কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৯২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৭
যে ব্যক্তি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু' স্বীকার করে, তার হত্যা থেকে বিরত থাক
৩৯২৭। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি লোকদের সাথে ততক্ষণ লড়াই করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি, যতক্ষণ না তারা 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু' (আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই) এর স্বীকৃতি দিবে। যখন তারা এরূপ বলবে, তখন আমার পক্ষ থেকে তারা তাদের জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করবে। তবে কোন হকের বদলা-যেমন, হদ্দ কিংবা কিসাস (অর্থাৎ শরীয়াতের বিধান অনুসারে কেউ দন্ড পাওয়ার উপযুক্ত কোন অপরাধ করলে তার জ্ঞান-মালের দন্ড হবেই)। তাদের হিসাব মহান আল্লাহর নিকট থাকবে।
بَاب الْكَفِّ عَمَّنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَإِذَا قَالُوهَا عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৩৯২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৮
যে ব্যক্তি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু' স্বীকার করে, তার হত্যা থেকে বিরত থাক
৩৯২৮। সুওয়েদ ইব্‌ন সাঈদ (রাযিঃ)...... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি লোকদের সাথে ততক্ষণ লড়াই করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি, যতক্ষন না তারা" “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু” বলে। যখন তারা বলবেঃ “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু", তখন তারা আমার থেকে তাদের জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করবে, তবে কোন হকের বদলা হলে, তা স্বতন্ত্র এবং তাদের হিসাব আল্লাহর উপর ন্যস্ত।
بَاب الْكَفِّ عَمَّنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَإِذَا قَالُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৩৯২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৯
যে ব্যক্তি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু' স্বীকার করে, তার হত্যা থেকে বিরত থাক
৩৯২৯। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আউস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ)-এর নিকট বসাছিলাম। তিনি আমাদিগকে (পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের) কিসসা বর্ণনা করেছিলেন এবং নসীহত করছিলেন। হঠাৎ এক ব্যক্তি তাঁর নিকট আসলো। সে তাঁকে নবী (ﷺ) চুপি সারে কি যেন বললো। অনন্তর নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমরা একে নিয়ে যাও এবং কতল কর। লোকটি যখন ফিরে চললো, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ডাকলেন। অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কি হে তুমি কি “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু"-এর সাক্ষ্য দিচ্ছ? সে বললোঃ জ্বি হ্যাঁ, তিনি বললেনঃ তোমরা যাও, একে তার পথে ছেড়ে দাও। কেননা, আমি লোকদের সাথে ততক্ষণ লড়াই করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি, যতক্ষণ না তারা ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ’ এর স্বীকৃতি দেয়। যখন তারা এরূপ করবে, তখন তাদের জান-মাল আমার উপর হারাম হয়ে যাবে।
بَاب الْكَفِّ عَمَّنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ أَوْسًا أَخْبَرَهُ قَالَ إِنَّا لَقُعُودٌ عِنْدَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يَقُصُّ عَلَيْنَا وَيُذَكِّرُنَا إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ فَسَارَّهُ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ اذْهَبُوا بِهِ فَاقْتُلُوهُ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا وَلَّى الرَّجُلُ دَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏"‏ هَلْ تَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ قَالَ ‏"‏ اذْهَبُوا فَخَلُّوا سَبِيلَهُ فَإِنَّمَا أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ حَرُمَ عَلَىَّ دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৯৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩০
যে ব্যক্তি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু' স্বীকার করে, তার হত্যা থেকে বিরত থাক
৩৯৩০। সুওয়াইদ ইবন সাঈদ (রাহঃ)...... ইমরান ইবন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাফি ইব্‌ন আযরাক (রাযিঃ) এবং তাঁর সাথীরা (আমার নিকটে) এসে বললোঃ হে ইমরান! তুমি বরবাদ হয়ে গিয়েছো। তিনি বললেনঃ আমি ধ্বংস হইনি। তারা বললেনঃ হ্যাঁ, (তুমি বরবাদ হয়ে গিয়েছো)। তিনি বললেন, কিসে আমার, ধ্বংস ডেকে আনলো? তারা বললেনঃ মহান আল্লাহ বলেছেনঃ

وَقَاتِلُوهُمْ حَتّٰى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلهِ

“ফিতনা দূরীভূত না হওয়া এবং গোটা দীন আল্লাহর জন্য প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা তাদের (কাফিরদের) বিরুদ্ধে লড়াই করবে।" তিনি বললেনঃ আমরা তাদের বিরুদ্ধে এমনভাবে লড়াই করেছি যে, আমরা তাদের নির্বাসন করে দিয়েছি এবং গোটা দীন আল্লাহর জন্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদি তোমরা চাও, তাহলে আমি তোমাদের কাছে একখানি হাদীস বর্ণনা করতে পারি, যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি। তারা বললেনঃ তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তা শুনেছো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। (ইমরান বললেনঃ) আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি মুসলমানদের একটি দলকে মুশরিকদের বিরুদ্ধে অভিযানে পাঠালেন। মুসলমানরা তাদের মুখোমুখী হলো, তাদের সঙ্গে কঠিন সংঘর্ষে লিপ্ত হলো। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মুশরিকরা পরাজয় বরণ করে তাদের গর্দান দিয়ে দিল অর্থাৎ পেছনে পালাতে লাগলো। আমরা বন্ধুদের একজন বর্শা দ্বারা এক মুশরিকের উপর হামলা করলেন। যখন তিনি তাকে পাকড়াও করলেন, তখন সে বলতে লাগলোঃ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ إِنِّي مُسْلِمٌ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। নিশ্চয়ই আমি একজন মুসলিম)। তিনি তাকে ভর্ৎসনা করলেন এবং তাকে হত্যা করলেন। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট সে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল। আমি তো ধ্বংস হয়ে গেছি। একথাটি তিনি একবার মতান্তরে দুইবার বললেন। অতঃপর সে ব্যক্তি তাঁর নিকট তা বর্ণনা করলে, যা সে করেছিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তুমি তার পেট ছিড়ে দেখলে না কেন? তাহলে তো তার অন্তরের খবর জানতে পারতে? তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল। যদি আমি তার পেট ছিড়ে ফেলতাম, তাহলে কি তার অন্তরের বিষয় আমি জানতে পারতাম? তিনি বললেনঃ তা হলে তুমি তার উচ্চারিত স্বীকৃতি কেন কবুল করলে না? আর তুমি তো তার অন্তরের খবর জানতে না। ইমরান (রাযিঃ) বললেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চুপ থেকে কিছুক্ষণ নীরবতা অবলম্বন করলেন। অবশেষে লোকটি মারা গেল। আমরা তার দাফন করলাম। প্রত্যুষে উঠে দেখলাম তার লাশ কবরের বাইরে যমীনে পড়ে আছে। তারা ভাবলেন, সম্ভবত: কোন দুশমনের কান্ড যে কবর খুঁড়ে একে বের করে রেখেছেন। অতঃপর আমরা তাকে আবার দাফন করলাম। আর আমাদের যুবকদের নির্দেশ দিলাম যে, তারা যেন তার কবর পাহারা দেয়। পরদিন ভোরবেলা দেখতে পেলাম তার লাশ কবরের বাইরে যমীনে পড়ে আছে। আমরা ভাবলাম, সম্ভবত: প্রহরীরা তন্দ্রাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল (কোন শত্রু এসে তার লাশ বাইরে বের করে রেখেছে)। এরপর আমরা তাকে দাফন করলাম এবং নিজেরাই প্রহরার দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। প্রত্যুষে দেখলাম, সে কবরের বাইরে যমীনে পড়ে আছে। অবশেষে আমরা তাকে কোন এক গিরিপথে রেখে দেই।

ইসমাঈল ইবনে হাফস আঈলী (রাহঃ)...... ইমরান ইবন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদিগকে এক সারিয়া হতে (ক্ষুদ্র অভিযাত্রীদলকে সারিয়াহ বলা হয়) পাঠালেন। সেখানে জনৈক মুসলমান ব্যক্তি এক মুশরিকের উপর হামলা করেছিল। অতঃপর তিনি উপরোক্ত হাদীস (কিসসা) উল্লেখ করলেন। তিনি তার বর্ণনায় এতটুকু বাড়িয়ে বললেনঃ অতঃপর যমীন তাকে উৎক্ষিপ্ত করেছিল। অতঃপর নবী (ﷺ) এ খবর দেওয়া হলে তিনি বললেনঃ যমীন তো তার চাইতে নিকৃষ্টতর ব্যক্তিকেও কবুল করে (এমনকি কাফির-মুশরিকদেরকেও)। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা তোমাদের দেখতে চান যে, 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’-এর মযার্দা ও মাহাত্ম্য কত বেশী।
بَاب الْكَفِّ عَمَّنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ السُّمَيْطِ بْنِ السَّمِيرِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ قَالَ أَتَى نَافِعُ بْنُ الْأَزْرَقِ وَأَصْحَابُهُ فَقَالُوا هَلَكْتَ يَا عِمْرَانُ قَالَ مَا هَلَكْتُ قَالُوا بَلَى قَالَ مَا الَّذِي أَهْلَكَنِي قَالُوا قَالَ اللهُ ( وَقَاتِلُوهُمْ حَتّٰى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلهِ ) قَالَ قَدْ قَاتَلْنَاهُمْ حَتّٰى نَفَيْنَاهُمْ فَكَانَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلهِ إِنْ شِئْتُمْ حَدَّثْتُكُمْ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالُوا وَأَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ نَعَمْ شَهِدْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ وَقَدْ بَعَثَ جَيْشًا مِنْ الْمُسْلِمِينَ إِلَى الْمُشْرِكِينَ فَلَمَّا لَقُوهُمْ قَاتَلُوهُمْ قِتَالًا شَدِيدًا فَمَنَحُوهُمْ أَكْتَافَهُمْ فَحَمَلَ رَجُلٌ مِنْ لُحْمَتِي عَلَى رَجُلٍ مِنْ الْمُشْرِكِينَ بِالرُّمْحِ فَلَمَّا غَشِيَهُ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ إِنِّي مُسْلِمٌ فَطَعَنَهُ فَقَتَلَهُ فَأَتَى رَسُولَ اللهِ ﷺ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ هَلَكْتُ قَالَ وَمَا الَّذِي صَنَعْتَ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ فَأَخْبَرَهُ بِالَّذِي صَنَعَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَهَلَّا شَقَقْتَ عَنْ بَطْنِهِ فَعَلِمْتَ مَا فِي قَلْبِهِ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ لَوْ شَقَقْتُ بَطْنَهُ لَكُنْتُ أَعْلَمُ مَا فِي قَلْبِهِ قَالَ فَلَا أَنْتَ قَبِلْتَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ وَلَا أَنْتَ تَعْلَمُ مَا فِي قَلْبِهِ قَالَ فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا حَتّٰى مَاتَ فَدَفَنَّاهُ فَأَصْبَحَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ فَقَالُوا لَعَلَّ عَدُوًّا نَبَشَهُ فَدَفَنَّاهُ ثُمَّ أَمَرْنَا غِلْمَانَنَا يَحْرُسُونَهُ فَأَصْبَحَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ فَقُلْنَا لَعَلَّ الْغِلْمَانَ نَعَسُوا فَدَفَنَّاهُ ثُمَّ حَرَسْنَاهُ بِأَنْفُسِنَا فَأَصْبَحَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ فَأَلْقَيْنَاهُ فِي بَعْضِ تِلْكَ الشِّعَابِ

حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ حَفْصٍ الْأَيْلِيُّ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ السُّمَيْطِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ فِي سَرِيَّةٍ فَحَمَلَ رَجُلٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ عَلَى رَجُلٍ مِنْ الْمُشْرِكِينَ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَزَادَ فِيهِ فَنَبَذَتْهُ الْأَرْضُ فَأُخْبِرَ النَّبِيُّ ﷺ وَقَالَ إِنَّ الْأَرْضَ لَتَقْبَلُ مَنْ هُوَ شَرٌّ مِنْهُ وَلَكِنَّ اللهَ أَحَبَّ أَنْ يُرِيَكُمْ تَعْظِيمَ حُرْمَةِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ.