কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪০৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৫৩
আমানত উঠে যাওয়া
৪০৫৩। আলী ইব্ন মুহাম্মাদ (রাহঃ)...... হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিকট দু'টি হাদীস বর্ণনা করলেন, যার একটা আমি নিজেই প্রত্যক্ষ করেছি এবং আমি অপরটির অপেক্ষায় আছি। তিনি বলেছেনঃ আমানত লোকদের অন্তকরণ থেকে উঠে যাবে। তানাফেসী (রাহঃ) বলেনঃ অর্থাৎ মানুষের অন্তরের মধ্যস্থল। অতঃপর কুরআন নাযিল হলো এবং শিক্ষা করলাম এবং সুন্নাহ থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করলাম । অতঃপর তিনি আমাদের নিকট আমানত উঠে যাওয়ার অবস্থা বর্ণনা করেন। তখন তিনি বলেনঃ মানুষ গভীর নিদ্রায় থাকবে, তখন তার কাল্ব থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে। অবশ্য তার একটা চিহ্ন বিন্দুর আকারে তার কলবে থেকে যাবে। অতঃপর সে নিদ্রায় বিভোর থাকবে, তখন তার অন্তর থেকে আমানতকে উঠিয়ে নেওয়া হবে। তবে তার নিদর্শন ফোঁসকা উঠার মত রয়ে যাবে। যেমনিভাবে একটি আগুনের প্রজ্জ্বলিত শিখা পায়ে লাগিয়ে দিলে ফোসকা পড়ে যায়। তখন তুমি তা ফোলা অবস্থায় দেখতে পাবে, কিন্তু তার কিছুই নেই। অতঃপর হুযায়ফা (রাযিঃ) হাতের মুটি ভরে মাটি নিলেন এবং নিজের হাটুর নীচে ছড়িয়ে দিলেন। তিনি বলেনঃ লোকেরা সকাল বেলা বায়'আত গ্রহণ করবে, কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই আমানতদার থাকবে না, শেষ পর্যন্ত বলা হবে যে, অমুক গোত্রে একজন আমানতদার লোক আছে। এমনকি এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হবেঃ সে কতবড় জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান, ভদ্র ও শরীফ, কিন্তু তার অন্তরে সরিষার দানা বরাবর ঈমানও থাকেবে না। আমার উপরেই একটি যুগ অতিবাহিত হয়েছে। তবে তোমাদের মধ্য থেকে কারও কাছ থেকে বায়'আত গ্রহণে আমার কোন পরোয়া ছিল না। যদি সে মুসলমান হয়, তাহলে তার ইসলামই তাকে অন্যায় পথ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। কিন্তু যদি সে ইয়াহুদী কিংবা নাসারা হয়, তাহলে তাদের চেষ্টা আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে আজকের দিনে অমুক, অমুক ব্যক্তি ব্যতিরেকে আমি কারোর কাছে বায়'আত গ্রহণ করতে পারছি না।
بَاب ذَهَابِ الْأَمَانَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَدِيثَيْنِ قَدْ رَأَيْتُ أَحَدَهُمَا وَأَنَا أَنْتَظِرُ الآخَرَ حَدَّثَنَا " أَنَّ الأَمَانَةَ نَزَلَتْ فِي جَذْرِ قُلُوبِ الرِّجَالِ " . - قَالَ الطَّنَافِسِيُّ يَعْنِي وَسْطَ قُلُوبِ الرِّجَالِ - وَنَزَلَ الْقُرْآنُ فَعَلِمْنَا مِنَ الْقُرْآنِ وَعَلِمْنَا مِنَ السُّنَّةِ . ثُمَّ حَدَّثَنَا عَنْ رَفْعِهِمَا فَقَالَ " يَنَامُ الرَّجُلُ النَّوْمَةَ فَتُرْفَعُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ فَيَظَلُّ أَثَرُهَا كَأَثَرِ الْوَكْتِ ثُمَّ يَنَامُ النَّوْمَةَ فَتُنْزَعُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ فَيَظَلُّ أَثَرُهَا كَأَثَرِ الْمَجْلِ كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلَى رِجْلِكَ فَنَفِطَ فَتَرَاهُ مُنْتَبِرًا وَلَيْسَ فِيهِ شَىْءٌ " . ثُمَّ أَخَذَ حُذَيْفَةُ كَفًّا مِنْ حَصًى فَدَحْرَجَهُ عَلَى سَاقِهِ . قَالَ " فَيُصْبِحُ النَّاسُ يَتَبَايَعُونَ وَلاَ يَكَادُ أَحَدٌ يُؤَدِّي الأَمَانَةَ حَتَّى يُقَالَ إِنَّ فِي بَنِي فُلاَنٍ رَجُلاً أَمِينًا . وَحَتَّى يُقَالَ لِلرَّجُلِ مَا أَعْقَلَهُ وَأَجْلَدَهُ وَأَظْرَفَهُ . وَمَا فِي قَلْبِهِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ " . وَلَقَدْ أَتَى عَلَىَّ زَمَانٌ وَلَسْتُ أُبَالِي أَيَّكُمْ بَايَعْتُ لَئِنْ كَانَ مُسْلِمًا لَيَرُدَّنَّهُ عَلَىَّ إِسْلاَمُهُ وَلَئِنْ كَانَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا لَيَرُدَّنَّهُ عَلَىَّ سَاعِيهِ فَأَمَّا الْيَوْمَ فَمَا كُنْتُ لأُبَايِعَ إِلاَّ فُلاَنًا وَفُلاَنًا .
হাদীস নং:৪০৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৫৪
আমানত উঠে যাওয়া
৪০৫৪। মুহাম্মাদ ইব্ন মুসাফ্ফা (রাহঃ)..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ধ্বংস করতে চান, তখন তার থেকে লজ্জা শরম কেড়ে নেন। আর যখন তিনি তার থেকে লজ্জা শরম ছিনিয়ে নেন, তখন তিনি তার উপর সর্বদা ক্রোধান্বিত থাকেন। সর্বক্ষণ তার উপরে আল্লাহর গযব থাকার কারণে তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হয়। আর যখন তার আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে, তখন তুমি তাকে চরম বিশ্বাসঘাতক ব্যতীত আর কিছুই পাবে না। আর যখন তুমি তাকে বিশ্বাসঘাতক ছাড়া আর কিছুই পাবে না, তখন তার থেকে রহমত উঠিয়ে নেওয়া হবে। আর যখন তার থেকে রহমাত উঠিয়ে নেওয়া হবে, তখন তুমি তাকে একটা বিতাড়িত (শয়তান) পাবে। আর যখন তুমি তাকে অভিশপ্ত, বিতাড়িত (শয়তান) হিসাবে পাবে, তখন ইসলামের রশি তার কাঁধ থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে।
بَاب ذَهَابِ الْأَمَانَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ، عَنْ أَبِي شَجَرَةَ، كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُهْلِكَ عَبْدًا نَزَعَ مِنْهُ الْحَيَاءَ فَإِذَا نَزَعَ مِنْهُ الْحَيَاءَ لَمْ تَلْقَهُ إِلاَّ مَقِيتًا مُمَقَّتًا فَإِذَا لَمْ تَلْقَهُ إِلاَّ مَقِيتًا مُمَقَّتًا نُزِعَتْ مِنْهُ الأَمَانَةُ فَإِذَا نُزِعَتْ مِنْهُ الأَمَانَةُ لَمْ تَلْقَهُ إِلاَّ خَائِنًا مُخَوَّنًا فَإِذَا لَمْ تَلْقَهُ إِلاَّ خَائِنًا مُخَوَّنًا نُزِعَتْ مِنْهُ الرَّحْمَةُ فَإِذَا نُزِعَتْ مِنْهُ الرَّحْمَةُ لَمْ تَلْقَهُ إِلاَّ رَجِيمًا مُلَعَّنًا فَإِذَا لَمْ تَلْقَهُ إِلاَّ رَجِيمًا مُلَعَّنًا نُزِعَتْ مِنْهُ رِبْقَةُ الإِسْلاَمِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান