কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

১০. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২০৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৬
লি'আন প্রসঙ্গে
২০৬৬। আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ ইবন উছমান উছমানী (রাহঃ) .... সাহল ইবন সা'দ সা'য়িদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উয়ায়মির আসিম ইবন আদী (রাযিঃ)-এর কাছে এসে বলেনঃ আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আমার পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করুন যে, কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর কাছে কোন লোককে দেখতে পেয়ে তাকে হত্যা করে, তখন কি তাকে হত্যা করা হবে, না অন্য কিছু করা হবে? তখন আসিম (রাযিঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রশ্নটি অপছন্দ করেন। পরে উয়ায়মির (রাযিঃ) আসিম (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করে ব্যাপারটি জানতে চাইলেন। আসিম (রাযিঃ) বললেনঃ তুমি কোন ভাল কাজ করনি এবং আমাকেও কোন ভাল কাজে জড়িত করনি। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম; কিন্তু তিনি এ প্রসঙ্গটি অপছন্দ করেন। তখন উয়ায়মির (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম, আমি নিজেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট যাব এবং এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করব। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এলেন। গিয়ে দেখলেন যে, ইতিপূর্বেই এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপর ওহী নাযিল হয়েছে। তাই তিনি দু'জনকে লিআন করতে বললেন। উয়ায়মির (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! আমি যদি তাকে এখন গ্রহণ করি, তবে আমি তার উপর মিথ্যা আরোপকারী সাব্যস্ত হব। রাবী বলেনঃ এই বলে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশের আগেই তাকে তালাক দিলেন। পরবর্তীতে লি'আনকারীদের ব্যাপারে এটাই বিধান রূপে সাব্যস্ত হলো।

এরপর নবী (ﷺ) বললেনঃ মহিলাটির প্রতি লক্ষ্য রেখো। সে যদি কালো, বড় চোখ বিশিষ্ট, কাল দেহী ও মোটা নিতম্ব বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তবে আমি মনে করব যে, উয়ায়মির সত্যবাদী। আর যদি সে এমন লাল বর্ণের সন্তান প্রসব করে, যা মনে হয় লাল রংয়ের কীট, তবে আমি মনে করব যে, উয়ায়মির মিথ্যাবাদী। রাবী বলেনঃ এরপর সে মহিলাটি একটি কুৎসিত সন্তান প্রসব করে।
بَاب اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيُّ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ جَاءَ عُوَيْمِرٌ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ سَلْ لِي رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا فَقَتَلَهُ أَيُقْتَلُ بِهِ أَمْ كَيْفَ يَصْنَعُ فَسَأَلَ عَاصِمٌ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَعَابَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسَائِلَ ثُمَّ لَقِيَهُ عُوَيْمِرٌ فَسَأَلَهُ فَقَالَ مَا صَنَعْتَ فَقَالَ صَنَعْتُ أَنَّكَ لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَعَابَ الْمَسَائِلَ فَقَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللهِ لَآتِيَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلَأَسْأَلَنَّهُ فَأَتَى رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَهُ وَقَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ فِيهِمَا فَلَاعَنَ بَيْنَهُمَا قَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللهِ لَئِنْ انْطَلَقْتُ بِهَا يَا رَسُولَ اللهِ لَقَدْ كَذَبْتُ عَلَيْهَا قَالَ فَفَارَقَهَا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَصَارَتْ سُنَّةً فِي الْمُتَلَاعِنَيْنِ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم انْظُرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَسْحَمَ أَدْعَجَ الْعَيْنَيْنِ عَظِيمَ الْأَلْيَتَيْنِ فَلَا أُرَاهُ إِلَّا قَدْ صَدَقَ عَلَيْهَا وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أُحَيْمِرَ كَأَنَّهُ وَحَرَةٌ فَلَا أُرَاهُ إِلَّا كَاذِبًا قَالَ فَجَاءَتْ بِهِ عَلَى النَّعْتِ الْمَكْرُوهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৭
লি'আন প্রসঙ্গে
২০৬৭। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ)....ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, হিলাল ইবন উমায়্যা (রাযিঃ) তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে নবী (ﷺ)-এর কাছে এ মর্মে অপবাদ দিয়েছিলেন যে, সে শারীক ইবন সামহার সাথে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ সাক্ষী পেশ কর, অন্যথায় তোমার পিঠে (শরীয়ত নির্ধারিত) দন্ড পড়বে। হিলাল ইবন উমায়্যা বললেনঃ ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন; আমি অবশ্যই সত্যবাদী এবং আল্লাহ আমার ব্যাপারে এমন বিধান নাযিল করবেন, যা আমার পিঠকে দন্ড থেকে বাঁচাবে। তখন এই আয়াতটি নাযিল হয়ঃوَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ حَتَّى بَلَغَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ

“আর যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর সঙ্গে চারবার শপথ করে বলবে, সে অবশ্যই সত্যবাদী, এবং পঞ্চমবারে বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর নেমে আসবে আল্লাহর লানত" (২৪ঃ৬-৭)। তখন নবী (ﷺ) ফিরে আসলেন এবং তাদের দু'জনের কাছে লোক পাঠালেন। দুজনই উপস্থিত হলেন। প্রথম হিলাল ইবন উমায়্যা দাঁড়িয়ে শপথ করলেন। এদিকে নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ অবশ্যই জানেন যে, তোমাদের মধ্যে একজন মিথ্যাবাদী। তাই তোমরা কেউ কি তওবা করবে? এরপর হিলালের স্ত্রী দাঁড়িয়ে গেল এবং সাক্ষ্য দিল। সে যখন পঞ্চম বার এ কথাটি বলতে যাচ্ছিল যে, “আমার স্বামীর কথা যদি সত্য হয়, তবে আমার উপর আল্লাহর গযব আপতিত হোক", তখন লোকেরা বললো যে, এটি কিন্তু চূড়ান্ত কথা। ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ মহিলাটি তখন আর কিছু না বলে পিছনে ফিরে গেল। আর আমরা মনে করলাম যে, সে হয়ত তার কথা প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু সে বললোঃ আল্লাহর কসম, আমি আমার সম্প্রদায়কে চিরদিনের জন্য অপমানিত করে যাব না। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমরা তার প্রতি লক্ষ্য রাখ। সে যদি এমন সন্তান প্রসব করে, যার চোখগুলো দেখলে সুরমা মাখা চোখ মনে হয় ও নিতম্ব গোশতে ভরা, আর পাগুলো মোটা, তবে সন্তানটি শারীক ইবন সামার বলে মনে করবে। এরপর মহিলাটি এ ধরনের সন্তানই প্রসব করল। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ "কুরআন যদি মিথ্যা লি'আনকারীকে শাস্তি দিতে নিষেধ না করত, তাহলে এই মহিলাটিকে আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে ছাড়তাম।"
بَاب اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ هِلَالَ بْنَ أُمَيَّةَ قَذَفَ امْرَأَتَهُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِشَرِيكِ ابْنِ سَحْمَاءَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْبَيِّنَةَ أَوْ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ فَقَالَ هِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنِّي لَصَادِقٌ وَلَيُنْزِلَنَّ اللهُ فِي أَمْرِي مَا يُبَرِّئُ ظَهْرِي قَالَ فَنَزَلَتْ (وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ حَتَّى بَلَغَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ) فَانْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمَا فَجَاءَا فَقَامَ هِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ فَشَهِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ اللهَ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْ تَائِبٍ ثُمَّ قَامَتْ فَشَهِدَتْ فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الْخَامِسَةِ (أَنَّ غَضَبَ اللهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ) قَالُوا لَهَا إِنَّهَا لَمُوجِبَةٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَتَلَكَّأَتْ وَنَكَصَتْ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهَا سَتَرْجِعُ فَقَالَتْ وَاللهِ لَا أَفْضَحُ قَوْمِي سَائِرَ الْيَوْمِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم انْظُرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ الْعَيْنَيْنِ سَابِغَ الْأَلْيَتَيْنِ خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ فَهُوَ لِشَرِيكِ ابْنِ سَحْمَاءَ فَجَاءَتْ بِهِ كَذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَوْلَا مَا مَضَى مِنْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ لَكَانَ لِي وَلَهَا شَأْنٌ
হাদীস নং:২০৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৮
লি'আন প্রসঙ্গে
২০৬৮। আবু বকর ইবন খাল্লাদ ও ইসহাক ইবন ইবরাহীম ইবন হাবীব (রাহঃ)....আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা জুমআর রাত্রিতে মসজিদে ছিলাম। তখন জনৈক ব্যক্তি বললোঃ কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর কাছে অপর কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায় এবং তাকে হত্যা করে ফেলে, তখন তো তোমরা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে। আর যদি সে অপবাদ দেয়, তবে তো তাকে বেত্রাঘাত করবে। আল্লাহর কসম, আমি এ বিষয়টি নবী (ﷺ) -এর কাছে অবশ্যই পেশ করব। এরপর সে এ বিষয়টি নবী (ﷺ) এর কাছে বলল। তখন আল্লাহ লি'আন সংক্রান্ত আয়াত নাযিল করলেন। এরপর লোকটি তার স্ত্রীর প্রতি অপবাদ নিয়ে এলো। তখন নবী(ﷺ) তাদেরকে লি'আন করতে বললেন এবং এও বললেনঃ সম্ভবতঃ মহিলাটি একটি কালো সন্তান প্রসব করবে। পরে সে কালো ও কুঁকড়া চুল বিশিষ্ট একটি সন্তান প্রসব করে।
بَاب اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلَّادٍ الْبَاهِلِيُّ وَإِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبٍ قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ كُنَّا فِي الْمَسْجِدِ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ رَجُلٌ لَوْ أَنَّ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا فَقَتَلَهُ قَتَلْتُمُوهُ وَإِنْ تَكَلَّمَ جَلَدْتُمُوهُ وَاللهِ لَأَذْكُرَنَّ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَهُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ آيَاتِ اللِّعَانِ ثُمَّ جَاءَ الرَّجُلُ بَعْدَ ذَلِكَ يَقْذِفُ امْرَأَتَهُ فَلَاعَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَهُمَا وَقَالَ عَسَى أَنْ تَجِيءَ بِهِ أَسْوَدَ فَجَاءَتْ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا
হাদীস নং:২০৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৯
লি'আন প্রসঙ্গে
২০৬৯। আহমদ ইবন সিনান (রাহঃ).... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে লি'আন করেছিল ও তার গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করেছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলেন ও সন্তানটিকে মহিলার সাথে দিয়ে দিলেন।
بَاب اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا لَاعَنَ امْرَأَتَهُ وَانْتَفَى مِنْ وَلَدِهَا فَفَرَّقَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَهُمَا وَأَلْحَقَ الْوَلَدَ بِالْمَرْأَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০৭০
আন্তর্জাতিক নং: ২০৭০
লি'আন প্রসঙ্গে
২০৭০। আলী ইবন সালাম নিশাপুরী (রাহঃ).... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক আনসার ইজলান গোত্রের এক মহিলাকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি তার কাছে গিয়ে রাত যাপন করেন। ভোর হলে তিনি বললেনঃ আমি তাকে কুমারী পাইনি। বিষয়টি তখন নবী (ﷺ) এর কাছে উত্থাপন করা হলো। তখন তিনি মহিলাটিকে ডেকে এ ব্যাপার জিজ্ঞাসা করেন। সে বললোঃ আমি তো কুমারী। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের উভয়কে লি'আন করার নির্দেশ দিলেন। তারা লি'আন করল এবং স্বামী মহিলাটির মাহর আদায় করে দিল।
بَاب اللِّعَانِ
- حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَلَمَةَ النَّيْسَابُورِيُّ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ ابْنِ إِسْحَقَ قَالَ ذَكَرَ طَلْحَةُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ تَزَوَّجَ رَجُلٌ مِنْ الْأَنْصَارِ امْرَأَةً مِنْ بَلْعِجْلَانَ فَدَخَلَ بِهَا فَبَاتَ عِنْدَهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ مَا وَجَدْتُهَا عَذْرَاءَ فَرُفِعَ شَأْنُهَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَعَا الْجَارِيَةَ فَسَأَلَهَا فَقَالَتْ بَلَى قَدْ كُنْتُ عَذْرَاءَ فَأَمَرَ بِهِمَا فَتَلَاعَنَا وَأَعْطَاهَا الْمَهْرَ
হাদীস নং:২০৭১
আন্তর্জাতিক নং: ২০৭১
লি'আন প্রসঙ্গে
২০৭১। মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ)....'আমর ইবন শু'আয়ব এর দাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ চার ধরনের মহিলার লি'আন নেই। মুসলমানের অধীনে খ্রীস্টান মহিলা, মুসলমানের অধীনে ইয়াহুদী মহিলা, গোলামের বিবাহে আযাদ মহিলা এবং আযাদ পুরুষের বিবাহে দাসী মহিলা।
بَاب اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْحَضْرَمِيُّ عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ ابْنِ عَطَاءٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَرْبَعٌ مِنْ النِّسَاءِ لَا مُلَاعَنَةَ بَيْنَهُنَّ النَّصْرَانِيَّةُ تَحْتَ الْمُسْلِمِ وَالْيَهُودِيَّةُ تَحْتَ الْمُسْلِمِ وَالْحُرَّةُ تَحْتَ الْمَمْلُوكِ وَالْمَمْلُوكَةُ تَحْتَ الْحُرِّ