কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

৬. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৬১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬১৮
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর (অন্তিম) রোগের বর্ণনা প্রসঙ্গে
১৬১৮। সাহল ইবন আবু সাহল (রাহঃ).... উবায়দুল্লাহ ইবন 'আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন; আমি 'আয়েশা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আমার মা! আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (অন্তিম) রোগ সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেনঃ তিনি রোগাক্রান্ত হলেন, এবং আমরা অনুভব করলাম যে, তিনি কিশমিশ ভক্ষণকারীর ন্যায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। তখনও তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে পালাক্রমে যেতেন। যখন তাঁর রোগ বেড়ে যায় তখন তিনি তাদের কাছ থেকে 'আয়েশা (রাযিঃ)-এর হুজরায় থাকার জন্য অনুমতি চাইলেন এবং তারা যেন পালাক্রমে এসে নবী (ﷺ)-এর খোঁজ-খবর নেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুই ব্যক্তির উপর ভর করে আমার কাছে আসেন, আর এ সময় তাঁর পা দু'খানা মাটিতে হেচড়াচ্ছিল। উল্লেখিত দু'ব্যক্তির একজন ছিলেন 'আব্বাস (রাযিঃ)। আমি হাদীসখানা ইবন আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট বর্ণনা করলাম। তখন তিনি বললেনঃ তুমি কি জান, ঐ ব্যক্তি কে, যার নাম 'আয়েশা (রাযিঃ) উল্লেখ করেননি? তিনি হলেন 'আলী ইব্‌ন আবু তালিব (রাযিঃ)।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ أَيْ أُمَّهْ أَخْبِرِينِي عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ اشْتَكَى فَعَلَقَ يَنْفُثُ فَجَعَلْنَا نُشَبِّهُ نَفْثَهُ بِنَفْثَةِ آكِلِ الزَّبِيبِ وَكَانَ يَدُورُ عَلَى نِسَائِهِ فَلَمَّا ثَقُلَ اسْتَأْذَنَهُنَّ أَنْ يَكُونَ فِي بَيْتِ عَائِشَةَ وَأَنْ يَدُرْنَ عَلَيْهِ قَالَتْ فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ وَرِجْلَاهُ تَخُطَّانِ بِالْأَرْضِ أَحَدُهُمَا الْعَبَّاسُ فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ أَتَدْرِي مَنْ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّهِ عَائِشَةُ هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.
হাদীস নং:১৬১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬১৯
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর (অন্তিম) রোগের বর্ণনা প্রসঙ্গে
১৬১৯। আবু বকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ).... 'আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) সকল শব্দের দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা করতেনঃ
( أَذْهِبْ الْبَاسْ رَبَّ النَّاسْ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا )
অর্থাৎ মানুষের রব, আপনি বিপদ দূর করুন এবং শেফা দান করুন। আপনিই শেফা দানকারী। আপনার শেফা ব্যতীত অন্য কারো শেফা দানের ক্ষমতা নেই। আপনি এমন শেফা দান করুন, যারপর কোন রোগ থাকবে না।

এরপর নবী (ﷺ)-এর অন্তিম রোগ যখন তীব্র হল, তখন আমি তাঁর হাত ধরে তাঁর শরীর মাসাহ করে দিলাম এবং উপরোক্ত শব্দগুলো পাঠ করলাম। এরপর তিনি তাঁর হাত আমার হাত থেকে সরিয়ে নিলেন এবং বললেনঃ اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الْأَعْلَى “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে আমার পরম বন্ধুর সাথে মিলিত করুন।" "আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি নবী (ﷺ) থেকে শেষ কথা যা শুনেছি তা এটাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَعَوَّذُ بِهَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ أَذْهِبْ الْبَاسْ رَبَّ النَّاسْ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا فَلَمَّا ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَخَذْتُ بِيَدِهِ فَجَعَلْتُ أَمْسَحُهُ وَأَقُولُهَا فَنَزَعَ يَدَهُ مِنْ يَدِي ثُمَّ قَالَ اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الْأَعْلَى قَالَتْ فَكَانَ هَذَا آخِرَ مَا سَمِعْتُ مِنْ كَلَامِهِ صلى الله عليه وسلم
হাদীস নং:১৬২০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২০
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর (অন্তিম) রোগের বর্ণনা প্রসঙ্গে
১৬২০। আবু মারওয়ান উছমানী (রাহঃ).... 'আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ যখন কোন নবী রোগগ্রস্ত হয়, তখন তাঁকে দুনিয়া ও আখিরাতের মধ্য থেকে কোন একটি গ্রহণের ইখতিয়ার দেওয়া হয়। 'আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি (ﷺ) যখন অন্তিম রোগে আক্রান্ত, তখন তাঁর থেকে উচ্চ শব্দ বের হলো। শুনতে পেলাম, তিনি বলছেনঃ

(مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِمْ مِنْ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ)

“......নবী, সত্যনিষ্ঠ, শহীদ ও সৎকর্ম পরায়ণ যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন, তাদের সঙ্গে....." তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, তাঁকে ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছে (৪ : ৬৯)।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَا مِنْ نَبِيٍّ يَمْرَضُ إِلَّا خُيِّرَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ قَالَتْ فَلَمَّا كَانَ مَرَضُهُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ أَخَذَتْهُ بُحَّةٌ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِمْ مِنْ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ فَعَلِمْتُ أَنَّهُ خُيِّرَ
হাদীস নং:১৬২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২১
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর (অন্তিম) রোগের বর্ণনা প্রসঙ্গে
১৬২১। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)....। 'আয়েশা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সহধর্মিনীগণ সকলে একত্রিত হলেন। এরপর ফাতিমা (রাযিঃ) আসলেন। আর তাঁর চলার ধরণ ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চলার অনুরূপ। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ খোশ আমদেদ, হে আমার প্রিয় কন্যা। তারপর তিনি তাকে নিজের বাম পাশে বসালেন। এরপর তাঁর সঙ্গে চুপে চুপে কিছু কথা বললেন। এতে ফাতিমা (রাযিঃ) কেঁদে উঠলেন। তারপর আবার তাঁর সঙ্গে গোপনে কিছু কথা বললেন। এতে তিনি হেসে উঠলেন। (আয়েশা রা) বলেনঃ এরপর আমি ফাতিমা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, “তুমি কেন কাঁদলে?" তিনি (ফাতিমা রা) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর গোপন তথ্য প্রকাশ করব না। আমি বললামঃ চিন্তার পরে আজকের মত এত খুশী, আমি আর কখনো দেখিনি। তাঁর কাঁদার সময় আমি তাঁকে বললামঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের বাদ দিয়ে তোমার সঙ্গে বিশেষ আলাপ করেন। তারপর তুমি কাঁদলে। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গে যে বিষয়ে আলাপ করেছিলেন, তা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর গোপন তথ্য প্রকাশ করব না। তিনি যখন ইনতিকাল করলেন, তখন আমি ফাতিমা (রাযিঃ) কে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলামঃ
তখন তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ জিবরাঈল (আ) প্রতি বছরে একবার কুরআন দাওর করতেন, আর তিনি তা এ বছর আমাকে দু'বার দাওর করিয়েছেন। (আমি মনে করি আমার মৃত্যুর সময় নিকটবর্তী হয়েছে; আর তুমিই আমার পরিবারের মধ্য থেকে সবার আগে আমার সঙ্গে মিলিত হবে। আমি তোমার কত উত্তম পূর্বসূরী)। এ কথা শুনে আমি কাঁদলাম। এরপর তিনি আমাকে গোপনে বললেনঃ (তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তুমি মুমিন নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহিলা হবে? অথবা তিনি বলেছেনঃ এ উম্মতের নারীদের?) এতে আমি হেসে দিলাম।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ زَكَرِيَّا عَنْ فِرَاسٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اجْتَمَعْنَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ تُغَادِرْ مِنْهُنَّ امْرَأَةٌ فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ كَأَنَّ مِشْيَتَهَا مِشْيَةُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَرْحَبًا بِابْنَتِي ثُمَّ أَجْلَسَهَا عَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ إِنَّهُ أَسَرَّ إِلَيْهَا حَدِيثًا فَبَكَتْ فَاطِمَةُ ثُمَّ إِنَّهُ سَارَّهَا فَضَحِكَتْ أَيْضًا فَقُلْتُ لَهَا مَا يُبْكِيكِ قَالَتْ مَا كُنْتُ لِأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ فَرَحًا أَقْرَبَ مِنْ حُزْنٍ فَقُلْتُ لَهَا حِينَ بَكَتْ أَخَصَّكِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِحَدِيثٍ دُونَنَا ثُمَّ تَبْكِينَ وَسَأَلْتُهَا عَمَّا قَالَ فَقَالَتْ مَا كُنْتُ لِأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا قُبِضَ سَأَلْتُهَا عَمَّا قَالَ فَقَالَتْ إِنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُنِي أَنَّ جِبْرَائِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ بِالْقُرْآنِ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّةً وَأَنَّهُ عَارَضَهُ بِهِ الْعَامَ مَرَّتَيْنِ وَلَا أُرَانِي إِلَّا قَدْ حَضَرَ أَجَلِي وَأَنَّكِ أَوَّلُ أَهْلِي لُحُوقًا بِي وَنِعْمَ السَّلَفُ أَنَا لَكِ فَبَكَيْتُ ثُمَّ إِنَّهُ سَارَّنِي فَقَالَ أَلَا تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ أَوْ نِسَاءِ هَذِهِ الْأُمَّةِ فَضَحِكْتُ لِذَلِكَ
হাদীস নং:১৬২২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২২
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর (অন্তিম) রোগের বর্ণনা প্রসঙ্গে
১৬২২। মুহাম্মাদ ইবন 'আব্দুল্লাহ ইব্‌ন নুমায়র (রাহঃ).... 'আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চাইতে অন্য কাউকে কঠিন মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করতে দেখিনি।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشَدَّ عَلَيْهِ الْوَجَعُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم
হাদীস নং:১৬২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৩
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর (অন্তিম) রোগের বর্ণনা প্রসঙ্গে
১৬২৩। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ).... 'আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পেলাম যে, তার নিকটে একটি পানির পাত্র রয়েছে। তিনি সে পাত্রটির মধ্যে তাঁর হাত ঢুকাচ্ছেন এবং পানি নিয়ে তাঁর চেহারা মাসাহ করছেন আর বলছেনঃ

( اللّٰهُمَّ أَعِنِّي عَلَى سَكَرَاتِ الْمَوْتِ)

“হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করুন।”
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ مُوسَى بْنِ سَرْجِسَ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَمُوتُ وَعِنْدَهُ قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ فَيُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْقَدَحِ ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَهُ بِالْمَاءِ ثُمَّ يَقُولُ اللّٰهُمَّ أَعِنِّي عَلَى سَكَرَاتِ الْمَوْتِ
হাদীস নং:১৬২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৪
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর (অন্তিম) রোগের বর্ণনা প্রসঙ্গে
১৬২৪। হিশাম ইব্‌ন 'আম্মার (রাহঃ).... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে শেষবারের মত সোমবার দেখেছি, যখন তিনি পর্দা সরিয়েছিলেন। আমি তাঁর চেহারার দিকে তাকালাম, যা ছিল সহীফার পৃষ্ঠার মত। এ সময় লোকেরা আবু বকর (রাযিঃ)-এর পিছনে সালাতরত ছিলেন। আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর স্থান ত্যাগ করতে চাইলে তিনি তাঁকে ইশারা দিয়ে স্থির থাকতে বলেন এবং পর্দা নামিয়ে দেন। এদিনের শেষ ভাগে তিনি ইন্তিকাল করেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ آخِرُ نَظْرَةٍ نَظَرْتُهَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَشْفُ السِّتَارَةِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فَنَظَرْتُ إِلَى وَجْهِهِ كَأَنَّهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ وَالنَّاسُ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ فِي الصَّلَاةِ فَأَرَادَ أَنْ يَتَحَرَّكَ فَأَشَارَ إِلَيْهِ أَنْ اثْبُتْ وَأَلْقَى السِّجْفَ وَمَاتَ مِنْ آخِرِ ذَلِكَ الْيَوْمِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৫
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর (অন্তিম) রোগের বর্ণনা প্রসঙ্গে
১৬২৫। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)....উম্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর অন্তিম শয্যায় থাকা কালে বলতেন; "সালাত এবং তোমাদের অধীনস্থ দাস/দাসী"। এ বলার সময় তাঁর যবান মুবারক জড়িয়ে যায়।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ عَنْ سَفِينَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ الصَّلَاةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ فَمَا زَالَ يَقُولُهَا حَتَّى مَا يَفِيضُ بِهَا لِسَانُهُ
হাদীস নং:১৬২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৬
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর (অন্তিম) রোগের বর্ণনা প্রসঙ্গে
১৬২৬। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ).... আসওয়াদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম) আয়েশা রা)-এর নিকট 'আলী (রাযিঃ) এর ওসীয়ত প্রাপ্তির কথা আলোচনা করেন। তখন তিনি বলেনঃ তিনি কখন তাঁকে ওসীয়ত করলেন? আমি তো তাঁকে আমার বুকের সঙ্গে ঠেস লাগিয়ে রেখেছিলাম, অথবা তিনি (ﷺ) আমার কোলে অবস্থান করছিলেন। এরপর তিনি একটি পাত্র চান এবং আমার কোলেই এলিয়ে পড়ে ইন্তিকাল করেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ قَالَ ذَكَرُوا عِنْدَ عَائِشَةَ أَنَّ عَلِيًّا كَانَ وَصِيًّا فَقَالَتْ مَتَى أَوْصَى إِلَيْهِ فَلَقَدْ كُنْتُ مُسْنِدَتَهُ إِلَى صَدْرِي أَوْ إِلَى حَجْرِي فَدَعَا بِطَسْتٍ فَلَقَدْ انْخَنَثَ فِي حِجْرِي فَمَاتَ وَمَا شَعَرْتُ بِهِ فَمَتَى أَوْصَى صلى الله عليه وسلم
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান