কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪১০০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১০০
দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি
৪১০০। হিশাম ইবন আম্মার (রাহঃ).........আবু যার গিফারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দুনিয়াতে হালাল বস্তুকে হারাম করা এবং নিজের ধন সম্পদ নষ্ট করা, যুহদ নয়, বরং দুনিয়াতে যুহদ হচ্ছেঃ তোমার হাতে যা আছে, তা যেন তোমার জন্য অধিক নির্ভরতার কারণ না হয়, যা আল্লাহর হাতে আছে তার চাইতে। যখন তুমি (দুনিয়াতে) কোন বিপদ আপদে পতিত হবে, তখন তুমি তার প্রতিদানের জন্য অত্যন্ত আগ্রহশীল থাকবে, এই ভেবে যে, (সে মুসীবতের পুরস্কার) তোমার জন্য আখিরাতে মওজুদ রাখা হয়েছে।
হিশাম বলেনঃ আবু ইদরীস খাওলানী (রাহঃ) বলেছেন, অন্যান্য হাদীসের তুলনায়, এই হাদীসখানি হচ্ছে স্বর্ণখনির খাঁটি স্বর্ণের মত অর্থাৎ অত্যন্ত বিশুদ্ধ হাদীস।
হিশাম বলেনঃ আবু ইদরীস খাওলানী (রাহঃ) বলেছেন, অন্যান্য হাদীসের তুলনায়, এই হাদীসখানি হচ্ছে স্বর্ণখনির খাঁটি স্বর্ণের মত অর্থাৎ অত্যন্ত বিশুদ্ধ হাদীস।
بَاب الزُّهْدِ فِي الدُّنْيَا
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لَيْسَ الزَّهَادَةُ فِي الدُّنْيَا بِتَحْرِيمِ الْحَلاَلِ وَلاَ فِي إِضَاعَةِ الْمَالِ وَلَكِنِ الزَّهَادَةُ فِي الدُّنْيَا أَنْ لاَ تَكُونَ بِمَا فِي يَدَيْكَ أَوْثَقَ مِنْكَ بِمَا فِي يَدِ اللَّهِ وَأَنْ تَكُونَ فِي ثَوَابِ الْمُصِيبَةِ إِذَا أُصِبْتَ بِهَا أَرْغَبَ مِنْكَ فِيهَا لَوْ أَنَّهَا أُبْقِيَتْ لَكَ " . قَالَ هِشَامٌ كَانَ أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيُّ يَقُولُ مِثْلُ هَذَا الْحَدِيثِ فِي الأَحَادِيثِ كَمِثْلِ الإِبْرِيزِ فِي الذَّهَبِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১০১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১০১
দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি
৪১০১। হিশাম ইবন আম্মার (রাহঃ)......আবু খাল্লাদ (রাযিঃ) (তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুহবত প্রাপ্ত ছিলেন) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তোমরা দেখতে পারে যে, এক ব্যক্তিকে দুনিয়াতে যুহদ এবং কম কথা বলার অভ্যাস দেওয়া হয়েছে, তখন তোমরা তার নিকটবর্তী হবে। কেননা, তাকে হিকমত দেওয়া হয়েছে।
بَاب الزُّهْدِ فِي الدُّنْيَا
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ أَبِي خَلاَّدٍ، - وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا رَأَيْتُمُ الرَّجُلَ قَدْ أُعْطِيَ زُهْدًا فِي الدُّنْيَا وَقِلَّةَ مَنْطِقٍ فَاقْتَرِبُوا مِنْهُ فَإِنَّهُ يُلَقَّى الْحِكْمَةَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১০২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১০২
দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি
৪১০২। আবু উবায়দা ইব্ন আবু সাফার (রাহঃ)...... সাহল ইবন সা'দ সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) -এর নিকট হাযির হলো, এবং বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি আমল বাতলে দিন, যখন আমি তা আমল করব, আল্লাহ তা'আলা আমাকে ভালবাসবেন এবং লোকেরাও আমাকে ভালবাসবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি দুনিয়ার প্রতি যুহদ ইখতিয়ার করো, আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন এবং মানুষের হাতে যা আছে, তার প্রতি অনাসক্ত হয়ে যাও, তাহলে তারা তোমাকে ভালাবাসবে।
بَاب الزُّهْدِ فِي الدُّنْيَا
حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ أَبِي السَّفَرِ، حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَمْرٍو الْقُرَشِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ إِذَا أَنَا عَمِلْتُهُ أَحَبَّنِيَ اللَّهُ وَأَحَبَّنِيَ النَّاسُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " ازْهَدْ فِي الدُّنْيَا يُحِبَّكَ اللَّهُ وَازْهَدْ فِيمَا فِي أَيْدِي النَّاسِ يُحِبُّوكَ " .
হাদীস নং:৪১০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪১০৩
দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি
৪১০৩। মুহাম্মাদ ইবন সাববাহ (রাহঃ)...... সামুরা ইবন সাহম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আবু হাশিম ইব্ন উৎবাহ (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। সে সময় তিনি বর্শার আঘাতে আহত ছিলেন। তখন মু'আবিয়া (রাযিঃ) তাঁর সেবা শুশ্রযার জন্য আসেন। আবু হাশিম কেঁদে ফেললেন। তখন মু'আবিয়া (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করেনঃ হে মামাজান! কিসে আপনাকে কাঁদাচ্ছে? আঘাতের কঠিন যন্ত্রণা না দুনিয়ার কোন কিছু? এর উৎকৃষ্ট অংশ তো অতিবাহিত হয়েছে। তিনি বললেনঃ এর কোনটার জন্যই নয়। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেনঃ এখন আমার শুধুমাত্র আকাঙ্ক্ষাই রয়ে গেল। হায়! আমি যদি তা অনুসরণ করতাম। তিনি বলেছিলেনঃ সম্ভবতঃ তুমি অনেক মালের অধিকারী হবে, যা লোকদের মাঝে বন্টিত হবে, সে সময় তোমার পরিচর্যার জন্য এর থেকে একজন খাদিম এবং আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য একটি সাওয়ারী যথেষ্ট হবে। আমি তা (দুনিয়ার সম্পদ) পেয়েছি এবং সঞ্চয় করেছি ।
بَاب الزُّهْدِ فِي الدُّنْيَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ سَهْمٍ، - رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ - قَالَ نَزَلْتُ عَلَى أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ وَهُوَ طَعِينٌ فَأَتَاهُ مُعَاوِيَةُ يَعُودُهُ فَبَكَى أَبُو هَاشِمٍ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ مَا يُبْكِيكَ أَىْ خَالِ أَوَجَعٌ يُشْئِزُكَ أَمْ عَلَى الدُّنْيَا فَقَدْ ذَهَبَ صَفْوُهَا قَالَ عَلَى كُلٍّ لاَ وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَهِدَ إِلَىَّ عَهْدًا وَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ تَبِعْتُهُ قَالَ " إِنَّكَ لَعَلَّكَ تُدْرِكُ أَمْوَالاً تُقْسَمُ بَيْنَ أَقْوَامٍ وَإِنَّمَا يَكْفِيكَ مِنْ ذَلِكَ خَادِمٌ وَمَرْكَبٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ " . فَأَدْرَكْتُ فَجَمَعْتُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪১০৪
দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি
৪১০৪। হাসান ইব্ন আবু রাবী (রাহঃ)...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালমান (রাযিঃ) অসুস্থ হয়ে পড়লে, সা'দ (রাযিঃ) তাঁর সেবা শুশ্রুষা করেন। তিনি তাঁকে কাঁদতে দেখেন। তখন সা'দ (রাযিঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে আমার ভাই! কিসে তোমাকে কাঁদাচ্ছে? তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সুহব্বত পাওনি? তুমি কি এই, এই (ভাল কাজ) করনি ? তখন সালমান (রাযিঃ) বললেনঃ আমি এই দুই বিষয়ের কোনটির জন্যই কাঁদছি না । আমি দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার আক্ষেপে এবং আখিরাতের আশংকায় কাঁদছি না। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছিলেন অথচ আমি নিজের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম যে, আমি তাতে সীমালংঘন করেছি। সা'দ (রাযিঃ) বললেনঃ তিনি তোমার থেকে কি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন? সালমান (রাযিঃ) বললেনঃ তিনি ওয়াদা নিয়েছিলেন যে, একজন মুসাফিরের জন্য যতটুকু পাথেয় প্রয়োজন তোমাদের কারুর জন্য ততটুকুই যথেষ্ট। আর আমি দেখতে পাচ্ছি যে, আমি সীমালংঘন করেছি। হে ভাই সা'দ! যখন তুমি বিচার করবে, যখন সম্পদ ভাগ-বন্টন করবে এবং যখন কোন কাজ করার সংকল্প করবে, তখন আল্লাহকেই ভয় করবে। সাবিত (রাযিঃ) বলেনঃ আমার কাছে তথ্য এসেছে যে, সালমান (রাযিঃ) মাত্র বিশ থেকে কিছু অধিক দিরহাম রেখে যান, যা তার দৈনন্দিন ব্যয়বার বহনের জন্য তাঁর কাছে ছিল।
بَاب الزُّهْدِ فِي الدُّنْيَا
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ اشْتَكَى سَلْمَانُ فَعَادَهُ سَعْدٌ فَرَآهُ يَبْكِي فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ مَا يُبْكِيكَ يَا أَخِي أَلَيْسَ قَدْ صَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَلَيْسَ أَلَيْسَ قَالَ سَلْمَانُ مَا أَبْكِي وَاحِدَةً مِنَ اثْنَتَيْنِ مَا أَبْكِي صَبًّا لِلدُّنْيَا وَلاَ كَرَاهِيَةً لِلآخِرَةِ وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَهِدَ إِلَىَّ عَهْدًا فَمَا أُرَانِي إِلاَّ قَدْ تَعَدَّيْتُ . قَالَ وَمَا عَهِدَ إِلَيْكَ قَالَ عَهِدَ إِلَىَّ أَنَّهُ يَكْفِي أَحَدَكُمْ مِثْلُ زَادِ الرَّاكِبِ وَلاَ أُرَانِي إِلاَّ قَدْ تَعَدَّيْتُ وَأَمَّا أَنْتَ يَا سَعْدُ فَاتَّقِ اللَّهَ عِنْدَ حُكْمِكَ إِذَا حَكَمْتَ وَعِنْدَ قَسْمِكَ إِذَا قَسَمْتَ وَعِنْدَ هَمِّكَ إِذَا هَمَمْتَ . قَالَ ثَابِتٌ فَبَلَغَنِي أَنَّهُ مَا تَرَكَ إِلاَّ بِضْعَةً وَعِشْرِينَ دِرْهَمًا مِنْ نَفَقَةٍ كَانَتْ عِنْدَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: