কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

২৩. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৯৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৬
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
তাওয়াফের ফযীলত
২৯৫৬। আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করল এবং দুই রাক'আত নামায পড়ল' তা একটি গোলাম আযাদ করার সমতুল্য।
كتاب المناسك
بَاب فَضْلِ الطَّوَافِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَ كَعِتْقِ رَقَبَةٍ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ২৯৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৭
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
তাওয়াফের ফযীলত
২৯৫৭। হিশাম ইব্‌ন আম্মার (রাহঃ)...... হুমায়দ ইব্‌ন আবু সাবিয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি ইবন হিশামকে রুকনে ইয়ামানী সম্পর্কে আতা ইব্‌ন আবু রাবাহ-এর নিকট জিজ্ঞেস করতে শুনেছি। তিনি তখন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করছেন। আতা বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ (রুকনে ইয়ামানীতে) সত্তরজন ফিরিশতা মোতায়েন রয়েছে। অতএব যে ব্যক্তি বলে--“আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আফওয়া, ওয়াল আফিয়াতা ফি'দ দুনয়া ওয়াল্-আখিরাতে,

রাব্বানা আতিনা ফিদ’-দুনয়া হাসানাতান ওয়া-ফি’ল-আখিরাতে হাসানাতান ওয়াকিনা আযাবান-নার"--তখন ফিরিশতাগণ বলেনঃ আমীন। (অর্থঃ “ইয়া আল্লাহ! আপনার নিকট ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করি দুনিয়া আখিরাতের। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ দান করুন এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদের দোযখের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন")।

আতা (রাহঃ) রুকনুল-আসওয়াদে (হাজারুল আসওয়াদ) পৌঁছলে ইব্‌ন হিশাম বলেন, হে আবু মুহাম্মাদ! এই রুকনুল আসওয়াদ সম্পর্কে আপনি কি জানতে পেরেছেন ? আতা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেনঃ “যে কেউ তার সামনা-সামনি হলো, সে যেন দয়াময় আল্লাহর হাতের সামনা-সামনি হলো।” ইব্‌ন হিশাম (রাহঃ) তাঁকে পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, হে আবু মুহাম্মাদ! তাওয়াফ সম্পর্কে কি এসেছে? আতা বলেনঃ আমার নিকট আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেনঃ “যে ব্যক্তি সাতবার বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করে এবং কোন কথা না বলে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে “সুবহানাল্লাহ্ ওয়াল-হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ্"- তার দশটি গুনাহ মুছে যাবে, তার জন্য দশটি নেকী লেখা হবে এবং তার মর্যাদা দশগুণ বর্ধিত করা হবে। আর যে ব্যক্তি তাওয়াফ করে এবং এ .অবস্থায় কথা বলে, সে তার পদদ্বয় কেবল রহমতের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে; যেমন কারো পদদ্বয় পানিতে ডুবিয়ে রাখে।
كتاب المناسك
بَاب فَضْلِ الطَّوَافِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ أَبِي سَوِيَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ هِشَامٍ، يَسْأَلُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ عَنِ الرُّكْنِ الْيَمَانِيِّ، وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَقَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏"‏ وُكِلَ بِهِ سَبْعُونَ مَلَكًا فَمَنْ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ - قَالُوا آمِينَ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا بَلَغَ الرُّكْنَ الأَسْوَدَ قَالَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ مَا بَلَغَكَ فِي هَذَا الرُّكْنِ الأَسْوَدِ فَقَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏"‏ مَنْ فَاوَضَهُ فَإِنَّمَا يُفَاوِضُ يَدَ الرَّحْمَنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لَهُ ابْنُ هِشَامٍ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ فَالطَّوَافُ قَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏"‏ مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَلاَ يَتَكَلَّمُ إِلاَّ بِسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَقُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ مُحِيَتْ عَنْهُ عَشْرُ سِيِّئَاتٍ وَكُتِبَتْ لَهُ عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَرُفِعَ لَهُ بِهَا عَشْرُ دَرَجَاتٍ وَمَنْ طَافَ فَتَكَلَّمَ وَهُوَ فِي تِلْكَ الْحَالِ خَاضَ فِي الرَّحْمَةِ بِرِجْلَيْهِ كَخَائِضِ الْمَاءِ بِرِجْلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী: