্বল আকাশের স্পষ্ট তারকারাজির মত উজ্জ্বলতর। তারা (জান্নাতীরা) পেশাব করবে না, পায়খানাও করবে না, এমনকি নাকও ঝাড়বে না এবং থুথুও ফেলবে না। তাদের চিরুণী হবে সোনার তৈরী, তাদের শরীর থেকে নির্গত ঘাম হবে মিশুকের ন্যায় সুগন্ধযুক্ত, তাদের ধূপাধার হবে সুগন্ধি বিশিষ্ট। তাদের স্ত্রীগণ হবে আয়তলোচনা হুরবালা। তাদের আগ্লাক হবে একই ব্যক্তির আচরণের মত, তারা তাদের পিতা আদম (আ)-এর আকৃতিতে ষাট হাত (গজ) লম্বা হবেন।

আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ), উমারা (রাহঃ) থেকে ইবন ফুযায়ল (রাহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أَوَّلُ زُمْرَةٍ تَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ عَلَى ضَوْءِ أَشَدِّ كَوْكَبٍ دُرِّيٍّ فِي السَّمَاءِ إِضَاءَةً لاَ يَبُولُونَ وَلاَ يَتَغَوَّطُونَ وَلاَ يَمْتَخِطُونَ وَلاَ يَتْفِلُونَ أَمْشَاطُهُمُ الذَّهَبُ وَرَشْحُهُمُ الْمِسْكُ وَمَجَامِرُهُمُ الأَلُوَّةُ أَزْوَاجُهُمُ الْحُورُ الْعِينُ أَخْلاَقُهُمْ عَلَى خَلْقِ رَجُلٍ وَاحِدٍ عَلَى صُورَةِ أَبِيهِمْ آدَمَ سِتُّونَ ذِرَاعًا ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ فُضَيْلٍ عَنْ عُمَارَةَ، ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৩৪
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৩৪। ওয়াসিল ইব্‌ন আব্দুল আ'লা আব্দুল্লাহ ইবন সাঈদ ও আলী ইবন মুনযির (রাহঃ).......ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কাওসার জান্নাতের একটি ঝরণা। তার উভয় তীর স্বর্ণপাতে মোড়ানো, এর পানি প্রবাহিত হবে ইয়াকূত ও মোতির উপর দিয়ে। তার মাটি মিশক আম্বরের চাইতেও সুগন্ধিযুক্ত । পানি মধুর চাইতে সুমিষ্টতর এবং বরফের চাইতেও ধবধবে সাদা।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ الْكَوْثَرُ نَهَرٌ فِي الْجَنَّةِ حَافَتَاهُ مِنْ ذَهَبٍ مَجْرَاهُ عَلَى الْيَاقُوتِ وَالدُّرِّ تُرْبَتُهُ أَطْيَبُ مِنَ الْمِسْكِ وَمَاؤُهُ أَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ وَأَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ الثَّلْجِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৩৫
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৩৫। আবু উমার দারীর (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাত (তুবা নামক) একটি বৃক্ষ আছে। এই বৃক্ষের ছায়ায় ঘোড় সাওয়ার একশত বছর পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবে কিন্তু বৃক্ষের ছায়ার সীমারেখা শেষ হবে না। অতঃপর তিনি বলেনঃ তোমরা চাইলে এ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারঃ অর্থাৎ বিস্তৃত ছায়া।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ سَنَةٍ لاَ يَقْطَعُهَا ‏"‏ ‏.‏ وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏(وَظِلٍّ مَمْدُودٍ * وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ ‏)‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৩৬
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৩৬। হিশাম ইবন আম্মার (রাহঃ)..... সাঈদ ইবন মুসায়্যিব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একবার আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষৎ করেন। তখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেনঃ আমি আল্লাহর দরগাহে মুনাজাত করছি, তিনি যেন আমাকেও তোমাকে জান্নাতের বাজারে একত্রিত করেন। সাঈদ (রাহঃ) বললেনঃ সেখানে কি থাকবে ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে জানিয়েছেন যে, জান্নাতীরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন তাদের নেক আমল অনুসারে তারা সেখানে মর্যাদা লাভ করবে। এরপর তাদের পৃথিবীর দিন অনুসারে জুমু'আর দিবসের পরিমাণ সময়ের জন্য আল্লাহ তা'আলার (দীদার লাভের) অনুমতি দেওয়া হবে। তখন তারা মহান আল্লাহকে দেখতে পাবে এবং তিনি তাদের জন্য তাঁর আরশ উন্মুক্ত করে দেবেন। এবং তিনি জান্নাতের বাগানগুলির মাঝে একটি বাগনে তাদের সামনে উদ্ভাসিত হবেন। জান্নাতীদের জন্য নূরের মিম্বরসমূহ সুসজ্জিত করে রাখা হবে, আর রাখা হবে হিরে, মোতি, পান্না, সোনা ও রূপার তৈরী আসন সমূহ। জান্নাতীদের কম মর্যাদার লোকেরা বসবে, (অথচ তাদের মানে কোন কম মর্যাদার লোক থাকবে না), কস্তুরী সুবাসিত ও কাফূর মিশ্রিত টিলার উপরে। চেয়ারে উপবিষ্ট জান্নাতীদের মর্যাদার দিক দিয়ে তাদের চেয় অধিক মর্যাদাবান বলে অনুভূত হবে না।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আমাদের রবকে দেখতে পাব? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ । তোমরা কি সূর্য ও পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখার ব্যাপারে সন্দীহান হয়ে একে অপরের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হও? আমরা বললামঃ না। তিনি বললেনঃ এভাবেই তোমরা তোমাদের মহান রবকে দেখার ব্যাপারে সন্দীহান হয়ে পরস্পর জগড়ায় লিপ্ত হবে না। যে মজলিসে এমন কোন লোক অবশিষ্ট থাকবে না, যার সামনে মহান আল্লাহ উদ্ভাসিত না হবেন (অর্থাৎ সবাই তাঁকে দেখতে পাবে)। এমনকি তিনি তোমাদের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করবেনঃ হে অমুক! তোমার কি মনে আছে, অমুক দিন তুমি এই এই কাজ করেছিলে ? তাকে তার দুনিয়ার জীবনে কৃত কতিপয় গুনাহের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। তখন সে বলবেঃ হে আমার রব! তুমি কি আমার (পাপরাশি) ক্ষমা করে দাওনি? তিনি বলবেনঃ হ্যাঁ, তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমার ক্ষমার ব্যাপক বিস্তৃতির বদৌলতে তুমি এ মর্যাদায় সমাসীন হতে পেরেছ। তারা এ অবস্থায় থাকবে, ইত্যবসরে তাদের উপর থেকে একখন্ড মেঘ তাদের ঢেকে ফেলবে। তা থেকে এমন সুগন্ধিযুক্ত বৃষ্টি বর্ষণ হবে, যে ধরনের সুরভিত সুবাস এর আগে তারা কখনো পায়নি। অতঃপর তিনি বলবেন (হে জান্নাতীরা)। তোমাদের জন্য যে বড় নিয়ামত আমি তৈরী করে রেখেছি সে দিকে এসো এবং তোমরা যা ইচ্ছা কর তা গ্রহণ কর। (রাবী বলেন) তারপরে আমরা (জান্নাতীরা) ফিরিশতা পরিবেষ্টিত একটি বাজারে যাব। সেই বাজারে এমন সব দ্রব্য সম্ভার রয়েছে যার দৃষ্টান্ত চক্ষুসমূহ কখনো দেখেনি, কান সমূহ শুনেনি, সর্বোপরি সে সম্পর্কে অন্তরে কল্পনার ও উদ্রেক হয়নি। (রাবী বলেন), আমরা যা চাইবো তাই আমাদের জন্য সরবরাহ করা হবে। এখানে কান জিনিস বেচা-কিনা হবে না। এই বাজারে সব জান্নাতীরা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবে। এরপর একজন উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন জান্নাতী এগিয়ে আসবে এবং সেন তার চাইতে অপেক্ষাকৃত কমমর্যাদা সম্পন্ন জান্নাতীর সঙ্গে সাক্ষাত করবে। (অথচ সেখানকার কেউ-ই কম মর্যাদার হবে না)। উঁচুমর্যাদা সম্পন্ন জান্নাতী কমমর্যাদা সম্পন্ন জান্নাতীর পোশাক, বিব্রত করে তুলবে। এ অবস্থা শেষ হত না হতেই তাঁর পরিধানে যে বস্ত্র ছিল তা উন্নতমানের রূপ প্ররিগ্রহ করবে। তা এজন্য যে, সেখানে কারো জন্য চিন্তা ভাবনায় পতিত হওয়া শোভনীয় নয়।

রাবী বলেনঃ এরপর আমরা নিজনিজ বাসস্থানে ফিরে যাবো এবং আমাদের সহধর্মীনিরা আমাদের সাথে মিলিত হবে। তখন তারা বলতে থাকবেঃ মারহাবান ওয়া আহলান্, (অর্থাৎ স্বাগতম, সাদর আমন্ত্রণ)। তুমি তো এমন অবস্থায় ফিরে এসেছো যে, তোমার সৌন্দর্য ও সুগন্ধি পূর্বের চাইতে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন আমরা বলবোঃ আজ আমরা আমাদের মহিমান্বিত মহান রবের সান্নিধ্যে বসে ধন্য হয়ে এসছি। এ সুবাধে যতটা সৌন্দর্য ও সুরভিত হওয়া সমীচীন (ততটা হতে পেরেছি) এবং আমরা যেভাবে ফিরে এসেছি, এভাবে ফিরে আসাই আমাদের জন্য যথাযথ।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَبِي الْعِشْرِينَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ لَقِيَ أَبَا هُرَيْرَةَ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَجْمَعَ، بَيْنِي وَبَيْنَكَ فِي سُوقِ الْجَنَّةِ ‏.‏ قَالَ سَعِيدٌ أَوَفِيهَا سُوقٌ قَالَ نَعَمْ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ إِذَا دَخَلُوهَا نَزَلُوا فِيهَا بِفَضْلِ أَعْمَالِهِمْ فَيُؤْذَنُ لَهُمْ فِي مِقْدَارِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا فَيَزُورُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيُبْرِزُ لَهُمْ عَرْشَهُ وَيَتَبَدَّى لَهُمْ فِي رَوْضَةٍ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ فَتُوضَعُ لَهُمْ مَنَابِرُ مِنْ نُورٍ وَمَنَابِرُ مِنْ لُؤْلُؤٍ وَمَنَابِرُ مِنْ يَاقُوتٍ وَمَنَابِرُ مِنْ زَبَرْجَدٍ وَمَنَابِرُ مِنْ ذَهَبٍ وَمَنَابِرُ مِنْ فِضَّةٍ وَيَجْلِسُ أَدْنَاهُمْ - وَمَا فِيهِمْ دَنِيءٌ - عَلَى كُثْبَانِ الْمِسْكِ وَالْكَافُورِ مَا يُرَوْنَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَرَاسِيِّ بِأَفْضَلَ مِنْهُمْ مَجْلِسًا ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا قَالَ ‏"‏ نَعَمْ هَلْ تَتَمَارَوْنَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَذَلِكَ لاَ تَتَمَارَوْنَ فِي رُؤْيَةِ رَبِّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ وَلاَ يَبْقَى فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ أَحَدٌ إِلاَّ حَاضَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مُحَاضَرَةً حَتَّى إِنَّهُ يَقُولُ لِلرَّجُلِ مِنْكُمْ أَلاَ تَذْكُرُ يَا فُلاَنُ يَوْمَ عَمِلْتَ كَذَا وَكَذَا - يُذَكِّرُهُ بَعْضَ غَدَرَاتِهِ فِي الدُّنْيَا - فَيَقُولُ يَا رَبِّ أَفَلَمْ تَغْفِرْ لِي فَيَقُولُ بَلَى فَبِسَعَةِ مَغْفِرَتِي بَلَغْتَ مَنْزِلَتَكَ هَذِهِ ‏.‏ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ غَشِيَتْهُمْ سَحَابَةٌ مِنْ فَوْقِهِمْ فَأَمْطَرَتْ عَلَيْهِمْ طِيبًا لَمْ يَجِدُوا مِثْلَ رِيحِهِ شَيْئًا قَطُّ ثُمَّ يَقُولُ قُومُوا إِلَى مَا أَعْدَدْتُ لَكُمْ مِنَ الْكَرَامَةِ فَخُذُوا مَا اشْتَهَيْتُمْ ‏.‏ قَالَ فَنَأْتِي سُوقًا قَدْ حُفَّتْ بِهِ الْمَلاَئِكَةُ فِيهِ مَا لَمْ تَنْظُرِ الْعُيُونُ إِلَى مِثْلِهِ وَلَمْ تَسْمَعِ الآذَانُ وَلَمْ يَخْطُرْ عَلَى الْقُلُوبِ ‏.‏ قَالَ فَيُحْمَلُ لَنَا مَا اشْتَهَيْنَا لَيْسَ يُبَاعُ فِيهِ شَىْءٌ وَلاَ يُشْتَرَى وَفِي ذَلِكَ السُّوقِ يَلْقَى أَهْلُ الْجَنَّةِ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فَيُقْبِلُ الرَّجُلُ ذُو الْمَنْزِلَةِ الْمُرْتَفِعَةِ فَيَلْقَى مَنْ هُوَ دُونَهُ - وَمَا فِيهِمْ دَنِيءٌ - فَيَرُوعُهُ مَا يَرَى عَلَيْهِ مِنَ اللِّبَاسِ فَمَا يَنْقَضِي آخِرُ حَدِيثِهِ حَتَّى يَتَمَثَّلَ لَهُ عَلَيْهِ أَحْسَنُ مِنْهُ وَذَلِكَ أَنَّهُ لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يَحْزَنَ فِيهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ثُمَّ نَنْصَرِفُ إِلَى مَنَازِلِنَا فَيَتَلَقَّانَا أَزْوَاجُنَا فَيَقُلْنَ مَرْحَبًا وَأَهْلاً لَقَدْ جِئْتَ وَإِنَّ بِكَ مِنَ الْجَمَالِ وَالطِّيبِ أَفْضَلَ مِمَّا فَارَقْتَنَا عَلَيْهِ فَنَقُولُ إِنَّا جَالَسْنَا الْيَوْمَ رَبَّنَا الْجَبَّارَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَحِقُّنَا أَنْ نَنْقَلِبَ بِمِثْلِ مَا انْقَلَبْنَا ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৩৭
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৩৭। হিশাম ইব্‌ন খালিদ আযদাক আবু মারওয়ান দিমাশকী (রাহঃ)...... আবু উমামাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ যাকে জান্নাতে দাখিল করাবেন, তাদের প্রত্যেককেই ৭২ জন স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ করিয়ে দেবেন। তন্মধ্যে দু'জন হবে আয়তলোচনা হুর এবং অবশিষ্ট ৭০ জন হবে জাহান্নামীদের থেকে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত। তাদের প্রত্যেকের লজ্জাস্থান হবে অত্যন্ত সৌষ্ঠব এবং তার পুরুষাংগ হবে অত্যন্ত সুদৃঢ় মযবুত যা কখনো টলবে না।

হিশাম ইবন খালিদ (রাহঃ) বলেনঃ জাহান্নামীদের থেকে স্ত্রী বুঝাতে সে সব পবিত্রা নারীদের বুঝাবে, যাদের স্বামীরা জাহান্নামে নিক্ষপ্ত হয়েছে এবং স্ত্রীরা ঈমানদার হিসেবে জান্নাতের অধিবাসী হয়েছে, যেমন ফির'আউনের স্ত্রী আছিয়াহ (রাহঃ)। (ফিরা'আউন জাহান্নামী আর আছিয়াহ্ (রাহঃ) জান্নাতী। কেননা সে ঈমানাদার ছিল)
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْرَقُ أَبُو مَرْوَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَا مِنْ أَحَدٍ يُدْخِلُهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ إِلاَّ زَوَّجَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً ثِنْتَيْنِ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ وَسَبْعِينَ مِنْ مِيرَاثِهِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ مَا مِنْهُنَّ وَاحِدَةٌ إِلاَّ وَلَهَا قُبُلٌ شَهِيٌّ وَلَهُ ذَكَرٌ لاَ يَنْثَنِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ مِنْ مِيرَاثِهِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ يَعْنِي رِجَالاً دَخَلُوا النَّارَ فَوَرِثَ أَهْلُ الْجَنَّةِ نِسَاءَهُمْ كَمَا وُرِثَتِ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৩৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৩৮
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৩৮। মুহাম্মাদ ইব্‌ন বাশশার (রাহঃ)...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মু'মিন ব্যক্তি যখন জান্নাতে সন্তান-সন্ততি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করবে, তখন তাঁর আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী তার গর্ভধারণ ও গর্ভ খালাস এক মুহূর্তের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ الْمُؤْمِنُ إِذَا اشْتَهَى الْوَلَدَ فِي الْجَنَّةِ كَانَ حَمْلُهُ وَوَضْعُهُ فِي سَاعَةٍ وَاحِدَةٍ كَمَا يَشْتَهِي ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৩৯
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৩৯। উসমান ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জাহান্নাম হতে (নির্ধারিত শাস্তিভোগের পর) সব শেষে বেরিয়ে আসবে এবং সবার শেষে জান্নাতে প্রবেশ করবে, আমি তাকে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ কর। তখন সে সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর তার মনে হবে, জান্নাত তো পরিপূর্ণ। সে ফিরে আসবে এবং বলবেঃ হে আমার রব। জান্নাত তো পরিপূর্ণ। এভাবে তিনবার জান্নাতী যাবে ও ফিরে এসে একই কথা বলবে তখন আল্লাহ বলবেনঃ তুমি যাও এবং জান্নাতে প্রবেশ কর। তোমার জন্য রয়েছে দুনিয়া এবং দশ দুনিয়া সমান আমার রব)। আপনি কি আমার সাথে উপহাস করেছেন? (অথবা যে বলবেঃ আপনি কি আমার সাথে হাসি-তামাশা করছেন? অথচ আপনি তো শাহানশাহ। রাবী বলেনঃ আমি দেখতে পেলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাঁসলেন, এমন কি তাঁর মাড়ির দাঁত মুবারক প্রকাশ পেল। আর বলা হলোঃ এ ব্যক্তিই হবে মর্যাদার দিক দিয়ে জান্নাতীদের মাঝে নিম্নতম
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ إِنِّي لأَعْلَمُ آخِرَ أَهْلِ النَّارِ خُرُوجًا مِنْهَا وَآخِرَ أَهْلِ الْجَنَّةِ دُخُولاً الْجَنَّةَ ‏.‏ رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ حَبْوًا فَيُقَالُ لَهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَجَدْتُهَا مَلأَى ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَجَدْتُهَا مَلأَى ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ سُبْحَانَهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ إِنَّهَا مَلأَى ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَإِنَّ لَكَ مِثْلَ الدُّنْيَا وَعَشَرَةَ أَمْثَالِهَا - أَوْ إِنَّ لَكَ مِثْلَ عَشَرَةِ أَمْثَالِ الدُّنْيَا - فَيَقُولُ أَتَسْخَرُ بِي - أَوْ أَتَضْحَكُ بِي - وَأَنْتَ الْمَلِكُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ‏.‏ فَكَانَ يُقَالُ هَذَا أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً ‏.‏
হাদীস নং:৪৩৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৪০
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৪০। হান্নাদ ইবন সারী (রাহঃ) .......আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তিনবার জান্নাত চায়, জান্নাত তার জন্য বলেঃ হে আল্লাহ। আপনি এক জান্নাতে দাখিল করুন। আর যে ব্যক্তি তিনবার জাহান্নাম থেকে পানাহ্ চায়, জাহান্নাম বলেঃ اللَّهُمَّ أَجِرْهُ مِنَ النَّارِ হে আল্লাহ। একে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন।
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَنْ سَأَلَ الْجَنَّةَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَتِ الْجَنَّةُ اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَمَنِ اسْتَجَارَ مِنَ النَّارِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَتِ النَّارُ اللَّهُمَّ أَجِرْهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৪১
জান্নাতের বর্ণনা
৪৩৪১। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা ও আহমাদ ইবন সিনান (রাযিঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের জন্য দু'টো মনযিল (ঠিকানা) রয়েছে - একটি ঠিকানা জান্নাতে এবং অপরটি জাহান্নামে। তাই যখন কোন ব্যক্তি মারা যায় এবং জাহান্নামে প্রবেশ করে তার ঠিকানাটি জান্নাতীরা ওয়ারিশ সূত্রে লাভ করবে। আর এ হলো মহান আল্লাহর বাণীঃ

أُولَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ

"তারা, তারাই হবে ওয়ারিশ"

وهذا أخر سنن الإمام الحافظ أبي عبد الله محمد بن يزيد بن ماجة القزويني رحمه الله تعالى. والحمد لله رب العالمين والصلوة والسلام على سيدنا محمد رسول الله وخاتم النبيين وعلى اله وصحبه أجمعين
بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ لَهُ مَنْزِلاَنِ مَنْزِلٌ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْزِلٌ فِي النَّارِ فَإِذَا مَاتَ فَدَخَلَ النَّارَ وَرِثَ أَهْلُ الْجَنَّةِ مَنْزِلَهُ فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى ‏(أُولَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ )‏ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান