কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

২০. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৬৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৭
কাসামা[১] প্রসঙ্গে
২৬৭৭। ইয়াহইয়া ইবন হাকীম (রাহঃ).... সাহল ইবন আবু হাছমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তাকে তার কওমের কয়েকজন সম্ভ্রান্ত লোক জানিয়েছেন যে, আব্দুল্লাহ্ ইবন সাহল এবং মুহাইয়িসা (রাযিঃ) তাদের প্রতি আপত্তি, কষ্ট ও অভাবের কারণে খায়বার গেলেন। অতঃপর মুহাইয়িসার কাছে লোক এসে খবর দিল যে, আব্দুল্লাহ্ ইবন সাহলকে হত্যা করা হয়েছে এবং তার লাশ ফেলে রাখা হয়েছে খায়বারের একটি গর্তে অথবা একটি কূপে। তিনি ইয়াহূদীদের কাছে গিয়ে বললেনঃ তোমার আল্লাহর কসম! তোমরাই তাকে হত্যা করেছ। তারা বললঃ আল্লাহর কসম! আমরা তাকে হত্যা করিনি। এরপর তিনি চলে আসলেন। তার কওমের কাছে এবং তাদের নিকট এ ঘটনা উল্লেখ করলেন। তারপর তিনিও তার ভাই হওয়াইয়াসা, যিনি তার চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন এবং আব্দুর রহমান ইবন সাহল (রাযিঃ) রাসূলের কাছে এলেন। অতঃপর মুহাইয়িসা কথা বলতে যাচ্ছিলেন, যিনি (আব্দুল্লাহ্ ইবন সাহলের সাথে) খায়বারে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুহাইয়িসাকে বললেনঃ বড়কে অগ্রাধিকার দাও। তিনি বয়সে বড় বুঝাতে চাচ্ছিলেন তখন হওয়াইযিসা কথা বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হয়তো তোমরা তোমাদের সঙ্গীর দিয়াত পাবে, আর না হয় তোমরা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে দিবে। এপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ ব্যাপারে (ইয়াহূদীদেরকে) চিঠি লিখে, পাঠালেন। উত্তরে তারা লিখে পাঠালো, “আল্লাহর কসম! আমরা তাকে হত্যা করিনি।" রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হুওয়াইয়িসা মুহাইয়িসা ও আব্দুর রহমানকে বললেনঃ তোমরা কি কসম করবে এবং তোমাদের সঙ্গীর হত্যার দায়ভার (ইয়াহূদীদের উপর) প্রমাণিত করবে? তারা বললঃ না। তিনি বললেনঃ তাহলে ইয়াহুদীদের তোমাদের কাছে কসম করবে। তারা বলল! তারা তো মুসলিম নয় (ফলে মিথ্যা কসম করবে।) অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের পক্ষ থেকে তার দিয়াত দিয়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের কাছে একশটি উটনী পাঠালেন। এমন কি সেগুলি তাদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হল। সাহল (রাযিঃ) বলেনঃ সেগুলির মধ্য থেকে একটি লাল উটনী আমাকে লাথি মেরেছিল।

[১] কোন ব্যক্তিকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেলে এবং তার হত্যকারীর কোন সন্ধান না মিললে, কাযী নিহত ব্যক্তির দাশ যে মহল্লায় পাওয়া গিয়েছে, সেখানকার ৫০জন মুত্তাকী ব্যক্তির এই মর্মে সাক্ষ্য নেবে যে, আমরা একে হত্যা করিনি এবং এর হত্যাকারী-কে তাও জানি না, একেই বলে কাসামা।
بَاب الْقَسَامَةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، سَمِعْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي أَبُو لَيْلَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ رِجَالٍ، مِنْ كُبَرَاءِ قَوْمِهِ أَنَّ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ مِنْ جَهْدٍ أَصَابَهُمْ فَأُتِيَ مُحَيِّصَةُ فَأُخْبِرَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَدْ قُتِلَ وَأُلْقِيَ فِي فَقِيرٍ أَوْ عَيْنٍ بِخَيْبَرَ فَأَتَى يَهُودَ فَقَالَ أَنْتُمْ وَاللَّهِ قَتَلْتُمُوهُ ‏.‏ قَالُوا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ ‏.‏ ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُمْ ثُمَّ أَقْبَلَ هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَهُوَ أَكْبَرُ مِنْهُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ فَذَهَبَ مُحَيِّصَةُ يَتَكَلَّمُ وَهُوَ الَّذِي كَانَ بِخَيْبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمُحَيِّصَةَ ‏"‏ كَبِّرْ كَبِّرْ ‏"‏ ‏.‏ يُرِيدُ السِّنَّ فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ ثُمَّ تَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ وَإِمَّا أَنْ يُؤْذِنُوا بِحَرْبٍ ‏"‏ ‏.‏ فَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ فَكَتَبُوا إِنَّا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِحُوَيِّصَةَ وَمُحَيِّصَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ ‏"‏ تَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَتَحْلِفُ لَكُمْ يَهُودُ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا لَيْسُوا بِمُسْلِمِينَ فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عِنْدِهِ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِائَةَ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتْ عَلَيْهِمُ الدَّارَ فَقَالَ سَهْلٌ فَلَقَدْ رَكَضَتْنِي مِنْهَا نَاقَةٌ حَمْرَاءُ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা