কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

৩৩. স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৯১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯১৮
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯১৮। ইয়াকূব ইব্‌ন হুমায়দ ইব্‌ন কাসিব মাদানী (রাহঃ)..... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি উহুদ পাহাড়ের দিক থেকে নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ(ﷺ)! আমি স্বপ্নে একটি ছায়া থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় ঘি ও মধু পড়তে দেখেছি এবং লোকদেরকে তা থেকে তুলে নিতে দেখেছি, কেউ কম নিচ্ছে এবং কেউ বেশী নিচ্ছে। আর আমি স্বপ্নে একটি দেখেছি রশি দেখেছি, যা আসমানে গিয়ে মিশেছে। আমি দেখেছি, আপনি তা ধরলেন এবং তা ধরে উপরে উঠে গেলেন। আপনার পর আরেকজন তা ধরল এবং তা ধরে সেও উপরে উঠে গেল। তারপর তা আরেকজন ধরল এবং তা ধরে সেও উপরে উঠে গেল। তারপর অন্য একজন তা ধরলো এবং রশিটি ছিঁড়ে গেল। পুনরায় তা জোড়া লেগে গেল। সেও তা ধরে উপরে উঠে গেল। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমাকে এ স্বপ্নের তা'বীর করার অনুমতি দিন। তিনি বললেন, তুমি এর তা'বীর কর। তিনি আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ ছায়াটি হল ইসলাম। ছায়া থেকে যে ঘি ও মধু ফোঁটায় ফোঁটায় পড়েছে, তা হল কুরআন এবং কুরআনের মাধুর্য বা তার কোমলতা। মানুষ তা থেকে কুড়িয়ে নিচ্ছে। কাজেই গ্রহণকারী কুরআন থেকে কম-বেশী গ্রহণ করছে। আর যে রশিটি আসমানে গিয়ে মিলেছে, তা হলো আপনি যে হকের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন। আপনি রশিটি ধরলেন এবং তা আপনাকে উপরে উঠিয়ে নিল। আপনার পর তা আরেকজন ধরবে এবং রশিটি তাকে নিয়ে উপরে উঠে যাবে। তারপর আরেকজন ধরবে, সেও তা ধরে উপরে উঠে যাবে। এরপর আরেকজন তা ধরবে এবং রশি ছিঁড়ে যাবে। আবার তা জোড়া লাগিয়ে দেওয়া হবে। এবং সে তা ধরে উপরে উঠে যাবে। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তো কিছু ঠিক বলেছ, আর কিছু ভুল বলেছ। আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! আমি আপনাকে কসম করে বলছিঃ আপনি আমাকে বলে দিন, আমি যা ঠিক করেছি এবং যা ভুল করেছি। নবী (ﷺ) বললেনঃ হে আবু বকর। তুমি কসম করো না। মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ)..... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করতেন যে, এক ব্যক্তি রাসূলাল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আমি আসমান যমীনের মাঝে একটি ছায়া থেকে ঘি ও মধু ফোঁটায় ফোঁটায় পড়তে স্বপ্নে দেখেছি। পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ مُنْصَرَفَهُ مِنْ أُحُدٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ ظُلَّةً تَنْطِفُ سَمْنًا وَعَسَلاً وَرَأَيْتُ النَّاسَ يَتَكَفَّفُونَ مِنْهَا فَالْمُسْتَكْثِرُ وَالْمُسْتَقِلُّ وَرَأَيْتُ سَبَبًا وَاصِلاً إِلَى السَّمَاءِ رَأَيْتُكَ أَخَذْتَ بِهِ فَعَلَوْتَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ بَعْدَكَ فَعَلاَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ بَعْدَهُ فَعَلاَ بِهِ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ رَجُلٌ بَعْدَهُ فَانْقَطَعَ بِهِ ثُمَّ وُصِلَ لَهُ فَعَلاَ بِهِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ دَعْنِي أَعْبُرْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اعْبُرْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَمَّا الظُّلَّةُ فَالإِسْلاَمُ وَأَمَّا مَا يَنْطِفُ مِنْهَا مِنَ الْعَسَلِ وَالسَّمْنِ فَهُوَ الْقُرْآنُ حَلاَوَتُهُ وَلِينُهُ وَأَمَّا مَا يَتَكَفَّفُ مِنْهُ النَّاسُ فَالآخِذُ مِنَ الْقُرْآنِ كَثِيرًا وَقَلِيلاً وَأَمَّا السَّبَبُ الْوَاصِلُ إِلَى السَّمَاءِ فَمَا أَنْتَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَقِّ أَخَذْتَ بِهِ فَعَلاَ بِكَ ثُمَّ يَأْخُذُهُ رَجُلٌ مِنْ بَعْدِكَ فَيَعْلُو بِهِ ثُمَّ آخَرُ فَيَعْلُو بِهِ ثُمَّ آخَرُ فَيَنْقَطِعُ بِهِ ثُمَّ يُوَصَّلُ لَهُ فَيَعْلُو بِهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَصَبْتَ بَعْضًا وَأَخْطَأْتَ بَعْضًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَتُخْبِرَنِّي بِالَّذِي أَصَبْتُ مِنَ الَّذِي أَخْطَأْتُ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لاَ تُقْسِمْ يَا أَبَا بَكْرٍ ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَجُلاً، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُ ظُلَّةً بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ تَنْطِفُ سَمْنًا وَعَسَلاً فَذَكَرَ الْحَدِيثَ نَحْوَهُ ‏.‏
হাদীস নং:৩৯১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯১৯
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯১৯। ইবরাহীম ইব্‌ন মুনযির হিযামী (রাহঃ)....ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) এর যুগে আমি অবিবাহিত যুবক ছিলাম। আমি তখন মসজিদেই রাত কাটাতাম। আমাদের থেকে কেউ কোন স্বপ্ন দেখলে তা নবী (ﷺ)-এর নিকট বর্ণনা করত। আমি মনে মনে বলতাম, হে আল্লাহ! আমার জন্য তোমার নিকট যদি কোন কল্যাণ থেকে থাকে, তাহলে আমাকে তা স্বপ্নে দেখাও। যাতে নবী (ﷺ) আমাকে তার তাবির বলে দেন। এর পর আমি ঘুমিয়ে গেলাম। স্বপ্নে আমার নিকট দু'জন ফিরিশতাকে আসতে দেখলাম। তাঁরা আমাকে নিয়ে চলল। তারপর অপর একজন ফিরিশতা তাঁদের সাথে মিলিত হল। সে বলল, তুমি ভয় পেয়ো না। ফিরিশতাদ্বয় আমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে চললেন, যার আকৃতি ছিল কূপের ন্যায়। তাতে আমি কিছু লোককে দেখতে পেলাম, যাদের কতককে আমি চিনলাম। তার পর তাঁরা আমাকে ডান দিকে নিয়ে গেল। ভোর হলে আমি হাফসা (রাযিঃ) কে ঘটনা বললাম। হাফসা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট বললাম। তিনি বললেনঃ আব্দুল্লাহ তো একজন সৎলোক। সে যদি রাতে অধিক সালাত আদায় করত, (তাহলে খুবই ভাল হতো)। রাবী ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেনঃ এরপর থেকে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) রাতে বেশী বেশী সালাত আদায় করতেন।
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الصَّنْعَانِيُّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنْتُ غُلاَمًا شَابًّا عَزَبًا فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَكُنْتُ أَبِيتُ فِي الْمَسْجِدِ فَكَانَ مَنْ رَأَى مِنَّا رُؤْيَا يَقُصُّهَا عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقُلْتُ اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ لِي عِنْدَكَ خَيْرٌ فَأَرِنِي رُؤْيَا يُعَبِّرُهَا لِي النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ فَنِمْتُ فَرَأَيْتُ مَلَكَيْنِ أَتَيَانِي فَانْطَلَقَا بِي فَلَقِيَهُمَا مَلَكٌ آخَرُ فَقَالَ لَمْ تُرَعْ ‏.‏ فَانْطَلَقَا بِي إِلَى النَّارِ فَإِذَا هِيَ مَطْوِيَّةٌ كَطَىِّ الْبِئْرِ وَإِذَا فِيهَا نَاسٌ قَدْ عَرَفْتُ بَعْضَهُمْ فَأَخَذُوا بِي ذَاتَ الْيَمِينِ فَلَمَّا أَصْبَحْتُ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِحَفْصَةَ فَزَعَمَتْ حَفْصَةُ أَنَّهَا قَصَّتْهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ رَجُلٌ صَالِحٌ لَوْ كَانَ يُكْثِرُ الصَّلاَةَ مِنَ اللَّيْلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُكْثِرُ الصَّلاَةَ مِنَ اللَّيْلِ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯২০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২০
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯২০। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ)..... খারাশা ইবন হুর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মদীনায় পৌঁছলাম। মসজিদে নববীতে প্রবীনদের এক মজলিসে বসলাম। এ সময় লাঠিতে ভর করে একজন প্রবীণ লোক আসলেন। লোকেরা বললঃ যে ব্যক্তি কোন জান্নাতী লোক দেখে খুশী হতে চায়, সে যেন এ ব্যক্তির দিকে তাকায়। তিনি খুঁটির পেছনে দাঁড়িয়ে দুই রাক'আত সালাত আদায় করেন। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম এবং তাঁকে বললামঃ লোকেরা এই এই বলেছে। তিনি বললেনঃ আলহামদু লিল্লাহে জান্নাত আল্লাহর এবং তিনি যাকে চান তাকে তাতে প্রবেশ করাবেন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যামানায় একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি দেখলাম, এক ব্যক্তি আমার নিকট এলো। সে আমাকে বললঃ চল। আমি তার সাথে গেলাম। সে আমাকে একটি বিরাট রাস্তায় পৌঁছে দিল। আমার বামদিকে একটি রাস্তা দেখান হল। আমি সে পথ ধরে অগ্রসর হতে চাইলাম। সে বললঃ এ পথে তুমি যেতে পারবে না। এরপর আমার ডানে একটি রাস্তা দেখানো হল। আমি সেই পথে অগ্রসর হলাম। অবশেষে যখন আমি একটি পিচ্ছিল পাহাড়ে পৌছলাম, তখন সে আমার হাত ধরল এবং আমাকে ধাক্কা দিল, ফলে আমি এর চূড়ায় পৌঁছে গেলাম কিন্তু আমি সেখানে স্থির হয়ে থাকতে পারলাম না। তখন হঠাৎ দেখলাম লোহার একটি খুটি। এর মাথায় রয়েছে একটি সোনার হাতল। সে (ফিরিশতা) আমার হাত আঁকড়ে ধরেছে। আমি বললামঃ হ্যাঁ সে তখন খুঁটিতে তার পা দ্বারা আঘাত করল, আর আমি হাতলটি দৃঢ়ভাবে ধরে ফেললাম। সে বললঃ আমি ঘটনাটি নবী (ﷺ) কে অবহিত করলাম। তখন তিনি বললেনঃ তুমি উত্তম স্বপ্ন দেখেছ। বিরাট রাস্তাটি হলো হাশরের ময়দান। তোমার বা দিকে যে রাস্তাটি দৃষ্টিগোচর হয়েছিল, তা হলো জাহান্নামীদের রাস্তা। তুমি জাহান্নামী নও। তোমার ডান দিকে যে রাস্তা দেখা গিয়েছিল তা হলো জান্নাতীদের রাস্তা। পিচ্ছিল পাহাড়টি হলো শহীদদের মনযিল। যে হাতলটি তুমি আঁকড়ে ধরে ছিলে, সেটি হলো ইসলামের হাতল। অতএব তুমি মৃত্যু পর্যন্ত এটি আঁকড়ে ধরে রাখবে।

আশা করি আমি জান্নাতীবাসী হবো। স্বপ্নটি দেখেছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন সালাম (রাযিঃ) ।
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى الأَشْيَبُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَجَلَسْتُ إِلَى أَشْيِخَةٍ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَجَاءَ شَيْخٌ يَتَوَكَّأُ عَلَى عَصًا لَهُ فَقَالَ الْقَوْمُ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا ‏.‏ فَقَامَ خَلْفَ سَارِيَةٍ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لَهُ قَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الْجَنَّةُ لِلَّهِ يُدْخِلُهَا مَنْ يَشَاءُ وَإِنِّي رَأَيْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رُؤْيَا رَأَيْتُ كَأَنَّ رَجُلاً أَتَانِي فَقَالَ لِيَ انْطَلِقْ ‏.‏ فَذَهَبْتُ مَعَهُ فَسَلَكَ بِي فِي مَنْهَجٍ عَظِيمٍ فَعُرِضَتْ عَلَىَّ طَرِيقٌ عَلَى يَسَارِي فَأَرَدْتُ أَنْ أَسْلُكَهَا فَقَالَ إِنَّكَ لَسْتَ مِنْ أَهْلِهَا ‏.‏ ثُمَّ عُرِضَتْ عَلَىَّ طَرِيقٌ عَنْ يَمِينِي فَسَلَكْتُهَا حَتَّى إِذَا انْتَهَيْتُ إِلَى جَبَلٍ زَلَقٍ فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَلَ بِي فَإِذَا أَنَا عَلَى ذُرْوَتِهِ فَلَمْ أَتَقَارَّ وَلَمْ أَتَمَاسَكْ وَإِذَا عَمُودٌ مِنْ حَدِيدٍ فِي ذُرْوَتِهِ حَلْقَةٌ مِنْ ذَهَبٍ فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَّلَ بِي حَتَّى أَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقَالَ اسْتَمْسَكْتَ قُلْتُ نَعَمْ فَضَرَبَ الْعَمُودَ بِرِجْلِهِ ‏.‏ فَاسْتَمْسَكْتُ بِالْعُرْوَةِ ‏.‏ فَقَالَ قَصَصْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ رَأَيْتَ خَيْرًا أَمَّا الْمَنْهَجُ الْعَظِيمُ فَالْمَحْشَرُ وَأَمَّا الطَّرِيقُ الَّتِي عُرِضَتْ عَنْ يَسَارِكَ فَطَرِيقُ أَهْلِ النَّارِ وَلَسْتَ مِنْ أَهْلِهَا وَأَمَّا الطَّرِيقُ الَّتِي عُرِضَتْ عَنْ يَمِينِكَ فَطَرِيقُ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَمَّا الْجَبَلُ الزَّلَقُ فَمَنْزِلُ الشُّهَدَاءِ وَأَمَّا الْعُرْوَةُ الَّتِي اسْتَمْسَكْتَ بِهَا فَعُرْوَةُ الإِسْلاَمِ فَاسْتَمْسِكْ بِهَا حَتَّى تَمُوتَ ‏"‏ ‏.‏ فَأَنَا أَرْجُو أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَإِذَا هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৯২১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২১
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯২১। মাহমুদ ইব্‌ন গায়লান (রাহঃ)..... আবু মুসা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি মক্কা থেকে খেজুর গাছে ভরা একটি ভূখন্ডের দিকে হিজরত করছি। আমার মনে হয়, যে দিকে ইয়ামামা অবস্থিত, সে দিকেই গিয়েছি। কিন্তু দেখা গেল সেটা মদীনা, যার নাম ইয়াস্‌রিব। আমি এ স্বপ্নে আরও দেখলাম যে, আমি তরবারি নাড়াচাড়া করছি। এমন সময় তা মাঝখান থেকে ভেঙ্গে গেল। তার তা'বীর হলো উহুদ যুদ্ধের দিন মু'মিনদের উপর যে মুসীবত আপতিত হয়েছিল। আমি পুনরায় তরবারি নাড়া দিলাম, তখন দেখলাম তা পূর্বাপেক্ষা আরো উত্তম হয়ে গেল। তার তা'বীর হলো আল্লাহ প্রদত্ত পরবর্তী সময়ের বিজয় (মক্কা বিজয়) এবং সম্মিলিত মুসলিম শক্তি। আমি সেখানে আরও দেখতে পেলাম (যবাহকৃত) গাভী। আল্লাহ ভাল করুন। এঁরা ছিলেন উহুদের যুদ্ধের শহীদ মু'মিনগণ। তাও ভাল, যা আল্লাহ গনীমতের মাল হিসেবে পরবর্তীতে আমাদের দান করেছেন এবং তাও ভাল, যা সত্যের বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের বদর যুদ্ধের দিন দান করেছিলেন।
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ أَنِّي أُهَاجِرُ مِنْ مَكَّةَ إِلَى أَرْضٍ بِهَا نَخْلٌ فَذَهَبَ وَهَلِي إِلَى أَنَّهَا يَمَامَةُ أَوْ هَجَرٌ فَإِذَا هِيَ الْمَدِينَةُ يَثْرِبُ وَرَأَيْتُ فِي رُؤْيَاىَ هَذِهِ أَنِّي هَزَزْتُ سَيْفًا فَانْقَطَعَ صَدْرُهُ فَإِذَا هُوَ مَا أُصِيبَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ أُحُدٍ ثُمَّ هَزَزْتُهُ فَعَادَ أَحْسَنَ مَا كَانَ فَإِذَا هُوَ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْفَتْحِ وَاجْتِمَاعِ الْمُؤْمِنِينَ وَرَأَيْتُ فِيهَا أَيْضًا بَقَرًا وَاللَّهُ خَيْرٌ فَإِذَا هُمُ النَّفَرُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ أُحُدٍ وَإِذَا الْخَيْرُ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْخَيْرِ بَعْدُ وَثَوَابِ الصِّدْقِ الَّذِي آتَانَا اللَّهُ بِهِ يَوْمَ بَدْرٍ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯২২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২২
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯২২। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি স্বপ্নে আমার হাতে দু'টি সোনার চুড়ি দেখতে পেলাম। আমি ফুঁ দিতেই ঐগুলো উড়ে গেল। আমি এর তা'বীর করেছি এ দু'জন মিথ্যা নবুওয়াতের দাবিদার হলোঃ মুসায়লামা ও আনসী
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ رَأَيْتُ فِي يَدِي سِوَارَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ فَنَفَخْتُهُمَا ‏.‏ فَأَوَّلْتُهُمَا هَذَيْنِ الْكَذَّابَيْنِ مُسَيْلِمَةَ وَالْعَنْسِيَّ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৩
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯২৩। আবু বাকর (রাহঃ)...... কাবূস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মুল ফযল (রাযিঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আমি আমার ঘরে স্বপ্নে আপনার দেহের অঙ্গ সমূহের একটি অঙ্গ দেখেছি। তিনি বললেনঃ তুমি ভালই দেখেছ। ফাতিমা (রাযিঃ) একটি সন্তান প্রসব করবে এবং তুমি তাকে দুধ পান করাবে। এরপর ফাতিমা (রাযিঃ) হুসায়ন অথবা হাসান (রাযিঃ) কে প্রসব করেন। তিনি তাঁকে দুধ পান করালেন। তিনি বললেনঃ আমি তাঁকে নিয়ে নবী (ﷺ)-এর কাছে গেলাম এবং তাঁকে তাঁর কোলে রাখলাম। তখন সে পেশাব করে দিল আমি তাঁর কাঁধে মৃদু আঘাত করলাম। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি আমার সন্তানকে কষ্ট দিলে, আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন।
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ قَابُوسَ، قَالَ قَالَتْ أُمُّ الْفَضْلِ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُ كَأَنَّ فِي بَيْتِي عُضْوًا مِنْ أَعْضَائِكَ قَالَ ‏"‏ خَيْرًا رَأَيْتِ تَلِدُ فَاطِمَةُ غُلاَمًا فَتُرْضِعِيهِ ‏"‏ ‏.‏ فَوَلَدَتْ حُسَيْنًا أَوْ حَسَنًا فَأَرْضَعَتْهُ بِلَبَنِ قُثَمَ قَالَتْ فَجِئْتُ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَضَعْتُهُ فِي حَجْرِهِ فَبَالَ فَضَرَبْتُ كَتِفَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ أَوْجَعْتِ ابْنِي رَحِمَكِ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৯২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৪
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯২৪। মুহাম্মাদ ইব্‌ন বাশশার (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) এর স্বপ্ন সম্পর্কে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি এক কাল বর্ণের এক মহিলাকে স্বপ্নে দেখলাম। তার চুল ছিল এলোমেলো। সে

মদীনা থেকে বের হয়ে মাহইয়া গিয়ে থামল, যে স্থানকে জুহফা বলা হয়। আমি তার তা'বীর করলাম মদীনার মহামারী পরে যা জুহাফায় স্থানান্তরিত হয়।
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ رُؤْيَا النَّبِيِّ، ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ رَأَيْتُ امْرَأَةً سَوْدَاءَ ثَائِرَةَ الرَّأْسِ خَرَجَتْ مِنَ الْمَدِينَةِ حَتَّى قَامَتْ بِالْمَهْيَعَةِ وَهِيَ الْجُحْفَةُ ‏.‏ فَأَوَّلْتُهَا وَبَاءً بِالْمَدِينَةِ فَنُقِلَ إِلَى الْجُحْفَةِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৫
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯২৫। মুহাম্মাদ ইবন রুম্‌হ (রাহঃ)..... তালহা ইব্‌ন উবায়দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। দুই ব্যক্তি দূর দুরান্ত থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলো। তারা উভয়ে ছিল খাঁটি মুসলিম। তাদে একজন ছিল অপরজন অপেক্ষা শক্তিধর মুজাহিদ। তাদের মধ্যকার মুজাহিদ ব্যক্তি যুদ্ধ করে শহীদ হল। এরপর অন্যজন এক বছর পর ইতিকাল করল । তালহা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাতে স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি জান্নাতের দরজায় উপস্থিত এবং তাদের একজন ও আমার সাথে রয়েছে। জান্নাত থেকে এক ব্যক্তি বেল হল এবং তাদের মধ্যে পরের বছর যে ইতিকাল করেছিল তাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিল। এরপর সে বের হলো এবং শহীদ ব্যক্তিকে জান্নাত প্রবেশের অনুমতি দিল। পরে সে আমার কাছে এসে বললঃ তুমি চলে যাও। কেননা, তোমার (জান্নাতে প্রবেশের) সময় এখনও হয়নি, আর পরে হবে তোমার সময়। সকাল বেলা তালহা (রাযিঃ) উক্ত ঘটনা লোকদের নিকট বর্ণনা করলেন। তারা এতে বিস্মিত হল। এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট পৌছল এবং তাঁরাও তাঁর কাছে ঘটনা বর্ণনা করল। তখন তিনি বললেনঃ কি কারণে তোমরা বিস্মিত হলে? তাঁরা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! এই ব্যক্তি তাদের দু'জনের মধ্যে অধিকতর শক্তিশালী মুজাহিদ। এর পর তাকে শহীদ করা হয়েছে। অথচ অপর লোকটি তাঁর পূর্বেই প্রবেশ করলো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ অপর লোকটি কি তার পরে এক বছর জীবিত থাকিনি? তারা বললঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ সে রামাযান পেয়েছে এবং সিয়াম পালন করেছে এবং বছর এই এই সালাত কি আদায় করেনি? তারা বললঃ হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আসমান-যমীনের মধ্যে যে ব্যবধান রয়েছে তাদের দু'জনের মধ্যে রয়েছে তার চাইতে অধিক ব্যবধান।
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلَيْنِ، مِنْ بَلِيٍّ قَدِمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَكَانَ إِسْلاَمُهُمَا جَمِيعًا فَكَانَ أَحَدُهُمَا أَشَدَّ اجْتِهَادًا مِنَ الآخَرِ فَغَزَا الْمُجْتَهِدُ مِنْهُمَا فَاسْتُشْهِدَ ثُمَّ مَكَثَ الآخَرُ بَعْدَهُ سَنَةً ثُمَّ تُوُفِّيَ ‏.‏ قَالَ طَلْحَةُ فَرَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ بَيْنَا أَنَا عِنْدَ بَابِ الْجَنَّةِ إِذَا أَنَا بِهِمَا فَخَرَجَ خَارِجٌ مِنَ الْجَنَّةِ فَأَذِنَ لِلَّذِي تُوُفِّيَ الآخِرَ مِنْهُمَا ثُمَّ خَرَجَ فَأَذِنَ لِلَّذِي اسْتُشْهِدَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَىَّ فَقَالَ ارْجِعْ فَإِنَّكَ لَمْ يَأْنِ لَكَ بَعْدُ ‏.‏ فَأَصْبَحَ طَلْحَةُ يُحَدِّثُ بِهِ النَّاسَ فَعَجِبُوا لِذَلِكَ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ وَحَدَّثُوهُ الْحَدِيثَ فَقَالَ ‏"‏ مِنْ أَىِّ ذَلِكَ تَعْجَبُونَ ‏"‏ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا كَانَ أَشَدَّ الرَّجُلَيْنِ اجْتِهَادًا ثُمَّ اسْتُشْهِدَ وَدَخَلَ هَذَا الآخِرُ الْجَنَّةَ قَبْلَهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ أَلَيْسَ قَدْ مَكَثَ هَذَا بَعْدَهُ سَنَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَأَدْرَكَ رَمَضَانَ فَصَامَهُ وَصَلَّى كَذَا وَكَذَا مِنْ سَجْدَةٍ فِي السَّنَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ فَمَا بَيْنَهُمَا أَبْعَدُ مِمَّا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৬
স্বপ্নের তা'বীর প্রসঙ্গে
৩৯২৬। আলী ইব্‌ন মুহাম্মাদ (রাযিঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বনে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি স্বপ্নে গলায় চাকতি দেখা অপছন্দ করি, কিন্তু আংটা পছন্দ করি। কারণ আংটা অর্থ দ্বীনের উপর অবিচল থাকা।
بَاب تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْهُذَلِيُّ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أَكْرَهُ الْغُلَّ وَأُحِبُّ الْقَيْدَ الْقَيْدُ ثَبَاتٌ فِي الدِّينِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান