কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৫. নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৫
কত দিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব
১৩৪৫। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)..... 'আওস ইবন হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা একবার সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তাঁরা তাঁদের বন্ধু মুগীরা ইবন শু'বা (রাযিঃ)-এর মেহমান হলেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মালিকের তাঁবুতে আতিথ্য গ্রহণ করলেন। তিনি প্রত্যহ রাতে 'ইশার পরে আমাদের নিকট আসতেন, তিনি তাঁর দু' পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করতেন। এমন কি তিনি কখনো এক পা বদলিয়ে অন্য পায়ের উপর ভর করে হাদীস বলতেন। তিনি অধিকাংশ সময় আমাদের কাছে তাঁর নিজ বংশ কুরায়শদের নিকট থেকে যে আচরণ পেয়েছিলেন, তা আলোচনা করতেন এবং বলতেনঃ একথা বলাতে কোন দোষ নেই যে, আমরা ছিলাম দুর্বল ও লাঞ্ছিত। আমরা যখন মদীনার দিকে বেরিয়ে এলাম, তখন আমাদের ও তাদের মাঝে যুদ্ধ-বিগ্রহ সংঘটিত হতো। ফলে কখনো আমরা তাদের উপর বিজয়ী হতাম, আবার কখনো তারা আমাদের উপর জয়লাভ করতো। এক রাতে তিনি তাঁর পূর্ব নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে আমাদের কাছে আসলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজ রাতে আপনি আমাদের কাছে বিলম্বে আগমণ করেছেন। তিনি বললেনঃ আমার কুরআনের কিছু ওজীফা বাকী থাকায় তা আদায় না করা পর্যন্ত বের হওয়া অপছন্দ করলাম।
'আওস (রাহঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের নিকট জিজ্ঞাসা করলামঃ আপনারা কিভাবে কুরআনের অংশ নির্ধারিত করে তিলাওয়াত করতেন? তাঁরা বললেনঃ কখনো তিন দিনে, কখনো পাঁচ দিনে, কখনো সাত দিনে, কখনো নয় দিনে, কখনো এগার দিনে এবং কখনো তের দিনে। আর কখনো মুফাসসাল হিসেবে।
'আওস (রাহঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের নিকট জিজ্ঞাসা করলামঃ আপনারা কিভাবে কুরআনের অংশ নির্ধারিত করে তিলাওয়াত করতেন? তাঁরা বললেনঃ কখনো তিন দিনে, কখনো পাঁচ দিনে, কখনো সাত দিনে, কখনো নয় দিনে, কখনো এগার দিনে এবং কখনো তের দিনে। আর কখনো মুফাসসাল হিসেবে।
بَاب فِي كَمْ يُسْتَحَبُّ يُخْتَمُ الْقُرْآنُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْلَى الطَّائِفِيِّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ جَدِّهِ، أَوْسِ بْنِ حُذَيْفَةَ قَالَ قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ فَنَزَّلُوا الأَحْلاَفَ عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَنْزَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَنِي مَالِكٍ فِي قُبَّةٍ لَهُ فَكَانَ يَأْتِينَا كُلَّ لَيْلَةٍ بَعْدَ الْعِشَاءِ فَيُحَدِّثُنَا قَائِمًا عَلَى رِجْلَيْهِ حَتَّى يُرَاوِحَ بَيْنَ رِجْلَيْهِ وَأَكْثَرُ مَا يُحَدِّثُنَا مَا لَقِيَ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ قُرَيْشٍ وَيَقُولُ " وَلاَ سَوَاءَ كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ مُسْتَذَلِّينَ فَلَمَّا خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ كَانَتْ سِجَالُ الْحَرْبِ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ نُدَالُ عَلَيْهِمْ وَيُدَالُونَ عَلَيْنَا " . فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ لَيْلَةٍ أَبْطَأَ عَنِ الْوَقْتِ الَّذِي كَانَ يَأْتِينَا فِيهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ أَبْطَأْتَ عَلَيْنَا اللَّيْلَةَ . قَالَ " إِنَّهُ طَرَأَ عَلَىَّ حِزْبِي مِنَ الْقُرْآنِ فَكَرِهْتُ أَنْ أَخْرُجَ حَتَّى أُتِمَّهُ " . قَالَ أَوْسٌ فَسَأَلْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَيْفَ تُحَزِّبُونَ الْقُرْآنَ قَالُوا ثَلاَثٌ وَخَمْسٌ وَسَبْعٌ وَتِسْعٌ وَإِحْدَى عَشْرَةَ وَثَلاَثَ عَشْرَةَ وَحِزْبُ الْمُفَصَّلِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: